গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত

সাধারণত আমরা সকলেই গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা অনুভব করে থাকি। এখন বর্তমানে যাদেরই বাচ্চা পেটে আসে তারায় তল পেটের ব্যথায় আক্রান্ত হন। তলপেটে গর্ভ অবস্থায় ব্যথা এখন একটি সাধারন কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গর্ভাবস্থায়-তলপেটে-ব্যথা-কারণ-ও-ঘরোয়া

আজকে আমি আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা, কারণ এবং পেটে ব্যথার গুরুতর হওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি আরও জানতে পারবেন কিভাবে গর্ভাবস্থায় ঘরোয়া অভাবে পেটের ব্যথা কমানো যায়।

পেজ সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত 

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যাথার কারন

সাধারণত আমরা গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন তলপেটে ব্যথা অনুভব করে থাকে। সাধারণত আমরা গর্ভবতী হলে অনেক খুশি এবং প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করি। কিন্তু সেই সাথে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা প্রচন্ড আকারে বৃদ্ধি পায়। এর মূল কারণ আমাদের শরীরে একপ্রকার হরমোনের মাত্রা পরিবর্তনের জন্য এমন ব্যথা হয়।

অনেক সময় আমাদের মধ্যে অনেকেই গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এমন সময় তারা মলত্যাগ করার সময় চাপ প্রয়োগ করে যার কারনে পেটে ব্যথার অনুভব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এ সময় আমাদের প্রত্যেকের সতর্কভাবে চলাফেরা করা এবং নিয়ম কারণ মেনে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথার কারণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নিম্নে সাধারণভাবে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো।

  • যদি আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • এছাড়াও যদি আপনি এমন অবস্থায় আপনার শরীর খোলা বা আটকে পড়ে বাতাস। এতেও তলপেটে ব্যথা বাড়ে।
  • আপনি যখন গর্ভবতী থাকবেন পেট বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার জরায়ুর লিগামেন্ট গুলো প্রসারিত হতে শুরু করবে। যার কারণে আপনি এমন অবস্থায় প্রথমদিকে লেগামেন্টের ব্যথা অনুভব করতে থাকবেন।
  • এছাড়াও অনেক মহিলা রয়েছে যাদের গর্ভবতী অবস্থায় থাকাকালীন মাসিকের মত পেটের ব্যথা অনুভব করেন এ সময় যদি আপনারা যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করেন তাহলে ব্যথা কমার সম্ভাবনা থাকে।
  • যেহেতু গর্ভবতী থাকা অবস্থায় হরমোন গুলো জরায়ুর বেশি শক্ত ও সংকোচনের জন্য বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি যদি নিয়মিত বিশ্রাম গ্রহণ করেন তাহলে এ সংকোচনের ব্যথা কম হবে। আর যদি আপনার ব্যথা অত্যাধিক পরিমাণ বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দূরত্ব গতিতে।

ব্যথা সামান্য থেকে গুরুতর হওয়ার কারণগুলো

সাধারণত প্রথম দিকে তলপেটের ব্যথা সামান্য পরিমাণ থাকলেও ধীরে ধীরে এই ব্যথা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। তবে এ ব্যথা গুরুতর আকার ধারণ করারও কিছু কারণ রয়েছে। আপনি এ সময় যদি কিছু অবহেলিত নিয়ম পালন করেন সেক্ষেত্রে সামান্য ব্যথা থেকে গুরুতর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


সেজন্য অবশ্যই আপনাকে গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে নিয়মিতভাবে বিশ্রাম ও চলাফেরা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া গুরুতর হওয়ার কিছু প্রধান কারণ রয়েছে যেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • প্রথম অবস্থাতে যদি এটি আপনার পেটের একপাশে তীব্র ব্যথা অনুভব হয় এবং পরবর্তীতে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অনেক সময় গর্ভের সন্তানের ক্ষতি আপনার গর্ভবতী অবস্থায় তলপিটের ব্যথার কারণে হতে পারে। এমন কি এ সময় আপনার রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • প্রিক্ল্যাম্পসিয়া এটি আপনার উচ্চ রক্তচাপ এবং আপনার শরীরে যে কোন অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। তার সাথে আপনার গর্ভবতী থাকা অবস্থায় তলপেটের ব্যাথার কারণ হয়।
  • সাধারণত আপনার জরায়ুর প্রাচীর থেকে প্লাসেন্টার বিভিন্ন আকার ধারণ করে তলপেটের ব্যথা সৃষ্টি করে।
  • ইউটিআই এটি আপনার গর্ভবতী অবস্থায় থাকার সময়ে তলপেটের ব্যথার একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
  • এছাড়াও এমন অবস্থায় আপনার 37 সপ্তাহের অধিক সময় ধরে তলপেটে বেদনাদায়ক ব্যথা হতে থাকে। পরবর্তীতে এটি বিভিন্ন ধরনের চাপ পিঠে ব্যথা ও জল ফুটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি আপনি গর্ভবতী থাকা অবস্থায় আপনার তলপেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে হবে। যদি আপনি বুঝতে না পারেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কোন স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে

গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়াভাবে প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের ভালোভাবে সঠিক জ্ঞান নেওয়া উচিত। কেননা এ সময় গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের সাথে পেটে থাকা নবজাতকের সুস্থতা সংযুক্ত থাকে। যার কারণে একজন গর্ভবতী ভালো থাকলে তার গর্ভের সন্তান ভালো থাকে।

গর্ভাবস্থায়-তলপেট-ব্যথার-লক্ষণ

এছাড়াও আপনি যদি গর্ভবতী অবস্থায় নিম্নলিখিত কোন ধরনের লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখেন সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই গুরুতর জটিলতার মধ্যে না যাওয়ার আগে কোন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন। যাতে করে অল্পতেই চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ ও নবজাতকের জন্ম দিতে আপনার কোন ঝুঁকি না থাকে।


চলুন গর্ভাবস্থায় তল পেটব্যথা লক্ষণ সমূহ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার 12 সপ্তাহ পূর্নর আগে প্রচন্ড পেট ব্যথায় আক্রান্ত হন।
  • তাছাড়া আপনি যখন প্রসাব করবেন তখন খেয়াল করতে হবে রক্তপাত বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি হচ্ছে কিনা।
  • গর্ভবতী অবস্থায় প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করা।
  • প্রায় এক ঘন্টায় আপনার চারটিরও বেশি সংকোচন হওয়া।
  • আপনি যখন গর্ভবতী থাকবেন এ সময় প্রাথমিক অবস্থায় আপনার প্রসবের দ্বার দিয়ে রক্তপাত হওয়া
  • নিয়মিতভাবে বমি ও জ্বর আসা।
  • আপনার গুরুতর ভাবে পেট ব্যথা হওয়া।
  • স্বাভাবিকভাবে যোনিপথ দিয়ে শ্রাব আসা।
  • এছাড়াও আপনার হাত পা মুখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া
আশা করি আপনারা গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা লক্ষণ সমূহ গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে সক্ষম হবে। এ ধরনের সমস্যা হলে এড়িয়ে না যে সরাসরি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী চলাফেরা করুন। এতে করে নিজে সুস্থ থাকবেন এবং নবজাতকের ও সুস্থতা বিরাজমান হবে।

গর্ভাবস্থায় পেটের খিচুনি সম্পর্কে

প্রাথমিক অবস্থায় কমবেশি সকল মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় পেটে খিচুনি অনুভব হয়ে থাকে। অন্যান্য কারণসমূহের মধ্যে পেটের হালকা খিচুনি হয় এবং এটা কোন ভয়ের কারণ হয় না। সাধারণত গর্ভাবস্থায় প্রথম অবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • সর্বপ্রথম কারেন্টের মধ্যে রয়েছে যে গর্ভবতী অবস্থায় যদি কোন মেয়ের জন্য মিলন এর সময় প্রচন্ড উত্তেজনা হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে তারা এই খিচুনি অনুভব করে।
  • এছাড়াও হলে সামান্য পরিমাণ খিচুনি হওয়া সম্ভাবনা থাকে। জায়গা দেয়ার জন্য ভ্রুণ স্থান পরিবর্তন করার ফলে গর্ভবতী মায়ের খিচুনি হয়।
  • এছাড়াও আপনার গর্ভবতী হওয়ার বারো সপ্তাহ পর উভয় পাশ দিয়ে আপনি একটি ব্যথা অনুভব করবেন। সাধারণত আপনি যখন দাঁড়িয়ে থাকবেন সেক্ষেত্রে এ ব্যথাটি বেশি হবে। এর কারণ হলো প্রাথমিক অবস্থায় লিগামেন্ট গুলো প্রসারিত হয় সেজন্য।
  • প্রাথমিক অবস্থায় বেশিভাগ ক্ষেত্রে বুকে বুক জ্বালা পিরিয়ডের সময় যেমন হালকা ব্যথা হয় ঠিক সেই রকম ব্যথা অনুভূত হয়।
যদি নিয়মিতভাবে এরকম ব্যথা আপনি অনুভব করতে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্য আপনি যার কাছে চিকিৎসা নিয়মিত নিচ্ছেন তাকে জানাবেন। কেননা তাকে না জানানো পর্যন্ত সে আপনাকে কোন রকম ভাবে চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন না। আশা করি সচেতনতা অবলম্বন করবেন।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়ার কারণ

