ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকেরে আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে পাইলস কি এবং এর লক্ষণ সমূহ। তার পাশাপাশি কি কারনে পাইলস হয় এবং এর চিকিৎসা কি।

ঘরোয়া-ভাবে-পাইলস-থেকে-চিরতরে-মুক্তি-পাওয়ার -উপায়

আরো জানতে পারবেন ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে ও পাইলসে হোমিও চিকিৎসা কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়তে হবে।

পেজ সূচীপত্রঃ ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

পাইলসের সংজ্ঞা বিস্তারিত

ঘরোয়া ভাবে পায়েল থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই বিস্তারিত জানা ভালো। যেন না পাইলস এমন একটি রোগ যা বর্তমানে সকলের কাছে পরিচিত। সাধারণত আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে কষ্ট কাঠিন্যর রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পাইলস বলতে সাধারণত পায়খানার রাস্তায় বা মলদ্বারে রক্তনালির ফুলে ওঠা ভাবকে বোঝানো হয়। এটি সাধারণত আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোন ভারী বস্তু উত্তোলন করলে এবং আপনি সবসময় দীর্ঘ দিন যাবত বসে থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সকল মানুষ পাইলস নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। পাইলস সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। যথা-

  1. অভ্যন্তরীণ পাইলস
  2. বাহ্যিক পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলসঃ সাধারণত পায়খানার রাস্তায় বা মলদ্বারের ভেতরে এই ধরনের পাইলস হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যথা কম হয় এবং মলত্যাগের সময় রক্তপাত হয়ে থাকে।

বাহ্যিক পাইলসঃ আপনার মলদ্বারে চারপাশ ঘেরে যে পাইলস হয় এবং তুলনামূলকভাবে প্রচণ্ড ব্যথা করে। সাধারণত এ ধরনের পাইলস কে বাহ্যিক পাইলস বলা হয়ে থাকে।

পাইলস হওয়ার কারণ

বর্তমানে প্রায় কম বেশি মানুষ পাইলস নামক রোগে দিন দিন আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে পাইলস নামক রোগটি এখন প্রতিটি মানুষের কাছে প্রায় পরিচিত রোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পাইলস হওয়ার কিছু মূল কারণ রয়েছে। সেজন্য আপনি ঘরোয়া ভাবে পায়েল থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সচেতন হন।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক যে সকল কারণে পাইলস লোক হয়ে থাকে তার সম্পর্কে-

  • সাধারণত আপনি দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যতেম আক্রান্ত থাকলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আবার আপনার যদি বার্ধক্য জনিত কোন কারণ থাকে সেক্ষেত্রে ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • ঘন ঘন ডায়রিয়া হলে
  • আপনি টয়লেটে যে দীর্ঘ সময় বসে থাকলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আবার যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন
  • বা আপনার বংশে পারিবারিকভাবে এর রোগ থাকলে
  • সাধারণত আঁশযুক্ত খাবার কম খেলে পাইলস হয়।
  • অতিরিক্ত ভারী জিনিসপত্র বহন করলে
  • আপনি নিয়মিত কাইক শ্রম কম করা
  • গর্ভকালীন সময়ে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
  • আপনার যদি যকৃত বা লিভারে কোন সমস্যা থাকে
উপরোক্ত যে কোনো সমস্যার কারণে আপনার মলদ্বারে ফাইলস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে এবং চলতে হবে।

পাইলস রোগের লক্ষণ সমূহ

সাধারণত রোগের লক্ষণ যেগুলো দেখা দেয় সেগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষ বর্তমানে সচেতন রয়েছেন। এ সময় পাইলস হলে আপনার পায়খানা তার বা মলদ্বারের সাধারণত ব্যাথা অনুভব হবে এবং অস্বস্তিকর বোধ মনে হবে। পাশাপাশি আপনার মলদ্বার বা পায়খানা দ্বার বসলে ব্যথা করবে, চুলকাবে এবং পায়খানার সঙ্গে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আবার অন্যভাবে পায়খানা করার পর টিস্যু ব্যবহার করলে টিস্যুর সাথে তাজা রক্ত দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি আপনার মলদ্বার খোকা থোকা ভাবে ফুলে ফুলে উঠবে। যন্ত্রণা দিগুণ হওয়া সম্ভবনা থাকবে। ছোট বাচ্চারা সাধারণত পাইলস রোগে আক্রান্ত হলে তারা সহজে তাদের সমস্যা প্রকাশ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত ঘটে।

