চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম কথাটি শুনে হয়তো আপনারা অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আবার অনেকেই খুব সহজেই চেয়ে চেয়ে সিড কথাটি শুনে বুঝতে পেরেছেন। এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি উপাদান। আজকে যারা চিয়া সিড সম্পর্কে জানেন না আর্টিকেলটি তাদের জন্য।
এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন চিয়া সিড কিভাবে ভিজিয়ে খেতে হবে
এবং এর উপকারিতা কতটুক। তার পাশাপাশি অপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় খাওয়ার নিয়ম। কখন
খাবেন চিয়া সিড ও চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই
আপনাকে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ে শেষ করতে হবে।
পেজ সূচীপত্রঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
- চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- কতটুক পরিমান চিয়া সিড খাবেন
- ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড দুধের সাথে খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিয়া বীজ এর গুরুত্ব
- যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়
- দামের পরিমাণ চিয়া বীজের
- চিয়া সিড এর উপকারিতা
- চিয়া সিড এর অপকারিতা
- চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখক এর শেষ কথা
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয় সিড খাওয়ার জন্য আপনাকে বাড়তি নিয়ম অবলম্বন করতে হবে না। চিয়া সিড আগে থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। চিয়া সিডের কোন নিজস্ব স্বাদ নেই। আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত অনিয়ম করে বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে পরিমাণ মতো চিয়া সিড খেতে পারেন।
তাহলে আপনার শরীর ও স্বাস্থ্য উভয়েই ভালো থাকবে। তার সাথে সাথে আপনার
শরীরকে বিভিন্ন রকম রোগ থেকে মুক্ত রাখবে। আপনি যদি নিয়মিতচিয়া সিড খেতে
পারেন তাহলে ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আপনি নিয়মিত
করে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস করতে
পারেন।
নয়তো বা রাত্রে ঘুমানোর আগে এক থেকে দুই চাচা চামচ ক্যায়া সিট ভিজিয়ে রেখে
সালাত অন্যান্য জুসের সাথে খেয়ে নিতে পারেন। এভাবে চিয়া সিট খেতে পারলে আপনার
গ্যাসের পরিমাণ কমে যাবে পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস ঝুঁকি ও কমবে। তবে খাওয়ার
আগে অবশ্যই আপনাকে ৮৬ ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে নিতে হবে।
আপনাদেরকে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে চিয়া সিডদের কিন্তু নিজস্ব কোন স্বাদ নেই।
যার কারণে আপনি অন্যান্য খাবারের সাথে চিয়াশীট মিশিয়ে খেতে পারবেন। আপনি চিয়া
সিট খাওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এটি শুকনো বাদে যে কোন ভাবে খেতে পারেন। যে কোন
জুস বা ড্রিংক এর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
কতটুক পরিমান চিয়া সিড খাবেন
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে হবে এবং পাশাপাশি কি পরিমান খাবেন সেটা সম্পর্কেও অবগত
হতে হবে। আমরা সকলে বুঝতে পারছি যে চিয়া সিড একটি বীজ। আমাদের মধ্যে যারা কিডনি
রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বলা বাহুল্য যে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে
পারেন।
আরও পড়ুনঃ হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
বিশেষ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি এক থেকে দুই চা চামচ করে সপ্তাহে দুইবার তিনদিন চিয়া সিড নিয়মিত খেতে পারেন। আপনার প্রয়োজনের কারণে আপনি জেনে নিতে পারেন যে ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে কত পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ৪৮৬ ক্যালরি পাওয়া যায়।
তাই আপনি যখন চিয়া সিড খাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই আপনার শারীরিক এবং স্বাস্থ্যের
সাথে সাথে হিসাব নিকাশ করে অবশ্যই এটি খাওয়া ভালো। কারণ অতিরিক্ত চিয়া
সিড খাওয়ার ফলে আপনার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে
আপনি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে অবগত হতে হবে। সেইসাথে চিয়া সিট খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কেও জানতে হবে। কারণ যে কোন জিনিস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই তার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে জেনে শুনে খেতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন পুষ্টিপির বিভিন্নভাবে উল্লেখ করেছেন। আপনি যদি দূরত্ব ওজন কমাতে চান সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন খালি পেটে সকালে ও রাত্রে ঘুমোনোর আগে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন। এতে করে দূরত্ব আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এক গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এবং পরের দিন সে ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড এর মধ্যে প্রয়োজন মতো লেবুর রস মিশিয়ে যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে আরো ভালো উপকৃত হবেন। কারণ খালি পেটে লেবুর রস খেলে পেটের চর্বি কমার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার সময় তার মধ্যে কিছু লেবুর রস চিপে নিয়ে মিশিয়ে খেলে অতি সহজে ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে।
চিয়া সিড দুধের সাথে খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে ধারণা নিতে হবে। কেননা চিয়া সিড আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। আমরা সকলেই জানি আমাদের হজমে বিশেষ ভূমিকা পালন করে দুধ। আর আপনার যদি হজমের দুধের সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি কাঠ বাদামের দুধ বা সোয়া মিল্ক খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
যদি মনে করেন দুধের সাথে চিয়া সিড খাওয়া আপনার জন্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে আপনি দুধের ঘোল বা পানির সাথে মিশিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন। আর আপনি যদি মনে করেন আপনি ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত দুধের সাথে চিয়া সিড ভিজিয়ে খাবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিনির পরিমাণ একদম বাদ দিতে হবে।
আগে থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে তারপরে চিয়া সিড পরিমাণ মতো দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। আর যদি মনে হয় আপনি দুধ বাদে চিয়া সিড খাবেন। সে ক্ষেত্রে দুধের সর উঠিয়ে গোল তৈরি করে তার সাথে মিশিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন। এতে করে উপকৃত হবেন।
চিয়া সিড খেলে কি হয়
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও অপকারিতা অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে। চিয়া সিড এর পুষ্টিমান অনেক গুণে ভরপুর থাকে। এছাড়াও চিয়া সীডে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার খুদা লাগা থেকে রক্ষা করে। এতে করে অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া থেকে আমরা নিজেকে বিরত রাখতে পারি।
এছাড়া ও চিয়া সিড আমাদের হজমে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রচুর
পরিমাণে ওমেগা -3 আছে। যার মধ্যে রয়েছে আমাদের হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি
প্রদাহ কমাতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। সেজন্য চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে আমাদের কে অবগত হতে হবে। আমরা বর্তমানে অনেকেই চিয়া সিড এর উপকারিতা না
জানার কারণে খায় না।
এছাড়াও চিয়া বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম
ও ফসফরাস। যা অতি প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে
থাকে। পাশাপাশি আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ এর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য
আমাদের প্রত্যেকেরই চিয়া বীজ খাওয়া ভালো।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ও উপাদান রয়েছে। যা খাওয়ার ফলে শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। একজন মহিলা গর্ভাবস্থায় যদি নিয়মিত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে সে ক্ষেত্রে নিয়মিত খেতে পারেন।চিয়ার সিডে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা গর্ভবতী মাদেরকে হতাশ ও বিভিন্ন ধরনের টেনশন থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে থাকে।
যেহেতু চিয়া বীজ স্বাদহীন এবং অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। সেজন্য গর্ভবতী
মায়েরা যে কোন খাবারের সাথে এটি সংযুক্ত করে খেতে পারেন। তাছাড়া অনেক গর্ভবতী
মহিলারা রয়েছে যে এ অবস্থায় চাবি নাও খেতে পারেন। সেজন্য তারা ইচ্ছা করলে চিয়া
বীজের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কাঁকরোল খাওয়ার নিয়ম-উপকারিতা ও অপকারিতা
বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করার সময় আপনি চিয়া বীজ বা এর গুরু মিশিয়ে খেতে
পারেন। যেমন ধরুন আপনি বিভিন্ন ধরনের সুখ করে খাওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ
জিয়া বীজ এর পুরো মিশিয়ে নিতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের তরকারি ও ডালের সাথে ঘন করে
রান্না করার পর জিয়া বীজ সংযুক্ত করতে পারেন।
আপনি ইচ্ছা করলে জুসের সাথে মিশিয়েও চিয়া বীজ খেতে পারেন। পাশাপাশি ডিম এর
সাথে চিয়া সিড সংযুক্ত করে বিভিন্ন ধরনের কেক রুটি তৈরি করে নিয়মিত খাওয়া
যায়। আমরা সাধারণত সকালবেলায় গর্ভবতী মায়ের ডিম খাওয়ার প্রতি অভ্যস্ত থাকি।
পাশাপাশি অনেক গর্ভবতী মহিলারা রয়েছে। যারা নিয়মিত জুস বা সুপ খেয়ে থাকেন
সকালের নাস্তা হিসেবে। সেগুলোর সাথে চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সাধারণত সামুদ্রিক বিভিন্ন ধরনের মাছ না খেতে পারেন সে
ক্ষেত্রে আপনি ওমেগা থ্রি চিয়া সিড নিয়মিত খেলে সামুদ্রিক মাছের বিকল্প
উপাদান গুলো পেতে পারেন। এছাড়াও আমরা জানি যে চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ
ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শিশুর হারও দাঁতের বিকাশের অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে
থাকে।
চিয়া বীজ এ মধ্যে জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ এর মত পুষ্টিকর উপাদান আছে। এগুলো সাধারণত
গর্ভবতী মায়েদের দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে ভূমিকা পালন করে। এর ফলে
গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পায়। পাশাপাশি শিশুর দুর্বলতা
বৃদ্ধি করে একজিমা থেকে রক্ষা করে। ক্যান্সার, একজিমা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে
বাঁচতে সাহায্য করে গর্ভবতী মহিলাদেরকে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিয়া বীজ এর গুরুত্ব
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। প্রতিটি জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অবকারিতাও রয়েছে তবে সে সম্পর্কে আমাদেরকে সঠিকভাবে জানতে হবে। ঠিক তেমনি চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকলকে সঠিক ধারণা নিতে হবে।
আমরা সকলেই জানি যে চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। যা আমাদের দেহে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ থাকার কারণে এটি দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সরকারের পরিমাণ সর্বদা কমানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
সে ক্ষেত্রে আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত চিয়া সিট খেতে পারি।
যেহেতু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলির মধ্যে দুইটি sindom চিয়া সিড এর
মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে সে কারণে নিঃসন্দেহে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিয়া
সিড ব্যবহৃত করা যায়। চিয়া ভিজিয়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস খনিজ পদার্থ
সমৃদ্ধ রয়েছে। যা ডায়াবেটিসের ইনসুলিন হিসাবে কাজ করে।
যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়
আপনিও ওজন কমানোর জন্য একটি জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে চিয়া
সিড বেছে নিতে পারেন। নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা চিয়া সিড পানির সাথে ভিজিয়ে খেলে আপনার ওজন দূরত্ব কমতে সাহায্য করবে। কিন্তু সে
আসে আপনার ওজন দূরত্ব কম করবে বলে যে এটি খাওয়া ভালো তা কিন্তু নয়। যদি আপনার
স্বাস্থ্যের জন্য যাবি কিন্তু সেই সাথে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ থেকে বিরত থাকা
উত্তম।
আপনি যদি এলার্জি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই খাওয়ার আগে
পরীক্ষা করে নিন। যে এটির মাধ্যমে আপনার শরীরে এলার্জি প্রভাব সৃষ্টি করবে
কিনা। এর মধ্যে এক ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায়। যা সরিষার তেল ও তেল বীজের
মধ্যেও দেখা যায়। যদি আপনার তিল ও সরিষার তেলের মধ্যে এলার্জি থাকে সেক্ষেত্রে
অবশ্যই চিয়া সিট থেকে দূরে থাকুন।
আরও পড়ুনঃ মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ এ ধরনের সমস্যা থাকে এবং সেজন্য নিয়মিত ওষুধ খেয়ে
থাকেন তাহলে অবশ্যই চিয়া সিডআপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। যদিও আপনি খেতে চান তবে শেষ জন্য চিকিৎসকের সাথে
পরামর্শ নিন। পাশাপাশি আপনি পেটের বিভিন্ন ব্যথার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে
খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটের সমস্যা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
গর্ভবতী অবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া ভালো কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সঠিক তথ্য
