ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১২টি অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা শুনে হয়তো অনেকেই ভাবছেন ব্রেইন আবার কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হ্যাঁ পাঠক, আজ আমি আপনাদেরকে ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১২টি অভ্যাস সম্পর্কে বলতে চলেছি এই ব্লগটির মাধ্যমে। তাই আপনাকে ব্লগটি মন দিয়ে পড়ে যেতে হবে।

ব্রেইন-ক্ষতিগ্রস্ত-হওয়ার

আপনারা আরও জানতে পারবেন মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও ব্রেইন শুকিয়ে যাওয়া লক্ষণ সম্পর্কে। পাশাপাশি ব্রেইনের ক্ষতির কারণ এবং মস্তিষ্ক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে জানতে ব্লগটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পেজ সূচীপত্রঃ ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার  ১২টি অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত 

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ

আমরা সকলেই সচরাচর জানি যে ব্রেইন কাকে বলে এবং দৈনন্দিন নানা ধরনের কারণে আমাদের ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ মোবাইল ফোনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে তার সাথে সাথে অতিরিক্ত রাত জাগা এবং খাবারের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। যার কারণে আমাদের ব্রেইনের গোপনে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

এছাড়াও আমরা এখন বর্তমান সময়ে ু নিজেরা এবং বাচ্চাদেরকে নানা ধরনের লোভনীয় খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলছি। কেননা আমরা অনেকেই আরামের জন্য অনলাইনে অর্ডার করে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় খাবার খেয়ে থাকে সেই সাথে বাচ্চাদের কো বাইরের খাবারের প্রতি অভ্যস্ত গড়ে তুলছি। এতে করে নিজেদের ব্রেন এবং শিশুদের ব্রেন নষ্ট হচ্ছে।

আমরা বাচ্চাদেরকে নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রকাশ না করে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে দেখি যার কারণে তারা নতুন জিনিসের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। পাশাপাশি অনেকেই রয়েছে যে বাচ্চাদেরকে বাইরে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখে সবসময় ঘরে টেলিভিশন বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘর বন্দী করে জীবন যাপন করাই আগ্রহী করে তুলছেন।

আরও পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা কারণ ও ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত 

এতে করে বাচ্চাদের ব্রেনের ওপরে প্রচুর পরিমাণে আঘাত আনে হানি আনার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে তারা বাইরের পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানো থেকে দ্রুত বেড়ে চলেছে। এতে করে তাদের ব্রেনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য নিয়ে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সম্ভাবনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এভাবে আমরা নিজেদের এবং শিশুদের ব্রেইন গোপনে ক্ষতিগ্রস্ত করছি।

মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা সম্পর্কে

সাধারণত আমরা সকলেই জানি আমরা যে সকল কাজ করে থাকি সারা দিনে তা আমাদের মস্তিষ্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। তাছাড়া আমাদের যাবতীয় শরীরের কার্যকলাপ মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুধু তাই নয় আপনার সংবেদনশীল স্বায়তন্ত্র থেকে যত প্রকার তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে তা এই মস্তিষ্কের সময় এই সংরক্ষিত সঞ্চালন ঘটে।

আপনি যখন কোন তথ্য পেশ করবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক শরীরের বাকি অংশ থেকে যাবতীয় তথ্য এক্ষেত্রে করে এবং পরবর্তীতে মাথার খুলির মধ্যে সেগুলো সঞ্চিত হয়ে সুরক্ষিত থেকে পরবর্তীতে প্রকাশ করে। সেজন্য অবশ্যই আমাদের এই মস্তিষ্ক সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেক। ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উপায় সম্পর্কে সকলের খুব ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। কেননা ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের মস্তিষ্ক সাধারণত মাথার খুলি তারা সুরক্ষিত থাকে। যদি আপনার ব্রেন ভালো না থাকে তাহলে আপনি যাবতীয় কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ব্রেইন শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ পরিলক্ষিত করা যায়। আপনি যদি অনুভব করতে পারেন যে আপনার সাধারণত আগে তুলনায় শীতের শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার প্রেম শুকিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও যদি আপনার ব্রেনের এজিং এর ঘাটতি হয় তাহলে ফ্রেন্ড শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ থাকে।

