মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আপনারা মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। অনেকে আবার মেটে আলু কি তাও হয়তো জানেন না। মেটে আলুর নাম যদি আপনি প্রথম বার শোনে থাকেন তাহলে আজকের ব্লগটি আপনার জন্য।
মেটে আলুর চাষ কিভাবে করে ও কেমন মাটিতে আলু ভালো হয়। পাশাপাশি পুষ্টিগুন এবং দেখতে কেমন মেটে আলু। তার সাথে মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি আপনাকে মন দিয়ে পড়তে হবে।
পেজ সূচীপত্রঃ মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
- মেটে বা গাছ আলুর পুষ্টি গুণ
- গাছ বা মেটে আলু খাওয়ার নিয়ম
- মেটে আলু চাষ পদ্ধতি
- ভর্তা তৈরি করার নিয়ম
- গরুর গোস্তর সঙ্গে মেটে আলুর রান্নার নিয়ম
- নাইলোটিকা মাছ দিয়ে মেটে আলু রান্না
- মেটে আলুর উপকারিতা
- মেটে আলুর উপকারিতা
- লেখকের শেষ মন্তব্যঃ মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা
মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই আছে। সাধারণত আমরা মেটে আলু ক গড়ে আলু বা মাটির তৈলকার আলু বলে থাকি গ্রামের ভাষায়। আবার অনেকে গাছ আলুও বলে থাকে। মেটে আলু আপনি বাড়ির আশেপাশে লাগাতে পারেন। এতে কোন সার দেওয়ার তেমন প্রয়োজন হয় না।
আপনি শুধু গাছের গোড়াতে ছাই নিয়মিত দিবেন। মেটে আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে।যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যদি সচরাচর মেটে আলু খেতে সকলে পছন্দ করেন না। মেটে আলু আঁশ জাতীয় খাবারের তালিকা ভুক্ত।
এ আলোটি সাধারণত হল দেয়ার পরে গাছ মারা যায় এবং পরবর্তী বছরে পুনরায় মূল আলো
থেকে গাছ বের হয়। মেটে আলুর রঙের কালার সাধারণত বাদামী ধরনের হয়ে থাকে। মাটির
নিচে জন্মে থাকে মেটে বা গাছ আলু যা সবজি হিসাবে আমরা সাধারণত খেয়ে থাকি। মেটে
আলু চাষে তেমন কোনো সার বা পানি সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
মেটে বা গাছ আলুর পুষ্টি গুণ
মেটালোর উপকারিতা ও অপকারিতা ও ভাই বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মেটে আলু তো প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। এটি আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে ১০০ গ্রাম মেটে আলুতে ৭৬
কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি বিদ্যমান রয়েছে। যা আমাদের দেহে নানাভাবে ভূমিকা পালন
করে।
আরও পড়ুনঃ কাঁকরোল খাওয়ার নিয়ম-উপকারিতা ও অপকারিতা
মেটে আলুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা গেছে। মেটে আলুতে সাধারণত আমিষের
পরিমাণ থাকে ১.৫ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১.৩ এত গ্রা, ফসফরাস ৫৭ মিগ্রা, শর্করা
১৯ গ্রাম, লৌহ ২.১ গ্রাম,চর্বি .২২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪২ গ্রাম ও পানি ৮০%
বিদ্যমান রয়েছে।
যা প্রতিনিয়ত আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানের ভূমিকা পালন করে। আজ
জাতীয় খাবারে তালিকায় থাকার কারণে গর্ভবতী অবস্থায় মেটে আলু খাওয়া
স্বাস্থ্যের জন্য এবং নবজাতকের বোন গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও মেটে
আলুর ফল সিদ্ধ করে ছোট বাচ্চাকে রেগুলার খাওয়ালে কাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ
লৌহ ও ভিটামিন উৎপন্ন হয়।
গাছ বা মেটে আলু খাওয়ার নিয়ম
গাছ বা মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা না থাকার কারণে
আমরা মেটে বা গাছ আলু সাধারণত সকলে পরিচিত না। মেটে আলু মাটির নিচে জন্মে থাকে।
