রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনারা অনেকেই বিস্তারিত ভাবে জানতে চেয়েছেন। আমাদের মাঝে অনেক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ রয়েছে যাদের সহজে চোখে ঘুম আসতে চায়না। কিন্তু কি জন্য ঘুম আসে না সে সম্পর্কে তারা সঠিকভাবে জানতে পারেনা সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘুম না আসার কারণ এবং কি খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম হয়। এক
মিনিটে ঘুম আসার উপায় ও একজন স্বাভাবিক মানুষ দিনে কত ঘন্টা ঘুমাতে পারে সবকিছু
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
- রাতে ঘুম না আসার কারণ
- ভালো থাকার জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
- রাতে ঘুম না আসলে করণীয়
- রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে যে সকল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- রাতে ভালো ঘুমের জন্য যে সকল খাবার খেতে হয়
- তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর পদ্ধতি
- বদ অভ্যাস দূর করণ
- ভালো ঘুমের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা
- ঘুম না আসার প্রতিকার
- রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
রাতে ঘুম না আসার কারণ
রাতে ঘুম না আসার কারণ একটি সাধারণ সমস্যা বলে চিহ্নিত করা যায়। যা যা আপনার
অনেক কারণে জন্য হওয়া সম্ভাবনা থাকে। আমরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ খাদ্যে
অনিয়মের কারণে রাত্রে ঘুম কমবেশি হওয়ার সম্ভাবনা হয়। এছাড়াও আপনার যদি শরীরে
কোন শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রেও রাত্রে ঘুম না হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
রাত্রে ঘুম না আসার বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি সাধারণ কারণগুলো নিম্নে
আলোচনা করা হলো।
শারীরিক সমস্যা
আপনি যদি সাধারন ভাবে শরীরের কোন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে রাত্রে ঘুম না আসতে পারে। যেমন আপনার শরীরে যদি অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, আর্থাইটিস, স্লিপ অ্যাপ নেয়া ইত্যাদি এগুলো হওয়ার কারণে রাত্রে ঘুমের অনিয়ম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে শ্বাস প্রশ্বাস বারবার নিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুনঃ পানি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
যার কারণে ঘুমানোর অসুবিধা হয়ে থাকে এছাড়াও যদি আপনি কোন ধরনের ব্যথাতে
আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে রাত্রে এর ব্যথা অত্যাধিক পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।
মানসিক চাপ
আমাদের মধ্যেও অনেকের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
যার কারণে তার মধ্যে সব সময় একটি চাপ মাথায় ঘুরপাক খায়। মানসিক চাপের মধ্যে
বিভিন্ন ধরনের চাপ হতে পারে যেমন ধরুন কোন ধরনের কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন বা কোন
অর্থনৈতিক সমস্যা এছাড়াও আপনার ব্যক্তিগত জীবনের কোন জটিলতা সমস্যার কারণে
মানসিক চাপ সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না থাকে। এইরকম চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে রাত্রে
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
খাবারে অনিয়ম
খাবারের অনিয়ম ঘুমের ওপর একটি বিশেষ প্রভাব সৃষ্টি করে। আপনি যদি মনে করেন দিনে
অতিরিক্ত পানি জাতীয় খাবার খাবেন যেমন ধরেন কফি চা সোডা পান করলে ঘুমের সমস্যা
হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে চা-কফি এগুলো খেলে ঘুমের মান কমে যায়। আবার আপনি যদি
নির্দিষ্ট পরিমাণে এক কোহল জাতীয় খাবার গ্রহণ করে থাকেন সে ক্ষেত্রেও আপনার
রাত্রে ঘুম এর ব্যাঘাত ঘটবে।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের অবশ্যই ঘুমানো উচিত। প্রতিদিন যে নিয়ম অনুযায়ী
আপনি ঘুমাবেন ঠিক সেই নিয়ম অনুযায়ী ঘুমাতে হবে নিয়মিতভাবে। যদি আপনি ঘুমের
নিয়ম পরিবর্তন হঠাৎ করে করেন সেক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
মোবাইলে ব্যবহার
বিছানায় ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত হাড়ে মোবাইল বা ল্যাপটপ টিপাটিপি করে গভীর
রাত্রে ঘুমানো এবং পাশাপাশি সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠা। এ সকল কারণগুলোর জন্য