এছাড়াও আপনার ব্রেন শুকিয়ে যাচ্ছে কিনা আপনি কিভাবে বুঝবেন, আপনি যদি কখনো এমন ঘটনার সাথে উপস্থিত হয়ে যান তাহলে বুঝবেন আপনার ব্রেন শুকিয়ে যাচ্ছে। যেমন আপনি যদি কারো নাম কোন স্থানের নাম ঠিক সময়ে সঠিক শব্দটি মনে করতে না পারেন।

ব্রেইন-শুকিয়ে-যাওয়ার-লক্ষণ

তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার ব্রেনের কোন জায়গাতে ফাটল ধরেছে যার কারণে আপনি খুব সহজে সাধারণ বিষয় সম্পর্কে মনে রাখতে বা স্মরণ করতে পারছেন না। এছাড়াও আপনার মাথার যেকোনো জায়গায় প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যথা করবে। কোন কথা বলার আগে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আপনার মাথা ঘুরবে এবং যেকোন ভাষা সহজে বুঝতে পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া ভাবে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

এমন অবস্থায় অনেক সময় আপনার বমি বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেই সাথে আপনি পরিকল্পনা বিহীন বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত হয়ে পড়বেন এবং সে কাজগুলো শেষ করতে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এমনকি আপনি মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ করবেন না। এমন সময় আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার ব্রেইন শুকিয়ে যাচ্ছে।

ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এক পর্যায়ে আপনার ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার বিভিন্ন ধরনের লোক ও পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার কারণে অনেকেই ব্রেইন ক্যান্সার নামক মারো মরণবেধি রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে জীবন হারাচ্ছেন। শুধুমাত্র আমাদের অসাবধানতার ফলে এসকল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে।

বর্তমান সময়ে আমরা বেশিরভাগই ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কাজের সাথে জড়িত হয়ে চলেছি। কেননা আমরা বেশিভাগ মানুষ বাচ্চারা যদি কোন ধরনের খাবার না খেতে চায় তবে তাকে গল্প বা বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখে খাবার খাওয়াতে অভ্যস্ত না গড়ে আমরা তাদের হাতে ফোন ধরিয়ে দিচ্ছি সে কারণে তাদের ব্রেইন এর বারোটা বাজছে

সাধারণত ব্রেইন ক্যান্সার হলে আপনার মাথা সারাদিনের তুলনায় সকালে খুব ব্যথা করবে। ঘন ঘন বমি হবে ও পাশাপাশি চলাফেরা করতে আপনার অসুবিধা হবে। আপনার মাথার মধ্যে ভুল চিন্তাভাবনা হবে। তার সাথে আপনার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হবে।

যে সকল খাবার খেলে ব্রেইন ভালো থাকে

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত ইচ্ছা বা অনিচ্ছা ভাবে আমাদের ব্রেইনের ওপর আঘাত সৃষ্টি করে থাকে। তবে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে যে আমাদের ব্রেইন কে সবসময় সুন্দর ও শান্তি সৃষ্টভাবে পরিচালনা করার জন্য। যদি আমরা ব্রেইন ওপর নানা ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করি তবে পরবর্তীতে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

সাধারণত আমাদের প্রতিদিন খাবারের তালিকা মধ্যে শাকসবজি থাকা উত্তম। কেননা ব্রেইন কে ভালো রাখার জন্য নিয়মিত সবুজ শাকসবজি এই খাওয়া আমাদের জন্য প্রয়োজন। সেজন্য আপনাকে প্রতিদিন আপনার বাসার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তার সাথে অবশ্যই ভিটামিন সি ও খনিজ রয়েছে এ ধরনের খাবার নিয়মিত রাখা বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুনঃ হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

মধ্যে আপনি রাখতে পারেন পালং শাক, কলার রোড, ক্যাল, পাশাপাশি সবুজ ফুলকপি প্রচুর পরিমাণে আপনি খেতে পারেন। কারণ সবুজ ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে ও বিটা ক্যারোটিনে আছে। যা আমাদের ব্রেন কে স্বাস্থ্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।

