১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনারা অনেকে ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা অনেকে প্রবাসে যেতে চাই।তাই তাদের জন্য জানা জরুরি ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে।
তার সাথে পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ এবং আবেদনের নিয়ম।জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন ও ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে সে সম্পর্কে জানতে ব্লগটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন।
পেজ সূচীপত্রঃ ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন
- ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- শিশুদের জন্য ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- ১৮ বছরের ওপরে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- সরকারি চাকরিজীবিদের ই পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজ লাগে
- ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- ১০বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
- ই পাসপোর্ট টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
- বিকাশের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা
- ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- লেখকের মন্তব্যঃ ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বিস্তারিত জানুন। আগে এক সময় ছিল পাসপোর্ট তৈরি করা খুবই কষ্টকর। কিন্তু আপনি এখন ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোন ঘুষ বা দালালের হাতে পড়বেন না। আপনি যদি বিদেশে যেতে চান এবং বিদেশে যাবার জন্য পাসপোর্ট লাগবেই।
তাই আর দেরি না করে আজকেই একটি ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে আবেদন করে নিন। তাহলে চলুন জেনে নিই ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। পাসপোর্ট করতে মূলত আপনার বয়স ও পেশার ওপর নির্ভর করবে। তাহলে জেনে নিন বয়স ও পেশার ওপর নির্ভর করে কি কি লাগে।
আরও পড়ুনঃ মুদ্রাস্ফীতি কি? মুদ্রাস্ফীতির কারণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় সমূহ
সাধারণত পাসপোর্ট করতে আপনার ভোটার কার্ডের ফটোকপি। আর আপনার ভোটার কার্ডের ফটোকপি না থাকলে বা ভোটার না হলে সেক্ষেত্রে জম্মনিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি দিবেন। আবেদন ফরম এবং এর চালানের ফটোকপি। সচরাচর এগুলো সবার জন্য লাগে। একটি খুব সাধারণ বিষয়। এবার জানুন বয়স ও পেশার ওপর নির্ভর করে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া।
শিশুদের জন্য ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
আপনি আমি সবাই জানি শিশু কাকে বলে। তবুও বলি ১৮ বছরের নিচে তাদের শিশু বলে। আর এমন সময় কিছু কাগজের ব্যবধান থাকে সব ক্ষেত্রে। জেনে নিই কি কি লাগে।
- অনলাইনে আবেদন পত্রের ফরম জমা দিবেন
- শিশুদের অনলাইন কপি জম্মনিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি
- পিতা -মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- আপনি আবেদন করার সময় যে চালান ব্যবহার করবেন তার একটি কপি
১৮ বছরের ওপরে ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- আপনার পাসপোর্ট করার আবেদন ফরম
- আপনার ভোটার কার্ডের ফটোকপি
- আপনার একটি চারিত্রিক বা নাগরিক সনদপত্র
- আপনি আবেদন ফি পরিশোধ করেছেন সেই চালানের ফটোকপি
- আপনার বাসার গ্যাস/ বিদ্যুৎ / পানি বিলের ফটোকপি
- আপনি যদি বিবাহিত হন সেক্ষেত্রে কাবিন নমার ফটোকপি
সরকারি চাকরিজীবিদের ই পাসপোর্ট করতে যে সকল কাগজ লাগে
- পাসপোর্ট আবেদন ফরম
- আপনার এনআইডির ফটোকপি
- পানি বা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ
- বিবাহিত হলে কাবিননামা
- নাগরিক সনদপত্র বা চারিত্রিক সনদপত্র
- NOC বা GO
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- রেগুলার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে - ৫৭৫০ টাকা
- জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে - ৮০৫০ টাকা
- অতিব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনের মধ্যে - ১০৩৫০ টাকা
- রেগুলার পাসপোর্ট ১৫ দিনের ভিতর - ৮০৫০টাকা
- জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনের ভিতর - ১০৩৫০টাকা
- অতিব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনের ভিতর - ১৩৮০০টাকা
১০বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে হবে। সকল কাগজ নিয়ে আপনি অনলাইন বা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে আপনি আপনার আশেপাশের যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে করে নিতে পারবেন।
