ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে যে ফ্রিল্যান্সিং করা কি হারাম। আসলে ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে জানতে এবং এর হারাম দিকসমূহ জানার জন্য আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে পড়তে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং-এর-হারাম-দিকগুলো


আর্টিকেলটির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের হারাম দিক এবং হালালভাবে উপার্জন করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়তে হবে। 

পেট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এর সাধারণ সংজ্ঞা 

ফ্রিল্যান্সিং বলতে সাধারণত আমরা মুক্ত পেশাকে বুঝে থাকি। যেখানে মানুষ তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে কোন প্রতিষ্ঠানের মত ধরা বান্ধা নিয়মের অধীনে কাজ করতে হয় না। এতে করে আপনার কোন নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয় না বা কোন দক্ষতা ব্যবহার করে এর সেবা গ্রহণ করতে হয় না। নিজের স্বাধীন মত ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা অর্জন করতে পারলে নিজে স্বাধীনভাবে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। 

বর্তমানে প্রতিটি মানুষ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে আসছে স্বাধীনভাবে। এছাড়াও আরো কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে খুব সহজে কাজ করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মানুষ বিশ্বস্তের সাথে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে আসছে। মূলত এককথায় ফ্রিল্যান্সিং বলতে মুক্ত ভাবে নিজের স্বাধীনভাবে কাজ করা কে বোঝায়। 

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়ার পদ্ধতি

এখন প্রায় বিষের প্রতিটি মানসিক কম বেশি এ পেশায় নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন। মানুষ চায় সব সময় স্বাধীন ভাবে অর্থ ও উপার্জন করতে। আর ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায়। বাংলাদেশের প্রায় লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণে ঘরে বসে ফ্রীলান্সিং কাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করার আগে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের হারাম দিকগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। কেন না আমরা মুসলিম জাতি যার কারণে হারাম-হালাল উভয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। 

ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের হারাম দিকগুলো জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে ফিলিং করার সুবিধা গলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে কম বেশি প্রতিটি ঘরে ঘরে মেয়েরা ফ্রেন্সিং কাজের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করতে ইচ্ছুক প্রকাশ করছে। এর কারণ হচ্ছে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে তারা সক্ষম হচ্ছে। মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে সক্ষম হচ্ছেন। 

আমাদের দেশের প্রায়ই 10 লাখ তরুণ তরুণী ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে নিজেদেরকে সংযুক্ত করেছেন। ফিন্যান্সিং করার জন্য অতিরিক্ত সময় বা নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না। যার কারনে প্রতিটি মেয়ে সংসারের কাজ করার পাশাপাশি ফ্রীলান্সিং এর কাজ করতে সক্ষম হচ্ছেন। এর ফলে প্রতিটি মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রতি দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তবে আমরা মুসলিম জাতি যার কারণে ফ্রিল্যান্সিংয়ের হারাম দিকগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

ফ্রিল্যান্সিং-করার-সুবিধা


ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ধরনের অর্থ ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র কিছু দক্ষতা অর্জন করার প্রয়োজন পড়ে। দক্ষতা অর্জন করতে কোন ভালো ট্রেনার এর কাছে বা youtube এর মাধ্যমে শেখা সম্ভব। যার ফলে মেয়েরা ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং এর ভিডিও গুলো দেখে নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে সক্ষম হচ্ছেন। তাছাড়া কোন অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করার জন্য ধরা বাধা একটি সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারণ করা থাকে না। 

আরও পড়ুনঃ আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা | ডলার ইনকাম করার উপায়

যার কারণে প্রতিটি মেয়ে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। এছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজে চালানো এবং পরিবারের খরচও চালাতে সক্ষম হচ্ছে অনেক বেকার যুবক। যার কারণে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মটি সকলের কাছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের হারাম দিক সমূহ 