পাওয়া যায়নি। সেজন্য আপনি গর্ভবতী অবস্থায় চিয়া সিডখেতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান। অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত ব্যক্তিরা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খেয়ে থাকেন। যদিও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা
উচিত।
দামের পরিমাণ চিয়া বীজের
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি
অবশ্যই চিয়া সিড যে দাম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। যেহেতু চিয়া
সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ও উপাদান ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। সে কারণে এটি আমরা
নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। পাশাপাশি অবশ্যই এর সতর্কতা অবলম্বন
সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
আপনি যদি বাংলাদেশ তিস্তা ফুড মাধ্যমে চিয়া সিড নিতে চান ৫০০ গ্রাম তাহলে এর দাম পড়বে ৩৫০ টাকা। আর যদি আপনি 1 কেজি
চেয়ার সিড নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ৬০০ টাকা প্রদান করতে হবে।
তবে চিয়া সিড নেয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে আসল নকল সে সম্পর্কে অবগত হয়ে নিতে হবে।
আপনি যদি হাতের নাগালে সহজেই চিয়া সিড নেয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে
বিভিন্ন ধরনের পেজের মাধ্যমে অর্ডার করে অনলাইনে নিতে পারেন। এখন সাধারণত
সচরাচর সকলে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে
amazon ও দারাজে এগুলো উন্নত মানের প্রোডাক্ট সচরাচর দিয়ে থাকেন।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
আমরা সকলেই জানি কোন কিছুর উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে। চিয়া সিড পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের দেহে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই সাথে নানা ধরনের প্রোটিন ও খনিজ উপাদান সংগ্রহ করে থাকে। সেজন্য অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ম। খেতে অভ্যস্ত হতে পারে।
আমরা অনেকে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। চলুন তাহলে সহজে জেনে নেয়া যাক চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
-
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের দেহের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
চিয়া সিড দিয়ে ওমেগা-3 বিদ্যমান আছে যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর
কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে
-
সাধারণত দেশি মুরগির ডিম থেকে তিনগুণ বেশি প্রোটিন আছে যা মানবদেহের জন্য খুবই
প্রয়োজনীয় উপাদান।
- আপনি যদি নিয়মিত চিয়া সিড খান সেক্ষেত্রে দুধের চাইতে পাঁচগুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাবেন থেকে। যা আপনার দেহের হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মজবুত করতে সহায়তা করবে।
-
রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।
-
চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার হার সুন্দরভাবে সুরক্ষা করে এতে
প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাছাড়া এই খাবার নিয়মিত খেলে আপনার শরীরে
পূরণ পরিষ্কার রাখে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
-
চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এবং বিভিন্ন ধরনের
গ্যাসের সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে
-
আপনার ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত খাওয়া ভালো
-
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চিয়া সিড বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
চিয়া সিড এর অপকারিতা
-
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে ক্যান্সার ও স্তন
ক্যান্সার বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য এটি অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে
অল্প করে খেতে হবে।
-
আপনি যদি পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত ছিয়াশির খেয়ে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে
আপনার পেটের নানা ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
-
আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়াতে
অভ্যস্ত হয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি খারাপ পর্যায়ে
চলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
-
অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে খেলে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই
বেশি পাওয়া যাবে।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url