মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানো পদ্ধতি সম্পর্কে হয়তো আপনার জানা নেই অথবা মিষ্টি আলু লাড্ডু কথাটি শুনে অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়ার কিছু নেই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করব।
পাশাপাশি আরও জানতে পারবেন মিষ্টি আলোর পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতির সাথে সাথে কি কি উপকরণ লাগে সে সম্পর্কে
আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হবে। সেজন্য আর্টিকেলটি আপনাকে
মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন
- মিষ্টি আলুর লাড্ডুর আকৃতি
- মিষ্টি আলু দিয়ে লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি
- মিষ্টি আলু লাড্ডু বানানোর উপকরণ
- মিষ্টি আলুর পুষ্টি উপাদান
- মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম\
- বাচ্চাদের মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা
- মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা
- ওজন বাড়ে কি মিষ্টি আলু খেলে তা সম্পর্কে
- পেটে গ্যাস হলে মিষ্টি আলু খাওয়ার গুরুত্ব
- মিষ্টি আলু লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথা
মিষ্টি আলুর লাড্ডুর আকৃতি
আপনার বাসাতে যদি হঠাৎ করে কোন মেহমান আসে তাহলে এমন কোন খাবার তাদের পরিবেশন
করুন যাতে করে তারা চমকে যান। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি আলোর লাড্ডু বানানোর
পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। এখন সচরাচর আমরা মিষ্টি আলো বাজারে ফিরে যেতে পারি।
প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে মিষ্টি আলুতে।
যার কারণে আমরা সচরাচর শিশুদের মিষ্টি আলু খাওয়াতে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি।
মিষ্টি আলুতে যেমন রয়েছে পুষ্টি উপাদান ঠিক তেমনি রয়েছে সাদ। সেজন্য আপনাকে
ভালভাবে জেনে নিতে হবে যে একটি উপকরণ দিয়ে কত প্রকার খাবার এবং কি ধরনের সুসের
দুধ খাবার তৈরি করা যেতে পারে।
আবার অনেক শিশুরা রয়েছে যারা সহজে মিষ্টি আলু খেতে চায় না। সেজন্য আপনি যদি
মিষ্টি আলুর লাড্ডু তৈরি করে তাদেরকে খেতে দেন তাহলে তারা তৃপ্তি সহকারে চেটেপুটে
খাবে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এগুলো তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক নিয়ম জানতে
হবে। আমরা অনেকেই আছি মিষ্টি আলোর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিনা।
যার কারণে এটি খাওয়া থেকেও নিজেকে বিরত রেখেছি। মিষ্টি আলু লাড্ডু তৈরি করতে
পারলে আর পাঁচটি বড় বড় রেস্টুরেন্ট বা দোকানের নামিদামি লাডুর মত খেতে সুস্বাদু
লাগে। তার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম জানতে হবে। তবে লাল আলু দিয়ে লাড্ডু বানানো
আরো মজাদায়ক হয়ে থাকে।
মিষ্টি আলু দিয়ে লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে এটি
সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে যে এটি দিয়ে কিভাবে লাড্ডু তৈরি করা যেতে পারে। মিষ্টি
আলু যেমন উপকারী উপাদানে ভরপুর ঠিক খেতেও সেই রকম সুস্বাদু লাগে। মিষ্টি আলুর
লাড্ডু বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে আলুগুলো কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করার ১৫টি সহজ উপায়
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর জন্য আপনাকে প্রথমে আলুগুলো চিকন চিকন করে কেটে নিয়ে
বিলিন্ডারে বা পাঠাতে পিছিয়ে নিতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে পরিমাণমতো দুধ নিয়ে আলু
গুলো দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে ব্লেন্ড করতে পারেন। ব্লেন্ড করার পর এগুলো ঠান্ডা
করে নিতে হবে। এরপরে চুলার ওপর একটি করায় দিয়ে তা দিয়ে নিতে হবে।
কড়াই এর ভিতর সামান্য পরিমাণ কি দিয়ে পরিমাণ মতো কাঠবাদাম কুচি, কিসমিস,
তেজপাতা এলাচ কাঠ মসলা ইত্যাদি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। কিসমিস গুলো যখন গরম
