ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় ১৪টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া

ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় ১৪ টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনার যদি পুজি কম থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা চয়েস করতে পারেন।

ডিলারশিপ-ব্যবসা-করার-নিয়ম


আজ আমরা আর্টিকেলে আলোচনা করব ডিলারশিপ ব্যবসা কি কিভাবে ডিলারশিপ ব্যবসা নিতে হয় ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম এবং ডিলারশিপ ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তার সাথে আরও জানতে পারবেন কম টাকায় ১৪টি ডিলারশিপ ব্যবসা করা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ  ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় ১৪ টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া 

ডিলারশীপ ব্যবসা করার নিয়ম

সাধারণত আমরা কমবেশি সকলেই ডিলারশিপ ব্যবসা বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। কিন্তু আসলেই ডিলারশিপ ব্যবসা সম্পর্কে সঠিকভাবে অনেকেই জানিনা। সেজন্য আপনাদেরকে সকলকে ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় কয়েকটি ডিলারশিপের আইডিয়া দেয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি কবি গুরুত্বপূর্ণ।

ডিলারশিপ ব্যবসা করতে হলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি পত্রে আবদ্ধ হতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে আপনাকে ডিলারশিপে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। এই চুক্তিপত্রে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা রয়েছে। ভালোভাবে পড়ে তারপরে বুঝার পর আপনাকে উক্ত চুক্তিপত্রের স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে হবে।

তবে প্রতিটি ডিলারশিপ ব্যবসার কিছু নির্দিষ্ট চাহিদা থেকে থাকে যেগুলো আপনাকে কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে। এরমধ্যে বিশেষ করে মার্কেটিং টিম এবং কভার প্লান ও মাল রাখার নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে কিনা এগুলো দেওয়া থাকে। কোম্পানি আপনাকে যখন ব্যবসার জন্য চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে বলবে।

 তার আগে অবশ্যই কোম্পানি দেখবে যে আপনার ব্যবসা করার জন্য পরী কাঠামো রয়েছে কিনা। তারা যাচাই করার পর যদি মনে করে যে আপনার ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা রয়েছে সেক্ষেত্রে কোম্পানি আপনার সাথে চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হতে পারে। যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট জায়গা না থাকে সেক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে ব্যবসা নাও করতে দিতে পারে।

ডিলারশিপ ব্যবসা কি

সাধারণত আমরা ডিলারশিপ ব্যবসা বলতে কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কোন কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন বা প্রচার করার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাকেই ডিলারশিপ ব্যবসা বলা হয়ে থাকে। ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় 14 টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে ডিলারশিপ ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

আরোও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর হারাম দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

যদি মনে করেন কোন ধরনের স্বনামধন্য কোম্পানি আপনার এলাকায় আপনাকে যাবতীয় ডিলার নিয়োগের দায়িত্ব দিয়েছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সকল শর্ত মেনে নিয়ে চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হয়ে ওই ডিলারশিপের দায়িত্ব নিতে হবে। পরবর্তীতে যদি মনে হয় যে কাজ করা আপনার কাছে জটিলতা সেক্ষেত্রে আপনি তাদের সাথে চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর নাও করতে পারেন।

তবে আপনি যদি না বোঝার আগে ডিলারশিপে চুক্তিপত্র হয়ে যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই যাবতীয় কাজের দায়িত্ব আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি ওই ডিলারশিপ নিতে চান সে ক্ষেত্রে ওই কোম্পানি যাবতীয় দায়িত্ব আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। তার পাশাপাশি আপনাকে সে কোম্পানি সকল পণ্য বিতরণ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা আপনার মাধ্যমে গ্রাহকদের পৌঁছে দেয়া হবে।

যেভাবে ডিলারশিপ নিতে হয়

ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় 14 টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়ার সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে এটি জানতে হবে যে আপনি যেভাবে ডিলারশিপ নিতে পারেন। অবশ্যই আপনাকে সে সম্পর্কে ভালোভাবে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। না হলে আপনি সঠিকভাবে ডিলারশিপ নিতে পারবেন না।

শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে কোম্পানির নির্দিষ্ট পণ্য চিহ্নিত করতে হবে। আপনি আপনার এলাকায় কাজ করবেন তখন আপনাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি যে পোনো নিয়ে কাজ করবেন সে পণ্যের চাহিদা আপনার গ্রামে রয়েছে কিনা। আসলেই গ্রাহকেরা সে সকল পণ্য আপনার থেকে নিতে ইচ্ছুক কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

যেভাবে-ডিলারশিপ-নিতে-হয়


তার পাশাপাশি কোম্পানির যে দামে আপনাকে জিনিসটি বিক্রি করার জন্য বলবে সে দামে আপনার এলাকার মানুষজন পণ্যটি কিনতে পারবে কিনা সে সম্পর্কেও আপনাকে ধারণা অর্জন করতে হবে। এরপর আপনাকে কোম্পানির সাথে কথা বলে জানতে হবে যে আর সেই কোম্পানি আপনার এলাকায় ডিলারশিপ নিয়োগ দিতে ইচ্ছুক কিনা।

আরোও পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম করার ১৫টি সহজ উপায়

কোম্পানী যদি আপনার এলাকায় ডিলারশিপ নিয়োগ দিতে ইচ্ছুক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এবং যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা অর্জন করে চুক্তিপত্রের সই করার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। আশা করি আপনারা কিভাবে ডিলারশিপ নিতে হয় সে সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা অর্জন করতে পারলেন।

ডিলারশিপ নেয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় 14 টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে এ তথ্যটি সঠিকভাবে জানতে হবে যে ডিলারশিপ নেয়ার জন্য কি কি তথ্য বা কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে। কেননা আমরা সকলেই জানি যে কোন কোম্পানি বা ব্যবসা শুরু করলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা তথ্যের দরকার হয়ে থাকে।

এটার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে আগে থেকে জেনে নিতে হবে যে ডিলারশিপ নেয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে এবং কি কি ধরনের কাগজ লাগবে। সাধারণত ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের এবং ফর্মালিটি থাকার প্রয়োজন হয়।

ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি এজেন্সি লাগবে। আপনি যে কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ নিতে আগ্রহী সে কোম্পানির নিকট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে আপনাকে। অবশ্যই আপনার একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক তার পাশাপাশি একটি ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। যে ব্যাংকে একাউন্ট থাকবে সে ব্যাংকের একটি স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।

ডিলারশিপ চুক্তিতে যে সকল বিষয় মাথায় রাখতে হয়

সাধারণত ডিলারশিপ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এমন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে যেগুলো আপনাকে সর্বদা মাথায় রেখে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে হবে। কেননা ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকা ১৪০টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া জানার পাশাপাশি এগুলো জানা আপনার জন্য খুবই জরুরি ও প্রয়োজনীয়।

আপনি যখন চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন তার আগে অবশ্যই সে কোম্পানি বা অফিসে গিয়ে তাদের যাবতীয় তথ্য এবং অফিস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ আপনার সে কোম্পানির কোন গোডাউন ঘর বা যেখানে উৎপাদন হয়ে থাকে সাজানো আছে কিনা এবং সত্যতা যাচাই করতে হবে।

আপনার কাছে বা আপনি কোম্পানির পণ্য কিভাবে পাবেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আসতে হবে। অনেক সময় কোম্পানির পণ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তখন সে সকল পণ্য আপনি কি করবেন সে বিষয়েও আপনাকে জেনে নিতে হবে। তার পাশাপাশি অবশ্যই এটি জানতে হবে যে কোম্পানির কোন প্রকার এসআর নিয়োগ দিতে পারে কিনা।

