ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকের কাছে অজানা। আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে যে ডিম দিয়ে আবার কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়। এটি জানার জন্য আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন কিভাবে ডিম এর সাদা অংশ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়।

ডিম-দিয়ে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়-সম্পর্কে

কিভাবে ডিমের ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে হয় এবং কতক্ষণ লাগাতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আরো জানতে পারবেন চুলের যত্নে কিভাবে ডিম ও লেবু একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়।

পেজ সূচীপত্রঃ ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা অনেকেই কমবেশি জানি ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। ডিম দিয়ে রূপচর্চা করার জন্য প্রথমে আপনাকে ডিম গুলো ফাটিয়ে নিয়ে এর সাদা অংশ ও কুসুমটাকে আলাদা করে নিতে হবে। সাধারণত ফর্সা হওয়ার জন্য ডিমের সাদা অংশটি ব্যবহার করতে হয় এবং এর সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হয়।

তবে হ্যাঁ যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস মিসাবেন। আর যদি আপনার ত্বক সুস্থ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লেবুর রস মেশানোর প্রয়োজন হয় না। এমন অবস্থায় আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস বা মধু মেশানোর সময় অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে সব মিশ্রণ যেন খুব ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে যায়। এরপর আপনার তোকে আলতো ভাবে তৈরিকিত ফেসপ্যাক্টরি লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর শুকিয়ে গেলে সেটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধোয়ার পর নরম কাপড় দিয়ে ত্বক শুকনো করে নিন। এরপর ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করুন। এমন অবস্থায় খুব কম রোদে যাওয়া আশা করতে হয়। কারণ লেবু ও ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশ্রণ করে ত্বকে লাগানো থাকে। আর লেবুতে কিছু পরিমান অ্যাসিড রয়েছে।

ডিমের সাদা অংশের ফেসপ্যাক তৈরি

প্রথমে আমাদেরকে ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিতে হবে। পাশাপাশি এই ডিমের কোন অংশ দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করে সেটি জানতে হবে। ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরির জন্য আপনি প্রথমে কয়েকটি ডিম একসঙ্গে নিবেন। এরপর ডিম গুলো ফাটিয়ে ডিমের সাদা অংশ কুসুম আলাদা করে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা 

এরপর ডিমের সাদা অংশের সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মেশানোর পর কিছুক্ষণ ধরে সেটি চামচের মাধ্যমে নাড়তে থাকুন যাতে করে ভালোভাবে দুইটি একসঙ্গে মিশিয়ে যায়। আপনার ত্বক যদি তেলতেলে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে লেবুর রস মেশাবেন।

আর আপনার ত্বক যদি শুষ্ক খসখসে হয় তাহলে লেবুর রসের পরিবর্তে আপনি সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে ভালোভাবে ফ্যাট করে নিন। কিছু সময় ধরে নাড়তে থাকুন যাতে করে সব ধরনের উপকরণ একসাথে মিশিয়ে যায়। আরো ভালো ফলাফল পেতে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে নিন।

ডিমের সাদা অংশ মুখে ব্যবহার করার নিয়ম

সাধারণত আমরা রূপচর্চার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। তাই আপনার যদি ঘরোয়া ভাবে ফর্সা হতে যান সে ক্ষেত্রে ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারেন। সাধারণত ডিমের সাদা অংশ মুখে ব্যবহার করলে মুখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দূর হয়।

শুধু ডিমের সাদা অংশ কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখার পর আপনি যদি মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রেও আপনি অবাঞ্চিত ছোট ছোট লোমের হাত থেকে রক্ষা পাবে। সাধারণত আমাদের ঠোঁট মাঝে মাঝে কালো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

আপনার মুখে কপালে ও গালে অনেক সময় ব্রণের প্রভাব বেশি বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি একটি ডিম ভেঙ্গে এর সাদা অংশটি ব্রাশের মাধ্যমে পুরো মুখে আলতোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। যাতে করে ডিমের সাদা অংশ ও আপনার মুখে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে।

ডিমের-সাদা-অংশ-মুখে-ব্যবহার-করার-নিয়ম

এবার হালকা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। তারপর আপনি সচরাচর যে ক্রিম ব্যবহার করেন সেটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ডিমের সাদা অংশ সাধারণত আমাদের মুখের ব্রণ ও অবান্তিত লোম দূর করতে সহায়তা করে।