ফিন্যান্সিংয়ের হারাম দিক সমূহ সম্পর্কে সকলের সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে যদি কোন কাজ বা অন্যের উৎপন্ন হারাম ও উপায়ে করা হয় তবে সে কাজের অর্থ উপার্জনীয় হারাম হবে। আপনি যদি এমন কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন যেখানে মদ বা অন্যকোনো ধরনের অশিলনতার প্রচার করা হয়।সেক্ষেত্রে আপনার অর্থ উপার্জন ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম হবে। 

আপনি যদি কোন অনেক ও তাকওয়া মূলক কাজ একে অপরকে প্রচার করেন সে ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল হবে কিন্তু আপনি যদি কোন খারাপ কাজ অন্যের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকেন তাহলে এটি ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম হবে। আবার ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনি যদি কোন গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে থাকেন তাহলে সেটি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ধোকা দেয়া হবে। 

আর কোন ব্যক্তিকে ধোকা দেয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করলে সেটি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম অর্থ উপার্জন করা হবে। আবার দেখা যাচ্ছে আপনি কোন ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়ে কাজ শেষ করলেন না সে ক্ষেত্রেও এটি হারাম হবে। আবার অন্যের তৈরি কোন ধরনের ডিজাইন বা কনটেন্ট চুরি করে আপনি সেগুলো প্রচার করতে থাকলে অন্যায় ও হারাম কাজ হবে। 

কারণ অন্যের জিনিস তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হারাম। অন্যের কন্ঠে কপিরাইট করা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। আবার ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি অশ্লীল কিছু বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকতেন এবং এর মধ্যে অর্থ উপার্জন হচ্ছে এটিও হারাম পন্থা অবলম্বন করা হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি যদি কোন ব্যক্তিকে সার্ভিস প্রদান করে থাকেন। এবং সে সারভিস পাওয়ার পর সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এটি হারাম হবে। এছাড়াও অনেক সময় অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কোন বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে প্রচার করে থাকলে সেটা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম। আপনি কোন ব্যক্তিকে কোন ধরনের কাজ করার ওয়াদা করার পর সে কাজটি সময় মত করে দিতে পারলেন না তাহলেও এটি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম হবে। 

আরও পড়ুনঃ ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে বিস্তারিত জানুন

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে কি কি পন্থা অবলম্বন করে উপার্জন করলে হারাম হয়। রিলায়েন্সিং সেক্টর মানেই যে হারাম তা কিন্তুক নয়। আপনি ইচ্ছা করলে হালালভাবেও ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। শুধুমাত্র ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যে কাজগুলো করলে অবৈধ হবে সে কাছ থেকে নিজেকে বিরত রেখে ফিনান্সিং করলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করার প্রয়োজনীতা 

বর্তমান সময়ে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দি ক গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানার কারণে অনেকেই ফ্রীলান্সিংয়ের প্রতি ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন। বর্তমান সময়ে লাখো লাখো তরুন তরুণী শিক্ষা অর্জন করে চাকরির জন্য ঘুরে ঘুরে কোন চাকরি না পেয়ে দিশাহারা হয়ে ঘরের মধ্যে অন্ধকারে নিজের জীবনটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 

আর এইরকম পরিবেশে ফিনান্সিং এসে সেটি তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার একটি পন্থা উম্মেচন করছেন। অনেক তরুণ তরুণীর শিক্ষা অর্জন করার পরেও টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণে নির্দিষ্ট কর্ম না থাকার কারণে নিজে এবং পরিবারকে সাহায্য করতে পারে না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম টি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট না করেই খুব সহজে অর্থ উপার্জন করা যায়। 

বর্তমান সময়ে যে কোন চাকরি করতে টাকা ইনভেস্ট ছাড়া চাকরি হয় না। অনেক দারি তোর ঘরে ছেলেমেয়েরা রয়েছে যারা পড়ালেখার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করার জন্য বিভিন্নভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে এমনকি অনেকে টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ এবং পরিবারের খরচ চালিয়ে থাকেন। এমন সময় ফ্রিল্যান্সিং যদি তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে তাহলে এটি কেন সকলের কাছে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হবে না। 

ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন ধরনের টাকার প্রয়োজন হয় না। আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করতেও কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। যার কারনে যেকোনো ধরনের পরিবারের ছেলেরা খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বর্তমান সময়ে প্রতিটি যুবক-যুবক এর কাছে ফ্রিল্যান্সিং একটি প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। 

ইসলামী নীতিমালা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য 

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি সম্পর্কে সকলেই কমবেশি ধারণা রয়েছে। ব্যক্তি একজন ব্যক্তি তাদের নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজে দেশ-বিদেশের সাথে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেক্টর টি অনেক বড় বিস্তৃত। 

কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিল অপটি মাইগ্রেশন সহ বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে আপনি যেকোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করো না কেন অবশ্যই আপনাকে একজন মুসলিম ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হবে। 

বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনাকে নজর রাখতে হবে যে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু কাজ হারাম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সে কাজগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখা। বিশেষ করে মানুষকে ধোকা দেওয়া, মানুষের সাথে প্রতারণা করা, আহোদা ভঙ্গ করা, কোন ব্যক্তির অশ্লীলতা হানি করা ইত্যাদি এই কাজগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। 

আশা করি আপনারা ইসলামের নীতিমালা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। ওতে কাজের মধ্যে ভালো-মন্দ দুটি কাজই সংমিশন ভাবে জড়িত থাকে। সেজন্য যে কোন কাজ করার আগে অবশ্যই আপনাকে প্রতিটি কাজের হারাম ও হালাল উভয় দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কেননা কোন কাজের যদি আপনি হালাল দিক জানেন কিন্তু খারাপ দিক জানেন না। তাহলে সে কাজের খারাপ দিক সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ সমূহ 

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রতি মানুষ বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে কিছু কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকেই কিছু ভুল ধারণা নিয়ে রয়েছেন। অনেকেই মনে করেন যে ফ্রিল্যান্সিং হারাম কাজ বা খারাপ কাজ। যার জন্য তারা সহজে ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে নিজেকে জড়িত করেন না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে। 

যেগুলো খুব সহজে যে কোন ব্যাক্টেম করতে সক্ষম হবেন। তবে সে ব্যক্তিকে সে কাজ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে সে ব্যক্তি সে কাজ করতে সক্ষম হবেন। বিশেষ করে কোন ব্যক্তি যদি তার সব চাইতে পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং এ সাফল্য আনা সহজ হয়। ফ্রিল্যান্সিং এ সবচাইতে জনপ্রিয় সাতটি কাজ রয়েছে। যেগুলো মানুষ খুব সহজে করে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায় 

এই সাতটি কাজের মধ্যে কাজগুলো হলো ডাটা এন্টি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, কন্টেন রাইটিং এবং ট্রান্সক্রিপশন। এগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় কাজ হিসেবে সকলে বেছে নেন কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ। বিশেষ করে মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে কনটেন্ট রাইটিং রেখে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়। 

মোবাইল ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় 

আপনি ঘরে বসে খুব সহজে আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে সক্ষম হবে। তবে সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজে লেখালেখির কাজ করতে পারেন। এখন বর্তমানে গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজে কাজ পাওয়া সম্ভব হয়। 

কি এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ খুঁজে পেতে পারবেন। যেমন upwork fiver ফ্রিল্যান্সার। এছাড়াও আপনি গুগলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অ্যাপ এগুলো ব্যবহার করে খুব সহজে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে আয় করতে পারবেন। কিন্তু আমরা অনেকেই মোবাইল হাতে নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করি টিক টক ও ফেসবুকে। 

মোবাইল-ফোন-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-করা-যায়


যথাযথ কারণ হচ্ছে আমরা কাজ সম্পর্কে এখনো ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছি। যার কারনে আমরা হাতের নাগালে কাজ থাকা সত্ত্বেও কাজ কি জানিনা। তাই এমন কিছু কিছু ছোট ছোট প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে লেখালেখির কাজ করা সুযোগ দিয়ে থাকেন। সেজন্য আপনি ঘরে বসে খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে আর্টিকেল রাইটিং লেখার কাজ করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে হালালভাবে উপার্জন করার উপায়