আরোও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায় 

প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে আপনাকে নিশ্চিত ধারণা নিতে হবে যে যদি আপনি কোন সময় ডিলারশিপ চুক্তি বাতিল করতে চান সে ক্ষেত্রে কোম্পানি কি ধরনের নিয়ম অবলম্বন করতে পারে সে সম্পর্কে কোম্পানির কাছ থেকে আপনাকে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। যাতে করে কোম্পানি চাইলেই ইচ্ছামত টেইলার্সশিপ চুক্তি বাতিল করতে না পারে।

হিসাব রাখার ডিলারশিপ ব্যবসার নিয়ম

ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকার ১৪টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব কিভাবে রাখতে হয়। আপনি ছোট কিংবা বড় যেকোনো ধরনের ব্যবসা করেন না কেন। সেই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বপ্নটিকে বাস্তবায়ন করতে চান।

সেজন্য অবশ্যই আপনার ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়মটি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আর আপনি যদি ব্যবসার যথাযথ দেখাশোনা না করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ব্যবসা সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। আপনারা যাতে করে ডিলাক্সিপের হিসাব রাখার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য লেখা।

চলুন তাহলে আমরা জেনে খুব সহজে কিভাবে ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখতে হয়।

  1. ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার জন্য অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত এবং ব্যবসার হিসাবের জন্য যে সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন সেগুলো চলতি থাকা লাগবে।
  2. এবং প্রতিদিনের হিসাব গুলো যথাযথভাবে আপনাকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে
  3. আপনি যে পরিমাণ খরচ করবেন সেই খরচের রশিদ গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে
  4. তবে রশিদ এবং চালান কফির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে
  5. আয়ের একটি আলাদা ফাইল তৈরি করতে হবে
  6. হিসাব সংরক্ষণ করার জন্য এন্টি ব্যবস্থাপনা এটি সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝুন
  7. বিক্রয় কর হিসাব সম্পর্কে জানুন এবং প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ফাইল তৈরি করে সংরক্ষণ করুন
  8. আপনি যে ব্যবসা করছেন তার সকল হিসাব আলাদা আলাদা থাকলে সংরক্ষণ করে রাখার চেষ্টা করুন
  9. ব্যবসার ক্ষেত্রে যে একাউন্টে লেনদেন করছেন তার হিসাব নিয়মিত ভাবে যাচাই করুন
  10. আপনার ব্যবসার বাজেট এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকুন
  11. আপনার ব্যবসার হিসাব সংরক্ষণ করার জন্য যে কোন ভালো মানের একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন
  12. ব্যবসার করসম্পর্কে না জানেন সে ক্ষেত্রে একটি লোক নিয়োগ দিয়ে রাখুন
আশা করি আপনারা ডিলারশিপ ব্যবসার হিসাব রাখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে কোন ধরনের ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই এগুলো অনুসরণ করে যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন। কেননা যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে পূর্ব পরিকল্পনা তা না থাকলে ভালোভাবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয় না।

সাশ্রয়ী হিসাব রাখার অ্যাপ সম্পর্কে

বাংলাদেশের হিসাব রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস রয়েছে তবে সবচেয়ে সাশ্রয়ী কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সকলের সঠিক ধারণা নেয়া উচিত। তবে আপনাকে জানতে হবে যে হিসাব রাখার জন্য ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ গুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে সহজ এবং সাশ্রয়ী হতে পারে।

সাধারণ এবং ছোটখাট ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সাশ্রয়ী ও সহজ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে এটির নাম হচ্ছে হিসাব পাতি অ্যাপ। হিসাব বাতিল সংস্ক্রিপশন মাত্র ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সকলের কথা সচরাচর মাথায় রেখে হিসাব পাতি সাবস্ক্রিপশন ফি মাসিক ও বাৎসরিক এই দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

আরোও পড়ুনঃ ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জনের ১০ টি সহজ উপায় 

