ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে

সাধারণত আমরা জানি হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য ইসিজি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এসেছি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না। যার কারণে আমরা এসে যে রিপোর্ট দেখেও ভালো-মন্দ কিছু বলতে পারি না।

ই-সি-জি-রিপোর্ট-বোঝার-উপায়

আজকে আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে এসে যে কত প্রকার, কি কি ভাবে এসে যে করা হয় ও ইসিজি করার উপকারিতা। আরো জানতে পারবেন ই সি জি কেন করা হয় ইসিজির ফলাফল কি, ইসিজি করার সময় কি কি পন্থ অবলম্বন করতে হয় তা বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মন দিয়ে আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

পেজ সূচীপত্রঃ ই সি জি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে 

ইসিজি পরীক্ষা কি

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে ইসিজি পরীক্ষা মূলত আসলে কিসের পরীক্ষা। আমরা অনেকেই ইজি করা কথাটি শুনলে ভয় পায়। এর কারণ হচ্ছে ইসিজি অর্থ আমাদের জানা নাই। এবং কিভাবে ইসিজি করতে হয় এটা সম্পর্কেও আমাদের কোন ধারণা না থাকার কারণে ইসিজি করা কথাটি শুনলেই ভিতরে অনেকটা ভয় লাগে।

সাধারণত আমাদের হৃদপিন্ডের কোন অসুস্থতা লক্ষণ চিহ্নিত করার জন্য ইসিজি করা খুবই জরুরী। করার মাধ্যমে সহজে হার্টের কোন সমস্যা থাকলে দূরত্ব চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। যার কারণে বুকে ব্যথা কিংবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চিহ্নিত হলে ইসিজি রিপোর্ট করার জন্য ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ইসিজি কথাটির অর্থ হচ্ছে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম। যার সাহায্যে বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডকে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে এবং কিছু সমস্যা থাকলে সহজে চিহ্নিত করা যায়। ইসিজি করার জন্য দু পায়ে আঠালো পদার্থ দুই হাতে এবং বুকে দেয়ার পরে কিছু তার পুরো শরীরে লাগিয়ে দিয়ে সেটার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত 

এতে করে যদি আপনার হার্টের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সহজেই ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এসেছে করার জন্য আপনার শরীরের কাপড় উঠিয়ে এর মধ্যে কিছুই ইলেকট্রিক তারের সহযোগিতায় বুকে লাগানো হয় এবং এটি ইলেকট্রনিকের মাধ্যমে একটি মেশিনের মধ্যে কাগজের সাহায্যে রিপোর্ট হয়ে বের হয়ে আসে।

ইসিজির প্রকারভেদ সম্পর্কে

আমরা প্রায় সকলে ই সি জি নাম এর সাথে পরিচিত। কেননা বর্তমানে বুকের কোন সমস্যা হলে সহজে ডক্টরের কাছে গেলে ইসিজি করার পরামর্শ দেন। আর তুলনামূলকভাবে অন্যান্য পরীক্ষা করার চাইতে ইসিজি পরীক্ষার ক্ষেত্রে কম টাকা লাগে। এর মাধ্যমে সহজেই হিটপির্ডের রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।

1. ইলেকট্রোডঃ এটি করার জন্য একটি বিদ্যুৎ পরিবাহীর জেল সহ এক ধরনের আঠালো পেজ লাগানো যন্ত্র গুলো বুক বাহু এবং পায়ের নির্দিষ্ট জায়গাতে লাগিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ইলেক্ট্রোট গুলোকে একটি ইসিজি মেশিন এর সাথে সংযুক্ত করে নেওয়া হয়।

2. রেকোটিংঃ যখন পরিবাহীর জেলসহ আঠালো পেজগুলি বুক ও বহু পায়ে নির্দিষ্ট স্থানে লাগিয়ে নেওয়া হয় তখন ইসিজি মেশিন এর হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক আবেগগুলো রেকর্ড করে একটি সংকুচিত কাগজ মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়। আর এগুলোকে ইসিজি বলা হয়।

3. ব্যাখ্যাঃ পরবর্তীতে সে কাগজটি ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলে তিনি পর্যবেক্ষণা করে দেখেন এসে যে রিপোর্টে হৃদপিণ্ডের ছদ্ম ও আবেগ ও প্রকৃতিক পথের কোন সমস্যা আছে কিনা।