হয়ে ফুলে উঠবে তখন ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে
থাকুন। এবার আপনি পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে পুনরায় ভালোভাবে নাড়তে থাকবেন।
এভাবে কিছুক্ষণ নাড়তে নাড়তে এক ধরনের আঠালো ভাব হয়ে আসবে। আপনি যদি আরো পরিমাণ
করতে পারেন। গুড়া দুধ এর সাথে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নামিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ
নামিয়ে রাখার পর ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে গোল গোল করে একটি বাটিতে রেখে পরবর্তীতে
নারকেল কুঁড়ার মধ্যে নাড়িয়ে নিন। তাহলে মিষ্টি আলোর লাড্ডু আরো খেতে সুস্বাদু
লাগবে।
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর উপকরণ
মিষ্টি আলোর লাড্ডু বানাতে যে সকল উপকরণ ব্যবহার করতে হবে তা সম্পর্কে আপনাকে
কিছুটা হলেও ধারণা নিতে হবে। কেননা কোন জিনিস তৈরি করার আগে তার সম্পর্কে এবং কি
কি উপকরণ দিয়ে এটি তৈরি করা হয় সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে নিতে হয়।
এতে করে বানানোর সময় সুবিধা হয়ে থাকে।
আপনাকেও মিষ্টি আলো লাড্ডু বানানোর আগে কি কি উপকরণ লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে
হবে। আপনি যদি 500 গ্রাম মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানাতে চান সেক্ষেত্রে ময়দা 2 টেবিল
চামচ ব্যবহার করতে পারেন। ফ্লাওয়ার তিনটে বিল চামচ এবং পরিমাণ মতো বেকিং পাউডার
নিতে হবে। এর স্বাদ আরো বাড়ানোর জন্য এক টেবিল চামচ গুড়া দুধ, ও সাদা তিল একটা
ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি কালার করার জন্য ফুড কালার ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য পরিমাণ লবণ এবং
ভাজার জন্য দুই কাপ তেল নিতে হবে। এ সকল উপকরণ নিয়ে মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানাতে
হবে। তবে মিষ্টি আলু লাডু বানানোর উপকরণের মধ্যে একটি সুন্দর এবং তেলাক্ত পাত্র
ব্যবহার করতে হবে।
মিষ্টি আলুর পুষ্টি উপাদান
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সাইড
তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং পাশাপাশি আমাদের টক ও দৃষ্টি শক্তি
বজায় রাখতে সহায়তা প্রদান করে। আপনি যদি একটি করে প্রতিদিন মিষ্টি আলো খেতে
পারেন তাহলে আপনার শরীরে ১০০ শতাংশের বেশি পরিমাণে ভিটামিন সরবরাহ হবে।
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬ যা আমাদের
মস্তিষ্ক এবং সায়নতন্ত্রের সুস্থতা রাখতে সহায়তা করে। মিষ্টি আলোতে আরো রয়েছে
পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট
ভালো রাখে। এছাড়াও মিষ্টি আলোতে আছে। যা আমাদের হার্ড স্টক থেকে রক্ষা করে।
আরো পড়ুনঃ পানি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আপনি যদি নিয়মিত মিষ্টি আলো খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
পারবেন। নিয়ম করে মিষ্টি আলু খেলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ কলেজ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মিষ্টি আলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া
থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। আপনার শরীরে কোন প্রকার প্রদাহ থাকলে মিষ্টি আলু
সেটি কমাতে সাহায্য করবে।
আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পানি থাকে সেক্ষেত্রে মিষ্টি আলু এগুলো শোষণ
করতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আপনাকে
প্রতিটি খাদ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যে কোন খাবার খাওয়ার আগে
এর পুষ্টিগুণ বা প্রশ্ন উপাদান সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম
মিষ্টি আলোর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকের কাছে অজানা। আমাদের দেশে
সাধারণত জনগণ মিষ্টি আলোক সিদ্ধ বা কাঁচা খেয়ে থাকেন। যার কারণে অনেকেই জানেন না
যে মিষ্টি আলুর লাড্ডু কিভাবে তৈরি করতে হয়। এমন কি অনেকে আবার মিষ্টি আলোর গাছে
পাতাগুলো শাক হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকেন।
