রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা
রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আজকের এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানির ব্যবহার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি চাল ধোঁয়া পানির ব্যবহার এবং চাল ধোয়া পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো জানতে পারবেন পানি কিভাবে মুখে ব্যবহার করবেন ও চুলে চাল ধোয়া পানি ব্যবহার
করলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
- চাল ধোয়া পানি কি
- রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার
- চুলে চালের পানি ব্যবহারের নিয়ম
- চালের পানি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- রাইস ওয়াটার বানানোর পদ্ধত
- টোনা বানানোর পদ্ধতি
- চাল ধোয়া পানি সংরক্ষণ করার নিয়ম
- গাছে চাল ধোঁয়া পানি ব্যবহার
- চাল ধোঁয়া পানির উপকারিতা
- রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
চাল ধোয়া পানি কি
প্রথমত আপনাকে জানতে হবে যে আসলে চাল ধোয়া পানি বলতে কি বোঝাচ্ছে। হয়তো আমাদের
মধ্যে অনেকেই জাল ধোয়া পানি বলতে বুঝতে পারছে আবার অনেকে হয়তো বুঝতে পারছেন না।
সাধারণত আমরা ভাত রান্নার আগে চাউল ধুয়ে থাকি। আর তখন চাউল ধোয়ার পর যে পানি
হয়ে থাকে সেগুলোকেই চাল ধোয়া পানি বলা হয়।
আমরা এর উপকারিতা সম্পর্কে না জানার কারণে সাধারণত চাল ধোয়া পানি ফেলে দিয়ে বা
গরু ছাগলকে খাইয়ে থাকি। আপনি যদি নিয়মিত চাল ধোঁয়া পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে
থাকেন তাহলে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। কাউকে যদি বিভিন্ন ধরনের দাগ
থাকে তাহলে দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই এর গুনাগুন সম্পর্কে
সঠিকভাবে জানিনা।
আরও পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বাসি পাউরুটি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত
না জানার কারণে আমরা চাল ধুয়ে এসে পানি ফেলে দিয়ে থাকি। যদি আমরা ইচ্ছে করি যে
আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যতা ব্যক্তির জন্য ঘরোয়া ভাবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করব। সে
ক্ষেত্রে আমরা চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করতে পারি। শুধু যে রান্নার সময় চাল তুলে
চাল ধোয়া পানি হয় তা কিন্তু নয়। আমরা নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য এক মুড বা দুই
মুঠ চাল পানিতে ব্যবহার করতে পারি।
রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার
আমাদের দেশের রূপচর্চার জন্য বিশ্বজুড়ে যৌন প্রিয় বিউটি পার্লার হচ্ছে কোরিয়ান
বা কে বিউটি। আর এই বিউটির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে চাল ভেজানো পানি এবং ভাতের
মাড়। যা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে রূপচর্চায়
চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
আপনি খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই উপাদানটি ব্যবহার করে তখন চুলের যত্ন নিতে
পারবেন। এর উপকারিতা ও অনেক গুনে বেশি। আপনি সবসময় খুব সহজে হাতের নাগালে চাল
ভেজানো বা পানি বা ভাতের মার সহজে পেয়ে যাবেন। তবে শহরের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে
হাতের নাগালে চাল ভেজানো পানি ও ভাতের ফ্যান পাওয়া যায়।
শহর অঞ্চলে সচরাচর রাইস কুকারে ভাত রান্নার কারণে ভাতের ফ্যান পাওয়া একটু কঠিন
হয়ে পড়ে। নিয়ে ইচ্ছে করলে খুব সহজে চাল ভেজানো পানি দিয়ে হেয়ার স্প্রা তৈরি
করে চুলের যত্ন নিতে পারবেন। উপাদানটি আপনার চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে
কাজ করবে। আপনি যদি শ্যাম্পু করার পর চাল ভেজানো পানি দিয়ে চুল স্প্রে করে ফেলেন
তাহলে আপনার চুল নরম ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
আপনি ইচ্ছে করলে ত্বকের যত্নে চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের
প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আপনার যদি ত্বকের কথাও লোমক থেকে থাকে তা খুব
সহজেই পরিষ্কার করতে পারবে। এছাড়াও ত্বকের তা ব্রাহ্মণ দূর করতে চাল ভেজানো পানি
খুব সহজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চাল ধোয়া পানি ব্যবহারের আগে ত্বক ভালোভাবে
পরিষ্কার করে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্ন নেয়ার সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন
চাল ধোয়া পানির মধ্যে মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার কারণে এটি ত্বকের
প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে আপনার যদি তেলাক্ত ত্বক হয়ে
থাকে সেক্ষেত্রে চাল ধোঁয়া পানি ব্যবহার করলে তেলাক্ত ভাব দূর হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় সূর্যের তাপে ত্বক ঝলসে কালো হয়ে যায় এটি দূর
করতেও আপনি চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে চালের পানি ব্যবহারের নিয়ম
রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আপনার কমবেশি জানা
রয়েছে। তার পাশাপাশি চুলে চালের পানি ব্যবহারে নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
আপনি যদি চুলে চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চুল
শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করার পর চাল ভেজানো পানি শেষে সমস্ত চুলে সুন্দরভাবে
মাখিয়ে নিন। আপনি ইচ্ছে করলে চাল ভেজানো পানির সাথে এক কাপ সাদা পানি মিশিয়ে এর
মধ্যে যে তেল ব্যবহার করেন সেটি মিশাতে পারেন। এভাবে মিশ্রণটি একসাথে ভালোভাবে
মিশিয়ে আস্তে আস্তে তুলে ঢেলে ধীরে ধীরে এগুলো গৌরাতে প্রবেশ করাতে হবে।
ভালোভাবে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত চুলে মেসেজ করতে হবে। চাল ভেজানো পানির মিশ্রণটি
চুলে লাগানোর পর প্রায় দশ মিনিট রেখে এটি পরিষ্কার করার জন্য ঠান্ডা পানি
ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলার পর দেখবেন আপনার
চুলে এক ধরনের মসৃণ ও নরম হয়ে উঠেছে। সাথে সাথে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
চালের পানি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। চাল ভেজানো
পানি দিয়ে খুব সহজে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। সেজন্য আপনাকে এক মুঠো
চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং সে ভিজিয়ে রাখা চাল ভেজানো পানি দিয়ে সমস্ত ত্বকে
মেসেজ করতে হবে। চাল ভেজানো পানি তকে মেসেজ করলে ত্বকের মৃত চামড়াগুলো
সুন্দরভাবে উঠে যায়।
আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নিয়মিত চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করলে তেলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে। অনেক সময় আপনার ত্বকে দেখবেন মাঝে মাঝে ব্রণ উঠে আবার আপনার নাই হয়ে যায়। এর কারণ হচ্ছে সাধারণত বাইরের ধুলাবালি ত্বকে পড়লে সেগুলো দ্বারা ব্রণের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুনঃ ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে বানানোর নিয়ম
নিয়মিত চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করলে ত্বকের ময়লাগুলো দূর হয় এবং ব্রণের হাত
থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি নিয়মিত যে ক্লিনজার ব্যবহার করেন তার
সঙ্গে চাল ভেজানো পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করেও ভালো ফলাফল পাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। ত্বকের ব্রণের প্রবণতা থেকে চাল ভেজানো পানি খুবই উপযুক্ত উপাদান
হিসেবে কাজ করে।
রাইস ওয়াটার বানানোর পদ্ধতি
রূপচর্চায় চাল ধোঁয়া পানি ব্যবহার উপকারিতা অনেক। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই রাইস
ওয়াটার বানানোর নিয়ম শিখতে হবে। কেননা রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া পানি বানানোর
