আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা | ডলার ইনকাম করার উপায়
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকায় এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য জানিনা। তাই আজ আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত জানার জন্য এই আর্টিকেলটি লিখছি। সাধারণত আমরা যারা আমেরিকায় বসবাস করে তাদের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী।
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত
টাকা এবং ডলার ইনকাম করা সঠিক নিয়ম। আরো জানতে পারবেন ডলারের দাম কেন ওঠানামা
করে এবং আমেরিকা থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম।
পেজ সূচীপত্রঃ আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা | ডলার ইনকাম করার উপায়
- আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা
- ডলারের দাম ওঠা নামা করার কারণ
- আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ডলার ইনকাম করার উপায়
- ফ্রিল্যান্সার থেকে ডলার ইনকাম
- ফাইবারের মাধ্যমে ডলার ইনকাম
- Google এডসেন্স থেকে ডলার ইনকাম
- ফেসবুক থেকে ডলার ইনকাম
- Upwork মাধ্যমে ডলার ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডলার আয়
- Guru.com থেকে ডলার ইনকাম
- শেষ মন্তব্যঃ আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা | ডলার ইনকাম করার উপায়
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে বিশেষ করে আমরা যারা প্রবাসী এবং বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করি তাদের জন্য জানা খুবই জরুরী। সাধারণত আমরা জানি ডলার এবং টাকার মূল্য সমান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সাধারণত তাদের বিনিময় মূল্য দেশ থেকে দেশে পরিবর্তন হয়।
আমাদের দেশে প্রতি বছর অর্থনীতিতে মার্কিন ডলারের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশ থেকে যারা প্রবাসে থাকেন এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার তাদের ডলার ব্যাংকে জমা করে উইড্রো করে। তার জন্য ডলারের সম্পর্কে তাদেরকে অবগত থাকা খুবই জরুরী। তবে সময়ের সাথে সাথে ডলারের রেট কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আমরা যদি আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী দেখি তাহলে ডলার থেকে বাংলাদেশি টাকায় এক্সচেঞ্জ করতে প্রতি ডলার সমান 119 টাকা হবে।যেহেতু ১ ডলার সমান ১১৯ টাকা ঠিক একইভাবে আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের ১১৯ টাকা। তবে এই রেট কখনো কখনো কমবেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ডলারের দাম ওঠা নামা করার কারণ
আমরা সকলেই জানি বাইরে বাইরে থেকে যা আমরা উপোজন করি তার ডলার নামে পরিচিত।
সেগুলো সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকাতে কনভার্ট করতে হয়। অনেক সময়
মার্কিন ডলারের চাহিদা অত্যাধিক পরিমাণে বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য
বেশি বৃদ্ধি পায়।
তার সাথে সাথে যারা প্রবাসে থাকেন তারাও লাভবান হয়ে থাকেন। তবে বাংলাদেশের
অর্থনীতির অবস্থার ওপর ভিত্তি করেও ডলারের দাম কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আমাদের বাংলাদেশের যখন অর্থনীতির অবস্থা শক্তিশালী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ডলারের
মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সেক্ষেত্রে ডলারের দাম কমে যায়।
অন্যদিকে রাজনৈতিক অবস্থার অবনতি হলে সে ক্ষেত্রেও ডলারের মূল্য কমে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। আশা করি তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন যে ডলারের দাম ওঠা নামা করার
কারণ আমাদের দ্বারা সৃষ্ট কিছু অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে অবশ্যই যারা আমেরিকায় বসবাস করেন
বা আমেরিকার প্রবাসী তাদের জানা খুবই জরুরী। তার সাথে সাথে তাদেরকে এটাও জানতে
হবে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে কিভাবে টাকা পাঠাতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আমরা অল্প
পরিমান টাকা পাঠিয়ে থাকে প্রয়োজনের স্বার্থে।
আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর জন্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যম এবং