ব্রেইনের ক্ষতি করে এমন কিছু খাবার

আমরা প্রত্যেকে চায় আমাদের ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভ্যাস থেকে রক্ষা করার জন্য। কেননা ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের সামনে জীবন পুরোটাই অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য অবশ্যই আমাদেরকে আমাদের ব্রেন ক্ষতি হয় এমন কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

আমরা সচরাচর সকল ধরনের খাবার খেতে অভ্যস্ত থাকি। বিশেষ করে আমরা বাঙালি জাতি খাবার পেলে ভুলে যায় যে কি পরিমান খাবার খাওয়া আমাদের জন্য প্রয়োজন। তখন আমাদের মনে থাকে না যে আসলে এ সকল খাবার আমাদের ব্রেনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি অতিরিক্ত গরু ও খাসির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে মাখন বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাখন খাওয়াতে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে আপনার ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর এখন আমরা বর্তমানে ফাস্টফুড ও পনির খাওয়াতে বেশি আগ্রহী। যার কারণে আমরা সচরাচর ব্রেন স্টক ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার ব্যায়াম

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আপনাদেরকে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। কেননা আপনাদের আমাদের ব্রেন প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে অবশ্যই আমাদেরকে কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে যাতে করে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে ব্যায়াম করতে হবে। সে সাথে আপনাকে নিয়মিত হাটাহাটি ও দরাদরি করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি সাইকেল চালানো জানেন সে ক্ষেত্রে আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সাইকেল চালান তাহলে আপনার ব্রেন বাঁশি পাওয়া সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু আমরা বর্তমানে ছেলে মেয়েরা সাইকেল চালাতে চাইলে সহজে চালাতে দেই না।

আমরা গ্রামে যারা বাস করি সাধারণত সাঁতার কাটা জানি বা অনেকেই যারা শহরে বাস করে গ্রামে গিয়ে নিজেদের বাচ্চাদেরকে সাঁতার কাটার অভ্যাস গড়ে তুলেন। নিম্নে ৩০ মিনিট প্রতিদিন পানিতে সাঁতার কাটতে হবে এতে করে আপনার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। তার সাথে সাথে প্রেম শক্তি ও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সব সময় বন্ধ ঘরে না থেকে খোলামেলা সকলের সাথে হাসিখুশি ভাবে জীবন কাটাতে অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও করণীয় উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

মস্তিষ্ক ক্ষতি হওয়ার কারণ

আমাদের নিত্যদিনের বিভিন্ন কাজ-কর্মের প্রতি ভিত্তি করে আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিনিয়ত ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছে। কেননা আমরা বাঙালি যদিও কোন বিষয়ে বুঝে থাকি তবুও তার চেয়ে অতিরিক্ত বোঝার কাজ করে থাকি। বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামে বাস করে থাকি। তাদের মধ্যে নানা ধরনের কুসংস্কার এখনও বিদ্যমান রয়েছে।

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুম থেকে বিরত থাকেন বা বাইরের খাবারের প্রতি আসক্ত থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। বর্তমান সুযোগের মেয়েরা শশুর বাড়িতে গিয়ে রান্না বান্না বা নাস্তা করে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে বাইরের খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও যদি আপনি শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তা ভাবে বসবাস করেন।

এতে করেও আপনার ব্রেনের ওপর নানা ধরনের প্রভাব সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না থাকে। রাখার জন্য উপরোক্ত প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে আপনার ব্রেন ভালো থাকে। মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় এমন কিছু কাজ আমরা সকলে সচরাচর করে থাকি। অবশ্যই এই সকল অভ্যাস থেকে আমাদের প্রত্যেককে বেরিয়ে আসতে হবে। এবং ব্রেইনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার 12 টি অভ্যাস সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা নিতে হবে।

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১২টি অভ্যাস

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা জানেন যে এই সকল কাজ করলে আমাদের ব্রেনের উপর নানা ধরনের প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু সে সকল কাছ থেকে এখনো সরে আসতে পারছেন না। আবার আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা সচরাচর বাইরে চলাচল করতে বা মানুষের সাথে কথা বলতে পছন্দ করেন না।

