খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজকের আর্টিকেলটি। আপনারা হয়তো খেজুরের বীজের উপকারিতা কথাটি শুনে কিছুটা অবাক হচ্ছেন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত খেজুর খেয়ে এর বীজ ফেলে দিয়ে থাকে।

খেজুরের-বীজের-১0টি-উপকারিতা


এটা ফেলে দেয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সুনির্দিষ্ট ধারণা না থাকা। তাই আমি আজকে আপনাদেরকে খেজুরের বীজের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।

পেজসূচিপত্রঃ  খেজুরের বীজের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

খেজুরের বীজ সম্পর্কে তথ্য

আমরা কমবেশি সকলেই খেজুর খেয়ে থাকে কিন্তু খেজুরের বীজ সকলেই ফেলে দিয়ে দিই। আবার গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায় মা চাচি যারা পান খেয়ে থাকেন তারা এগুলো সুপারি হিসেবে ব্যবহার করেন। যদিও তারা খেজুরের বীজ খেয়ে থাকেন কিন্তু খেজুরের বীজ সম্পর্কে উপকারিতা বিস্তারিত জানেন না। 

তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করব। সাধারণত আমাদের দেশের রমজান মাসে সকলে কমবেশি খেজুর খেয়ে থাকে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকায় এটি দীর্ঘ সময় রোজা করার পর খেজুর খাওয়ায় শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।

এছাড়াও খেজুরের বিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আমাদের শরীরের কোলেস্টের নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনি জেনে অবাক হবেন যে খেজুরের বীজে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের ফিল্টার হিসেবে সহায়িকা প্রদান করে থাকে।

এছাড়াও আমাদের শরীরে কিছু ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল উপস্থিত থাকে আর এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খেজুরের বীজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা না জানার কারণে মৃত্যুদিন খেজুর খেয়ে খেজুরের বিচিগুলো ফেলে দিয়ে থাকে। আজ থেকে আপনি সেগুলো সংগ্রহ করে নিজের নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করুন।

খেজুরের বীজের গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত

আমরা সকলে খেজুরের বীজ চিনি। কেননা প্রায় সকল দেশে খেজুর একটি জনপ্রিয় খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা রমজান মাসে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর খেজুর খেয়ে ইফতারি করার পর একটি অন্যরকম শান্তি অনুভব হয়ে থাকে।

এর মূল কারণ হচ্ছে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। যার কারণে এটি খাওয়ার পর আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপাদান জোগাতে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শর্করা অ্যামাইনো এসি ড মিনারেল ও ভিটামিন উপাদান রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় লাউ ডগ খাওয়া যাবে কি ৷ লাউ ডগ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এগুলো থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ এর চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এর কারণ হচ্ছে এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সালফার প্রোটিন ফাইবার সমৃদ্ধ আছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে খেজুরের বীজ থেকে তেলও উৎপন্ন করা যায়।

খেজুরের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার রক্ত নিয়ন্ত্রণ ও হার্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

খেজুরের বীজ সংগ্রহ করার পদ্ধতি

খেজুরের বীজের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে এটি কিভাবে সংগ্রহ করবেন সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে জানতে হবে। আপনি যদি না জানেন সে ক্ষেত্রে সঠিকভাবে খেজুরের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন না। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে খেজুর খেয়ে যে বীজ বেঁচে যাচ্ছে সেটি আপনি সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ করে কোনটাই রাখছেন।

কিন্তু আপনি একবারও ভাবছেন কি যে এভাবে সংগ্রহ করে খেজুরের বিট সংরক্ষণ করা যাবে কি। না বন্ধুগণ এটি আপনি এভাবে সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন না। কেননা খেজুরের ভিতর থেকে বীজটা বের করার পর এর গায়ে একটি সাদা পরশ লেগে থাকে এটি সহকারে আপনি যদি সংরক্ষণ করে থাকেন তাহলে এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

খেজুরের-বীজ-সংগ্রহ-করার-পদ্ধতি


সেজন্য আপনাকে খেজুরের বৃষ্টি সংগ্রহ করার পর হালকা তেলে ভেজে বাদামী কালার করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি মনে করেন রৌদ্রে শুকিয়ে কোন কৌটাতে ভরে সংগ্রহ করে রাখবেন তাও আপনি রাখতে পারেন। আমাদের দেশে সচরাচর পুকুরের পাশে রাস্তার ধারে খেজুরের গাছ দেখতে পাওয়া যায়।

যদিও অনেকে দেশি খেজুর খেতে পছন্দ করে না সে ক্ষেত্রে আপনি এগুলো ও সুন্দরভাবে সংগ্রহ করে বের করে নিতে পারেন। পাশাপাশি পরবর্তীতে নিজের প্রয়োজনীয় কাজে এগুলো যথাসময়ে ব্যবহার করতে আপনি সক্ষম হবেন। আশা করি সংগ্রহ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে পারলেন।