নিম্নলিখিত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
  • যদি আপনার চুলকানি বা ব্যথা অনুভব হয়
  • মলত্যাগের পর প্রচন্ড পরিমাণে রক্তপাত ঘটে
  • মলদ্বারের চারপাশে একটি সরু শক্ত অংশ ফুলে ওঠা।
  • অনেক সময় আপনি যখন মলত্যাগ করবেন সে সময় অতিরিক্ত চাপ বা জ্বালা হওয়ার কারণ
  • আপনি যখন মালদা করবেন ব্যাথাহীনভাবে রক্তপাত ঘটলে
  • বসার সময় আপনি মলদ্বারে ব্যথা অনুভব বা অস্বস্তি করব মনে করলে
  • মলদ্বারে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ ঘটলে
আশা করি আপনারা ফাইলস রোগের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। উপরোক্ত লক্ষণ সমূহগুলো দেখা দিলে দূরত্ব নিকটবর্তী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে দূরত্ব টাইলস থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন রোগকে অবহেলা করা উচিত নয়। এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

সাধারণত পাইলস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যাদের আছে

বর্তমানে বহু সংখ্যক মানুষ সহজে পাইলস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আপনি ইচ্ছে করলে ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সহজে এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। পায়েল সাধারণত সব ধরনের বয়সের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর কিছু কারণও রয়েছে।

সাধারণত যারা দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত রয়েছে। সচারচর ডায়রিয়া রোগ হওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খুব সহজেই পাইলস রোগ হয়ে থাকে। আপনি যদি বুঝতে না পারেন যে আপনার পাইলস রোগ হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনি ভাল একজন জিজ্ঞেস কে তারা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পারেন।

পাইলস-রোগে-আক্রান্ত-হওয়ার-সম্ভাবনা

সেজন্য আপনাকে অবশ্যই কোন পাইলস ও বায়ুপথ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বর্তমানে আমরা পায়েস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের মাধ্যমে আলোচনা সাপেক্ষে অপারেশনে আগ্রহী হয়ে উঠি। যা বর্তমানে অপারেশন করার পরও সমাধান পাচ্ছেন না। সেজন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

পাইলস রোগের জটিলতা বৃদ্ধি

আপনি যদি পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অপারেশন না করে ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করুন। কেননা বর্তমানে অনেক চিকিৎসা করার মাধ্যমে পাইলস রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে আপনার পাইলস হয়েছে এটা জানার পরও যদি আপনি চিকিৎসা না করেন।
তাহলে এর জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই জটিলতা গুলো আপনাকে নিজস্বভাবে প্রতিরোধ করতে হবে এজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ সকল জটিলতার মধ্যে রয়েছে থ্রম্বোসিস। এর ফলে আপনার বাহ্যিক পাইলস গুলোর রক্ত জমাট বাঁধতে পারে এবং প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আপনার মলদ্বার ফোলা ভাব ও প্রদাহ আরো বেড়ে যায় এবং পাশাপাশি উপসর্গগুলি উপশম করতে শুরু করে। এমন অবস্থায় জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা নিতে হয়। অন্য দেখে পাইলস হওয়ার কারণে রক্তপাত হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যখন মলত্যাগ করে উঠে আসবেন ঠিক সে সময় রক্তপাত হতে পারে।

এভাবে দীর্ঘদিন যাব যদি আপনার রক্তপাত ঘটে থাকে সে ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা হওয়ার ঝুঁকি রয়। কিছু ক্ষেত্রে আপনি যদি পারিস তারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে মলদ্বারের বাইরে একটি সরু নল আকৃতির অস্থি বের হয়। এটির যন্ত্রণা তুলনামূলকভাবে অত্যাধিক ও জ্বালা এবং অস্বস্তি কর হয়। এমন সময় তৎক্ষণিকভাবে আপনার অপারেশনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্তপাত ঘটে সেক্ষেত্রে আপনার চুলকানির উপসর্গ পাশাপাশি জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় আপনার জীবনযাত্রার মানও অবনতির দিকে এগোতে থাকবে। প্রচন্ড পরিমাণে পাইলসের যন্ত্রণা অনুভব করলে অনেক সময় আপনার শ্বাসকষ্ট হয় এবং রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এমন অবস্থায় আপনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়বেন। 

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। অনেক সময় মলদ্বারে ঘামাচি মনে করে সেগুলো আপনি ঘষা দিলে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে এটি লালবাবা ও ফুলে উঠে যার কারণে পুচ নিষ্কাশনের মতন লক্ষণ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আপনার শরীরের আয়রন ঘটিত কারণে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়।

এর কারনে আপনার অ্যানিমিয়া অনুভব সাথে সাথে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আপনার শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। আশা করি আপনারা পাইলসের জটিলতা সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে ও জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা পাইলস গ্রুপ কে অবহেলা করবেন না। যদি আপনার মধ্যে কোন পাইলসের লক্ষণ দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিন।

