কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা সম্পর্কে জেনে নিন
waymaxit.com☑️
২২ নভে, ২০২৪
আমরা অনেকেই জানিনা যে ঘুম না আসার কারণে কোন ভিটামিনের অভাবের ঘাটতি থাকে।
সাধারণত ঘুম না আসার কারণে অনেক ভিটামিনের ঘাটতি থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি এর
অভাবে ঘুম কম হয়।
আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কি কি খাবার খেলে খুব ভালো হয়, ঘুম
না আসার সাধারন কারণ, ভিটামিন এর সাথে ঘুমের সম্পর্ক, ভিটামিনের ঘাটতি লক্ষণ
সমূহ, কিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন, প্রাথমিকভাবে যে সকল নিয়ম অনুসরণ করার
প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনাদেরকে আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়তে হবে।
পেজ সূচীপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা সম্পর্কে জেনে নিন
সাধারণত আমাদের ঘুম না হওয়ার কারণ অনেক। তবে সচরাচর বলা হয়ে থাকে যে
ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিটামিনটি সাধারণত আমাদের
শরীরে ম্যারাটনিন নামক একটি হরমোন উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই
হরমোনটির মাধ্যমে ঘুম হয়ে থাকে। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকে তাহলে
ম্যালাটন ইন নামক এই হরমোনটি কমতে থাকে।
যার কারণে তখন আপনার ঘুম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া যদি আপনার শরীরে
ভিটামিন বি ১২ এটি অভাব থেকে থাকে তাহলেও আপনার ঘুমের সমস্যা হওয়ার
সম্ভাবনা হয়। আমাদের শরীরের এই ভিটামিন টি বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা বজায়
রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আর এই ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে ঘুমের নানা
ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আমাদের শরীরের সকল কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
আমাদের শরীরের যাবতীয় হরমোন নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য কে সঠিক
ভাবে পরিচালনা করার জন্য ভিটামিন সহযোগিতা করে। আমাদের শরীরে যদি পর্যাপ্ত
পরিমাণে ভিটামিন না থাকে সে কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং
সে ক্ষেত্রে ঘুমেরও সমস্যা হয়।
আপনি যদি আপনার শরীরে পর্যন্ত নিতে চান তাহলে আপনার শরীরকে নিয়মিত সূর্যালোকে
উৎপন্ন করতে হবে। সচরা আমরা গ্রামের মানুষ সূর্যের আলোতে যেতে বা বসে থাকতে পছন্দ
করি না কিন্তু শরীরে ভিটামিনটি উৎপন্ন করার জন্য সূর্যের আলোয় বিশেষ ভূমিকা পালন
করে। আমাদের ঘুম কমবেশি হওয়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হচ্ছে
ভিটামিন বি বিশেষ করে ভিটামিন বি6 ও ভিটামিন বি ১২ এটি ঘুমের জন্য খুবই
প্রয়োজনীয়।
ঘুমের জন্য কোন কোন ভিটামিন ভালো
আমাদের শরীরকে সুস্থতা রাখার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন
রয়েছে। কোন মানুষের শরীরে যদি ঘুমের ঘাটতি থাকে সেক্ষেত্রে শরীর দুর্বল হয়ে
পড়ে। উন্নত ঘুমের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সংযুক্ত রয়েছে তবে বিশেষ করে
ভিটামিন ডি সকলের কাছে পরিচিত। লোকের মাধ্যমে আমাদের শরীরে উৎপন্ন হয় এবং ঘুম
নিয়ন্ত্রণ সহ আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি বিশেষ
ভূমিকা পালন করে।
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভিটামিন ডি যাদের ঘুম কম হয় এমন ব্যক্তিদের শরীরে
অভাব পড়লে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আরও ভিটামিন রয়েছে
যেগুলোর কারণে ঘুম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন ম্যাগনেসিয়াম, বি
ভিটামিন, ও ম্যালাটনিন এগুলো ভালো ঘুমের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আমরা নিয়মিত ভালো ঘুমের জন্য উপরোক্ত ভিটামিন গুলোর প্রতি বিশেষ ভূমিকা ও
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক এ সকল ভিটামিন গুলো
কিভাবে আমরা আমাদের শরীরের মধ্যে সংযুক্ত করে রাত্রে ভালো ঘুমের জন্য অন্তর্ভুক্ত
করতে পারি। এক একটি ভিটামিন একেক রকম ভাবে দেহের সাথে সংযুক্ত করার প্রয়োজন হয়ে
থাকে।
ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন দিয়ে আমাদের শরীরে ম্যারাটনিন তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে। যেটি আমাদের ঘুম চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। আপনার শরীরে
ভিটামিন ডি এর অভাব পড়লে ঘুমের সমস্যা হয়।
ভিটামিন বি ৬ঃ আমাদের শরীরে ভিটামিন বি ৬ সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন উৎপন্ন করে