4. হৃদপিন্ডের বৈদ্যুতিক কাজগুলো পরিবর্তন করে হার্টের হাট অস্বাভাবিকতার বা আঘাতের কোন চিহ্ন পরিলক্ষিত হলে সে অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকেরা লক্ষণ সন্ধান করেন এবং চিকিৎসা প্রদান করেন।

কখন ইসিজি পরীক্ষা করা ভালো

রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে ভালভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেননা আমরা ইসিজি কথাটি শুনে অনেকেই ভয় পেয়ে পরীক্ষা করাতে ইচ্ছুক থাকি না। কিন্তু ভয়ের কোন কারণ নেই ভয় ছাড়া এই পরীক্ষাটি জয় করতে হবে। এছাড়াও কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দূরত্ব চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কৃষি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নে লক্ষণ সমূহ গুলো উল্লেখ করা হলো যেগুলো দেখামাত্র ডাক্তারের চিকিৎসা পণ্য হয়ে এসেছে পরীক্ষায় আগ্রহী হবেন।

  • যদি দেখেন আপনার বুকে প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যথা শুরু হয়েছে এবং তার সাথে ঘাড়ে চোয়ালগুলো নড়াচড়া করতে আর কষ্টদায়ক হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ইসিজি করে হার্ট সম্পর্কে কোন সমস্যা থাকলে সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন।
  • বুকের ব্যাথার কারণে যদি শ্বাসকষ্ট হয় সেক্ষেত্রে হার্টের চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একটি ইজি করা প্রয়োজন।
  • আপনি যদি হঠাৎ করে মাথাব্যথা শুরু থেকে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ই সিজি করার মাধ্যমে জানা যায় যে আসলে আপনার হার্টের কোন সমস্যা আছে কিনা।
  • আপনি যদি সবসময় বুকের মধ্যে তারপর বা অস্থিরতা অনুভব করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ইজি করা জরুরী।
  • হৃদরোগের কারণ সাধারণত পারিবারিক এর মাধ্যম থেকে ঘটে থাকে অনেক ক্ষেত্রে যদি আপনি উচ্চ রক্তচাপ ডাইবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করলে তিনি করার জন্য বলবেন।
  • আপনার যেকোনো বড় ধরনের অপারেশন করার আগে একটি ইসিজি করা খুবই জরুরী।
  • এছাড়াও আপনি যদি সাধারণত হার্ড রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে নিয়মিত চেতাদের জন্য ইসিজি প্রয়োজন।
আপনার যদি উপরোক্ত কোন লক্ষণ নিজেদের মধ্যে পরিলক্ষিত না হয়। তাহলে কোন ধরনের চিন্তা করার প্রয়োজন নাই তবে আপনার পারিবারিক সূত্রে যদি উচ্চ রক্তচাপ হার্ড এর অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে অবশ্যই একটি ইসিজি করার জন্য আমি আপনাকে পরামর্শ জানাবো।

ইসিজি পরীক্ষার সময় কি রকম অনুভূতি হয়

আপনি যদি সাধারণত বুক ব্যথার কারণে বা শ্বাসকষ্টেও হওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইসিজি করার প্রয়োজন হবে। তবে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ই সি জি করানো হয়।

সাধারণভাবে ইসিজি করার জন্য একটি রুমে ঢুকানোর পর আপনার কোমর থেকে কাপড় সরাতে হবে। সেই সাথে বুকের ওপর কাপড় উঠাতে হয়। কেননা এসেছি করার জন্য যেগুলো যন্ত্র আপনার শরীরে লাগানো হয় সেগুলো সাধারণত বুকের হৃদপিণ্ড অনুভব করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ইসিজি-পরীক্ষার-সময়-কি-রকম-অনুভূতি

পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বিছানার ওপর শুয়ে দিবেন। তারপর আপনার পা থেকে বুক পর্যন্ত কাপড় উঠিয়ে নিতে বলবে। ইসিজি করার ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য মেয়ে ডাক্তার এবং ছেলেদের জন্য ছেলে ডাক্তার নিয়োজিত থাকে। তবে ইসিজি করার সময় কোন রকম নড়াচড়া বা কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এরপর আপনাকে সোজা করে শুয়ে দিয়ে দুই পায়ে ও দুই হাতে আঠালো কিছু স্পর্শ করে লাগিয়ে নিবে। তার সাথে আপনার বুকের উপরেও আঠালো পদার্থ দিয়ে ক্লিকগুলো দুই পায়ে দুই হাতে ও বুকের উভয় পাশে লাগানো হবে। হার্টের কোন সমস্যা আছে কিনা তা শনাক্ত করার জন্য প্লেট সংযুক্ত করার পর সেগুলো কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করাবে।

