দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা জেনে নিন
দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে জানি না। আপনি যদি সঠিকভাবে দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন দূর্বা ঘাস এর রস খাওয়ার
নিয়ম এবং চুলের যত্নে দূর্বা ঘাসের ব্যবহার। এর পাশাপাশি আরও জানতে পারবেন এর
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। দূর্বা ঘাস খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত
জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে
থাকুন।
পেজ সূচীপত্রঃ দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা জেনে নিন
- দূর্বা ঘাসের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত
- দূর্বা ঘাসের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে
- দূর্বা ঘাসের রস করে খাওয়ার নিয়ম
- চুলের যত্নে দুবড়া ঘাসের প্রয়োজনীয়তা
- হিন্দু ধর্মে দূর্বা ঘাসের গুরুত্ব
- দূর্বা ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
- মাটি ধরে রাখতে দূর্বা ঘাসের ভূমিকা
- দূর্বা ঘাসের ইংরেজি নাম সম্পর্কে বিস্তারিত
- দূর্বা ঘাসের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
- দূর্বা ঘাসের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য
দূর্বা ঘাসের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত
দূর্বা ঘাসের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বেশিভাগ সকলেই
জানেন। যদিও শহরের মানুষ দূর্বাঘাস অনেকেই চিনেন না। কিন্তু আমাদের গ্রাম অঞ্চলের
সচরাচর দেখা যায় কোন কিছুতে হাত পা কেটে গেলে সাথে সাথে দুবড়া ঘাস চাবিয়ে কাটা
স্থানে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে রক্ত পড়া খুব দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও আপনার শরীর শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করলে অনেকে দুবড়া ঘাসের রস করে
সেগুলো নিয়মিত খেয়ে থাকেন। এতে করে ভালো উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন পাওয়া যায়।
আপনার বা আপনার বাচ্চার যদি হঠাৎ করে আমাশা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে
আপনি নিয়মিত দূর্বা ঘাস রস করে খেতে পারেন।
এছাড়াও প্রসাবের জ্বালাপোড়া থাকলে দূর্বা ঘাসের রস নিয়মিত খেলে উপকারিতা
পাওয়া যায়। আমাশয় রোগে আক্রান্ত হলে রসের পাশাপাশি ডালিম পাতার রস একসাথে
সংযুক্ত করে খেলে থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া আপনি যদি গরু ছাগল
পুষে থাকেন তাহলে গরু ছাগলকে নিয়মিত দূর্বা ঘাস খেলে শরীর স্বাস্থ্য সতেজ ও
সুরক্ষা থাকে।
আরো পড়ুনঃ ফুলকপির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
দূর্বা ঘাস মাটির সাথে এমন ভাবে সংযুক্ত থাকে যে মাটিকে আঁকড়িয়ে ধরে থাকে সহজে
পানিতে গলে যায় না। সেজন্য বাড়ির আনাচে কানাচে বিশেষ করে বাড়ির ধারগুলোতে
দূর্বা ঘাস লাগালে মাটিগুলো শক্তভাবে লেগে থাকে। বৃষ্টির পানিতে মাটিগুলো গলে
যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আপনি যদি যকৃত যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন
তাহলে দূর্বা রস খেতে পারেন।
দূর্বা ঘাসের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে
দূর্বা ঘাস যেমন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর কিছু ঔষধি গুনাগুন রয়েছে যা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত আছি বা জানি না। সেজন্য অবশ্যই দূর্বা ঘাস সম্পর্কে সঠিকভাবে তথ্য জানতেও বুঝতে হবে। কেননা আপনি যদি কোন বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না জানেন তাহলে সে সম্পর্কে কাউকে বোঝাতে বা নিজে বুঝতে পারবেন না।
দূর্বা ঘাসে অনেক ওষুধে গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। দুবড়া ঘাসে রয়েছে এন্টি ভাইরাল যা আমাদের
শরীরের বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াইয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি যদি
আপনার ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এটি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার শরীরে যদি অল্প কাজ করাতে ক্লান্তিবোধ মনে হয় তাহলে আপনি নিয়মিত দূর্বা