আবার গাছে ফল আকৃতি ভাবে ছোট ছোট হয়ে জন্মায়। মেটে আলো আপনি সবজি হিসাবে খেতে
পারেন।
তবে মেটে আলুর ভর্তা খেতেও খুব সুস্বাদু লাগে। এছাড়াও আপনি ইচ্ছে করলে গা চালু
গোশত দিয়ে রান্না করলে আরো সুস্বাদু লাগে। সাধারণত মেটে আলুর কাছে প্রচুর
পরিমাণে ফল ধরে থাকে। এ ফলগুলোও আমরা ছিড়ে আগুনে পুড়ে বা ভর্তা করে খেতে পারি।
মেটে আলুর গাছ মারা যাওয়ার পর এগুলো মাটি খুঁড়ে ওঠাতে হয়।
তারপর সুন্দর করে কাদামাটি গুলো ধুয়ে ওপরের খোসাটা ছিলে ফেলে ছোট ছোট পিচ করে
কেটে নিয়ে সবজি হিসাবে রান্না করা যায়। অনেকে আবার নেটে আলু রান্না করার আগে
লবন ও হলুদ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলেন। কারণ মেটে আলু ছিলার পরে একটু গায়ে
আঠালো পিচ্ছিল ভাব থাকে। লবণ ও হলুদ দিয়ে ধুয়ে ফেললে এই পিচ্ছিল ভাব দূর হয়ে
যায়।
এছাড়াও মেটে আলু ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে আপনি ভাজি করে রান্না করতে পারেন।
এছাড়া আপনি যদি ইচ্ছা করেন মেয়েটা আলু গরুর মাংস বা মুরগির মাংস দিয়ে রান্না
করে খাবেন সে ক্ষেত্রেও খুব সুস্বাদু ও টেস্টি হয়। ভর্তা করার জন্য প্রথমত এগুলো
ছিলে নিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হয়। আপনি ইচ্ছে করলে এগুলো আলাদাভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে
ভর্তা করতে পারেন।
মেটে আলু চাষ পদ্ধতি
সাধারণত মেটে আলু চাষ করার জন্য অতিরিক্ত জমি বা সার দেয়ার প্রয়োজন হয় না।
আপনি বাসার পাশে জমিতে মেটে আলু চাষ করতে পারেন। মেটে আলো চাষ করার জন্য বীজ
হিসেবে এর গাছে ধরে এই ফলগুলো বা মূল আলুর ওপরের অংশটি কেটে পুনরায় মাটিতে পুঁতে
দিলে ওখান থেকে পুনরায় গাছ জন্মে থাকে।
মেটে আলু লাগানোর সময় এক হাত গর্ত করে সেখানে ছাই ও গোবর সার মিস করে ফল রোপন
করতে হয়। এতে করে গাছ বের হওয়ার পরে আলু বড় হয় তাড়াতাড়ি। এছাড়াও এটেল মাটি
বাদে বালি মাটিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ বা মেটে আলু উৎপন্ন হয়। এটেল মাটিতে গাছ
আলু চাষ করলে বড় হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে কারণ মাটি এটেল হওয়ার কারণে এরা সাইডে
দূরত্ব বাড়তে পারে না।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও গাছালো বা মেটে আলু চাষ করার জন্য এক্সট্রা কোন জৈব সার বা ইউরিয়া পটাশ
দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বর্তমানে কিন্তু বর্তমানে মেটে আলুর চাহিদা দিন
দিন বাড়তি থেকে যে যার কারণে এখন বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে এ আলো চাষ করা
হয়।
ভর্তা তৈরি করার নিয়ম
ভর্তা করার জন্য প্রথমে আপনাকে আলো কেটে ভালোভাবে লবণ ও হলুদ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে
হবে। যেন আলোতে পিচ্ছিল ভাব না থাকে। এরপর মেটে আলো বা গাছালো ভালোভাবে সিদ্ধ করে
নিতে হবে। প্রয়োজনে আপনি প্রেসার কুকারে শিস দিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি
ভাতের মধ্যে দিয়েও আলু সিদ্ধ করে নিতে পারেন।
আলাদাভাবে রসুন পেঁয়াজ হালকা আছে ভেজে নিন এবং এর সাথে শুকনা মরিচ কয়েক একটা
আগুনে পুড়িয়ে বা রুটি বানানো খোলায় ভেজে নিতে পারেন। আর পিয়াজ কুচি ও হালকা
কাঁচামরিচ ছোট ছোট করে কেটে একটি পাত্রে লবণ ও সরিষা তেল ও ভেজে রাখা শুকনো মরিচ
একসাথে সুন্দরভাবে পাঠায় পেটে বা হাত দিয়ে মথে নিতে হবে।