সাধারণত গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ সম্পর্কে আমাদের সবার অবগত থাকা উচিত। কেননা এ সময় অনেক সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়। আর প্রতিটি মেয়ে দিয়ে একটি স্বপ্ন থাকে এই সময়টা ঘিরে। সেজন্য আপনাকে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনি যখন গর্ভবতী হবেন সে ক্ষেত্রে আপনার শিশুকে পেটে জায়গা দেয়ার জন্য আপনার জরায়ু আকারে বাড়তে থাকবে।

এ কারণে আপনার পেটটা তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে কিছুটা আকৃতি প্রদান করবে। এ সময় আপনার পেট শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যে আপনার বাড়ন্ত শিশুর কারণে পেট বড় হতে থাকে এবং পেট শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সময় আপনি কিছুটা পরিমাণে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে পারে।

আর আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস এ দুটি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার পেট বাড়ার সাথে সাথে পেটে শক্ত ভাব বাড়তে পারে। কেননা অনেক সময় গ্যাসের কারণে খাবার হজম না হলে পেট শক্ত হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে এই হজমের প্রভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় সেই সাথে পেট আরো শক্ত আকৃতি ধারণ করে।


অনেক সময় আপনার 28 তম সপ্তাহের আগে যদি আপনার শিশু মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে এটাকে গর্ভপাত বলা হয়ে থাকে। আর এ সময় আপনার পেট শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং পাশাপাশি আপনার পেটে ব্যথা ও থাকতে পারে এগুলো সাধারণত গর্ভপাত হওয়ার লক্ষণ। আর গর্ভপাত হলে সাধারণত সকলের পেট শক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হলে করণীয়

সাধারণত আমাদের প্রত্যেকটি মহিলাদেরকে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হয়। কারণ এ সময় ছোটখাটো জিনিস নিয়ে অনেক বড় জটিলতার আকার ধারণ করা সম্ভবনা থাকে। এছাড়াও গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ব অবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং ঘরোয়াভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।

আপনার পেট যদি অতিরিক্ত শক্ত আকার ধারণ করে সে ক্ষেত্রে প্রকৃত পরিমাণ পানি পান করার চেষ্টা করবেন। কেননা যদি আপনার শরীরে পানির অভাব থাকে বা শূন্যতা হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে পেটে টান ধরে এবং শক্ত আকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করবেন। আপনি চেষ্টা করবেন বোতলে পানি খাওয়ার।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক গর্ভবতী নারীর প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন পড়ে। আর আপনাকে যদি ডাক্তার এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে ওই পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা করার চেষ্টা করুন। আর আপনি যদি আগে থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভোগেন সে ক্ষেত্রে আপনার পেট শক্ত হওয়া সম্ভব না থাকবে।

সেজন্য অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করে সারাদিনে অল্প পরিমাণ খাবার বারবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে আজ জাতীয় খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং পাশাপাশি ভাজাপোড়া ও কমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। গর্ভবতী আমাদেরকে নিয়মিত হাটাহাটি করা ভালো এতে করে খাবার হজম তাড়াতাড়ি হয়।

এছাড়াও আপনি যদি গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার মধ্যে কোন জটিলতা থাকলে সেটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং আপনার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পাশাপাশি সময়ের আগে সন্তান জন্ম হওয়া ও কম ওজনের সন্তান হওয়ার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। যার কারণে প্রত্যেক গর্ভবতী মেয়েদের উচিত ব্যায়াম করা।

এছাড়াও আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনি যেখানে বাস করছেন সেখানকার পরিবেশ আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনছে না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যত দ্রুত সম্ভব স্থান পরিবর্তন করে ফেলুন। এবং অন্য পরিবেশের সাথে নিজেকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পিঠ ব্যথা হওয়ার কারণ

আপনার গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে তুলনামূলকভাবে ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ার কারণে পিঠের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত সঠিক খাবার এবং ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করবেন যে এই সময়ে ব্যথা নাশোক কোন ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য। কেননা এ সময় ব্যথার ওষুধ আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায়-পিঠ-ব্যথা-হওয়ার-কারণ

যদি আপনার পিঠের ব্যথা অতিরিক্ত বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। অপরদিকে পেটের বেশি শক্তিশালী করে তোলার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় সাধারণত কোমর ব্যথা হওয়ার একটি কমন বিষয়। গর্ভাবস্থায় আপনাকে উঁচু জুতা পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। সাধারণত এ সময় একটি গর্ভবতী মেয়েদের জুতা ব্যবহারের জন্য উপদেশ দিয়ে থাকেন।