চলুন সে প্যাকেজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক

  • বিজনেস প্যাকেজ বিজনেস প্যাকেজ এর জন্য মাসিক ১৯৯ টাকা এবং বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন এর জন্য ১৭ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে। অনুযায়ী ্ষিক বাৎসরিক খরচ ১৯৯০ টাকা করা হয়ে থাকে।
  • প্রেমিয়াম প্যাকেজ এর জন্য হিসাব পাতি সাবস্ক্রাইভ সান মাত্র ৯৯ টাকা করা হয় এখানেও বাৎসরিক ডিসকাউন্ট ৭০% করা হয়েছে ।অর্থাৎ বাৎসরিকভাবে 999 টাকা হয়ে থাকে।
  • বেসিক প্যাকেজ এটি সম্পর্কে বলার কিছুই নেই কারণ এই বেসিক  প্যাকেজটি সম্পূর্ণভাবে ফ্রি ব্যবহার করা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আশা করি আপনারা হিসাব রাখার জন্য হিসাব পাতি অ্যাপের মাধ্যমে সকল ব্যবসার হিসাব সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন খুব সহজেই। ব্যবহার করার জন্য অত্যাধিক পরিমাণ খরচ বা সময়ের প্রয়োজন হয় না সে ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে ফাইল তৈরি করে নিতে পারেন।

ব্যবসা পরিচালনা করার পদ্ধতি

ব্যবসা পরিচালনা করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে যথাযথভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেননা আপনার যদি ব্যবসা সম্পর্কে যথাযথভাবে জ্ঞান না থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হবেন।

পাশাপাশি ব্যবসাতে উন্নতি করাও সম্ভব হবে না। যার কারণে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসা পরিচালনা করার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে ব্যবসা করার আগেই। ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত খরচ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ আলাদা করে নিতে হবে।

ব্যবসা-পরিচালনা-করার-পদ্ধতি



দুইটি খরচের হিসাব জানো একসাথে না হয়ে যায়। পাশাপাশি আপনাকে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বাস্তব কিছু বাজেট তৈরি করে নিতে হবে সে অনুযায়ী যাতে কাজ করা সহজ হয়। ব্যবসাতে কোন বকেয়া থাকলে তার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার। অভিজ্ঞতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে সকল প্রকার লেনদেনের ক্ষেত্রে ইন ভয়েস প্রদানের একটি অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

যাতে করে আপনার হিসাবের প্রত্যেকটি ফরমেট সুন্দরভাবে সাজানো থাকে। আপনি যেই ব্যবসা করছেন তার প্রতিদিন আয় এবং ব্যয় হিসাবটি। করে নিতে হবে এতে করে আপনি লাভলুষ খানের বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। তাহলে খুব সহজেই সাশ্রয়ী ভাবে ব্যবসায়ী উন্নতি করা সম্ভব হবে। আশা করি আপনারা এ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। 

১৪ টি ডিলারশীপ ব্যবসা আইডিয়া 

ডিলারশিপ ব্যবসা করার জন্য সর্বপ্রথম এবং সবচাইতে উত্তম পারফেক্ট পণ্য হচ্ছে সফট ড্রিংসের ডিলার এর ব্যবসা। সেজন্য আপনি সর্বপ্রথম এই ব্যবসা আইডিয়াটা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি পারফেক্ট একটি উন্নতি করতে পারবেন। এ ব্যবসা করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের এনার্জি ড্রিংকস, জুস ও সাধারণ কোমল পানীয় এগুলো আপনি সচরাচর আপনার ব্যবসা তালিকায় রাখতে পারেন। 

বর্তমান সময়ে তরুনেরা বেশিভাগই টাইগার স্পিরিট ইত্যাদি এগুলো খেয়ে থাকে। ছাড়াও বাচ্চারা বেশিরভাগ জুসের প্রতি আগ্রহ হয়ে থাকে। রমজান মাসে ছোট বড় সকলেই জুসের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারলে অবসর উন্নতি করতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে সাধারণ কোমর পানি যেটি সচরাচর সকল ধরনের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। 