এগুলো করে নেয়ার পর সিদ্ধ করা আলু গুলো একটি প্লেটে নিয়ে আলাদাভাবে আগে গলিয়ে নিন। গলানো হয়ে গেলে মধ্যে রাখা সরিষার তেল পিয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচের সঙ্গে ভালোভাবে মিস করে নিতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে সরিষা বাটা ও ধনেপাতা দিয়েও খেতে পারেন। এভাবে ভর্তা করার পর একটি প্লেটে নিয়ে পরিবেশন করুন এবং খেয়ে দেখুন খুব মজাদার পাবেন।
আপনারা ইচ্ছা করলেও গাছ আলু বা মেটে আলু আগুনে পুড়িয়েও ভর্তা করতে পারেন।
মেটে আলু বা গাছালো আগুনে পুড়িয়ে খেতেও খুব সুস্বাদু লাগে। মেটে আলু এর গাছেও
অনেক ছোট ছোট গোল আকৃতির ফল ধরে থাকে। যেগুলো আমরা সবজি হিসেবে খেতে পারি। আবার
সেগুলো ফল লাগিয়ে গাছ উৎপন্ন করা যায়।
গরুর গোস্তর সঙ্গে মেটে আলুর রান্নার নিয়ম
মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জ্ঞান নিতে
হবে। মেটে আলু রান্না করলে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। সেইসাথে আপনি যদি গরুর গোশত
দিয়ে মেটে আলু রান্না করেন তাহলে তো কোন কথাই নেই চেটেপুটে মনে হবে প্লেটের
প্লেট ভাত খেয়েই যায়।
প্রথমত গরুর গোস্তগুলো আপনি ধুয়ে ভাল করে আদা সিদ্ধ করে নিন। এরপরে গরুর গোস্তের সঙ্গে মেটে আলু দেয়ার জন্য সাইজ অবশ্যই একটু মোটা মোটা করে চার কোনটা ভেবে কেটে নিন। কাটার পরে অবশ্যই আপনি হলুদ লবণ দিয়েমেটে আলু ধুয়ে ফেলবেন তাহলে এতে পিচ্ছিল ভাবটা দূর হয়ে যায়। দুই থেকে তিনবার আলুগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
এরপরে মাংসের মধ্যে দিয়ে প্রায় কিছুক্ষণ ধরে কষাতে থাকুন। যখন দেখবেন আলুগুলো
হালকা হলদাটে ভাব হয়ে এসেছে তখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে কিছুক্ষণ জাল করতে থাকুন।
কিছুক্ষণ জাল করার পর দেখবেন আলুগুলো ফেটে ফেটে যাওয়া ভাব হয়ে এসেছে। তখন
মাংসের পাতিলটি হালকা আছে দিয়ে রেখে ঝোল কালো হলে নামিয়ে নিন।
আরও পড়ুনঃ তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
অবশ্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে মেটে আলু মাংস দিয়ে রান্না করার সময় অতিরিক্ত
ঝোল থাকতে হবে। মেটে আলু রান্না করার পর ঝোল শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
যার কারণে ঝোলের পরিমাণ একটু অতিরিক্ত বাড়িয়ে রাখতে হয়। আরো সুস্বাদু করে
বাড়িয়ে নিতে নামানোর পর হালকা তুমি এবার জিরার গুঁড়া উপর দিয়ে ছিটিয়ে
নিন।
নাইলোটিকা মাছ দিয়ে মেটে আলু রান্না
আজকে আমি আপনাদেরকে নাইলোটিকা মাছ দিয়ে মেটে আলু রান্না করার পদ্ধতির সম্পর্কে
বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব। আমি সাধারণত মেটে আলু খেলে মাছ বা মুরগির মাংস দিয়ে
রান্না করে খাই। আর আপনি যদি বাড়িতে চাষ করে সে আলু দিয়ে মাংস বা মাছ রান্না
করে খান তাহলে আরো সুস্বাদু লাগবে।
তবে মেটে আলুকে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে কেউ গড় আলু, কেউ মাটির তল
করার আলু, আবার গাচালু নামেও পরিচিত। তবে আমাকে মেটে আলু নামটি বলতে এবং শুনতে
খুব ভালো লাগে। মেটে আলু দিয়ে নাইলোটিকা মাছের ঝোল রেসিপিটি খেতে আসলে খুব
সুস্বাদু ও মজাদার লাগে।
চলুন তাহলে আপনাদেরকে বলি কিভাবে মেটে আলু দিয়ে নাই লোটিকা মাছের ঝোল রান্না
করবেন। প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
নাইলোটিকা মাছ | ১ কেজি/৫০০ গ্রাম |
মেটে আলু | ৭০০/৮০০ গ্রাম |
সয়াবিন/সরিষা তেল | পরিমাণ ম |
রসুন কুচি | ১টি |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মত |
জিরা গুড়ো | ২ চামচ |
হলুদ গুড়া | ২/৩ চামচ |
তেজপাতা | ২/৩ |
পাঁচপোড়ন | ১/২ চামচ |