সেগুলো হালকা পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হয়। সিদ্ধ করে নেওয়ার পর সেগুলো খেতে
খুব সুস্বাদু লাগে। তবে মিষ্টি আলু সিদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি জিনিস খেয়াল রাখতে
হয় যে অতিরিক্ত পানি। পানি হয়ে যায়। মিষ্টি আলু নিয়মিত খেলে চোখের দৃষ্টি
শক্তি বৃদ্ধি পায়। মিষ্টি আলু হালকা সিদ্ধ করে বা মাটি দিয়ে সিদ্ধ করেও গ্রাম
অঞ্চলে খাওয়া হয় মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে আইরন রয়েছে।
আবার অনেকেই মিষ্টি আলু গাছ থেকে তোলার পর এটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে
কাঁচা কামড়িয়ে খেয়ে থাকে। তবে আপনি যেভাবে খান না কেন মিষ্টি আলুতে থাকা
গুরুত্বপূর্ণ উপকারী উপাদান গুলো আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
অনেক ছোট বাচ্চা মিষ্টি আলু খেতে চায় না। তাদের ক্ষেত্রে হালকা সিদ্ধ করে
ব্লেন্ড করে খাওয়ানো যায়।
বাচ্চাদের মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনি
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারবেন। অনেক সময়
আমাদের ছেলেমেয়েরা মিষ্টি আলো এমনিতে খেতে পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি
মিষ্টি আলো হালকা সিদ্ধ করে ব্লেন্ড করে লাড্ডু বানিয়ে বাচ্চাদেরকে খেতে দেন।
তাহলে দেখবেন তারা আনন্দ করে মিষ্টি আলুর লাড্ডু খেতে পছন্দ করবে। আমাদের শরীরে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যদি আপনার শরীরে অভাব দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে
আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বলা হয়ে থাকে
যে শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
সেজন্য শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদেরকে মিষ্টি আলু খাওয়ার প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে
দেখার জন্য বলা হয়ে থাকে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে
ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি আমাদের অন্তরের বিভিন্ন ধরনের
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। যার ফলে আমাদের অন্তরের
স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
শিশুদেরকে যদি প্রতিনিয়ত মিষ্টি আলো খাওয়ানো হয় তাহলে ভিটামিন এর অভাব পূরণ
হবে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যার কারনে এটি আমাদের শরীরে
রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি করে। পাশাপাশি শিশুদের রক্তস্বল্পতা রোগ প্রতিরোধ করতে
সহায়তার প্রদান করে থাকে। পাশাপাশি আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত
হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত মিষ্টির আলো খাওয়ার ফলে এটি সমাধান পাওয়া যেতে
পারে।
মিষ্টি আলু খাওয়ার অপকারিতা
যদিও মিষ্টি আলুতে পুষ্টিকর উপাদান অত্যাধিক পরিমাণে বেশি থাকে তার পাশাপাশি এর
উপকারিতা ও যেমন রয়েছে ঠিক অপকারিতাও রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যাদের
মিষ্টি আলু খাওয়ার ফলে শরীরে এলার্জি প্রভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ ধরনের
এলার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন আপনার বমি বমি
ভাব পেট ব্যথা চুলকানি ও শরীরের যে কোন অংশ ফুলে যাওয়া।
এছাড়াও আপনি যদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অত্যাধিক পরিমাণে
মিষ্টি আলু খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি
আলু খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের বন্য অন্যরকম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেজন্য খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনি যখন মিষ্টি আলু খাবেন অবশ্যই শুধুমাত্র মিষ্টি আলো না খেয়ে এর পাশাপাশি
কিছু সবুজ শাকসবজি মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে
পটাশিয়াম থাকার কারণে অত্যাধিক পরিমাণে খেলে শরীরে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