পদ্ধতি সম্পর্কে যদি আপনার জানা না থাকে সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে রূপচর্চা করতে
পারবেন না। সেজন্য প্রথমে আপনাকে চাল ধোঁয়া পানি বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতে হবে।
রাইস ওয়াটার বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি পাত্র নিতে হবে এবং পাত্রটি
পরিষ্কার করে ধুয়ে এর মধ্যে কিছু পরিমাণ চাল রাখুন। চালের মধ্যে দুই থেকে তিন
কাপ পানি ঢেলে দিন। পানি ঢেলে নেয়ার পর এটি চুলায় বা গ্যাসে দিয়ে হালকা আছে ১৫
থেকে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এভাবে ফোটানো হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে
রাখুন।
নামিয়ে রাখার পর ঠান্ডা হলে কোন ছাকনির সহজে এটি ছেঁকে নিন। তবে চালটি যখন আপনি
ফোটাবেন তখন দেখবেন চালটি হালকা পরিমাণে নরম হয়ে আসবে এর ফলে পানিটি গাঢ় আকার
ধারণ করবে। গারো আকার ধারণ করলে এটি নামিয়ে ঠান্ডা করে তোকে ব্যবহার করুন। এটি
আপনার ত্বকে ব্যবহার করার পর ত্বকে টানটান ভাব সৃষ্টি হবে।
এবং দশ মিনিটের মতো রেখে শুকিয়ে গেলে উঠিয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের মধ্যে কোন
ধরনের মৃত কোষ থাকলে এগুলো উঠে পড়বে। আশা করি আপনারা চাল ভেজানো পানি বাড়াইস
কোয়াটার বানানো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পারলেন। ভালো ফলাফল পাওয়ার
জন্য সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এভাবে আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন।
টোনা বানানোর পদ্ধতি
টোনা বানানোর জন্য সর্বপ্রথম ধনেপাতা গোলাপজল মধু এগুলো সবগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে
নিতে হবে। টোনা বানানোর জন্য সর্বপ্রথম চাল ধোয়া পানি পরিমাণ মত নিতে হবে। এক
থেকে দুই কাপ তাজা ধনেপাতা বেটে নিতে হবে এবং এক থেকে দুই কাপ গোলাপ জলের পানি
নিতে হবে। তারপর তার সাথে এক চা চামচ মধু নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
এগুলো যখন একসাথে নেয়া হয়ে যাবে তখন ভালোভাবে পাঠাতে বা ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড
করে নিতে হবে। ব্লেড করার পাঠাতে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেওয়ার পর এটি
ফ্রিজে রেখে অনেকদিন ধরে ব্যবহার করা যায়। এটি ব্যবহার করার আগে মুখ টির ভালো
করে কোন ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার পর টোনা তৈরি করা
ফ্রিজে রাখা আছে ওগুলো ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
ত্বকে টোনা লাগানোর পর সেটি ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। কোনভাবে ভেজা রেখে ত্বকে
ঘোসাবাদ ধুয়ে ফেলা যাবে না। তাহলে ভালো ফলাফল থেকে বঞ্চিত হবেন। টোনা লাগানোর পর
১০ থেকে আধা ঘণ্টা শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানির মাধ্যমে ত্বক ভালোভাবে
পরিষ্কার করার পর যেকোনো উন্নত মানের লোশন তোকে ব্যবহার করতে হবে।
চাল ধোয়া পানি সংরক্ষণ করার নিয়ম
রূপচর্চায় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই
আপনাকে চাল ধোয়া পানি সংরক্ষণ করা সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা আপনি
যদি চাল ধোয়া পানি সংরক্ষণ করার নিয়ম সম্পর্কে না জানেন তাহলে সঠিকভাবে
রূপচর্চা করতে ব্যর্থ হবেন।
আপনি চাল ধোয়া পানি চার থেকে পাঁচ দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে এর চেয়ে বেশি দিন যদি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে যান তবে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। আর আপনি যদি মনে করেন প্রতিদিন তৈরি করে ব্যবহার করবেন তাহলে এতে
করে ভাল ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি চাল ধোয়া পানি সংরক্ষণ করার জন্য কাচের বোতল বা প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার
করতে পারেন। তবে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বোতলের চেয়ে কাচের বোতল বেশ