পাইলস রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে

সাধারণত আমরা পায়ুদ্বারে কোন সমস্যা হলে ঘাবড়িয়ে পড়ি। এমন অবস্থায় সকলের ঠান্ডা মস্তিষ্কে সচেতনতা অবলম্বন করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। আবার আমরা অনেকেই লজ্জাবোধ করে চিকিৎসা সম্পর্কে জানার জন্য কারো সাথে আলোচনা করতে চায়না। যার ফলে এটি মারাত্মক আকৃতি ধারণ করে। এমন রোগে আক্রান্ত হলে যত দূরত্ব সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

কারণ আমরা এটা জানি না যে পাইলস রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় এটি মলম ইঞ্জেকশন বা রাবার ব্যান্ড লাইগেশনের সহায় তাই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর আপনি যদি অসুখের মাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়ার পর চিকিৎসকের কাছে যে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অপারেশন করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

সেজন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে পাইলস রোগের কোন লক্ষণ দেখা দিলে সোজাসুজি চিকিৎসকের মাধ্যমে রোগ চিহ্নিত করে চিকিৎসা নিতে হবে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হবে। এটা আপনার নাকি মনে রাখতে হবে যে কোন অসুখ নিজের মধ্যে চাপিয়ে রাখলে কখনো ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এতে করে আরো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যার কারণে অবশ্যই আপনি কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই এই চিকিৎসকের বা যারা শিক্ষিত রয়েছেন তাদের সাথে আলোচনা করুন। এতে করে আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করতে সক্ষম হবেন। তার সাথে সাথে আপনার লাইফ ।স্টাইল কেউ বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত কফি, চা, ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে ফাইবার যুক্ত ও আয়রন যুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়ায় অভ্যস্ত হতে হবে। অন্যদিকে অবশ্যই আপনাকে এ নিয়মিত ভাবে সবুজ শাকসবজি খাওয়ার প্রতি বেশি আগ্রহী হতে হবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আমি জাতীয় খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

প্রতিদিন আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে বিশেষ করে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি নিয়ম করে খাওয়াই অভ্যাস তো হতে হবে। দৈনিক আপনাকে ৩০ মিনিট করে হাটাহাটি করা লাগবে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তার পাশাপাশি অবশ্যই ভারী জিনিস চারা থেকে বিরত থাকবেন।

পাইলসের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং পায়ের শুকিয়ে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া বিভিন্ন চিকিৎসা একটি বিশেষ দ্রবণ পাইলসের ভিতরে প্রবেশ করান যার কারণে পাইলসের আকার ছোট হয়ে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

অনেক সময় তাপ ব্যবহারের ফলে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ তার রোগের ক্ষেত্রে পাইলসের অংশগুলো শুকনো হয়ে পড়ে যায়। এছাড়াও সার্জারি করার মাধ্যমে পাইলস রোগ এ চিকিৎসা করে থাকেন চিকিৎসকেরা। সার্জারি করার মাধ্যমে পাইলসের পুরো অংশটি কেটে ফেলা হয়। এটি সাধারণ পদ্ধতি।

পাইলস রোগের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ

সাধারণত পাইলস রোগে আক্রান্ত হলে আমরা চিন্তিত ও ভয় পেয়ে যায়। পাইলস রোগ থেকে প্রতিরোধের জন্য কিছু সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে। যেগুলো আমাদের জানা খুবই প্রয়োজনীয়। কেননা এগুলোর মাধ্যমে আমরা খুব সহজে পাইলস রোগের সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।

পাইলস-রোগের-জন্য-প্রতিরোধমূলক-ব্যবস্থা

সে সাথে অবশ্যই আমাদেরকে ঘরোয়া ভাবে পায়ের থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পাইলস রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে-
  • আপনাকে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার রাখতে হবে। যে সকল ফল ও সবজি রয়েছে যা খেলে প্রচুর পরিমাণে শরীরে ফাইবার উৎপন্ন হয় সেগুলো খেতে হবে। যেমন সবজি, ওটস এবং বিভিন্ন ধরনের শস্য। যেগুলো আপনার পায়খানা নরম করতে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ভূমিকা পালন করে।
  • আপনাকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ক্লাস পানি নিয়মিত পান করতে হবে। কারণ আমরা যদি নিয়মিত বেশি বেশি পানি খায় সে ক্ষেত্রে পায়খানা করার সময় মন নরম ও সহজে করা যায়।
  • আপনাকে নিয়মিত দীর্ঘ সময় হাটাহাটি করতে হবে। সাথে আপনি যদি পুকুরে গোসল করেন সেক্ষেত্রে নিয়মিত সাঁতার কাটা বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করেও আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আমরা অনেক সময় নড়াচড়া করতে চায়না। এটি আসলে সকলের জন্য বদ অভ্যাস। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৫-১০  মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়াবেন তারপর পুনরায় আবার বুঝতে পারেন।
  • এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা মলত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে পায়খানা করে থাকে। এমন সময় রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনারা যতটুক পারেন চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবেন।
  • সাথে সাথে আপনার মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর সবজি ও খাবার খাওয়ায় অভ্যস্ত গড়ে তুলতে হবে।
  • ঘুমাতে হবে এতে করে আপনার শরীর অসুস্থ থাকবে এবং পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
  • আপনি যদি নিয়মিত পেন্টি ব্যবহার করাতে অভ্যস্ত থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুতি কাপড়ের প্যান্টি ব্যবহার করবেন যাতে করে আপনার মলত্যাগের চাপ বেশি না পড়ে।
  • এছাড়াও আপনাকে নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে আপনার পাইলস রোগ সম্পর্কে চিকিৎসা নিতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আশা করি আপনারা পায়ের রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে বুঝতে ও যাতে সক্ষম হয়েছেন।