ব্যাংক রয়েছে। আমাদের দেশে অনেক বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ওয়ার
ট্রান্সফার পরিষেবা প্রদান করে থাকেন। এমা দমগুলো সাধারণত বড় অংক টাকা পাঠানোর
জন্য খুবই সুবিধা জনক পদ্ধতি। তবে সেজন্য আপনাকে তুলনামূলকভাবে বেশি ফ্রি প্রদান
করতে হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি ও কত টাকা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন
এমন কিছু আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন- MonenyGram, Ria Money Transfer ও Western
Union প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে এবং দূরত্বে টাকা লেনদেন করা যায়।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংকের মতো ফি প্রদান করতে হবে। এছাড়াও আপনি মোবাইলের
নগদ ও বিকাশের মাধ্যমেও টাকা লেনদেন করতে পারবেন। তার জন্য অবশ্যই আপনাকে মোবাইল
ওয়ালেট ব্যবহার করতে হবে।
তবে সাধারণত আমরা নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে। এছাড়াও কিছু
অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে টাকা লেনদেন করা যায় তবে
এক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে আপনি টাকা পাঠানোর আগে
সবকিছু জেনে এবং সুবিধা সম্পর্কে অবগত হয়ে টাকা পয়সা লেনদেন করবেন।
ডলার ইনকাম করার উপায়
আমরা সাধারণত বিভিন্নভাবে ডলার উপার্জন করতে পারি। আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত
টাকা সে সম্পর্কে আমাদের সবাইকে জানতে হবে। এখন আমরা অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো কাজ
করে সাধারণত ডলার ইনকাম করে থাকি। পরবর্তীতে এ ডলারগুলো ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকাতে
রূপান্তর করতে হয়। যার কারণে আমাদের প্রত্যেককেই ডলারের রেট জানা দরকার।
এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রবাসে পাড়ি দিচ্ছে। তাদেরকে অবশ্যই ডলারের রেট
জেনে প্রবাসে যাওয়া উচিত। সাধারণ সব দেশে ডলারের রেট একই থাকে না। যার কারনে
প্রবাসে যাওয়ার আগে ডলার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সকলের প্রয়োজন। তাছাড়া আমরা
অনেক প্রয়োজনে যেমন শিক্ষা চিকিৎসা ও উন্নত জীবন করার জন্য আমেরিকাতে পারি
জমাই।
সে কারণে আমাদেরকে অবশ্যই আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা সে সম্পর্কে অবগত
হতে হবে। আমরা সাধারণত সকলেই জানি ডলার ইনকাম করার জন্য অনলাইনে কাজ বা প্রবাসে
কাজ করে উপার্জন করতে হয়। চলুন তাহলে জেনে নেই ডলার ইনকাম করার কয়েকটি উপায়
সম্পর্কে।
ফ্রিল্যান্সার থেকে ডলার ইনকাম
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় বেকার যুবকের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরে বসে তারা বিভিন্নভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের সবারই কমবেশি জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে মার্কেট প্লেস।
যার মাধ্যমে খুব সহজে বাইরে দেশেরসাথে মার্কেটিং করে বা ক্লায়েন্টের মাধ্যমে কাজ করে ডলার ইনকাম করা যায়। আপনি বিভিন্নভাবে বাইরে দেশে ক্লান্তির সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে নির্দিষ্ট ডলার ইনকাম করতে পারেন। মার্কেটপ্লে এসে প্রচুর পরিমাণে বিদেশে ক্লাইন্ট থাকে।
যার কারণে খুব সহজেই কাজ শিখে এই ক্লায়েন্টের মাধ্যমে কাজ করে আপনি চাইলে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এখানে যেমন লক্ষ্য দিয়ে কাজ রয়েছে তার সাথে কাজেরও চাহিদা অনেক। তবে সেজন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। সহজে হাল ছেড়ে দেয়া বা কাজ করবো না এমন মন মানসিকতা তৈরি করা যাবে না। মার্কেট প্লেসে সাধারণত কাজ করার জন্য অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।
ফাইবারের মাধ্যমে ডলার ইনকাম
আপনারা যারা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্য মার্কেটপ্লেস একটি
জনপ্রিয়ম মাধ্যম। আর আপনি যদি মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিংকরে ডলার ইনকাম
করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ফাইবার কে প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা খুব
সহজে ফাইবার থেকে কাজ পাওয়া যায়।
