ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে বানানোর নিয়ম

ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের এ ব্লগটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। সাধারণত আমরা সকলেই সচরাচর জলপাই বা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানিনা।

ত্বক-ও-চুলের-যত্নে-জলপাইয়ের-তেল-ব্যবহার
চুলে কিভাবে জলপাই এর তেল ব্যবহার করতে হয় এবং চুল পড়া রোধ করা থেকে রক্ষা করার উপায় সম্পর্কে। পাশাপাশি আরো জানতে পারবেন ত্বকে কিভাবে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করবেন এবং জলপাইয়ের তেল তৈরি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

পেজ সূচীপত্রঃ ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে বানানোর নিয়ম

ত্বকের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহারের গুনাগুন

ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার এর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজনীয়। নিয়মিত ত্বকের জলপাইয়ের তেল ব্যবহারে তক উজ্জ্বল ও নরম হয়। যেহেতু আমরা সকলে জলপাইয়ের তেল ভালোভাবে চিনি। সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান জলপাই থেকে তৈরি করা হয় জলপাইয়ের তেল। এটি আমরা রান্না কাজেও ব্যবহার করতে পারি।

জলপাইয়ের তেলে রয়েছে এমন কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবেও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। ত্বকের যত্নে জলপাইয়ের তেলের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলে অবগত নেই যার কারণে আমরা সহজে অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে চায় না। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে জলপাই তেলের গুনাগুন।

ত্বকের আদ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য জলপাইয়ের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। জলপাইয়ের তেলকে ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তেলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের পক্ষে সুরক্ষা করতে সহায়তা করে। এছাড়াও জলপাইয়ের তেলে ভিটামিন ই এবং পলিফেনাল থাকে যেটি আমাদের ত্বক সুরক্ষা রাখে।

সাধারণত আমরা খোলামেলা রোদ্রে চলাফেরা করি সে সময় ত্বক রোদে পুড়ে যায় আর এ পুরো ভাব দূর করতে জলপাইয়ের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনার ত্বকের মধ্যে ব্রণের সমস্যা থাকলে তা দূর করার জন্য নিয়মিত জলপাইত তেল ব্যবহার করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনার ত্বকে ব্রণ বা ছিদ্র থাকলে সে ক্ষেত্রে জলপাইয়ের ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

এছাড়াও আপনার ত্বকে ব্রণ হয়ে ব্রণের দাগ দূর করার জন্য জলপাইয়ের তেল বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া আপনি জলপাইয়ের তেল মেকআপের পরিবর্তে প্রাকৃতিক মেকআপ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন এতে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

জলপাই তেলের দাম

ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার এর নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলের সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। তার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে জল পেয়ে তেলের দাম সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত অন্যান্য তেলে তুলনায় জলপাইয়ে তেলের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি থাকে।

আমাদের বাংলাদেশের জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার সেই রকম নেই কিন্তু ইন্ডিয়াতে জলপাইয়ের তেলের রান্না জলপাই তেল ত্বকে ব্যবহার ও চুলের ব্যবহার সবকিছু তাড়া করে থাকে। বাংলাদেশের জলপাইয়ের তেল ২৫০ মিলি এর দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে আপনি পেতে পারেন।

আপনি যদি ৫০০ মিলি নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ১৩০০ থেকে ২০০০ এর মধ্যে নিতে হবে। এক লিটার জলপাই তেলের দাম সাধারণত ১৩০০ থেকে দু হাজার হয় এটা সবচাইতে ভালো মানের তেল। আপনি যদি পিওর জল পাই তেল ৫০০ মিলি নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে নিতে হবে।

এক লিটারের দাম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তাহলে বুঝতে পেরেছেন জলপাইয়ের তেলের নিয়ম অপকারভেদের উপর ভিত্তি করে এর দাম হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা জলপাইয়ের তেল শীতকালে ব্যবহার করে থাকি। আর কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা সাধারণত নিয়মিত ভাবে জলপাই তেল খাওয়াও চুলে ব্যবহার করে থাকেন।

