পানি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পানিফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের মধ্যেও অনেকেই সঠিকভাবে জানিনা। যার ফলে পানি ফল খাওয়া থেকে আমরাও অনেকেই বিরত থাকি। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি পানিফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানাবো।
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন পানিফলের গুনাগুন, কোথায় জন্মে, সংগ্রহ
প্রক্রিয়া ঔষধি গুনাগুন, পানি ফল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে। সেজন্য
অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়তে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ পানিফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পানি ফলের পুষ্টিগুণ
আমাদের বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে খাল বিলে প্রচুর পরিমাণে পানি ফল জন্মে থাকে।
গ্রামের মানুষের কাছে এটি একটি খুব পরিচিত একটি ফল। তবে এখন গ্রামে নয় শহরের
মানুষ ও এ ফল খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পানিফলের অপর নাম সিঙ্গারা। এটি
দেখতে সিংহের মত তাই অনেককে একে সিঙ্গারা বলে চিহ্নিত করেছেন।
আবার অনেক জায়গাতে এটি পানি সিঙ্গারা নামেও পরিচিত। পানিফলে পুষ্টিতে ভরপুর
রয়েছে। সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে পানি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
হবে। পানিফলে ৯০% কার্বোহাইডেট, ও ৬০% শর্করা বিদ্যমান আছে। যা আমাদের দেহের
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এছাড়াও পানি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আস, রাইবোফ্লেবিন, পটাশিয়াম, কভার, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন, প্রোটিন, ভিটামিন বি ইত্যাদি রয়েছে। আপনি যদি পানিফলকে পুষ্টি গুণের ওপর বিচার করতে চান তাহলে এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি কিলো ক্যালরি আছে।
খনিজ পদার্থ আছে ০.৯ গ্রাম, জলীয় অংশ রয়েছে ৮৪.৯ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে
২.৫ গ্রাম, চর্বি ০.৯ গ্রাম, শর্করা ১১.৮ গ্রাম, খাদ্য আশ আছে১.৬ গ্রাম,
আইরন আছে ০.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৫ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০
মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি ২০.০৫ মিলিগ্রাম।
পানিফলের পরিচয় ও উৎপত্তি
আমরা সকলেই পানিফল দেখেছি এবং খেয়েছি। পানিফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক।
পানিফলের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Trapa natans। জয়গ্রাম ও শহরের প্রতিটি মানুষ
প্রাণীর সফল সম্পর্কে পরিচিত। তবে পানিফল স্থান ভেদে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা
হয়ে থাকে। পানিফলের ইংরেজি নাম সাধারণত water chestnut।
তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত করা হয়ে থাকে। অনেক জায়গায় অনেক রকম
ইংরেজি নামে নামকরণ করা হয় যেমন-water caltrop,buffalo nut, devil pod ইত্যাদি
নামে ডাকা হয়। পানিফল সর্বপ্রথম উৎপত্তি হয় বলে জানা গেছে ইউরো, প এশিয়া ও
আফ্রিকা দেশগুলোতে তবে পাশাপাশি প্রথম দেখা গেছে বলে জানা যায় উত্তর
আমেরিকায়।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও উপকারিতা থাকলেও এখনও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু জায়গায়
পানি ফলের গাছগুলোকে আগাছা বলে অবহেলিত বা কেটে ফেলা হয়ে থাকে। অথচ পানি ফলে
প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুনাগুন বিদ্যমান রয়েছে। অনেকে ধারণা করে যে
প্রায় তিন হাজার বছর আগে চীন দেশে পানিফলের প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হতো।
পানি ফল চাষ পদ্ধতি
পানি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে পানিফল
চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পানিফল চাষ করতে যেমন খরচ কম লাগে তেমন
পরিশ্রমও কম হয়। পানিফল চাষ করার জন্য আপনি নিজেই পরিশ্রম করলেই যথেষ্ট। এটি চাষ
করার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে কোন শ্রমিক নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
এখানে প্রায় দুই একজন লোক মিলে কাজ করলেই হয়ে যায়। পুকুরেও পানি ফল চাষ করা
যায়। সাধারণ প্রতি তো জমি, পুকুর, ডোবাও নালাই পানি জমে থাকে সেগুলোতে পানি ফল
চাষ করা যায়। আবার যে সব এলাকা বন্যা এলে ডুবে যায় সে সকল জমিগুলোতে পানি ফল