শুকনো মরিচ | ২/৩ টি |
লবণ | স্বাদমতো |
মেতে আলু ও নাইলোটিকা মাছের ঝোল রান্না করার জন্য উপরোক্ত ও উপকরণগুলো ব্যবহার
করতে হবে। প্রথমে আপনাকে আলুগুলো খুব ছোট ভাবে কেটে নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে
হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে তাহলে নালা ভাবগুলো দূর হয়ে যাবে। তার সাথে
রসুন কুচি এবং কাঁচামরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হয়।
এরপর আপনি ঝোল রান্না করবেন সে মাছের পিসগুলো সুন্দরভাবে ভেজে নিয়ে সংগ্রহ করুন। এরপর একটি তাওয়াতে বা কড়াইয়ে তেল দিয়ে কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ কুচি রসুন কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। যখন এগুলো লাল আকৃতি হয়ে আসবে তখন আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, লঙ্কার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লবণ একসঙ্গে দিয়ে একটু হালকা পানি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
নাড়তে যখন তেল উপরে আসবে তখন কেটে রাখা আলুগুলো এর মধ্যে দিয়ে পুনরায় নাড়তে
থাকুন। কিছুক্ষণ নাড়ার পরে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ফুটাতে থাকুন। হালকা সিদ্ধ
হয়ে আসলে ভেজে রাখা মাছগুলো অপুর দিয়ে সাজিয়ে দিন। এবং পুনরায় কিছুক্ষণ
ফোটানোর পর নামিয়ে নিন নামানোর আগে অবশ্যই ভেজে রাখা জিরার গুড়া উপর দিয়ে
ছিটিয়ে দিন।
মেটে আলুর উপকারিতা
মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে। মেটে আলু খেতে সুস্বাদু এবং এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ রয়েছে। অনেকে আমরা মেটে আলুর সম্পর্কে বা উপকারিতা বিষয়ে না জানার কারণে মেটে আলু খেতে আগ্রহী নয়। মেটে আলু চাষ করার জন্য অতিরিক্ত জমি বা সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক নেটে আলুর উপকারিতা সম্পর্কেঃ
-
মেটে আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সহায়তা করে
- নিয়মিত খেলে আপনার হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়।
-
ভিটামিন এ এবং আজ জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে গর্ভবতী অবস্থায় অনেক।
- ভাবে পেটের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
- আমাদের শরীরে কলেস্টারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
-
মেটে আলু আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষ কে ধ্বংস করতে সাহায্য
করে।
- মেটে আলু আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরসে চাহিদা পূর্ণ করে।
-
আপনার মধ্য থলির নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে মেটে আলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে এবং পাশাপাশি শরীরে খনি জ লবণ তৈরিতে সাহায্য করে।
-
মেটে আলু হৃদপিণ্ড এবং আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কম সোডিয়াম যুক্ত খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন।
কিন্তু তার সাথে আবার বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম জুতো খাদ্য খাওয়ার প্রয়োজন হয়।
মেটে আলুতে পটাশিয়াম ও ফসফরাসের এর পরিমাণ সঠিক থাকায় উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
মেটে আলুর উপকারিতা
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ মেটে আলুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
Download Here
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url