ভালো হয়। ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার পর যখন আপনি ত্বকে সেটি ব্যবহার করবেন অবশ্যই
বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।
গাছে চাল ধোঁয়া পানি ব্যবহার
পানি ব্যবহার ও উপকারিতা যেমন অনেক ঠিক তেমনি গাছেও চাল ধোয়া পানির ব্যবহার করলে
বেশ উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা না জানার কারণে আমাদের আশেপাশে অনেক ভালো
গুনাগুন থাকা সত্ত্বেও এগুলো ব্যবহার করতে পারি না। তবে গাছে চাল ধোয়া পানি
ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম অনুসরণ করার প্রয়োজনেতা রয়েছে।
দুই থেকে তিন দিন জমিয়ে রেখে তারপর গাছের গোড়ায় ব্যবহার করবেন না। এতে করে
গাছের গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি যদি মনে করেন চাল ধোঁয়া পানি
গাছের গোড়ায় দিয়ে গাছকে তরতাজা করে তুলবেন তাহলে দিনেই দিনেই পানি তৈরি করে
গাছের গোড়ায় ব্যবহার করুন।
এতে করে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং সতেজ হয়ে উঠবে। আর যদি এটি ফলের গাছ হয়ে
থাকে সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে ফল বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আমরা না জানার কারণেই
অনেকেই চাল ধোয়া পানি বা ভাতের মার অনেকদিন জমিয়ে রাখার পর গাছের গোড়ায় দিয়ে
থাকি এতে করে গাছের উপকার হওয়ার ফলে ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে।
চাল ধোঁয়া পানির উপকারিতা
রূপচর্চায় জাল ধোয়া পানি ব্যবহার ও উপকারিতা অনেক যা ভাষায় বা বলে শেষ করার
মতো নয়। তবে আমরা অনেকেই চাল ধোয়া পানির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত না জানার
কারণে এটির ব্যবহার থেকে বিরত থাকি। আপনারা যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে চাল ভেজানো পানির গুরুত্ব ও উপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
যেমন আমাদের ত্বকের যত্নে খুবই উপকারিতা ঠিক তেমনি চুলের জন্য পানির গুরুত্ব
অপরিসীম। কিন্তু না জানার কারণেই অনেকেই আমরা এর ব্যবহার করি না। চলুন তাহলে এবার
জেনে নেওয়া যাক চাল ভেজানো পানির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। রূপচাতে চাল
ধোয়ার পানির উপকারিতা যেমন অনেক তেমনি গাছপালা তরতাজা করতেও চাল ধোয়া পানির
উপকারিতা অনেক।
-
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চাল ধোয়া পানির উপকারিতা অপরিসীম। তৈলাক্ত থেকে
ত্বকে যদি নিয়মিত চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করা হয় তবে তো নরম ও তেলাক্ত ভাব
দূর হয়।
-
চাল ভেজানো পানি চুলে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ঘন শক্ত ও লম্বা হয়।
-
গাছপালাতে চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করলে গাছপালা তর তাজা ও লম্বা হয়। পাশাপাশি
ফলের গাছ হয়ে থাকলে প্রচুর পরিমাণে ফল জন্মানো সম্ভাবনা থাকে।
-
ত্বকে ব্রণ বা কোন ধরনের দাগ থাকলে চাল ভেজানো পানি নিয়মিত ব্যবহার করলে
ব্রণের প্রভাব হ্রাস পায়।
-
চালের পানিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে চাল ভেজানো পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
-
চাল ভেজানো পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ভিটামিন বি থাকে যা আমাদের ত্বকে
উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে সাহায্য করে।
-
এছাড়াও চাল ভেজানো পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা আমাদের ত্বকের
স্বাস্থ্য কে সুরক্ষা করতে সহায়তা প্রদান করে।
-
চাল ভেজানো পানি থেকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম পাওয়া যায়
এটি ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
-
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চাল ভেজানো পানি খুবই প্রয়োজনীয়তা এছাড়াও
আমাদের ত্বক যদি রোদ্রে ঝলসে পড়ে সে খেতে চাল ভেজানো পানি ব্যবহার করলে ভালো
ফলাফল পাওয়া যায়।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url