থাকে। যা আমাদের ঘুম ভালো করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন বি১২ঃ ভিটামিন বি ১২ আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেমের কার্যক্রমে মুখ্য
ভূমিকা পালন করে থাকে এবং পাশাপাশি স্লিপিং প্যাটার্ন ঠিক রাখতে সহায়তা
করে।
ম্যাগনেসিয়ামঃ আপনারা সকলে জানেন যে ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন তালিকাভুক্ত নয়।
তবুও আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়াম যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেল উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা
পালন করে এবং ঘুম ভালো হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ইঃ ভিটামিন এ আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে সহায়তা করে এবং
পাশাপাশি ঘুম নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
ঘুম কম হওয়ার সাধারণ কারণসমূহ
আমাদের ঘুম কম হওয়ার পিছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ বিরাজমান। অনেক সময় মানসিক চাপ,
অনিয়মিতভাবে কোন কাজ করা, সঠিক নিয়মে খাবার না খাওয়ার কারণে ঘুম কম বেশি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সাধারণত ঘুম না আসার পেছনে গোপন একটি কারণ রয়েছে সেটি
হচ্ছে ভিটামিনের ঘাটতি।
অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাবে ঘুম কমবেশি হতে পারে। আমাদের শরীলকে সঠিকভাবে
পরিচালনা ও ভালো ঘুমের জন্য প্রজ্জত পরিমানে ভিটামিন এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর
ঘুম ভালো হওয়ার পিছনে অনেকগুলো ভিটামিন সহায়তা করে থাকে। সাধারণত আমাদের শরীরে
ঘুম হওয়ার জন্য যে সকল ভিটামিন রয়েছে সেগুলোর ঘাটতি কম হলে ঘুমের সমস্যা
হয়।
বিশেষ করে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ এবং
ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি পড়লে ঘুম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি শরীর
দুর্বল ও রিমঝিম করতে থাকবে। সে ক্ষেত্রেও আপনার ঘুম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা
থাকবে। আবার দেখা যায় অনেকেই সকালের নাস্তা দুপুরে করে দুপুরের খাবার খাই এসব
কারণে ঘুম কমবেশি হতে পারে।
শরীরে ভিটামিন এর ঘাটতি লক্ষণগুলো
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা নেয়া উচিত।
সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে ঘুম কম বেশি হয়ে থাকে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ভিটামিনের ঘাটতি পড়লে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। যা সকলে
চিহ্নিত করতে পারেন না।
দেখা দিলে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ বা সতর্কতা অবলম্বন করার
মাধ্যমে খুব সহজেই ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেকেই সচরাচর ভিটামিনের
ঘাটতি লক্ষণসমূহগুলো চিহ্নিত করতে পারেন না। যার কারণে এটি আস্তে আস্তে মারাত্মক
রূপ ধারণ করে। এমনকি আপনি একসময় মানসিক রোগী তো পরিণত হতে পারেন।
ঘাটটির লক্ষণ সমূহ-
আপনি দীর্ঘ সময় বিছানাতে শুয়ে থাকলেও ঘুম না আসা
আপনার ঘুমের মধ্যে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া
প্রতিটি কাজে নিজেকে ক্লান্তি বোধ ও দুর্বল অনুভব করা
সব সময় আপনার মেজাজ খিটখেটে এবং মানসিক চিন্তাভাবনা অগোছানো
যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমানোর পরেও দুর্বলতা অনুভব করা
কি খেলে ঘুম কম হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এটি যেন সাঁতার সাথে আমাদেরকে কি ধরনের খাবার
খেলে ঘুম কম হবে সে সম্পর্কেও জানতে হবে। আমরা সকলেই যায় যে রাত্রে যেন ভালোভাবে
ঘুমাতে পারি কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় ঘুমের ঘরে আজমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়। এতে
করে আমাদের শরীরের ঘুমের ঘাটতি দেখা দেয় যাতে করে শরীর দুর্বল ও ক্লান্তবোধ মনে
হয়।
আপনার যদি রাত্রে ঘুম ভালো না হয় তাহলে সারাদিনটা আপনার কাছে মনে হবে অস্থিরতা
এবং কোন কাজ করতেই ভালো লাগবে না। সেজন্য ভালো ঘুমের জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের
সতর্কতা ও বিভিন্ন খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কেননা খাবার খাওয়ার কারণে
আমাদের ঘুম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নিয়মিত ভাবে যদি আপনি রাত্রে ঘুমাতে না পারেন তাহলে একসময় আপনি অসুস্থ হয়ে
পড়বেন। আমাদের রাত্রে ঘুম না আসার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে খাবার কে চিহ্নিত
করা হয়েছে। কারণ আমরা অনেক সময় দুপুরের খাবার রাত্রে খেয়ে থাকি। এই খাবার