ডিমের কুসুম মুখে দিলে কি হয় জানুন

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ধারণা নেওয়া উচিত। কেন না আমরা অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে দামি দামি ক্রিম কিনে থাকি। কিন্তু আমরা জানার চেষ্টা করি না এগুলো আসলে আমাদের ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।

ঘরোয়াভাবে ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা থাকলে খুব সহজে আমরা ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করে ফর্সা হতে পারি। এর চোখ ও বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুম ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে ডিমের কুসুম আলাদা করে নিতে হবে।

এরপর ডিমের কুসুমও হলুদের গুড়া দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে হবে। তৈরি করার সময় চামচ দিয়ে ভালোভাবে উপকরণগুলো মিশিয়ে নিতে হবে। ফেসপ্যাক তৈরি করা হলে এগুলো ব্রাশের সহজে আপনার মুখে লাগেন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে এগুলো শুকিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা

শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনি হালকা গরম পানি করে ফেসপ্যাক লাগানো ত্বকটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। তবে মনে রাখবেন ত্বক পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই কোনভাবে তোকে আঘাত সৃষ্টি করবেন না। ডিমের কুসুম ও হলুদ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমরা সকলেই জানি যে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের বিরুদ্ধে হলুদের ভূমিকা অপরিসীম।

চুলের যত্নে ডিমের সাদা অংশের ব্যবহার

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে শুধু ফর্সা হওয়া কথাটি সীমাবদ্ধ নয়। ডিমের সাদা অংশ দিয়ে চুলেরও যত্ন করা যায় এতে করে চুল ঝলমলে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এভাবে যদি আপনি ডিমের সাদা অংশ নিয়মিত তুলে দিতে থাকেন তাহলে আপনাকে ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না।

অনেক সময় আমাদের একটু অনুরোধ ধুলোবালি করে রুখো হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে আপনি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভালোভাবে ফ্যাট করে চুলে লাগিয়ে দিন। এরপরে প্রায় 30 মিনিটের মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন আপনার চুলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে এবং উজ্জ্বলতা ও নরম ভাব সৃষ্টি হয়েছে।

ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এভাবে ব্যবহার করুন। আপনার চুলের পরিমাণ যখন উন্নতি আসবে তখন আপনি ইচ্ছে করলে মাসে দুইবার থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ চুলে ব্যবহার করলে চুল যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে।

কফি ও ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ফেস ম্যাক্স তৈরি করুন

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এর সাথে আরও জানুন কিভাবে কফি ও ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে। আপনার যেমন ভাবে সুবিধা মনে হয় ঠিক তেমনভাবে কপি ও ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। প্রথমত আপনাকে কফি সংগ্রহ করতে হবে।

যদি আপনার বাসায় কফি ড না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ৫ টাকা দামের পাতাগুলো নিয়ে এসে ডিমের সাদা অংশের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে পারেন। ছোট একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ ও কফি একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মেশানো হলে ফেসপ্যাক টি আপনার মুখে ব্রাশের মাধ্যমে আলতো ভাবে পুরো মুখে মাখিয়ে নিন।

কফি ও ডিমের সাদা অংশ আপনার চোখের নিচে পড়ে থাকা কালো দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এভাবে ফেসপ্যাক্টরি চোখের নিচেও ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর সচরাচর আপনি যে ক্রিম ব্যবহার করেন সেটি মুখে লাগিয়ে নিন।

ডিমের সাদা অংশের উপকারিতা

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে এর উপকারিতা সম্পর্কেও ভালোভাবে ধারণা নিতে হবে। সাধারণত ডিমের সাদা অংশে উচ্চশীল প্রোটিন সমৃদ্ধ রয়েছে। এতে আরো আছে চর্বি আপনারা যারা ডায়েট কন্ট্রোল করেন তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ রূপচর্চা বলে ধারণা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সাদা অংশ ও সাধারণত আমাদের দেহের গঠন ও কোষের হয় পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমাদের মধ্যে যারা সাধারণত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন তাদের খাবারের মধ্যে কোলেস্টেরলবহনের মাপ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। তারা খাবার জন্য ডিমের সাদা অংশ তালিকায় রাখতে পারেন।

আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালনে মাধ্যমে হরমোন ভিটামিন খনির উপাদান একটি তো করতে সহায়তা করে ডিমের সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যেগুলো আমাদের ফুসফুস পেট ও অন্যান্য অংশে জমার বাড়তে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশে রয়েছে অ্যালুমিনের পরিমাণ যা আমাদের যকৃত ও বৃক্ষে নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করে।

ডিমের সাদা অংশের অপকারিতা

আমরা প্রতিদিন প্রায় কম-বেশি সকলেই ডিম খেয়ে থাকি। কিন্তু ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। যেহেতু আমরা ডিম প্রতিদিন খেয়ে থাকি সেক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ প্রতিদিন খেলে কোন সমস্যা নেই তবে অতিরিক্ত যে কোন খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

ঠিক তেমনি ডিমের সাদা অংশ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এলবুমিন গ্রহণে শরীরে বায়োটিন নামক এক ধরনের ভিটামিনের শূন্যতা দেখা দিতে পারে। আবার আমাদের মধ্যে অনেকেরই এলার্জির সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে এরকম কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ডিমের সাদা অংশ খেয়ে থাকেন।

সেক্ষেত্রে তিনি এলার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া কার কোন খাবারে এলার্জি আছে সে আগে থেকেই সে সম্পর্কে অবগত আছেন। এছাড়া আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ডিম খায় তাহলে অনেক সময় পেটে গ্যাস বা বিভিন্ন ধরনের বমি বমি ভাব অসত্যিবোধ অনুভব করতে থাকি।

ডিমের কুসুমের উপকারিতা ও অপকারিতা

ডিমের কুসুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও আমাদেরকে সঠিক ধারণা নিতে হবে। যেহেতু ডিমের সাদা অংশ দিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের রূপচর্চা করে থাকি এবং কেউ থাকে। তার পাশাপাশি ডিমের কুসুম দিয়েও আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই এবং রূপচর্চা করি। কিন্তু ডিমের কুসুমেরও কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে।
ডিমের-কুসুমের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

উপকারিতাঃ
  • ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন এ ভিটামিন ডি এবং সেলিনিয়ামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের সমৃদ্ধ ডিমের কুসুম।
  • এছাড়াও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে কৌলিন থাকে যা আমাদের মস্তিষ্কে সুরক্ষা করে।
  • ডিমের কুসুম এর মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের দৃষ্টির শক্তিকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • অন্যদিকে ডিমের কুসুম গুণের গঠন ও হার ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
  • ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • আপনাদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত ডিমের কুসুম খেতে পারেন কারণ ডিমের কুসুম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • আপনার যদি পেটের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডিমের কুসুম খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকায় এটি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ধ্বংস করতে সাহায্য  এবং হজম শক্তিতে বৃদ্ধি করে।
  • যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নিয়মিত ভালোভাবে সিদ্ধ করে ডিমের কুসুম খেতে পারেন। নয়তো বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিমের কুসুম খেতে পারেন এতে করে ভালো উপকার পাবেন।
অপকারিতাঃ
  • ডিমের কুসুমে ভালো কোলেস্টার সমৃদ্ধ থাকে তবে আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডিমের কুসুম খেয়ে ফেলেন তাহলে হাই কলেজটার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরল অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হার্টের ঝুঁকি থাকে।
  • আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে ডিমের কুসুম খেতে হবে। নইলে উচ্চচাপ বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
  • ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড এবং হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর আনসার জুয়েলেট যা হাড় মজবুত করতে সহযোগিতা করে কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডিমের কুসুম খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেষ মন্তব্যঃ ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমি পুরো আর্টিকেলে কিভাবে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন এবং তার সাথে কি কি উপকরণ মেশাতে হবে সম্পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি চুলের যত্নে কিভাবে ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে হয় এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডিম দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই আপনারা সীমিত খরচে ঘরোয়া ভাবে ডিম ও লেবুর রস ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এভাবে রূপচর্চা করতে থাকুন। তবে পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।

আমি নিজে প্রতি সপ্তাহে ডিমের সাদা অংশ এলোভেরা ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করি। এতে করে আমার চুলে এক্সট্রা ভাবে কন্ডিশনার দেয়ার প্রয়োজন হয় না। সাথে সাথে চুল পড়া বন্ধ হয়েছে।উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এ ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url