খেজুরের বীজ গুড়া করার নিয়ম

আমরা সকলে কমবেশি খেজুর খেয়ে থাকি কিন্তু খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় মানুষ জানে না। সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ও স্বাস্থ্য সচেতনা বইগুলো ফলো করা প্রত্যেকের উচিত। আপনি বাজার থেকে নিশ্চয়ই ৪০০ থেকে ৬০০ বা ৮০০ তার চেয়েও বেশি দামে খেজুর কিনে আনছেন।

এটা আনার পর আপনি বীজগুলো ফেলে দিয়ে থাকছেন। কিন্তু আপনি একবারও কি ভেবে দেখেছেন যে আসলে খেজুরের বীচে কি কি উপকারিতা রয়েছে তা সম্পর্কে। না বন্ধুগণ আমরা কেউই এই সম্বন্ধে বিষয়ে মাথায় নিয়ে ভাবি না। কেননা আমরা সকলেই জানি খেজুর খেয়ে বিষটা ফেলে দিতে হয়। কিন্তু আজ আপনাদেরকে এই খেজুরের বিচির গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।

আরো পড়ুনঃ  দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা জেনে নিন

আপনাকে খেজুর খাওয়ার পর খেজুরের বৃষ্টি ভালোভাবে রোদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর আপনি সরিষার তেল দিয়ে সামান্য বাদামি কালার না আসা পর্যন্ত ভেজে নিন। যদি আপনার খেজুরের বৃষ্টি ভেজে নেওয়া হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এটি পাঠাতে বা ব্লেন্ডারে গুড়া করে নিতে পারেন।

আপনি যদি মনে করেন যে খেজুরের বীজ শুধুমাত্র রোদ্রে শুকানোর পর গুঁড়া করবেন তাও করতে পারবেন। আবার আপনি যদি মনে করেন খেজুরের বীজগুলো রোদে শুকানোর পর কোন কৌটাতে রেখে দিয়ে পরবর্তীতে ব্যবহারের সময় গড়া করে নিবেন তাও করতে পারবেন।

চুলের যত্নে খেজুর বীজের গুড়া ব্যবহার

আমরা সকলে খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই এটিও জেনে নেব যে চুলের যত্নে খেজুর বীজের গুড়া কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে খেজুরের বীজ থেকে এক ধরনের তেল উৎপন্ন করা যায়। আর এ তেল আপনি নিয়মিত ত্বক ও চুলে ব্যবহার করতে পারে।

আপনি যদি সচারচার খেজুর বীজের তেল সংগ্রহ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে খেজুরের বীজগুলো সুন্দরভাবে গুড়া করে নিয়ে তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধির জন্য তোকে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে থাকলে তার সাথে খেজুর বীজের গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

আপনার চুল যদি রুক্ষ ও দুর্বল হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে নিয়মিত খেজুরের বীজ গুড়া ব্যবহার করলে চুল সুন্দর ও মজবুত হবে। এভাবে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি মনে করেন এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না তাহলে গুগলে সার্চ করে এর ব্যবহার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

খেজুর বীজ দিয়ে কফি তৈরি করার পদ্ধতি

খেজুরের বীজ দিয়ে কফি তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকের কাছেই অজানা রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ আমরা যদিও জেনে থাকি খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে কিন্তু খেজুরের বীজ দিয়ে কফি তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানি না। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেয়া যা কিভাবে খেজুরের বীজ দিয়ে কফি তৈরি করা যায়।

অন্য কফি চেয়ে খেজুরের বীজ দিয়ে তৈরি কফির স্বাদ কিছুটা ভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে খুবই সুস্বাদু লাগে। খেজুরের বীজের কফিতে কোন ক্যাফিন দেয়া থাকে না বলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি স্বাস্থ্যের ওপর কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না।

খেজুর-বীজ-দিয়ে-কফি-তৈরি-করার-পদ্ধতি


খেজুরের বীজ দিয়ে কফি তৈরি করার জন্য প্রথমে খেজুরের বীজগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হয়। অবশ্যই এটা আপনাকে ২০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রোস্ট করে নিতে হবে তাহলে এটি কফির কালার চলে আসবে। খেজুরের বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে।

সেজন্যই এটি যদি আপনি নিয়মিত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার হজমের কোন সমস্যা থাকলে এই কফি খাওয়ার পরে সেটি দূর হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি। তাই আজ থেকে খেজুরের বীজগুলো না ফেলে দিয়ে নিজের শরীরের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ব্যবহার করুন। তবে হ্যাঁ সেজন্য আপনাকে সঠিক তথ্য জানতে হবে।

পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত

আমরা সকলেই জানি যে কোন খাবারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ঠিক তেমনি খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা জানার পাশাপাশি পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। এটা বলা বাহুল্য যে খেজুরের বীচে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে খেজুরের বীজের মাংসের চেয়েও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও চর্বি পাওয়া যায়। যার কারণে এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পূরণ করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও খেজুরের বীজে প্রচুর পরিমাণে আস জাতীয় উপাদান রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  ফেলে দেওয়া চা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানুন

চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই কি কি পুষ্টি উপাদান খেজুরের বীজে এবং কত পরিমান রয়েছে তা সম্পর্কে। যেকোনো ধরনের খাবার বা জিনিস ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আমাদেরকে এটি সম্পর্কে যাবতীয় ও তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে খাবার খাওয়া বা পোশাক ব্যবহার করা প্রত্যেকের উচিত।

পুষ্টির উপাদানের পরিমাণঃ

পুষ্টি উপাদান পুষ্টির পরিমাণ
প্রোটিন ৫.২/১০০ গ্রাম
চর্বি ৯.০১/১০০ গ্রাম
আঁশ ৮ গ্রাম
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ৬.০৬গ্রাম
ফেনোলিক্স ২.৮গ্রাম

খেজুরের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখন আমরা জানব। যদিও আমরা অনেকেই খেজুর বীজের উপকারিতা না জানার কারণে খেজুর খেয়ে খেজুরের বৃষ্টির ফেলে দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের উপাদান আপনি হাতের নাগালে পেয়ে যেতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে সঠিকভাবে এর উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে।

চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই খেজুরের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

১/খেজুরের বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২/খেজুর বীজের তেল আমাদের চুল ও ত্বকের যত্ন করার জন্য খুবই উপকারী।

৩/খেজুরের বীজে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের খারাপ কলেজটার দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।

৪/আপনার শরীরের পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত খেজুরের বীজ খেতে পারেন।

৫/আপনি যদি উঁচু রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ড ভালো রাখার জন্য খেজুরের বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৬/খেজুরের বীজ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য এটি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

৭/আপনি যদি ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান সেক্ষেত্রে খেজুর বীজের গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন কারণ খেজুর বীজের গুড়া খেলে দীর্ঘক্ষন থাকে না যার কারণে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

৮/আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন কারণ এটি ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে না এতে কোন প্রকার দিয়ে তৈরি করা হয় না।

৯/আপনার যদি আমাশয় বা পেটের কোন ধরনের রোগ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নির্মিত খেজুর গুড়া খেলে। সমাধান পেতে পারবেন

১০/শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যা থেকে খেজুর বীজের গুড়া পান করুন।

আশা করি আপনারা খেজুর বীজের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পারলেন। যদি আপনারা মনে করেন যে খেজুরের বীজের দশটি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম তাহলে এখন থেকে খেজুর খেয়ে খেজুরের বৃষ্টি না ফেলে দিয়ে সংগ্রহ করে নিজের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগান।

খেজুরের বীজের অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

এতক্ষণ আমরা খেজুরের বীজের১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এগুলোর শুধু কি উপকারিতা এবং ভালো গুণ রয়েছে এর কোন কি উপকারিতা নাই। হ্যাঁ বন্ধুগণ এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। আপনারা সকলেই জানেন কিছু জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা থাকে।

ঠিক তেমনি খেজুর বীজেরও কিছু উপকারিতা থাকার পাশাপাশি কৃতিত্ব পরিমাণ হলেও অপকারিতা রয়েছে। তবে এর অপকারিতা চেয়ে উপকারিতায় বেশি আছে। কারণ আপনারা হয়তো সকলেই জানেন কোন জিনিস প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে থাকেন সেক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা

আবার কারো যদি এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে এটি সেবন করাতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যদি মনে করেন এই খাবারে আপনার অ্যালার্জি আছে তাহলে এই খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। অতিরিক্ত খেজুরের বীজের গোড়া খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যেহেতু খেজুরের বীজের গুড়া খুব ভারী একটি খাবার তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাণমতো খাবেন। আশা করি আপনারা খেজুর বীজের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারলেন। যদি মনে করেন এ খাবার খাওয়াতে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে পরামর্শ করে এই খাবারটি খাবেন।

খেজুরের বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা

খেজুরের বীজের১০টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই পুরো আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে কিভাবে খেজুরের বীজ সংগ্রহ করবেন এবং গুড়া করার পদ্ধতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

খেজুরের বীজে কি কি পুষ্টি গ্রহণ রয়েছে এবং কি পরিমাণে আছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও খেজুরের বীজে তেল চুল ও ত্বকের জন্য ব্যবহার কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছি। আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে খেজুর বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং পাশাপাশি উপকৃত হবেন।

আমার নিজের আম্মা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নির্মিত ভাবে এই খেজুরের বীজ পানের সাথে খেয়ে থাকেন। পাশাপাশি তিনি মনে করেন খেজুরের বীজ সাবালে মুখে অন্যরকম স্বাদ বৃদ্ধি পায়। তাই আজকের এই আর্টিকেল মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে তাদের কেউ উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url