২. মিনারেল ওয়াটার এর ডিলার 

আপনি ইচ্ছে করলেও মিনারেল ওয়াটারের ডিলারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমরা এখন সকলেই নিরাপদ জীবন গড়ার জন্য নিরাপদ পানি খেয়ে থাকি। এজন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডের পানি রয়েছে যেগুলো ডিলারশিপ নিয়ে সহজেই উন্নতি করা সম্ভব হয়। বর্তমানে দিন দিন এর চাহিদা বেড়ে চলেছে। 

৩. গাড়ি ডিলারশিপ 

আপনি ইচ্ছে করলেও নামিদামি গাড়ি ডিলারশিপ এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। কেননা এখন বর্তমানে বহু নামিদামি গাড়ি ডিলারশিপ সহজে যেকোনো জায়গায় তৈরি করে উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডের গাড়ি যেমন সুজুকি টয়োটার ইহামার ইত্যাদি এগুলো ডিলারশীপ নিয়ে খুব সহজে উন্নতি করা সম্ভাব হয়। 

৪. কৃষি পণ্যের ডিলারশিপ 

আপনি যদি মনে করেন আপনার এলাকায় কৃষি পণ্যের ডিলারশিপ নিলে উন্নতি করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কৃষি পণ্যের ডিলারশিপ নিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্রিজ কীটনাশক প্রভৃতি ডিলারশিপের সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এখন সচরাচর মানুষ হাতের নাগালে বিভিন্ন ধরনের বীজ ও কীটনাশক পেলে সুবিধা বোধ মনে করেন। 

৫. তেলের ডিলার 

আপনি ইচ্ছা করলে তেলে ডিলার নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের রান্নার কাজে তেল ছাড়া চলেই না। এমন কিছু পরিবার রয়েছে যেগুলো মাসে ২০ থেকে ২৫ লিটার পর্যন্ত তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে যেকোন ভালো ব্যান্ডের তেলের ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে ডিলারনিয়ার আগে আপনাকে একটি মানসম্মত কোয়ালিটি পণ্য তেল বাছাই করতে হবে। 

৬. গুঁড়া মসলার ডিলার 

আপনি ইচ্ছে করলে বিভিন্ন ধরনের ঘোড়া যেমন হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, জিরার গুড়া, ধনিয়ার গুড়া, বিভিন্ন ধরনের বিরানির মসলাসহ যাবতীয় ডিলারশিপ নিতে পারেন। তো মানে গুড়া মসলা চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এতে করে আপনি খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। 

৭. আসবার পত্রের ডিলারশিপ 

আপনি ইচ্ছে করলে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যেমন এয়ার টেবিল খাট আলমারি ইত্যাদি ডিলারশিপ নিতে পারেন। তবে আসবাবপত্র ডিলার নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একটি ধারণা নিতে হবে যে আপনার গ্রামে কি ধরনের আসবাবপত্র পছন্দ করেন। আসবাবপত্র কাঠের ও হতে পারে স্টিলেরও হতে পারে এবং পারটেক্সেরও হতে পারে কিন্তু আপনাকে ধারণা নিতে হবে আপনার গ্রামে কোনটি মানুষ বেশি পছন্দ করে। 

৮. কসমেটিকের ডিলারশিপ 

আপনার এলাকায় যদি শহর থেকে বেশ ভিতরে বা একদম গ্রামে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে একটি কসমেটিকের ডিলার নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। এতে করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হবে। 

৯. বইয়ের ডিলার 

যদিও আমাদের দেশে লাইব্রেরি যেতে হলে শহর অঞ্চল ছাড়া পাওয়া যায় না। কিন্তু বইয়ের ডিলার একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বর্তমানে পরিচিতি লাভ করেছে। আপনি ইচ্ছে করলে আপনার গ্রামে একটি বড় ধরনের বইয়ে ডিলার নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে ফ্রি ক্যাডেট ও স্কুল মাদ্রাসার বইগুলোর মাধ্যমিক ও লাভবান হওয়া সম্ভব হয়। 