ঘাসের রস করে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনার ত্বকের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে দূর্বা ঘাস। শরীরের দুর্বলতা ও যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে দূর্বা
ঘাসের ওষুধে গুনাগুন আপনাকে সতেজ সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও আমাশয়, চুল পড়া রোগ, রক্তক্ষরণ, বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, দাঁতের
সমস্যা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে দুবড়া ঘাসের রস ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
আপনি যদি বমি বমি ভাব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত বাসি পেটে
দুব্রা ঘাসের রস খেতে পারেন তাহলে এ ধরনের রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি লাভ করতে
পারবেন।
দূর্বা ঘাসের রস করে খাওয়ার নিয়ম
দূর্বা ঘাসে ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে দুবড়া ঘাসে রস করে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে। আপনি যদি আমাশয় এবং দুর্বলতা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে দুবড়া ঘাসের রস নিয়মিত পান করুন। এজন্য প্রথমে আপনাকে দূর্বা ঘাস সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর এটিকে ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা
দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাসের রস করার জন্য আপনি পাঠানোর আবার ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু আমাদের গ্রাম অঞ্চলে সচরাচর ব্লেন্ডার খুব কম সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করে থাকে। যার কারনে আপনি পাটানুড়াতেও দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাস খেতা করে রস করে নিতে পারবেন। আপনি যদি আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাসের সাথে ডালিম পাতার রস ব্যবহার করুন।
আপনার শরীর দুর্বল থাকার কারণে দূর্বা ঘাসের রস করে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূর্বা ঘাসের রস আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দূর্বা ঘাসের রস করার পর এগুলো কাঁচের পুতুল বা প্লাস্টিকের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়। আপনি সচরাচর বাড়ির আশেপাশে দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাস নাও পেতে পারেন সে ক্ষেত্রে এভাবে রস করে সংরক্ষণ করুন।
প্লাস্টিকের বোতল এর চেয়ে কাছের বোতলের সংরক্ষণ করা ভালো হয়। আমাশার রোগের জন্য প্রতিদিন দূর্বা ঘাস চার থেকে পাঁচ চা চামচ ৩ বেলা খেতে পারবেন। এভাবে আপনি নিয়মিত ১০ থেকে ১৫ দিন দূর্বা ঘাস ও ডালিম পাতার রস খেয়ে দেখুন আপনি চিরতরে আমাশয় রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি যদি অধিক ঋতুস্রাব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে দূর্বা রস ও মধু খেতে পারেন।
চুলের যত্নে দুবড়া ঘাসের প্রয়োজনীয়তা
চুলের যত্নে দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাসের গুরুত্ব অপরিসীম। চুল ওঠা বন্ধ করতে দুবড়া ঘাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আপনি নিয়মিত নারকেল তেলের সাথে দুবড়া ঘাসের রস মৃদু তাপে হালকা গরম করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তবে এটি সর্বপ্রথম আপনাকে তৈরি করে নিতে হবে।
এটি তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম নারিকেল তেল নিয়ে হালকা তাপে জাল করে নিতে হবে পরবর্তীতে নারকেল তেলের মধ্যে সামান্য পরিমাণ রস সংযুক্ত করে পুনরায় জ্বাল করে নিতে হয়। সম্পূর্ণভাবে জাল করা হয়ে গেলে এটি ঠান্ডা করে যে কোন পাতলা কাপড় বা ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে বোতলের সংরক্ষণ করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। এরপর চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ব্যবহার করুন।
সব সময় হাতের নাগালে দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাস আপনি নাও পেতে পারেন সেজন্য বোতলে সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ধরে চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা ঘাস সকলের জন্যই খুব উপকারী একটি উপাদান। আমরা এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সম্পর্কে না জানার কারণে এগুলো ব্যবহার থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছি। চুল ওঠার জন্য আমরা অযথা অনেক দামী দামী তেল ব্যবহার করেও কোন উপকার পায় না।