খাওয়ার ক্ষেত্রে দুপুরের খাবার দিকে রাতের খাবারের আইটেমটা একটু ভিন্ন রূপ ভাবে
সাজাতে হবে।
রাতের খাবার তুলনামূলকভাবে দুপুরের খাবারের চেয়ে হালকা খাওয়াটাই উত্তম। যাতে
করে দুপুরের খাবার এর চেয়ে তাড়াতাড়ি হজম করতে পারে। এরকম হালকা খাবার রাত্রে
খাওয়া প্রত্যেকের জন্য উচিত। তাহলে ঘুম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খাবার
খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত
রাখতে হবে।
অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খেলে আপনার পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমনকি
ঘুম না হওয়ারও কারণ। আবার আমরা অনেকেই ইচ্ছাকৃত আইসক্রিম খেয়ে থাকি। আপনার মাঝে
এই বদ অভ্যাসটি থাকলে অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে কারণ আইসক্রিমের চিনি ও ফ্যাট
দেয়া থাকে যার কারণে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও চকলেট ঘুমানোর আগে কেউ খাবেন না। চকলেটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
দুধ ও চিনি যেটি আমাদের ঘুম কমিয়ে দেয়। সে কারণে ঘুমানোর আগে অবশ্যই এটিকে
পরিহার করতে হবে। ঘুম না আসার পেছনে আমাদের আরেকটি কারণ রয়েছে সেটি হলো আমরা
সাধারণত না জানার কারণে রাত্রে বেলার ভাজা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে।
কি ধরনের খাবার খেলে ঘুম বেশি হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এটি অবশ্যই আমাদের সকলের জানা উচিত। কারন রাত্রে
যদি আমাদের ঘুম সঠিকভাবে না হয় তাহলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি
ঘটে। যেমন আপনি যদি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন ঠিকভাবে না করেন তাহলে একসাথে করতে
গেলে কষ্টকর হয়ে যাবে। ঠিক ঘুমও আমাদের জন্য এরকম একটি প্রয়োজনীয় অংশ।
আপনি যদি সঠিকভাবে প্রতিদিন প্রয়োজনমতো ঘুমাতে না পারেন তাহলে আপনার শারীরিক
অবস্থা দিন দিন অবনতি ঘটবে। আপনাকে সঠিকভাবে কাজ কর্ম করার জন্য ঘুমের প্রতি
গুরুত্ব দিতে হবে। না। আরে ক্লান্ত তা দূর করার জন্য আপনাকে সঠিকভাবে সঠিক সময়ে
ঘুমোতে হবে। যদি আপনারা রাত্রে ঠিকমতো ঘুম না হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের
সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে।
পাশাপাশি ঘুম হয় এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। চলুন আমি
আপনাদেরকে কি ধরনের খাবার খেলে ঘুম বেশি হয় তা নিম্নে আলোচনা করে বিস্তারিত
বুঝিয়ে দিচ্ছে।
রাতে অবশ্যই আপনি পার্থ পক্ষে প্রতিদিন এক ক্লাস গরম দুধ খাওয়ার চেষ্টা
করবেন
আপনি যদি নিয়মিত রাত্রে ঘুমানোর আগে একটি করে ডিম খেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে
আপনার ভালো ঘুম হবে। কারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে।
মিষ্টি আলু নির্মিত খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা আপনার
ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে।
কাঠ বাদামে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার স্নায়ু ও পিসিকে সতেজ করে তুলতে
সহায়তা করে।
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। যা নিয়মিত খেলে আপনার
ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে দিনে ঘুম হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় তা জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে কোন ভিটামিনের
অভাবে দিনে ঘুম হয় এটি সম্পর্কেও জানতে হবে। সাধারণত ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে
ঘুমের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিটামিন বিবার ও সাহেতন্ত্রের স্বাভাবিক
কার্যকারিতা ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন এবং আমাদের মস্তিষ্কের শক্তি ও
স্বাস্থ্য উভয় স্থানের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে।
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আপনার শরীরে পরিমাণ ঘুম
কম হবে এবং আস্তে আস্তে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। অন্যদিকে আপনার শরীরে ভিটামিন বি
১২ এর অভাবের ফলে অ্যানিমিয়া এবং ট্রাইবিক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হবে।
পাশাপাশি যদি আপনার শরীরে এ ধরনের ভিটামিনের অভাবের ঘাটতি পরে তাহলে আপনার দিনের
বেলাতে অতিরিক্ত ঘুম হবে এবং রাত্রে বেলা ঘুম কম হবে। এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন
হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ বা খাবার খাওয়াতে
নিজেকে অভ্যস্ত গড়ে তুলুন।
কোন ওষুধ খেলে দ্রুত ঘুম আসে