সহজে চাষ করা যেতে পারে।
শীতের শুরুতে পানি ফলের চাহিদা তুলনামূলকভাবে খুব বেশি থাকে। আগে মানুষ শখ করে
পানিফল চাষ করতেন কিন্তু বর্তমানে এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। পানিফলে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও এটি খেতেও প্রায় সুস্বাদু। যার কারণে এই ফলে
চাষাবাদ দিন দিন বেড়ে চলেছে। সাধারণত পুকুর, ডোবান আলায় যেগুলোতে মাছ চাষ করা
হয় না।
সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানিফল চাষ করা যেতে পারে এতে করে খুব সহজে একজন কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকে বর্তমানে পানিফলের চাষ করে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খরচ ও পরিশ্রম উভয় কম থাকে কিন্তু কৃষক সহজে লাভবান হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
পানি ফল যেভাবে খেতে হয়
পানি ফলের পুষ্টি গুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে কিভাবে
পানি ফল খেতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি
ছেলেমেয়েই চুপ ধরে অল্প পানিতে এই পানি ফল গুলো সংগ্রহ করে খেয়ে থাকে। অনেকে
আবার এটিকে পানি সিংগারা বলে চিহ্নিত করে। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আইরন
রয়েছে।
পানিফল সাধারণত কাঁচা ও সিদ্ধ উভয়ভাবে খাওয়া যায়। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের
মেয়েরা হাঁটু জল পানি থেকে এগুলো তুলে সংগ্রহ করে ছিলে কাঁচায় খেয়ে থাকে।
আপনাকে পানিফল সংগ্রহ করে এর ওপরের খোসাটি ছাড়িয়ে ভিতরের শাঁস খেতে হবে। পানিফল
সংগ্রহ করার পর সেটি সিদ্ধ করে খেয়ে থাকেন। তবে পানি ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি
উপাদান রয়েছে।
যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে শরীরের গঠন ও রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতাতে সহায়তা করে। তবে আমরা অনেকে পানিফল সহজে খেতে চায় না এর কারণ
হচ্ছে পানি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা
নেই।
পানিফলের ঔষধি গুনাগুন
পানিফলের পুষ্টিগণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে পানি ফলের
ওষুধে গুনাগুন সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ পানি ফলে শুধু খাদ্য পুষ্টি বিদ্যমান নয়
এতে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। সাধারণত আপনি যদি পেটের রোগ ব্লাড
প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে নিয়মিত পানি ফল খাওয়ায় উপকারিতা
পাবেন।
পাশাপাশি পানি ফল ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনার
শরীর ঠান্ডা করতে পানি ফল বিশেষ ভূমিকা রাখে। আমাদের শরীরের ভেতর থেকে টক্সিন দূর
করতে পানি ফলের ঝুড়ি নেই। আন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও পানি ফল আন্টি ক্যান্সার হিসেবেও কাজ করে।
সাধারণত আপনার যদি অনিয়মিত ঘুম এবং দুর্বলতা অনুভব হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নিয়মিত
পানি ফল খেলে এগুলো দূর হয়। কোন শিশু যদি হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগা সর্দি এনিমিয়া এ
ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পানি ফল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পানি
ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ
করে।
আরও পড়ুনঃ হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম | উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পানি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন বি, টামিন এ, পটাশিয়াম, জিংক যা আমাদের চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা
রাখে। আপনি যদি মনে করেন পানিফলের সাহসগুলো শুকিয়ে সেগুলো আটা তৈরি করে রুটি
বানিয়ে খাবেন সে ক্ষেত্রে আপনার যদি অ্যালার্জি ও হাত পা ফোলার রোগ থেকে থাকে
তাহলে এ সকল রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।
কি ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে পানিফলে
পানি ফল একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপকারী ফল। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টি সাধন করে থাকে। পানিফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। আমাদের দেহে
বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে এর পানি ফল। নিয়মিত পানি ফল খাওয়ার ফলে শরীরে পানির
ঘাটতি দূর হয়। পাশাপাশি আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে আয়রন উৎপন্ন হয়।