তারা সব সময় অন্ধকার ঘরের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেন এবং পাশাপাশি কানের মধ্যে হেডফোন ঢুকিয়ে জোরে জোরে গান শোনাতে অভ্যাস গড়ে তুলেছেন। এতে করে আপনার সময় ঠিকই কেটে যাচ্ছে। কেননা অতিরিক্ত জোরে হেডফোনে গান শুনলে আমাদের মস্তিষ্কে নানা ধরনের প্রভাব সৃষ্টি হয়। তাই এ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেই সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।

ব্রেইন-ক্ষতিগ্রস্ত-হওয়ার-১২টি-অভ্যাস

উনারা হয়তো অনেকেই না জানার কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই আজ আমি আমার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে যে বারোটি কারণে আপনার ব্রেনের বারোটা বাজছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক যে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার 12 টি অভ্যাস কার কার মধ্যে রয়েছে আর এগুলো কিভাবে দূর করা সম্ভব।

1.অপর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার নিউরোলজি এর তথ্য অনুসারে আমাদের মস্তিষ্কের অতিরিক্ত ক্ষতির সাধ্য করে প্রতিদিন অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম যাওয়ার কারণে। আমরা সকলেই জানি যদি আমাদের ঘুমের কোনরকম ব্যাঘাত ঘটে সে ক্ষেত্রে সারাদিন নষ্ট হয়ে যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও ব্যক্তির জন্য 24 ঘন্টায় সাত ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম খুবই প্রয়োজন। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে রাত্রে ঘুমোতে হবে।

2.সকালের নাস্তা না খাওয়াঃ আপনাদের মধ্যে অনেকের রয়েছে যারা এখনো নিয়মিতভাবে সকালে নাস্তা খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। আবার অনেকেই মনে করেন মোটা হয়ে যাচ্ছি সে কারণে নাস্তা খাব না। কিন্তু না এই ভুলটি কখনোই আপনারা করবেন না। সারারাতের ক্লান্তি শেষে সকাল থেকে আপনার দিন শুরু হয়। সারাদিন নানা ধরনের কাজের জন্য শরীরের শক্তি ব্যয় হয়। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে পরিমাণ সরকারি জাতীয় খাবার খেয়ে উৎপন্ন করতে হবে। নইলে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

3.কম পানি খাওয়াঃ আমরা সকলেই জানি আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় ৭৫ পার্সেন্ট রয়েছে পানি। যার কারণে আমাদের মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য সর্বদা অতিরিক্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। কিন্তু আমরা অনেকেই প্রসাব করার ভয়ে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকি। আবার অনেকেই শীতকালে ঠান্ডার ভয়ে পানি খেতে ইচ্ছা করে না। এতে করে আমাদের ব্রেনের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। সেজন্য অবশ্যই ব্রেন ভালো রাখার জন্য পানি খেতে হবে।

4.চাপ এবং শুয়ে বসে থাকাঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের মানসিক চাপ নিয়ে জীবন যাপন করছেন। এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আপনার ব্রেন নষ্ট হয়ে চলেছে। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা কাজ করতে অভ্যস্ত না বা কাজ করতে ভালো লাগেনা। অল্প কাজ করেই ক্লান্ত বোধ মনে হয়। এভাবে থাকলে আমাদের স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি ক্ষতি হয়। তাই অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত চাপ থেকে এবং শুয়ে বসে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।

5.গুগল সার্চঃ অনেকের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে গুগল সার্চ কিভাবে আমাদের আবার ব্রেনের ক্ষতি করে। আগের দিনের মানুষেরা কোন হিসাব করার জন্য কোন ধরনের ক্যালকুলেটার বা google সার্চ ব্যবহার করতেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন ছেলে মেয়েকে একটি হিসাব ক্যালকুলেশন দিতে গেলে ক্যালকুলেটর ছাড়া হিসাব করে দিতে পারেনা।

 এর কারণ হচ্ছে আগের দিনের মানুষেরা বই পড়ার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ওপর এভাবে অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ার কারণে আমাদের মেধা শক্তি দিন দিন দুর্বলতা প্রকাশ করছে।

6.কানে হেডফোন ব্যবহারঃ বর্তমান সময়ে আমরা সাধারণত কোন ধরনের লেখালেখি বা রাস্তায় যারা করার সময় কানে হেডফোন ঢুকে গান শুনতে থাকি। বলতে পারেন এটি এখন ফ্যাশান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু এতে করে আমাদের মস্তিষ্ক নষ্ট হচ্ছে তার পাশাপাশি আমাদের শ্রবণশক্তিও ক্ষতি হচ্ছে।