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম হয় এটি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কি ধরনের ওষুধ খেলে
দ্রুত ঘুম আসে তা সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা অর্জন করতে হবে। আপনার শরীরে যদি ঘুমের
সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাছাড়া রাত্রি ঠিক ভাবে
ঘুম না হলে আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হবে।
সারাদিন ক্লান্ত শেষে প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা রাতে ঘুমানো খুবই
জরুরী। যদি এ পরিমান ঘুম না হয় সে ক্ষেত্রে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। আমাদের
জীবনকে যদি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে গড়ে তুলতে চাই তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিশ্রমের
পাশাপাশি ঘুম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটি না হলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ
সৃষ্টি হতে পারে।
কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলো আমরা চিকিৎসকের সাহায্যে পেয়ে থাকি। তবে আপনি যদি
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার আগে প্রাথমিক অবস্থা তার সাথে বিভিন্ন ধরনের খাবার
রয়েছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে তৈরি করার চেষ্টা করতে পারেন। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার
আগে অবশ্যই আপনাকে জিজ্ঞেসিকের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।
Lexyl
zopinal
Epinal
Pase
felfresh
Diazepam
ভালো ঘুমের জন্য করনীয়
আমরা প্রতিটি মানুষই চাই ভালোভাবে ঘুমোতে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোন
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। পাশাপাশি আপনাকে ভালো ঘুমের জন্য একটি আরামদায়ক
পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিদিন আপনাকে রুটিন অনুযায়ী শারীরিক ব্যায়াম করতে
হবে। এতে করেও ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে।
পাশাপাশি আপনাকে সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত রাত জাগা বা ফোন
টেপা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। আমাদের ঘুম কম হওয়ার কারণে একটি মানসিক চাপ এর
প্রভাব সৃষ্টি হয়। অবশ্যই আপনার মধ্যে যদি কোন মানসিক চাপে থেকে থাকে সে
ক্ষেত্রে সেটি পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে।
আপনি যেখানে ঘুমাবেন সেই বিছানাটি অবশ্যই আরামদায়কভাবে তৈরি করতে হবে। সেই সাথে
ঘরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ঘরের মধ্যে তো পরিমাণ আলো কমানো এবং
শান্ত একটি পরিবেশ তৈরি করে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। আপনি যে ঘরে ঘুমাবেন সেখানে
বিছানাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে প্রতিদিন গুছিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
এরপরেও যদি আপনার মধ্যে ঘুমের প্রভাব সৃষ্টি না হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ঘুমের ঔষধ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু
কোনভাবেই ঘুম কম হলে নিজেকে নিয়ে চিন্তিত না হয়ে চিকিৎসকের সাথে আপনাকে পরামর্শ
করতে হবে। কেননা আপনার ঘুম নিয়মিতভাবে কম হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে খুব কম হয় লেখক এর শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে কোন ভিটামিন এর অভাবে ঘুম কম হয় সে
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কি খাবার খেলে ঘুম কম হয়
,দিনে ঘুম বেশি হয় এবং প্রাথমিকভাবে ভিটামিনের ঘাটতি কিভাবে অনুভব করবেন। ভালো
ঘুমের জন্য করনীয় কি এবং কোন ওষুধ খেলে দ্রুত ঘুম আসে।
সে সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে বুঝানোর চেষ্টা
করেছি। আশাকরি আপনারা এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন কোন
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। আপনারা যদি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত বা ভালো
লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আর আমাকে যদি আপনাদের কিছুও বলার
থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আর এ ধরনের নিয়মিত পোস্ট পাওয়ার জন্য আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজ এ
পর্যন্ত আবারও কোন আর্টিকেল মাধ্যমে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব সে পর্যন্ত সকলে
ভালো থাকবেন।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url