ইসিজি করতে খুব অল্প সময়ে লাগে। অল্প সময়ের মধ্যে ইসিজি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে গ্রাফ পেপারের
মাধ্যমে আপনার সম্পূর্ণ রিপোর্টটি কার্বন কপি হয়ে প্রিন্টার মেশিন থেকে সুন্দরভাবে বের হয়ে আসবে। এই রিপোর্টের মাধ্যমে আপনার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রিপোর্ট দেখালে তিনি দেখে খুব সহজে রোগ চিহ্নিত করে সমাধান করবে।

ইসিজি পরীক্ষার ব্যবহার

জন্য মেডিকেলের বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা ব্যবহার হয় যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত আপনার হার্ট এটাক এবং ছন্দের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো কার্ডিয়াক অসুস্থতার কারণগুলি চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি হাড়ের ওপর ঔষুধ পাত চিকিৎসা ডিভাইসের প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়।

অগ্রগতি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ই সিজি করানোর মাধ্যমে পুনরুত্থান পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। ই সি জি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে হার্টের সমস্যা থাকলে সমাধান করা যায়। তাছাড়া যদি ইসিজি করার মাধ্যমে বোঝা যায় যে আপনার হার্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে তাহলে পারিবারিক ইতিহাসসহ ব্যক্তিদের হার্টের সমস্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্পেলিং করা হয়ে থাকে।

হৃদরোগ সাধারণত পারিবারিক ইতিহাস থেকেও হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এমন রয়েছে অনেকে যারা জানে না যে তারা হি দ্রব্যে আক্রান্ত। অনেক সময় না জানার কারণে জটিল আকার ধারণ হয়ে থাকে। সেজন্য আপনার পরিবারে কারো আগে থেকে হিজরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে নিয়মিত চেতাদের মাধ্যমে তা মূল্যায়ন করা উচিত।

পরীক্ষা করার সুবিধাগুলো

ইসিজি করার কিছু সুবিধা রয়েছে। তা ছাড়া হৃদরোগ সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই ইসিজি করা জরুরি হয়। কেননা ইসিজি ছাড়া হৃদরোগ চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। যার কারনে চিকিৎসকের কাছে বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্টে অনুভব করলে। তারা সাধারণত ইসিজি করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ইসিজি পরীক্ষা করার সুবিধা সম্পর্কে-
  • নিয়মিত ইসিজি পরীক্ষা করার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগ শনাক্ত করে সহজেই চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়।
  • প্রাথমিক অবস্থায় যদি সময় মত আপনার হৃদরোগ চিহ্নিত করা যায় তবে উন্নত মানে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়।
  • হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে স্বাস্থ্য সেবা তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নিয়মিত ইসিজি করা প্রয়োজন।
  • সুস্থতা প্রদানের জন্য হৃদরোগে আক্রান্ত আছে কিনা সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জেনে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়।
  • ইসিজি করার মাধ্যমে খুব সহজেই হার্ট রোগে আক্রান্ত কিনা এটি জানা যায়। যার ফলে আমরা সহজেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারি।
আশা করি আপনারা ইসিজি পরীক্ষা করা সুবিধা সম্পর্কে বুঝতে পারলেন। সেজন্য বুক ব্যথা বা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে দূরত্ব চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ই সি জি করে আপনি পরিষ্কার ভাবে জেনে নিন যে আসলে আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত কিনা।

ইসিজি করার জন্য প্রস্তুতি

ই সি জি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আপনাকে ইসিজি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। ইসিজি করার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। তবে এ পরীক্ষা করার আগে খালি পেটে বা কোন কিছু খাওয়া যাবে না এমন কোন নিয়ম নাই।