জলপাইয়ের তেল চেনার উপায়

চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলপাই তেল চেনার ক্ষেত্রে আপনি কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই জল পায়ে তেল চিহ্নিত করতে সক্ষম হবেন। যেমন আপনি জলপাইয়ের তেল কিনে নিয়ে এসে ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজে রাখার দু'ঘণ্টা পর যদি জলপাই তেল সম্পূর্ণ বরফ বা লিকুইড থাকে। তাহলে এটি খাঁটি জলপাই তেল নয়।

সাধারণত খাঁটি জলপাইয়ের তেল সবসময় হালকা লিকুইড বা কিছুটা পরে জমে যাওয়ার আকৃতি ধারণ করে এ থেকে বোঝা যায় যে এটি অরজিনাল জলপাইয়ের তেল। এছাড়াও যদি দেখেন এটি হালকা জমে গেছে অথবা ঘন আকৃতি ধারণ করেছে তবে আপনি বুঝে নিবেন যে এটা আসল জলপাই তেল।

সচরাচর আমরা যে জলপাই তেল হিসেবে কিনে থাকি এটা কিছুটা মিস দেওয়া থাকে। কারণ আমরা শীতকাল সময়ে সামান্য পরিমাণ কিছু জলপাইয়েতে নিয়ে থাকি ত্বকে ব্যবহার করার জন্য যাতে করে আমাদের ত্বক হেঁটে না যায়। জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে ত্বক সাধারণত নরম ও মুসলিম থাকে সেজন্য শীতকালে জলপাইয়ে তেলের ব্যবহার অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যায়।

কোন ধরনের তেল কে খাঁটি জলপাইয়ের তেল বলা হয়

সাধারণত কয়েক প্রকার জলপাইয়ের তেল রয়েছে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে। এবং সেই সাথে আপনাকে খাঁটি জল পায়ে তেল চিহ্নিত করতে হবে। সবচাইতে উৎকৃষ্ট এবং খাঁটি তেল হচ্ছে একটা ভার্জিন জলপাইয়ের তেল।

খাঁটি-জলপাইয়ের-তেল

আমরা সাধারণত সচরাচর যে জলপাই তেল গুলো ব্যবহার করে থাকে সেগুলোতে কিছু কেমিক্যাল যোগ করা থাকে। যার কারণে তেল ব্যবহার করাটা সময় একটি ঘ্রাণ বের হয়। এক্সট্রা ভার্জিন জলপাইয়ের তেলের কিছু উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়।

আরও পড়ুনঃ ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত 

জলপাইয়ের তেলে কিছু জেনেটিক স্বাস্থ্য এবং আয়ুষ্কালের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা আমাদের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অপরদিকে খাঁটি জলপাইয়ে তেলে কিছু তাজা গন্ধ বের হয়। সাধারণত আমরা সব সময় কাঁচা জলপাই খাই এই কাঁচা জল পায়ে যেরকম ঘ্রাণ থাকে ঠিক তেমনি তেলে খান পাওয়া গেলে ধরে নিতে হবে এটি খাঁটি জলপাইয়ের তেল।

নবজাতকের মুখে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার

আমরা সচরাচর শিশুদের শরীরে তেল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের অনেকেরই ধারণা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়। যদিও এটি ধারণা করা হয় কিন্তু এটি আসলেই সত্য। তো চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আপনার নবজাতক জন্মগ্রহণের পরপরই জল পেতে তেল ব্যবহার করা উচিত না।

সাধারণত সদ্য শিশুর জন্ম নেওয়ার ১৫ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো ধরনের তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। তারপর ১৫ দিন বয়স হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে আপনি শিশুর ত্বক অনুযায়ী জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে শিশুর শারীরিক অবস্থার কিরকম ধরনের আছে।