পাইলস রোগে ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবস্থা

পাইলস রোগের জন্য আমি কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনা করে জানাবো। আমরা সহজেই একটি রোগে আক্রান্ত হলে নার্ভাস ফিল করি। এতে করে রোগ আরো সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আপনাকে ঘরোয়াভাবে পায়েলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে।

চলুন জেনে নিই ঘরোয়া ভাবে পাইলস রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে-
  1. প্রথমত আপনি যদি পাইলস রোগে আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে গরম পানির মাধ্যমে গোসল করতে পারেন নিয়মিত। এতে করে আপনার পাইলসের ব্যথা কমাতেও আরাম পেতে সহায়তা করবে। আপনি চেষ্টা করুন ২০ থেকে ২৫ মিনিট এই গরম পানির মধ্যে বসে থাকতে।
  2. পাশাপাশি এলোভেরা জেল পায়েসের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যার জন্য আপনি আক্রান্ত স্থানে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
  3. আপনি নিয়মিত ইউসালফার চা খাওয়াতে অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ এই চা আপনাকে পাইলস থেকে আরাম প্রদান করবে। পাশাপাশি প্রদাহ কমাতে ও রক্ত সঞ্চালনে ভূমিকা রাখে।
  4. আপনি বাটারমিল্ক খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারেন।
  5. বেশি ফাইবার যক্ত খাবার খেতে হবে এবং পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  6. আপনি মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন এবং অধিক সময় পায় খনায় বসে থাকবেন না।
  7. আপনি অতিরিক্ত গরম খাবারের খাবেন না। চেষ্টা করবেন খাবার ঠান্ডা করে খাওয়ার।এতে করে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
  8. আপনি নিয়মিত ব্যায়ম করবেন এবং আপনার বাসার পাশের পুকুরে সাঁতার কাটুন। এতে করে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
  9. নিজেকে সব সময় মানসিক টেনশন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।
  10. অতিরিক্ত চাপ ছাড়া মলত্যাগ করার চেষ্টা করবেন।
  11. এছাড়াও অতিরিক্ত তেল ও মসলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  12. নিয়মিত আদা ও কাঁচাহলুদ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

পাইলসের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা 

আপনি যদি পাইলস রেগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে পারেন। পাইল সর জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা খুবই কার্যকরী। এছাড়া আপনি ইস্কিউলাস নামক একটি ওয়্যালমেন্ট রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন। তবে পাইলস আমাদের জন্য খুব কষ্টদায়ক ও অস্বস্তিকর।
তবুও আপনি সঠিক চিকিৎসা নিয়ে চিরতরে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে সেজন্য অবশ্যই আপনাকে সচেতন হতে হবে। আপনার মধ্যে পাইলস রোগের লক্ষ্মণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসক বা যারা রোগ সম্পর্কে বলতে পারবে তাদের সাথে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করতে হবে।সাথে সাথে ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

আর আপনি যদি চেপে থাকেন সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সঠিক পাবেন না। আর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসককে সব সম্পূর্ণ বলতে হবে। কেননা হোমিও ওষুধ আপনার বলার ওপর দিয়ে থাকবে। তার জন্য যদি আপনি সঠিক ভাবে না বলতে পারেন তাহলে সঠিক চিকিৎসা ও পাবেন না। আর পাইলস এর জন্য হোমিও ওষুধ খুব ভালো কাজ করে।

শেষ কথাঃ ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমি পুরো আর্টিকেলটিতে ব্যাখ্যা করেছি। পাইলস কি এবং কি কারণে হয়। কারা এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ও প্রতিরোধমলক ব্যবস্থা। পাইলস রোগের জটিলতা, চিকিৎসা, ঘরোয়া চিকিৎসা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সকলকে বুঝতে পেরেছেন এবং উপকৃত হবেন।বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

মানুষমাত্রই ভুল, যদি কোন রকম বানান বা ভুল বাক্য ব্যবহার করে থাকি। সেক্ষেত্রে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন। এ ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।আজ এপর্যন্ত আবারও উপস্থিত হবো অন্য কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ,,,,।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url