সেজন্য আপনাকে প্রথমে একটি গিগ খুলতে হবে আপনি সাধারণত আপনি যে সকল কাজ করার মাধ্যমে ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। প্রথমত গিগ খোলার পর আপনাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে যে কোন ক্লাইন্ট হায়ার করছে কিনা।
আরও পড়ুনঃ মুদ্রাস্ফীতি কি? মুদ্রাস্ফীতির কারণ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় সমূহ
যদি আপনাকে কোন ক্লাইন্ট সহজে হায়ার করে কাজ দেয় তাহলে আপনাকে সে সকল কাজ
সুন্দরভাবে করে দিতে হবে। তবে আপনাকে সেক্ষেত্রে মনে রাখা খুবই জরুরী চেয়ে এখানে
ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। ঠিক এভাবে ফাইবার থেকে কাজ করে আপনি খুব সহজে ডলার
ইনকাম করতে পারেন।
Google এডসেন্স থেকে ডলার ইনকাম
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে জানার জন্য আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ডলার ইনকাম করার কথা ভাবেন তাহলে আপনাকে আগে ডলার সম্পর্কে অবগত হতে হবে। আর অনলাইন থেকে ডলার ইনকাম করার প্রথম মাধ্যম google অ্যাডসেন্স কে সবার আগে অবস্থান দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে এটি গুগল সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
Google এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটিং করেও ডলার ইনকাম করতে
পারেন। যেমন কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে বিজ্ঞাপন সংযুক্ত করে ডলার ইনকাম করতে হয়। এই
বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি ডলার ইনকাম করবেন এবং এই ডলারগুলো আপনার
ব্যালেন্সে এসে যুক্ত হবে।
আপনারা ইচ্ছে করলে ইউটিউব ও ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে খুব সহজে গুগল এডসেন্স ব্যবহার
করে ডলার ইনকাম করতে পারেন। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আগে আপনাকে
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সেখানে প্রজাত পরিমান ভিজিটর থাকতে হবে।
আর ইউটিউবে ডলার ইনকাম করার জন্য কিছু নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। গুগল এডসেন্স
থেকে যদি আপনি প্রতি মাসে ১০০ ডলার পূর্ণ করতে পারেন তাহলে সাথে সাথে পেমেন্ট
পেয়ে যাবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন যে আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল
থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে ডলার ইনকাম
আমাদের সকলের পরিচিত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক যা থেকে আমরা খুব
সহজে ডলার ইনকাম করতে পারি। সাধারণত আপনি যদি নিয়মিত কোন কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা
রিলস ভিডিও তৈরি করে থাকেন। এবং নিয়ম অনুযায়ী এগুলো মনিটাইজেশন করতে পারেন
তাহলে খুব সহজেই ফেসবুক থেকে ডলার আয় করতে পারবেন।
তবে সেজন্য অবশ্যই আপনাকে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে হবে। গুগল এডসেন্স এর
মাধ্যমে কনটেন্ট মনিটাইজ করে আপনাকে ডলার আয় করতে হবে। কারণ গুগল এডসেন্স
মনিটাইজ করার পর আপনাকে সেখানে বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে হবে এবং এই বিজ্ঞাপন দেখানোর
মাধ্যমে আপনার ফেসবুক আইডিতে টাকা উপার্জন হবে।
আরও পড়ুনঃ বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নাম ও মুদ্রার নাম pdf
আশা করি আপনারা সকলেই ফেসবুক থেকে কিভাবে ডলার ইনকাম করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে
পারলেন। তবে হ্যাঁ সবকিছু ক্ষেত্রে গুগলের অ্যাডসেন্স-এর প্রয়োজন হয়। সে জন্য
বলা হয় যে google এডসেন্স করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা
ফেসবুক আইডি খুলতে হবে।
Upwork মাধ্যমে ডলার ইনকাম
ফিন্যান্স এদের জন্য আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে আপওয়ার্ক। আপু আর খুব সহজে প্রতিটি মানুষের কাছে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে ডলার আয় করা সম্ভব। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে দেশ-বিদেশের বাইরে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে আয় করতে সক্ষম হবেন।
তবে আপনাকে মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পর্কে
অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যে কোন কাজ করতে গেলেই দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার
প্রয়োজন হয়। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে কোন ট্রেইনার বা youtube এর মাধ্যমে কিছু
কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আপনি যে কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। সে কাজের ওপর ভিত্তি করে খুব সহজে
ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নেওয়া সম্ভব হবে। এবং পাশাপাশি আপনি যে কাজের উপর
দক্ষতা অর্জন করবেন। সে কাজ অন্যদেরকে করে দিয়ে আপনি ডলার আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডলার আয়
আপনি হয়তো অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এর কথা কম বেশি সকলের কাছ থেকে শুনে থাকতে
পারেন। এটা এমন একটা মাধ্যম যে আপনি অন্যদের কাছে বা অন্য কোম্পানির কাছ থেকে
প্রোডাক্ট নিয়ে বিক্রি করে ডলার ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট
পরিমাণ কিছু টাকা প্রদান করা হবে।
আপনাকে পণ্য বিক্রি করতে হবে এবং যদি আপনি পণ্য বিক্রি করতে ব্যর্থ হন সে
ক্ষেত্রে টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। মার্কেটিং করার জন্য সবচাইতে একটি
জনপ্রিয় ওয়েবসাইট অ্যামাজন এফিলিয়েট। এর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে কাজ করে আপনি
এক ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং করে আয় করা যায়
আর একটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে যে amazon এর সকল পণ্য বিদেশি সে কারণে
আপনাকে অবশ্য বাইরে দেশেই এর পূর্ণগুলো বিক্রি করতে হবে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে
ইংরেজি ও কথা বলার ভঙ্গিটাতে পারদর্শী হতে হবে। আর তার সাথে সাথে আপনাকে একটি
এপিলেন্ট মার্কেটিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
Guru.com থেকে ডলার ইনকাম
মার্কেট প্লেসে কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা
সে সম্পর্কে জানতে হবে। আর মার্কেটপ্লেসের জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে যেকোনো
একটি মাধ্যম আপনাকে বেছে নিতে হবে। কারণ একসাথে কয়েকটি মাধ্যমে কাজ করা যেমন
কষ্টকর তেমন সাফল্য পাওয়াও ব্যয়বহুল।
আপনি সাধারণত মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হিসেবে গুরু
ডটকমকে নির্বাচন করতে পারেন। আর আপনি যদি সাধারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনার,
কনটেনরাইটিং, ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হিসাবে কাজ করে থাকেন। তাহলে এগুলোর মাধ্যমে
ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। পাশাপাশি সেখানে কাজ করতেও আপনি আগ্রহী ও সক্ষম
হবেন।
আর সাধারণত গুরু ডট কম এ সকল ওয়েবসাইট গুলোতে বাইরের দেশের ক্লাইন্টের সাথে কাজ
করতে হয়। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এবং বাইরে দেশে
ক্লায়েন্টের সাথে তাদের মতামত অনুযায়ী কাজ করে খুব সহজে আপনি ডলার ইনকাম করতে
পারেন।
শেষ মন্তব্যঃ আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা | ডলার ইনকাম করার উপায়
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা | ডলার ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আমি পুরো
আর্টিকেল জুড়ে ডলারের রেট এবং কেন ডলারের রেট কমবেশি হয়ে থাকে। সে সাথে সাথে
ডলার ইনকামের বিভিন্ন মাধ্যম ও আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমেরিকার ১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা ডলার ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটির মধ্যে কোন বানান ভুল বা কোন ভুল শব্দ প্রয়োগ
করলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিন।
আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনারা নিয়মিত এ ধরনের পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট
করুন। আজ এ পর্যন্তই আবার উপস্থিত হব অন্য কোন প্রয়োজনীয় আর্টিকেল লিখার
মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সকলে আমার সঙ্গে থাকুন এবং নিয়মিত waymaxit.com ওয়েবসাইট
ভিজিট করুন।
ধন্যবাদ।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url