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে হালার উপার্জন করতে চান তবে এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে। আপনি খুব সহজে হারাম দিকগুলো সম্পর্কে জানার পর সেগুলো থেকে নিজেকে বিরত রেখে ফ্রিল্যান্সিং করলে হালার উপর চান করতে সক্ষম হবেন।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে হালাল উপার্জন করা সম্ভব হয়। প্রথমত ফিনান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। কেননা কোন উদ্দেশ্য ছাড়া কোন কাজে সফলভাবে অর্জন করা সম্ভব হয় না সেজন্য আপনি যে কাজটি করতে স্বাচ্ছন্ন বোধ করেন শেষ কাজটি আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।

আপনি যখন কোন কান্টের সাথে কাজ আদান-প্রদান করবেন অবশ্যই তাদের সঠিকভাবে সময় অনুযায়ী কাজ প্রদান করতে হবে তবে আপনি হালাল ভাবে উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অশ্লীলতা ও ক্ষতিকর কাছ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। পণ্যের লেখা আটিকেল কপিরাইট না করে নিজের অভিজ্ঞতা খাটিয়ে লেখালেখির কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান 

ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকসমূহ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের সেরা ফ্রীল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা আপনি যদি মনে করেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন ভাল প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা ছাড়া আপনি কোন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজে এগোতে পারবেন না। 

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশের টপ জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে কম মানুষই জানে। বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ফিনান্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। 

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান এর নাম সমূহ সম্পর্কে। 

  • eshikhon.com.
  • SoftTech-IT....
  • DUSRA Soft
  • Creative IT Institute
  • BITM....
  • SoftNetBD....
  • Advance IT Center
আশা করি আপনারা বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান এর নাম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা অর্জন করার আগে অবশ্যই সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সঠিকভাবে জানতে হবে। তাহলে আপনি নিজেকে একজন দক্ষ সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সহজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। 

বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ 

আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার আগে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর হারান দিক সম্পর্কে জানার পাশাপাশি সেরা অ্যাপ সম্পর্কেও জানতে হবে। কেননা বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেরা অ্যাপ কোনটি সে সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধারণা না থাকে। তাহলে আপনি ফিনান্সিং প্ল্যাটফর্মে পিছিয়ে পড়বেন। সেরা ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে সফলতা অর্জন করা এবং ইনকাম করা যায়। 

যার কারনে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে ফিনেনশিনের অ্যাপ সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য ফাইবার প্ল্যাটফর্মকে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সাররা খুব সস্তায় তাদের কাজগুলো ফাইবারের মাধ্যমে জনপ্রিয় হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন। 


যার কারনে প্রত্যেককে এই প্ল্যাটফর্মটিকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এটিকে বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট হিসাবে সকলেই গড়ে তুলছেন। এ প্লাটফর্মটির মাধ্যমে freelancerরা তাদের লেখালেখির কাজ এবং ট্রাফিক ডিজাইনারের সব কিছু তথ্য খুব সহজে প্রেরণ করে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য

আজকের এই আর্টিকেলটিতে ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানের নাম। এর পাশাপাশি আরো উল্লেখ করা হয়েছে জনপ্রিয় কয়েকটি প্লাটফর্মের নাম এবং এফ এর নাম।

আশা করি আপনারা এতক্ষন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে এবং এর হালাল উপার্জন সম্পর্কেও বুঝতেও জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাদের বন্ধুদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করে তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিন।

আর আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আমাকে কিছু মন্তব্য করা থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ব্লক লেখার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল শব্দ করে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ এ পর্যন্ত যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আবারো উপস্থিত হব অন্য কোন আর্টিকেলের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন।

আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url