ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আপনি কি বিস্তারিত জানেন। যদি না জেনে
থাকেন সেক্ষেত্রে আজকের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আর্টিকেলটি
পড়ার মাধ্যমে আপনি ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কাদের জন্য ফুলকপি মারাত্মক ক্ষতিকর সে সম্পর্কে এবং কিভাবে ফুলকপি ক্ষতিকর
প্রভাব সৃষ্টি করে তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হবে। পাশাপাশি জানতে পারবেন ফুলকপি
উপকার ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা
যাবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ফুলকপির ক্ষতিকর দিক সমূহ সম্পর্কে প্রায় আমরা সকলে কম বেশি জানি এবং ফুলকপি
একটি শীতকালীন সবজি সে সম্পর্কেও জানি। আমাদের দেশে ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি
হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে প্রায় সকল মানুষের ফুলকপি খেতে পছন্দ করে থাকে।
এছাড়াও ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
সমূহ।
নানা ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে যে ফুলকপি সবজিটিতে প্রচুর পরিমাণে রাফিনোজ নামক
একটি মারাত্মক রঞ্জক পদার্থ বিদ্যমান রয়েছে। পদার্থ বলতে কার্বোহাইডেট কে বোঝানো
হয়েছে। আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে এমন কিছু সবজি রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ
কার্বোহাইডেট বিদ্যমান থাকে আর কার্বোহাইডেট আমাদের শরীর নষ্ট করতে পারে না।
আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এই সবজিটি খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের ছোট অন্তর
থেকে বড় অন্তরে এই কার্বোহাইডেট প্রবেশ করতে সক্ষম হয়ে থাকে। যার ফলে
ব্যাকটেরিয়া তার বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন ক্রাজন প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে শুরু
করে এবং এখানে একটি বি কেয়ার সৃষ্টি করে থাকে। যার কারণে সাধারণত আমাদের পেট
ফেঁপে বা গ্যাস সৃষ্টি হয়।
ফুলকপির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত
ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি এতে নানা ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে। ফুলকপি আমরা
নানা ধরনের পদ্ধতিতে খেয়ে থাকি। ফুলকপি সু ফুলকপি ভাজি ফুলকপির ঝোল এবং ফুলকপির
চপ তৈরি করে খেতে ভালো লাগে। যদিও এটি একটি উপাদানে ভরপুর তবুও কিছু কিছু
ক্ষেত্রে ক্ষতির প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি
ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা নিতে হবে।
পাশাপাশি ফুলকপিতে কি ধরনের পুষ্টি উপাদান তার সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা নিতে হবে।
আমরা অনেকে নানা ধরনের সবজি খেয়ে থাকি কিন্তু কোন সবজিতে কি ধরনের পুষ্টি উপাদান
বিদ্যমান তা সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা নিতে চায়না বা নিতে পারি না। যার কারনে আমরা
অনেকেই ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানিনা। তাহলে চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক
ফুলকপির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
পুষ্টি উপাদান
পরিমাণ ( একটি মাঝারি আকারের ফুলকপি
শক্তি
২৫ কিলোক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট
৪.৯৭ গ্রাম
প্রোটিন
১.৯২ গ্রাম
ফ্যাট
০.২৯ গ্রাম
ফোলেট
০.৫৮ মাইক্রোগ্রাম
থায়ামিন
০.০৫ মাইক্রোগ্রাম
আঁশ
২ গ্রাম
প্যানথানিক এসিড
০.৬৬৮ মাইক্রোগ্রাম
নিয়াসিন
০.৫০ মাইক্রোগ্রাম
আয়রন
০.০৯গ্রাম
ফুলকপির চাষ পদ্ধতি
যদিও ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি কিন্তু এখন বর্তমানে আমাদের দেশে সারা বছরই
ফুলকপি চাষাবাদ করা যায়। হালকা হালকা শীতের আগমন ঘটার সাথে সাথে শীত ফুলকপির বীজ
ফেলে সেগুলো পুনরায়র আপন করে ফুলকপির চাষাবাদ করা হয়। ফুলকপি চাষাবাদ করতে
প্রচুর পরিমাণে অর্থ খরচ করতে হয়।
বিশেষ করে কেউ যদি মনে করে যে ফুলকপি চাষাবাদ অগ্রিম করবে সেক্ষেত্রে প্রচুর
পরিমাণে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। যার কারণে এটি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্ষতিকর
প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে। ফুলকপি চাষাবাদ করার জন্য পেলে দোয়াশ মাটির প্রয়োজন
হয়ে থাকে। ফুলকপি চাষাবাদ করার জন্য প্রথমে জমি তৈরি করে নিতে হয়।
যারা ঠিক মত যদি না বাড়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ইউরিয়া সার পরিমাণ মত
ছিটিয়ে দিতে হয়। বীজ ফেলানোর প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন পর বীজ উঠিয়ে নিয়ে
অন্য জায়গাতে রকম করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভালো ফসল
বৃদ্ধির জন্য ৩০ দিন যারা বড় হওয়ার সময় নিয়ে রোপন করতে হয়। অন্যদিকে ফুলকপির
ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কেও ধারণা নিতে হবে।
আগাম ফুলকপি চাষ পদ্ধতি
সাধারণত আগাম ফুলকপি চাষ করতে প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে হয়। আপনি যদি সিজিনে