হিন্দু ধর্মে দূর্বা ঘাসের গুরুত্ব
আমরা সকলে দূর্বা ঘাস এর ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে না জানলেও কমবেশি সকলেই জানি হিন্দু ধর্মে যেকোনো আশীর্বাদে দূর্বা ঘাস ছাড়া হয় না। তারা যেকোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে বা পূজাতে দুবড়া ঘাস ব্যবহার করে থাকে। তারা দুবড়া ঘাস খেয়ে ঈশ্বরের প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। পাশাপাশি দুবরাজ ঘাসকে তারা সম্মান স্বরূপভবে দেখে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ চুলে পেয়ারা পাতা ফুটানো পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
সমস্ত পুজোতে দূর্বা ঘাস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। আগের দিনের কথাতে রয়েছে দেবা সুর নামে এক কৃষ্ণ ভক্তি অসুর ছিলেন। তোমরা শরীর মা কৃষ্ণ বিদেশী ছিলেন। অন্যদিকে শোনা যায় যে দু বছরের বাবা এবং ভাই দেবতার হাতে মৃত্যুবরণ করেন। অন্যদিকে মা দুবড়া সুরকে টি দেবের তপস্যা করে অমর হয়ে ত্রিলোক জয় করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
মাতিলোকের রাজমাতা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। তার এই তপস্যায় দুবড়া সুর কঠোর তপসা শুরু করে। অবশ্য করার ফলে তার শরীরের মাংস পোঁচে খসে পড়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে উইপোকা ও পোকামাকড় তার শরীর খাওয়ার ফলে হাড্ডিগুলো পচে সরে যেতে থাকে। দুবড়া সুরের এই তপস্যা দেখে ত্রিদেব সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। এবং দুবরাসুর ত্রিদেব এর কাছে আরজি করেন।
তিনি বলেন তাকে এমন কোন সেবায় নিয়োজিত করা হোক যা পৃথিবীর সকল মানুষ ব্যবহার করতে সম্মতি প্রকাশ করবে অন্যদিকে ত্রিদেব তার কথায় সন্তুষ্ট হয়ে বলেন যে তোমাকে শুধু ত্রিদেব না জগতের সকল দেবতার সেবায় প্রয়োজন পড়বে। তুমি দুবড়া ঘাস এ পরিণত হয়ে দেবতাদের পুজোয় লাগবে। থেকে সকলেই পূজায় তিনটি করে দুব্রা পাতা ব্যবহার করতে থাকেন।
দূর্বা ঘাসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আমরা সকলেই কম বেশি দূর্বা ঘাস চিনি। কিন্তু আমরা সকলে দূর্বা ঘাসের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানি না। যার কারনে আমরা দূর্বা কাশ ব্যবহার করি না। দূর্বা ঘাসের অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা জানলে আমাদের প্রয়োজনীয় এবং ছোটখাটো রোগ থেকে নিজেকে খুব সহজে মুক্ত করতে পারব। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো ঃ
- আপনার যদি প্রসাবে জ্বালাপোড়া থাকে সে ক্ষেত্রে দূর্বার রস পান করতে পারেন এতে করে উপকার পাবেন।
- শরীরের মধ্যে বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি বোধ হলে দূর্বার ঘাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ঋতুস্রাব অধিক হলে দূর্বা ঘাসে রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- আপনি যদি যৌন ও যকৃত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিয়ম করে দূর্বা রস পান করে সমস্যা দূর করতে সক্ষম হবে।
- দূর্বার রসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে থাকে।
- আপনার শরীরের মধ্যে যদি ঘুমের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিয়ম করে দূর্বার রস খেলে ভালো ঘুম হওয়ার উপকার পাওয়া যায়।
- আপনার শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে খুব দ্রুত গতিতে রক্ত বন্ধ করার জন্য দূর্বা ঘাস চাবিয়ে সেখানে লাগিয়ে দিলে দূরত্ব গতিতে রক্ত বন্ধ হয়ে যায় এবং জীবাণুরের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- চুল পড়া সমস্যা থাকলে নারকেল তেলের সাথে দূর্বার রস মিস করে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করা যায়।
- নিয়মিত ভাবে দূর্বা রস খেলে রক্তে কুলখুঁজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- আমাশাই রোগে দূর্বার রস ও ডালিম পাতার রস একসঙ্গে করে খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যায়।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url