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য : https// www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইট প্রবেশ করলেই একটি আবেদন ফরম পাবেন। এরপর আপনাকে Apply online এ চাপ দিলে যে ফরম আসবে তা পূরণ করতে হবে। অবশ্যই আপনার সকল ডকুমেন্ট সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায়
তারপর টাকা জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক এর সিরিয়াল নিতে হবে। আপনার বায়োমেট্রিক সকল তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে পাসপোর্ট ডেলিভারির স্লিপটা সংগ্রহ করে নিন। এরপর অপেক্ষা করতে হবে। আশা আপনারা এখন খুব সহজে ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ৫ টি ব্যাংকের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট করার ফি জমা দিতে পারি। আপনাকে ব্যাংক চালান ফরম পূরণ করে টাকা জমা দিতে হবে। আমাদের দেশে ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি টাকা জমা দিতে পারেন।
আপনি যখন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাবেন তখন আবেদন তথ্য ও যে পরিমাণ টাকা লাগবে তা সাথে নিয়ে যাবেন। এরপর ব্যাংকে প্রবেশ করে যেখানে টাকা জমা নেয় সেখানে টাকা জমা ফরম নিয়ে পূরণ করে নগদ ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিয়ে আপনার চালান ফরমের অংশ তাদের কাছ থেকে নিয়ে সংগ্রহ করুন।
কারণ আপনি যখন ই পাসপোর্ট এর জন্য ছবি ও ফিঙ্গারপ্রন্ট দিতে যাবেন সে সময় এই চালানের কপি আপনার সাথে নিতে হবে। তাহলে বুঝতে পারছেন এর মূল্য কতটুকু। অতএব সব কিছু আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে টাকা জমা ও চালান কপি সম্পর্কে।
বিকাশের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা
আপনি যদি মনে করেন ই পাসপোর্ট এর টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন তাও করতে পারবেন। সেজন্য আপনি যখন অনলাইনে আবেদন করবেন তখনই আপনাকে অনলাইন পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করতে হবে এবং ঐ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে আপনি পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন।
এছাড়া এখন আমরা জমির খাজনা ও বিকাশে পেমেন্ট করতে পারি। পাশাপাশি পাসপোর্ট, এনআইডি, জম্মনিবন্ধন ফি জমা,ভ্রমণ কর, ব্যাক্তিগত আয়কর ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি সহ প্রায় ১৩০ টির ও বেশি সরকারি টাকা আপনি বিকাশে ঘরে বসে পেমেন্ট করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা
৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
সাধারণত ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে বাংলাদেশে প্রতি বছর কম বেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট এর ৪৮ পৃষ্ঠার আবেদন করতে চান রেগুলারের ক্ষেত্রে ৪০২৫ টাকা লাগবে। আর আপনি যদি ৪৮পৃষ্ঠার জরুরি পাসপোর্ট ৭ কর্মদিবস এর আবেদন করতে চান সেজন্য আপনাকে ৬৩২৫ টাকা প্রদান করা লাগবে।
২ দিনের মধ্যে চাইলে ৮৬২৫ টাকা দিতে হবে। এখন আপনি যদি ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে চান সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের মধ্যে ৬৩২৫ টাকা, ৭ দিনের মধ্যে চাইলে ৮৩২৫ টাকা এবং আপনি যদি চান ২ দিনের মধ্যে তাহলে ১২০৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে। আশা করি আপনারা ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট আবেদন করার ফি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্যঃ ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন
১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আমি আমার সাধ্য মতো ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে আবেদন করতে ও টাকা জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট এর প্রকারভেদ এবং কি পরিমাণ টাকা লাগে। পাশাপাশি ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কেমন খরচ হয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
আশা রাখি আপনারা বুঝতে এবং উপকৃত হবেন। মানুষ মাত্রই ভুল। পোস্টের মধ্যে কোন বানান বা বাক্য ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর পোস্টটি পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন তাদেরকেও উপকৃত হওয়ার ও জানার সুযোগ করে দিন। এধরণের পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url