ওজন বাড়ে কি মিষ্টি আলু খেলে তা সম্পর্কে
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি মিষ্টি আলু ওজন
বাড়াতে যে ভূমিকা পালন করে সেটি সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের ভালোভাবে ধারণা
নেয়া উচিত। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা না জানার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে
মিষ্টি আলু খাওয়াতে নিজেকে অভ্যাস করে তুলেছেন।
আপনি হয়তো জানেন না যেও মিষ্টি আলো খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায়। আমরা অনেকেই মনে করি মিষ্টি আলু খেলে আমাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। যার
কারণে অনেকে অতিরিক্ত হাড়ে মিষ্টি আলু খেতে পছন্দ করেন না। যদিও মিষ্টি আলোতে
অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ থাকে।
আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত মিষ্টি আলো খাবেন
তাহলে অবশ্যই সেটিতে নিজেকে অভ্যস্ত করতে পারেন। কেননা মিষ্টি আলোতে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালরি ও ফাইবার থাকার কারণে এটি দীর্ঘ সময় আমাদের পেট ভরে থাকে এবং
ক্ষুধার তীব্রতা কমায় যার কারণে আমাদের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম
থাকে।
পেটে গ্যাস হলে মিষ্টি আলু খাওয়ার গুরুত্ব
পেটে গ্যাস হলে মিষ্টি আলু খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মিষ্টি আলু এমন একটি খাবার
যা আমরা নাস্তাতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারি। পাশাপাশি মিষ্টি আলুর লাড্ডু
বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নিতে পারি। মিষ্টি আলুতে আঁশের
পরিমাণ অতিরিক্ত থাকার কারণে এটি আমাদের হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আস হলো এমন একটি উপাদান যা আমাদের অন্ত্রের ও পাকস্থলীর সুরক্ষা তা বজায় রাখতে
সাহায্য করে। আমরা অনেকেই মিষ্টি আলুর এই উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত না জানার
কারণে আমরা অনেকেই মিষ্টি আলো খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছি। পাশাপাশি ছোট
বাচ্চাদেরকে মিষ্টি আলু খাওয়াতে অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
তাই আপনি যদি সাধারণত পেটে গ্যাসের সমস্যা বা যেকোনো হজম রোগে আক্রান্ত হয়ে
থাকেন সেক্ষেত্রে নিয়মিত মিষ্টি আলো খাওয়াতে নিজেকে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
এতে করে আপনার এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি নিয়মিত করে মিষ্টি
আলো খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলেও
দূর হবে।
মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা
আজকের এ আর্টিকেলটিতে আমি মিষ্টি আলু লাড্ডু বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। মিষ্টি আলোর লাড্ডু এবং মিষ্টি আলুর লাড্ডু তৈরির
উপকরণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি কিভাবে মিষ্টি
আলুর লাড্ডু বানানোর জন্য তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছি।
আমাদের বাসায় মিষ্টি আলুর গাছ রয়েছে। মিষ্টি আলু শুধু নয় মিষ্টি আলুর পাতাও
শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। আমি মিষ্টি আলো কাঁচা খেতে পছন্দ করি।
পাশাপাশি মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে এটি হালুয়ার মত করে তৈরি করার পর লাড্ডু বানিয়ে
খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। তবে এটি আরো ৭ বাড়াতে আমি সামান্য পরিমাণে ঘি ব্যবহার
করে থাকি।
আশাকরি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার মিষ্টি আলুর লাড্ডু বানানোর
পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে কোন
ধরনের বানান ভুল বা ভুল শব্দ প্রয়োগ করে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর এ
ধরনের আরও আর্টিকেল পুনরায় পেতে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
আল্লাহ হাফেজ।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url