কৃষকের পরামর্শ অনুযায়ী সে জুতা কিনে ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত সময় ধরে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকবেন না এতে করে পিঠের ব্যথা বাড়া সম্ভব না থাকে। আর সর্বদা চেষ্টা করবেন সোজা হয়ে বসা ও শক্ত গতিতে ঘুমানোর। অতিরিক্ত ব্যথা হলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিছানাতে শোয়ার পর আপনার পায়ের নিচের তল দিয়ে একটি বালিশ দিয়ে রাখতে পারেন।

এতে করে ব্যথা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন অবশ্যই অতিরিক্ত ভারী জিনিস চারা থেকে বিরত থাকুন। যদিও কোন জিনিসপত্র ছাড়া বা নেয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যয় সোজা হয়ে বসে বস্তুটিকে আপনার হাঁটুর সাথে লাগিয়ে আস্তে আস্তে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

কখন আপনি চিকিৎসককে ফোন করবেন

গর্ব অবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেগুলো আমাদের প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা সামান্য অসতর্কতা অবলম্বনের ফলে মারাত্মক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। আর অবশ্যই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে যে ব্যথা অতিরিক্ত পরিমাণে জটিলতা বৃদ্ধি পেলে তৎক্ষণা ৎ ভাবে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পেটে ব্যথা অনুভব করে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিম্নলিখিত উপসর্গ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনি অনুভব করতে পারলে যোগাযোগ করবেন। যদি দেখেন আপনার তীব্র মাথাব্যথা শুরু হয়েছে তাহলে সে ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ যেমন জ্বর, ঠান্ডা লাগা রক্তপাত, অজ্ঞান হওয়া, বা যোনি পদ দিয়ে স্রাব আসা।

এছাড়াও পেটের একপাশে যদি অতিরিক্ত ব্যথা হওয়ার লক্ষণ অনুভব করেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত বমি বমি ভাব এবং গভীরভাবে বমি হতে শুরু হলে পরামর্শ করুন। গর্ভাবস্থায় যদি অতিরিক্ত পরিমাণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া ও হালকা বাদামি কালার ব্লাড আসে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

ঘরোয়া প্রতিকার গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথায়

গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত এবং সেই সাথে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যাতে করে সামান্য ব্যথাতে চিকিৎসকের কাছে না যেতে হয়। এমন অবস্থায় ঘরোয়া ভাবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করুন। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা নিতে হবে।

নিম্নলিখিত উপায় গুলোর মাধ্যমে সহজে ঘরোয়া ভাবে ব্যথা কমানো যায়।
  • গর্ভাবস্থায় থাকা সময় অতিরিক্ত পানি পান করা। গর্ভবতী অবস্থায় যদি আপনি প্রতিদিন 6 থেকে 8 ক্লাস পানি পান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তলপেটের ব্যথা থেকে রক্ষা পাবেন।
  • তাছাড়া গর্ব অবস্থায় সাধারণত কমবেশি মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দেয়। তাই এ সময় যদি অতিরিক্ত পানি পান করা যায় তাহলে তলপেট ব্যথা কিছুটা হল কমে।
  • আপনি শরবতে চেষ্টা করবেন গরম পানিতে গোসল করতে। কেননা গরম পানি গোসল করলে পেটের ও মাজার ব্যাথা কমে।
  • গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা করলে কম পাওয়ারের ব্যথা ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই সেটি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে খেতে হবে। আপনার যদি লক্ষণগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে দেখা দেয় তাহলে দ্রুত গতিতে কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
  • ভাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখা। ফাইবার সমৃদ্ধ তো খাবার বলতে যেমন-মটরশুটি, ফল, আপেল, মসুর ডাল ইত্যাদি এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে।
  • এছাড়াও যদি আপনি গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস থাকলে সেগুলো ঝুঁকি কম হয়। পাশাপাশি আপনার হৃদপিণ্ড ভালো রাখার জন্য ও কোষ্ঠকাঠিন্যকে বোধ করে।
  • গর্ভাবস্থায় গরম পানির বোতল দিয়ে পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বার গরম পানির বোতল ব্যবহার করেন তাহলে ব্যথা থেকে আরাম থাকবেন।
আশা করি আপনারা জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এবং এভাবে ঘরোয়া ভাবে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা দূর করতে সক্ষম হবেন।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত 

আমি আপনাদেরকে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা নিরাময়ের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ব্যথার কারণ ও কিভাবে গুরুতর হয়। পাশাপাশি এ ব্যথা থেকে রক্ষা এবং ঘরোয়া ভাবে কিভাবে ব্যথা কমানো যায়। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হবেন এবং খুব সহজে ঘরোয়া ভাবে গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কমানোর জন্য উপকার পাবেন।

কোন ভুল বানান বা শব্দ প্রয়োগ করলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এ ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আজ এ পর্যন্ত আবারও উপস্থিত হবো অন্য কোন ব্লগের মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ,,,,,, 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url