নিয়মিত পানি ফল খাওয়ার জন্য আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পানি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন
সি ও আরও অনেক উপকারী উপাদান। যা আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও যাদের উচ্চ রক্তচাপে রোগে আক্রান্ত হয়ে
থাকেন।
তারা নিয়মিত পানি ফল খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ পানি
ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভুগে
থাকেন সেক্ষেত্রে নিয়মিত পানিফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। লিভারের
সমস্যা সমাধানে পানি ফল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনি ভালো ঘুমের জন্য
নিয়মিত পানি ফল খেতে পারেন।
পানি ফল খাওয়ার উপকারিতা
আমরা জানি বিভিন্ন ধরনের ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে। পানিফলের
পুষ্টিগণ ও উপকারিতা অনেক গুণে বেশি। যার কারণে ঠান্ডার সময় আমাদের শরীরে পানির
ঘাটতি পূরণে পানি ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে কারণে পানি ফলের উপকারিতা
অনেক।
চলন তাহলে পানি ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
-
পানি ফলে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট হাইপার্টস প্রোটিন বিদ্যমান রয়েছে। যার
কারণে এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
-
পানি ফল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি আমাদের হজমে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
-
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসাবে পানিফল সহায়তা করে।
-
পানি ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান থাকার কারণে এটি আমাদের ত্বকের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা
রাখে।
-
পানিফলের বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আমাদের শরীরে বিভিন্ন
ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে
লড়াই করতে পারে।
-
পানিফলে কম ক্যালরি থাকার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
-
বিভিন্ন ধরনের আসুক বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে পানির ফল আমাদের দেহের প্রদাহ কমাতে
সাহায্য করে।
- এছাড়াও পানি ফল আজ জাতীয় হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
-
দাঁত মজবুত করতে পানি ফলের ভূমিকা অনেক কারণ পানি ফলে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে যা আমাদের দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
পানি ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম জিংক ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই থাকার কারণে
এটি আমাদের চুলকে মজবুত করে এবং লম্বা ও ঘন হয়।
-
আপনি যদি নিয়মিত পানি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে পানি ফল
খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে সহজে মুক্তি
পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরিমাণও ফাইবার থাকার জন্য এটি আমাদের হজম শক্তি উন্নত
করে এবং নরম মলত্যাগ করতে সহায়তা করে।
-
পানি ফলে এক ধরনের এসিড বিদ্যমান থাকে যা মরণবিধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে
সহায়তা করে।
পানি ফলের অপকারিতা
-
সাধারণত আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে
মানিফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-
পানি ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে পানিফল খাওয়ার ফলে অবশ্যই পানি
খাওয়া থেকে আপনাকে বিরক্ত থাকতে হবে। আর যদি আপনি পানি খেয়ে থাকেন তাহলে
সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
-
অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ফল খেলে পেট ব্যথায় এবং পেট ফোলা ভাব হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে।
-
আমরা সকলেই জানি পানি ফল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই যদি পানিফল থেকে
কোনরকম গন্ধ বের হয় তাহলে ওই পানি ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন নইলে ক্ষতি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
-
অতিরিক্ত পরিমাণে আপনি পানি ফল খেলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
-
এছাড়াও যাদের চুলকানি বা এলার্জির আছে তাদের পানি ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি ফল খেতে হবে। নইলে এলার্জি বেড়ে যাওয়া
সম্ভাবনা থাকে।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url