তবে এসেছি করার সময় অবশ্যই আপনাকে মার্জিতভাবে যেতে হবে। কারণ ইসিজি করার সময় বুক পর্যন্ত ওপরের কাপড় সরিয়ে রাখার প্রয়োজন হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই তারা জামার নিচে ছোট একটি ব্লাউজ ব্যবহার করুন। এতে করে এসে যে করার সময় কোন সমস্যা সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
এছাড়া ছেলেদের ক্ষেত্রে যদি বুকে অতিরিক্ত লোম থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেভ করার প্রয়োজন হতে পারে। কেননা যখন ইলেক্ট্রোট ক্লিপগুলো বুকে ও দুই হাত ও পায়ে লাগানো হয়ে থাকে তখন লোমের কারণে সহজে বুকে সাথে আটকাতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বুকে লোমগুলো সেভ করার প্রয়োজন হতে পারে।

আশা করি ইসিজি করার আপনারা কি ধরনের পোশাক পরিধান করে যাবেন বুঝতে পেরেছেন। সেসাথে অবশ্যই কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পারলেন। তবে একটি কথা মনে রাখবেন যে মহিলাদের জন্য মহিলা এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ ইসিজি করার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন। এতে করে মহিলারা লজ্জার কোন কারণ নেই।

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় বা ফলাফল

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় খুবই সহজ। কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে রিপোর্টগুলো বুঝতে সক্ষম হবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তবে আপনার হৃদপিন্ডের স্পন্দন গতি ৬০ থেকে ১০০ বিপিএম হলে খুবই ভালো হয়। এর বেশি বা কম হওয়া আমাদের জন্য স্বাভাবিক না।

ইসিজি-রিপোর্ট-বোঝার-ফলাফল

কৃষি করার পর সাধারণত রিপোর্ট দেখানোর জন্য আমরা পুনরায় ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকি। এর কারণ হলো রিপোর্টগুলো আমরা সহজে চিহ্নিত করতে পারিনা। কোনটি ভালো রিপোর্ট বা কোনটি খারাপ রিপোর্ট সে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা হয় না যার কারণে রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর নিজেদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করতে থাকে।

পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ই সি জি ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

পরিমাপ পুরুষ মহিলা
হৃদ কম্পন ৪৯-১০০ bp ৫৫-১০৮ BP
p ৮১-১৩০ MS ৮৪-১৩০ MS
PR ১১৯-২১০ MS ১২০-২০২ MS
QRS ৭৪-১১০ ৭৮-৮৮ M

ভারতে ইসিজি পরীক্ষার খরচ

সাধারণত ভারতে এসেছে পরীক্ষার খরচ আপনার হাসপাতাল এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে খরচ হয়। আপনি যদি ভারতে গিয়ে উন্নত মানের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইসিজি করানোর জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে টাকা ব্যয় করতে হয়। কেননা বাংলাদেশেও সরকারি হাসপাতালে একটু বেশি লেগে থাকে।

তবে ভারতে আপনি গড়ে ইসিজি করার জন্য ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আপনাকে সঠিক মূল্য তথ্যের জন্য সর্বদা নির্দিষ্ট হাসপাতাল বা ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বলা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর চেয়ে ভারতে তুলনামূলকভাবে ইসিজি পরীক্ষা করতে খুব কম টাকা খরচ হয়।

তবে ই সি জি ধরণের ওপর বিভিন্ন সময় এর ফ্রি কমবেশি হয়ে থাকে। চলুন তাহলে নিম্নে তালিকার মাধ্যমে জেনে নেয়া যাক ভারতে ইসিজি পরীক্ষা করার মূল্য কত।

পরীক্ষার নাম ইসিজি খরচ
শ্রীকাকুলামে ইসিজি ২০০-৪০০ রূপি
সংগামনারে ইসিজি ২০০-৪০০ রূপি
কুর্নুলে ইসিজি ১৫০-৩৫০ রূপি
কাকিনাডায় ইসিজি ২৫০-৪৫০ রূপ

ইসিজি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে শেষ মন্তব্য

আমি উপরোক্ত আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে বাংলাদেশে এবং ভারতে ইসিজি করানোর জন্য তুলনামূলকভাবে কত টাকা খরচ হয়। পাশাপাশি এসেজি করার প্রয়োজনীয়তা ও কিভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ইসিজি করতে যাবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা বুঝতে সক্ষম হবেন।

যদি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কৃষি রিপোর্ট বোঝার উপায় সম্পর্কে উপকৃত বা ভালো লেগে থাকে সে ক্ষেত্রে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিন। এবং আমাকে যদি আপনাদের কিছু বলার থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন। আর এ ধরনের পোস্ট পেতে সর্বদা আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url