রাত্রে ঘুম দেরি করে আসার সম্ভাবনা থাকে। ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত মোবাইল বা অন্য
কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাত
ঘটে।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আপনি যদি কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বিশেষ করে কোন ধরনের ব্যথায়
আক্রান্ত হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া হয়ে
থাকে। এতে করে ঘুম রাত্রে না আসার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার
জন্য শিরা-উপশিরা গুলো ঠিকমতো কাজ না করার কারণে রাত্রে ঘুমের ব্যথা ঘটে।
ঘুমানোর পরিবেশ উন্নত না হওয়া
আপনি যে পরিবেশে রাত্রে ঘুমাবেন সেখানে অবশ্যই নিরিবিলি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
থাকতে হবে। সে সাথে পর্যটক পরিমান আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ করে রাত্রে
ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত আলো না ব্যবহার করে জিরো বাল্বের আলো ব্যবহার করতে হবে।
এবং সেখানে পর্যন্ত পরিমাণ আলো বাতাস প্রবেশ করার মতো ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে
করে ভিতরে দুর্গন্ধ বাইরে প্রবেশ করতে পারে।
ভালো থাকার জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
আমাদের সকলেরই ভালো থাকার জন্য ঘুমের প্রয়োজন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটা
সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ ভালো থাকার জন্য পরিমাণ তাকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা
ঘুমাতে হবে। যদি কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় ঘুমের পরিমাণ কম
হয়ে থাকে তাহলে তিনি ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
আরও পড়ুনঃ শীতকালীন সবজির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমরা যখন রাত্রে ঘুমায় তখন আমাদের শরীরের কোর্সগুলো নতুন ভাবে পণ্য রাই নির্মাণ
হয় যা আমাদের শরীরকে সুস্থ কার্যক্রম করতে সহায়তা করে। যদি নিয়মিত ভাবে রাত্রে
ঘুমোতে পারেন সে ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় যা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে
বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি নিয়মিত ঘুমের কারণে আমাদের শরীরে
বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
নিয়মিত ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হ্রাস পায় সাথে সাথে
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। রাত্রে ঘুমানোর কারণে আমাদের শরীরে
প্রচুর পরিমাণে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। এতে করে শরীরে অত্যাধিক পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন
হয়ে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত ঘুমের কারণে খাদ্য হজমেও সহায়তা প্রদান করে।
যার ফলে আপনার শরীরের কর্মদক্ষতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি যারা উচ্চ
রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে যদি তারা নিয়মিত রাত্রে ঘুমাতে পারে
তাহলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। এজন্য বলা হয়ে থাকে যে একটি
সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য অবশ্যই নিয়মিত ঘুমানোর গুরুত্ব অপরিসীম।
রাতে ঘুম না আসলে করণীয়
রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই ভালোভাবে জ্ঞান
অর্জন করা উচিত। কেন না রাতে ঘুম না আসার কারণ সাধারণত শারীরিক ও মানসিকচাপ
সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে একটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ খুব সহজে
অসুস্থতাই পরিণত হতে পারে। এমনকি সেগুলো আমাদের দৈনিক জীবনে দীর্ঘমেয়াদী
প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেন।
এগুলো যদি আমরা কিছু সাধারণ নিয়মিতভাবে অনুসরণ করি তাহলে খুব সহজে এগুলো থেকে
রক্ষা পেতে পারি। রাত্রে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য আমরা সচরাচর কিছু নিয়ম অনুসরণ
করতে পারি যেগুলো সহজে সহজেই ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য অবশ্যই
আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
-
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং একটি রুটিন তৈরি করে
নিতে হবে যাতে করে সে নিয়ম অনুযায়ী আমরা ঘুমোতে অভ্যস্ত হতে পারি।
-
ঘুমানোর আগে অবশ্যই চা-কফি এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে
-
মোবাইল ও ল্যাপটপ বা টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে
-
প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য কিছু ব্যায়াম অনুসরণ করতে হবে তবে ঘুমানোর আগে সেগুলো
ঠিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
-
রাত্রে ঘুমানোর আগে অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকের উচিত হালকা পরিমাণে খাবার খাওয়া
এবং পাশাপাশি ভারি জাতীয় খাবার রাত্রে খাওয়া থেকে এড়িয়ে থাকতে হবে।
-
কোন ধরনের মানুষের চিন্তা থাকলে সেগুলো দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
-
এই যে ঘরে ঘুমাবেন সে ঘরটি অবশ্যই অন্ধকার ও আরামদায়কভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করে
নিতে হবে
-
রাত্রে ভালো ঘুমানোর জন্য নিয়মিত ভাবে গরম দুধ পান করুন এবং পাশাপাশি একটি
ভালো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
-
তবে যদি দীর্ঘমেয়াদি এভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ
নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে
রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে যে সকল ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
-
সাধারণত রাত্রে যদি ঘুম কম হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের স্মৃতিশক্তি কমে
যায় এবং কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিন দিন লোপ পায়।
-
নিয়মিত ঘুম না গেলে মানসিক চাপ ও শারীরিক মেজাজ সবসময় খারাপ থাকে।
-
এছাড়াও অতিরিক্ত রাত পর্যন্ত জেগে থাকার পরে ঘুমোলে মেজাজ সবসময় খিটখিটে
হয়ে থাকে।
-
রাত্রে ঘুম না আসলে আমাদের রক্তের সর্কার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে
ফলে সাধারণত যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে।
-
রাতে নিয়মিত না হওয়ার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যায়
এবং ওজন বৃদ্ধি ঘটে।
-
রাতে নিয়মিত না ঘুমানোর কারণে উচ্চ রক্তচাপ বিধি পায় সাথে হার্ট অ্যাটাক
হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
-
অতিরিক্ত রাত পর্যন্ত জেগে থাকার পরও না ঘুমালে বিশেষ করে ত্বকে বিভিন্ন
ধরনের ব্রণ সৃষ্টি হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে আসে।
-
আমাদের শরীরের এনার্জি কমতে থাকে এর মূল কারণ রাত্রে ঘুম না আসার কারণ যার
ফলে আমরা কর্মদক্ষ তাই পিছিয়ে পড়ে এবং শরীরের সুস্থতা হারিয়ে ফেলি।
-
রাতে খুব যত পরিমান ঘুম না যাওয়ার কারণে আমাদের রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে
থাকে।
রাতে ভালো ঘুমের জন্য যে সকল খাবার খেতে হয়
-
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে একগ্লাস গরম দুধ পান করুন।
-
নিয়মিত ডিম খাওয়াতে অভ্যস্ত গড়ে তুলুন কারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
ডি রয়েছে। আর ঘুমের জন্য ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
-
রাত্রে ভালো ঘুমানোর জন্য মিষ্টি আলু খাওয়াতে অভ্যস্ত গড়ে তোলা উচিত কেননা
মিষ্টি আলুকে ঘুমের মাসি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত
মিষ্টি আলু খেতে পারেন।
-
কাঠবাদাম খেতে পারেন কাঠবাদামের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যালাটোনিন যা ঘুমের
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
-
এছাড়াও নিয়মিত তেলযুক্ত মাছ খাওয়াতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যার কারণে ঘুমের জন্য
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-
নিয়মিত রাত্রে মধু খাওয়ার ফলে ও ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত করে সাদা ভাত খেয়ে থাকেন তাহলে ভালো ঘুম হবে।
তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর পদ্ধতি
বদ অভ্যাস দূর করণ
-
আপনি যদি চা কফি পান করতে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে এগুলো পরিহার করতে হবে।
-
অতিরিক্ত রাত জাগা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
-
পাশাপাশি ভাজাপোড়া ও বিভিন্ন ধরনের পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত
থাকবেন।
-
যদি আপনি নিয়মিত ভাবে ধূমপান করাতে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে সেগুলো দূর করতে
হবে
-
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা খাওয়ার প্রতি খুবই আগ্রহী থাকেন। কিন্তু