তবে এ সময় শিশুর ত্বকে জলপাই তেল ব্যবহার করার সময় অবশ্যই আপনাকে তেলটি দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে হবে। এর বেশি ত্বকের ভিতর ব্যবহার করলে শিশুর শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আপনি জলপাইয়ের তেলের পরিবর্তে নারকেল তেল নবজাতকের শরীরে ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার

ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। কেননা জলপাইয়ের তেল ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। মাথার ত্বকে ময়েশ্চারাইজড করার জন্য জলপাইয়ের তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি আমাদের চুলের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে জলপাই তেলের মধ্যে। 

যা আমাদের চুলের সঠিক পুষ্টি ও কন্ডিশনার কাজ করে থাকে। অনেক সময় রোদ্রের বা অনেক ধুলাবালি পড়ে চুল রুক্ষ ও কর করে হয়ে পড়ে। আর এগুলো দূর করার জন্য নিয়মিত জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করলে চুল আরও নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে। জলপাইয়ের তেল চুলে ব্যবহার করার জন্য চুল তাড়াতাড়ি লম্বা ও সুন্দর হয়ে ওঠে।

আপনি যদি নিয়মিত তেল ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে এবং পাশাপাশি আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে। চুল ঝলমলে কালো উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। অনেকেই জলপাই তেল ও নারকেল তেল একসঙ্গে মিস করে নিয়মিত চুলে ব্যবহার করেন। এভাবে ব্যবহার করেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

শিশুর মাথায় তেল ব্যবহার করা যাবে কি

সাধারণত আমরা জলপাই তেলের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না সে কারণে আমাদেরকে ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ধারণা নিতে হবে। আপনার শিশুর চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এক্সট্রা ভার্জিন জলপাই তেলের সঙ্গে দের কাপ আমলকি থেতা করে ফুটিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা

এক্ষেত্রে দ্রুত চুল বৃদ্ধি পায় এবং কালো ঘন হয়। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনি এক কাপ কাঁচা আমলকি তাতা করে সামান্য পরিমাণ একটা ভার্জিন জলপাইয়ের সঙ্গে একসাথে নিয়ে কিছুটা হালকা কাপে আগুনে ফুটিয়ে তারপরে সেগুলো কখনো ছাকনার মাধ্যমে থেকে নিন।

এভাবে আপনি বোতলে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শিশুর চুল দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য এবং গোড়া থেকে মজবুত করে গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত এভাবে তেল তৈরি করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নি ভালোভাবে মাথায় মেসেজ করে দিয়েন। তবে এভাবে তেল ব্যবহার করার পর আপনার শিশু শ্যাম্পু করে নেবেন।

জলপাইয়ের তেল ও ডিমের হেয়ার মাক্স তৈরি

আমরা জানি ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে হয়। সেজন্য আরো ফলাফল ভালো পাবার জন্য আপনি ডিমের সাথে জলপাইয়ের তেল মিক্সড করে হেয়ার ম্যাক্স তৈরি করতে পারেন। ডিমের ভিটামিন বি রয়েছে যা আমাদের চুলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

এটি তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বড় আকৃতির ডিম নিতে হবে। এরপর তিনটি ফাটিয়ে একটি পাত্রে নিয়ে এর মধ্যে দুই চা চামচ জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিন। এই দুই উপকরণ ভালোভাবে মিস করার জন্য একটি চামচের সাহায্যে কিছুক্ষণ ধরে নাড়তে থাকুন।

জলপাইয়ের-তেল-ও-ডিমের-হেয়ার-মাক্স-তৈরি

কিছুক্ষণ পরে দুইটি উপকরণ একসাথে মিশে গেলে একটি ঘন আকৃতি ধারণ করবে। এরপর এটিএ আপনি ব্রাশ এর সাহায্যে বা হাতের মাধ্যমে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিন। লাগিয়ে নেয়ার প্রায় এক ঘন্টা ধরে আপনাকে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে এবং এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। আরো ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এভাবে ব্যবহার করুন।