ফুলকপি চাষ করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আগাম ফুলকপি চাষের চেয়ে তুলনামূলকভাবে খরচ কম
হয়। আমরা অনেকে লাভের আশাতে আগাম ফুলকপি চাষ করে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই
আমাদেরকে যথাযথ নিয়মটি পালন করতে হয়।
আগাম ফুলকপি চাষ করার জন্য জমিতে সর্বপ্রথম গড়সার খোল চুলা ছাই এগুলো মিশিয়ে
নিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হয়। ফুলকপির বীজ ফেলার পর ভিজে যখন ছয় থেকে সাতটি পাতা
গজাবে তখন করতে হবে। আগাম ফুলকপি চাষ করার জন্য জমিতে ৬০ সেন্টিমিটার পরপর শাড়ি
উঠিয়ে নিতে হয়। এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়
রোপন করার পর যত পরিমান পানি এবং প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রয়োজন
হয়ে থাকে। কেননা আগাম ফুলকপি চাষ করতে কীটনাশক এর ব্যবহার না করলে পোকা বা পচন
হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে চারা রোপনের ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার
দূরত্ব বজায় রেখে রোপন করতে হবে।
ছাদের ওপর টপে ফুলকপি চাষ পদ্ধতি
আপনারা ইচ্ছা করলেও ছাদের ওপর টবের মাধ্যমে ফুলকপি চাষ করতে পারেন। সেজন্য
ব্যবসার মেশানো মাটি বস্তাতে করে উঠিয়ে নিয়ে প্রতিটি টপে ভর্তি করে নিতে হবে।
এরপরে চার থেকে পাঁচটি পাতা গজানো ছাড়া বাজার বা জমি থেকে নিয়ে এসে টবের অপন
করতে হবে। তবে টপে ফুলকপি চাষ করার ক্ষেত্রে কীটনাশক প্রয়োগের সময় ব্যবহার করতে
পারেন।
সাধারণত টপে ফুলকপি চাষ করার জন্য পানি সেচ দেয়ার জন্য ঝর্ণা বা বদনা ব্যবহার
করতে পারেন। তবে ঝর্ণা ব্যবহার করলে ভালো হয়। যদি টপের লাগানো ফুলকপি গাছের
গোড়াতে আগাছা জন্মায় সেক্ষেত্রে নারানী দিয়ে সেগুলো উঠিয়ে ফেলে পরিষ্কার করে
দিতে হবে। দুই থেকে চার মাসের মধ্যেই ফুল গজানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
টপে ফুলকপি চাষ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে টবের মধ্যে যাতে করে
পানি না জমে থাকে। পানি জমে থাকার কারণে গাছের গোড়াতে পচন ধরা সম্ভাবনা বেশি
থাকে। সেজন্য টপে লাগানো ফুলকপির গাছে সবচেয়ে ঝর্ণা দিয়ে পানি দিলে ভালো হয়।
এতে করে খুব সহজে পানির পরিমাণ বোঝা যায়।
সাধারণত আমরা সকলেই কমবেশি ফুলকপি খেতে পছন্দ করি। ফুলকপি নানা ধরনের রেসিপি তৈরি
করে জনপ্রিয় খাবার তৈরি করা যায়। বিশেষ করে ফুলকপির চ ফুলকপির ঝোল ফুলকপির ভাজি
ইত্যাদি আমাদের বাঙালিরা কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন। ফুলকপি যে কোনো সবজি হিসাবে
খাওয়া যায়। ছোট বড় সকলে কমবেশি ফুলকপি খেয়ে থাকি।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো থাকলে ফুলকপি খাওয়া থেকে
নিজেকে দূরে রাখা উত্তম। বিশেষ করে যাদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তারা
ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এর কারণ হচ্ছে ফুলকপির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে
হরমোন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। যার কারণে অতি দ্রুত থাইরয়েড বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে যদি আপনার শরীরে উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে ফুলকপি খাওয়া থেকে
নিজেকে বিরত রাখুন। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যার ফলে ফুলকপি খেলে
আপনার শরীরের রক্ত ঘন আকার ধারণ করতে থাকবে। সেজন্য আপনি যদিও ফুলকপি খেতে চান সে
ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
অন্যদিকে আপনি যদি আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাইয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রেও আপনাকে
ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে
এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যার ফলে আপনি ফুলকপি খেলে আপনার শিশুর ওপর প্রভাব সৃষ্টি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আপনি যদি খেতে চান তবে সীমিত ভাবে খেতে পারেন।
ফুলকপির উপকারিতা
শীতকালীন সবজি ফুলকপি একটি সুস্বাদু খাবার। যে খাবারটির সাথে আমরা প্রত্যেকেই
প্রায় কম বেশি জড়িত থাকে। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ ও পুষ্টি
উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক ও সতেজ রাখতে সাহায্য
করে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ফুলকপি আমাদের কি কি উপকার করে থাকে।
ফুলকপি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইট বিদ্যমান থাকে যার কারণে
আমাদের দাঁত ও দাঁতের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা আমাদের শরীরে কলেস্টারের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হলে আমাদের শরীরের হৃদরোগ
প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সালফুরাপের যা ক্যান্সারের কোষকে
বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা প্রদান করে।
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে আইরন থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ
রক্ত উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
ফুলকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন গুলো আমাদের ত্বক ও চুলকে সুন্দর
রাখতে সাহায্য করে
প্রচুর পরিমাণে ফুলকপি খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
ফুলকপি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
আশা করি আপনারা ফুলকপির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের দেশে ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার
পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশে প্রচুর পরিমাণে ফুলকপি চাষাবাদ করা হয়। সেজন্য আমাদের
সকলের উচিত ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।
ফুলকপির অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি ফুলকপিরও কিছু
অপকারিতা রয়েছে। যেগুলো আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয়। কেননা প্রত্যেক জিনিস খাওয়ার আগে এর অপকারিতা সম্পর্কে জানা ভালো। বিশেষ
করে আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগি তাদের ক্ষেত্রে জানা
অত্যাবশক।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ফুলকপির উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা
সম্পর্কে।
বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে
ফুলকপি খাওয়া উচিত না। কেননা ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা
কিডনি রোগে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে।
এছাড়াও ফুলকপিতে রয়েছে কার্বোহাইডেট যা মানুষের হজম শক্তিতে প্রভাব সৃষ্টি
করে
থাইরয়েড রোগীদের ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফুলকপি খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে
জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
ফুলকপি রক্তকে ঘন করে দেওয়ার কারণে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত পরিমাণে ছোট শিশুদেরকে ফুলকপি খাওয়ালে পেটের সমস্যা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে
আশা করি আপনারা ফুলকপি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে
অনেকেরই অনেক ধরনের খাবার খেলে পেটে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কোন খাবার
খেলে পেটে সমস্যা হয় সেটি সেই ব্যক্তি ভালো বলতে পারবে। খাওয়ার আগে পরীক্ষা
করে নিতে পারেন যে আপনার শরীরে কোন ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হবে কিনা।
ফুলকপির পাতা শাক খাওয়ার নিয়ম
আমরা প্রত্যেকে কে শীতকালীন সবজি ফুলকপির শুধু ফুলটি সবজি হিসাবে ব্যবহার করে
থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে ফুলকপির কচি পাতা গুলো শাক হিসেবে খাওয়া
যায়। যদিও আমরা অনেকেই জানি কিন্তু কিভাবে খেতে হয় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই।
আমরা যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তারা ফুলকপি এবং ফুলকপির পাতা উভয়েই খেয়ে
থাকি।
ফুলকপি কাটার পরে এর কচি পাতাগুলো নিয়ে এসে সুন্দর করে ধুয়ে সেগুলো আবার কচি
কচি করে কেটে শাক হিসাবে খাওয়া যায়। ফুলকপি শাক খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আবার
আমরা অনেকেই পালং শাক এবং ফুলকপির কচিপাতা একসঙ্গে মিস করে সাগ হিসেবে খাই। এতে
করে প্রচুর পরিমাণে শরীরে আইরন উৎপন্ন হয়ে থাকে। পাশাপাশি ফুলকপির ক্ষতিকর
প্রভাব সম্পর্কে জানতে হবে।
আপনি ইচ্ছে করলে ফুলকপির কচি পাতাগুলো অন্যান্য শাকের সাথে মিস করে খেতে পারেন।
ফুলকপির কোন অংশই ফেলে দেয়ার প্রয়োজন হয় না। ফুলকপির লাঠিগুলো কুচিকুচি করে
কেটে ভাজি করে খাওয়া যায়। এছাড়াও সবজি তরকারি তৈরির সময় দাড়িগুলো কেটে ঝোল
করে রান্না করে খাওয়া যায়। এটি খেতেও খুব সুস্বাদু লাগে।
ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফুলকপির আগাম চাষাবাদ এবং ফুলকপি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি। পাশাপাশি কাদের জন্য ফুলকপি খাওয়া ক্ষতিকর প্রভাব
সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার করার মাধ্যমে এর উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি ফুলকপির শাক
খাওয়া ও ডার্টি রান্না করা পদ্ধতি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আশা করি আপনারা
ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।
আমার বাড়ির পাশে একজন থাইরয়েড রোগে অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলকপি খাওয়ার ফলে
মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়েছিলেন। তিনি যখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেন তখন জানতে পারা
গেল যে অতিরিক্ত ফুলকপি খাওয়ার ফলে এইরকম প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য থাওরের
রোগীরা ফুলকপি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এ ধরনের নিয়মিত পোস্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজ এ পর্যন্ত
আবার দেখা হবে অন্য কোন মজাদায়ক আর্টিকেলের মাধ্যমে। আশা করি সে পর্যন্ত সকলে
ভালো থাকবেন এবং পাশাপাশি নিজের শরীরের যত্ন নিতে সচেতনতা অবলম্বন করবেন।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url