১০. বিল্ডিং এবং নির্মাণের ডিলার 

আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নিত্যদিন বিল্ডিং এর চাহিদা বেড়ে চলেছে। আপনি যদি বিল্ডিং তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র যেমন ইট বালির রড সিমেন্ট এগুলোর ডিলারশিপ নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে যাবে। 

১১. চিপসের ডিলার 

বর্তমান সময়ের ছোট বাচ্চাদের খাবার মানে চিপস। এটি ছোট বড় সকলের কাছে একটি জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। আপনি যদি ইচ্ছে করেন চিপসের ডিলার নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। তাহলে আপনি সঠিক একটি ব্যবসা চয়েস করে নিয়েছেন যার মাধ্যমে খুব সহজে উন্নতি করা সম্ভব হবে। 

১২. চানাচুরের ডিলার 

চানাচুরা আমাদের একটি অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। বাসাতে যে কোন মেহমান আসলে চানাচুর বিস্কুট ছাড়া চলে না। আপনি ইচ্ছে করলে এই চানাচুরের ডিলার নিয়েও ডিলার ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। তবে চানাচুরের ডিলার নেয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো ব্যান্ডের চানাচুর বাছাই করে সে কোম্পানির ডিলার নিতে হবে। 

১৩. ব্যান্ডের পণ্যের ডিলার 

আমরা নিত্যদিন পত্রিকাতে দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের ডিলার নিয়োগ চলছে। আপনি চাইলে সে সব ফোনে ডিলারশিপ নিয়ে কাজ আরম্ভ করতে পারেন। তবে যে কোন কোম্পানির সাথে ডিলারশিপ নেয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু সতর্কতা অনুসরণ করতে হবে। কারণ বর্তমানে অনেক প্রতারক ও ভুয়া কোম্পানি রয়েছে। 

তাই যে কোন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ নেওয়ার আগে তার সত্যতা যাচাই করে তারপরে আপনাকে সে কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ নিতে হবে। আর প্রয়োজনে আপনাকে সে কোম্পানির সাথে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে এবং এর পাশাপাশি এর পণ্যের কেমন চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্ক জেনে নিতে হবে। 

১৪. কাগজ ও স্টেশনারি দ্রব্যের ডিলার 

বর্তমানে আমাদের কম্পোজের ব্যবসা বলতে কাগজও স্টেশনারি দ্রব্য ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করাটা সবচাইতে অন্যতম বলে মনে করা হয়। কম্পোজির মাধ্যমে খুব সহজেই এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় বেশিরভাগই শিক্ষার্থী রয়েছে আর শিক্ষার্থীদের কাগজে স্টেশনে একটি প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী। 

ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় ১৪ টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য 

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম ও কম টাকায় ১৪ টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে ডিলারশিপ নেওয়া যায় ও ডিলারশিপ ব্যবসা কি। ডিলারশীপের ব্যবসার হিসেব রাখার নিয়ম এবং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর দিতে যে সকল বিষয়ের লক্ষ্য রাখতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

সেই সাথে ১৪ টি ডিলারশিপ ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে যথাযথভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করেছি। আশা করি আপনারা এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন ডিলারশিপ ব্যবসা করার নিয়ম এবং কম পুঁজিতে কিভাবে ডিলারশিপ ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের কেউ উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিন। 

আজকের এই আর্টিকেলটি লেখার মধ্যে যদি কোন ধরনের বাক্য বা শব্দ ভুল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমার সাথে যদি আপনাদের কোন কিছু বলার থাকে তাহলে কমেন্ট বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারের মাধ্যমে বলতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই আবারো উপস্থিত হব অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ লেখার মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url