ছেলেদের মাথায় তেল দেওয়ার নিয়ম

ছেলেদের মাথার চুলের তুলনায় মেয়েদের মাথার চুল লম্বা ও ঘন হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ত্বকে ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ছেলেদের মাথায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করার জন্য আগে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুলগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

যেহেতু ছেলেদের মাথার চুল সাধারণত ছোট ছোট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার পর ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিয়ে। চুলগুলো সুন্দরভাবে আঁচড়িয়ে নিতে হবে। এরপর দুহাতের মাধ্যমে সুন্দরভাবে তেলগুলো চুলের গোড়ায় গোড়ায় মেসেজ করে নিতে হবে তবে অনেক ক্ষেত্রে পানিচুলে থাকলে এভাবে তেল প্রয়োগ করলে চুলের গোড়া ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে মাথাতে তেল ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে শুকনো কাপড়ের মাধ্যমে পানিগুলো ছড়িয়ে বা মুছে নিতে হবে। এভাবে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। অবশ্যই আপনাকে চুলের যত্ন করার জন্য সঠিক তেল নির্বাচন করতে হবে।

জলপাইয়ের তেল বানানোর নিয়ম

যেহেতু আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাই তেল ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমরা বাজার থেকে খাঁটি মানের জলপাই তেল নাও পেতে পারি। যেহেতু জলপায়ের তেলে প্রচুর গুনাগুন রয়েছে। সেজন্য সেগুলো বাজার থেকে না কিনে আমরা বাসাতে ঘরোয়া ভাবে জলপাইয়ের তেল সহজে তৈরি করতে পারি। সে ক্ষেত্রে সবুজ কিংবা কালো যে কোনো জলপাই থেকে তেল তৈরি করা যায়।

প্রথমে আপনাকে জলপাই তেল তৈরি করার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে শাঁস গুলো কেটে নিয়ে বিছিয়ে আলাদা করে ফেলতে হবে। এরপর জলপাই থেকে কাটা শালগুলো ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডার পাঠাতে বেটে নিন। ব্লেন্ড করার সময় অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে এগুলো যেন একদম পেস্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা 

এরপর চুলায় একটি কড়াই দিয়ে এর মধ্যে ব্লেন্ড করা জলপাইয়ের অংশগুলো দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। নাড়ার পর দেখবেন তেলগুলো উপরের দিকে উঠে আসবে। এ সময় চুলার জ্বাল একদম হালকা তাপে রাখুন। তেল উপরে চলে আসলে কড়াইটা নামিয়ে নিয়ে যেকোন ো পাতলা সুতি কাপড় বা ছাকনাস সহজে জলপাইয়ের তেল গুলো উপর থেকে নিন এবং যেকোনো বইম বা কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।

লেখক এর শেষ মন্তব্যঃ ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে বানানোর নিয়ম

ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে আমি যথেষ্ট পরিমাণ ওপরে আলোচনা করেছি কিভাবে জলপাইয়ের তেল তৈরি করতে হয় কিভাবে ত্বকে ব্যবহার করা যায় এবং পাশাপাশি ছেলেদের ত্বকে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি। এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জলপাই তেলের দাম সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।

আশা করি আপনারা তেল ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আমি আরো উল্লেখ করেছি কিভাবে জলপাইয়ের তেল বাসাতে ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা যায়। পাশাপাশি শিশুদের ত্বকে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার ও নবজাতকের চুল দ্রুত বৃদ্ধির জন্য জলপাই তেলের ভূমিকা। আমি মনে করি এই ব্লকের মাধ্যমে আপনারা তপও চুলের যত্নে জলপাই তেল ব্যবহার সম্পর্কে জানতে ও উপকৃত হবেন।
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আর হ্যাঁ মানুষ মাত্রই ভুল যদি বানানে কোন ভুল ত্রুটি বা কোন প্রকার ভুল শব্দ করে থাকি সে ক্ষেত্রে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আর এই ধরনের পোস্ট পাওয়ার জন্য নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং পাশে থাকুন। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। সকলে ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url