তারা জানে না যে সব সময় অতিরিক্ত খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য কারো
যদি অভ্যাস থাকে রাতে ভারী জাতীয় খাবার খাওয়ার তাহলে এটি পরিহার করতে
হবে।
-
বিছানাতে শুয়ে যাওয়ার পর যদি আপনার ইলেকট্রিক ডিভাইস যেমন টিভি বা মোবাইল
টিপাটিপি করার অভ্যাস থাকে তাহলে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
-
আবার আমাদের অনেকে অভ্যাস আছে অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল বা ল্যাপটপ টিপাটিপি
করার এবং অনেক দেরি করে সকালে ঘুম থেকে ওঠা। অবশ্যই সে ক্ষেত্রে এটি পরিহার
করতে হবে।
-
একটি রুটিন তৈরি করে নিতে হবে রুটিন অনুযায়ী ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। আপনি
যদি ঘুমানোর সময় কোন ধরনের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ না করেন তাহলে সে
ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
-
কোন ধরনের ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে আস্তে আস্তে সে অভ্যাস দূর
করতে হবে
-
আপনি যে ঘরে ঘুমান সেখানে যদি প্রজাত পরিমান আলো থাকে এবং আলো ছাড়া যদি আপনি
ঘুমোতে না পারেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অন্ধকারে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে
তুলতে হবে।
ভালো ঘুমের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করা
-
অনেক রাত পর্যন্ত যদি আপনার ঘুম না আসে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রাকৃতিকভাবে এক
ক্লাস হলুদ দুধ নিয়মিত পান করতে পারেন
-
এছাড়া কিছু হারবালচার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে সহজে ঘুম আসার সম্ভাবনা
থাকে।
-
আপনি নিয়মিত এক্সারসাইজ করার ফলে নিজের শরীরের শিরা গুলো উন্নত করার
পাশাপাশি ভালো ঘুম আসার চেষ্টা করতে পারেন।
-
রাত্রে ঘুমানোর আগে কিছুখন নিঃশ্বাস বন্ধ করে নাক দিয়ে ছাড়ার পর পুনরায়
আবার নিঃশ্বাস টেনে মুখ দিয়ে কয়েকবার এভাবে ছেড়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করলে খুব
তাড়াতাড়ি ঘুমো আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে কাঠবাদাম,, কলা রুটি, মধু ইত্যাদি নিয়ম করে
খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ঘুম না আসার প্রতিকার
-
ঘুমানোর জন্য একটি সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা
আপনি যদি আলো এবং গ্যাঞ্জাম যুক্ত পরিবেশে ঘুমোতে যান তাহলে ঘুম আসবে না। আর
আপনি যদি নিরব ও ঘর অন্ধকার করে ঘুমাতে চান সে ক্ষেত্রে দূরত্ব ঘুম আসার
সম্ভাবনা বেশি থাকে।
-
যদি ঘুমানোর পরেও আপনার চোখে ঘুম না আসে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শরীর ও
মনকে স্থির করার উপায় খুঁজতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে যেমন
গভীর শ্বাস নেওয়া ধ্যান করে মানসিক শান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
-
আপনাকে ঘুমানোর জন্য নিয়মিত একটি রুটিন বজায় রাখতে হবে। ঘুমানোর ক্ষেত্রে
রুটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন না
ঘুম যান সে ক্ষেত্রে ঘুমের কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক তেমনি
নির্দিষ্টভাবে যদি রুটিন তৈরি করেন তাহলে ঘুমের কম বেশি হওয়া থেকে মুক্তি
পাওয়ার উপায় থাকে।
-
ঘুমানোর আগে অবশ্যই চা-কফি বা কোন ধরনের পানীয় খাওয়া থেকে এড়িয়ে যাবেন।
কেননা ঘুমানোর আগে চা কফি খেলে ঘুম না আসার সম্ভাবনা থাকে।
-
বিছানাতে ঘুমানোর পরেও যদি ঘুম না আসে সেক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য সহকারে মনকে
স্থির করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
-
খাবারের দিক বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। পারো তো পক্ষে চেষ্টা করবেন যে রাত্রে
ভারি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে। সর্বদা হালকা খাবার খেয়ে রাত্রে
ঘুমানোর চেষ্টা করলে ঘুম দ্রুত আসা সম্ভাবনা থাকে।
-
আপনি যদি দীর্ঘ সময় এই ঘুম না আসার কারণে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন। তবে তার আগে কিছু প্রাকৃতিক
নিয়ম রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করে চেষ্টা করবেন।
-
যদি দীর্ঘ সময় এভাবে ঘুম না আসা সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনি যত সম্ভব
চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এর কারণ জেনে সে অনুযায়ী কাজ করে এই সমস্যা সমাধান
করতে পারবেন।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url