 অনেক সময় একটি পরীক্ষা করে দেখবেন যে আপনি যদি অতিরিক্ত সময় ধরে হেডফোনে গান শুনতে থাকেন এবং হঠাৎ করে গান শোনা থেকে বিরত হয়ে পড়েন তখন মনে হয় চারপাশে যেন গানের শব্দ বাজছে কোন কথার শব্দ কানে ঠিক মতো যাচ্ছেনা। তাই এভাবে গান শোনা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

7.একাকীত্ব ও সামাজিক না হওয়াঃ আপনাদের মধ্যে এখনো অনেকে রয়েছেন যারা একা একা থাকতে পছন্দ করেন। সচরাচর আশেপাশের মানুষের সাথে মেলামেশা করতে আগ্রহী বা পছন্দ করেন না। এভাবে একা একা বসবাস করার ফলে আপনার ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অত্যাধিক পরিমাণে আছে। আপনি যখন সমাজের মানুষের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা আড্ডা দিবেন।

দেখবেন মন মানসিকতা ভালো থাকবে এবং আপনার মস্তিষ্কে কাজ ঠিকমতো করবে। সে জন্য মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত সামাজিকভাবে সকলের সাথে মিলেমিশে বসবাস করা। তাছাড়া আপনি যখন একা একা ভাবে বসবাস করবেন আপনার মাথার মধ্যে নানা ধরনের চিন্তা ভাবনা কাজ করবে।

8. নেতিবাচক চিন্তাঃ প্রতিনিয়ত আপনাকে নেতিবাচক চিন্তা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কিন্তু আমরা বর্তমান সমাজে বসবাস করতে গিয়ে নানা ধরনের মানুষের সাথে সম্মুখীন হয়ে থাকে। বিশেষ করে এখন মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা অন্যের নেতিবাচক দিক বিবেচনা না করে সর্বদাই ইতিবাচক কথা নিয়ে ঘাটাঘাটি বেশি করে থাকে। এতে করে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।

কিন্তু আপনি নিয়মিত যার কথা নিয়ে আলোচনা করছেন দেখবেন তার কোন কিছু হচ্ছে না। আপনি যখন কোন মানুষের কথাবার্তা নিয়ে নানা ধরনের চিন্তাভাবনা শুরু করবেন তখন আপনি কোন ভালো মানুষের সাথে মিলামিশা করতে গিয়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন না। সর্বদা মনে হবে হয়তো আপনি ভুলভাল কোন কাজের সাথে নিজেকে জড়িত করে ফেলছেন।

এছাড়াও অনেক সময়ে আপনাকে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা বলে চলেছে যেমন আপনাকে হয়তো অনেকেই বলছে তোমার দ্বারা কিছু হবে না তুমি ভবিষ্যতে কিছু করে খেতে পারবেন না এ ধরনের নেতিবাচক কথা শুনে নিজেকে চিন্তিত করবেন না এতে করে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়া সম্ভব না থাকে।

9. অন্ধকারে সময় কাটানোঃ আমরা অনেকে অন্ধকারের সময় কাটাতে পছন্দ করি। যা করা আমাদের একদম উচিত কাজ না। মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা অন্ধকারে সচরাচর সময় কাটিয়ে থাকেন তাদের মস্তিষ্ক দ্বিগুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত অন্ধকারে বসবাস করেন যেখানে বাতাস চলাচল করে না এমন পরিবেশ মস্তিষ্কের জন্য নানাভাবে ক্ষতি বা চাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সেজন্য সর্বদা নিজেকে সূর্যের আলো সংস্পর্শে নিয়ে আসুন এবং সুন্দর আবহাওয়া পরিবেশে নিজেকে গড়ে তুলুন। এতে করে নিজের স্বাস্থ্য ও মন ও ভাই ভালো থাকবে। এবং ডিপ্রেশনে এর মত সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেষতে পারবেন না।

10. খাদ্য অভ্যাসঃ আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহী গড়ে তুলতে হবে। অস্বাস্থ্য কার খাবার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকেও আপনাকে বিরত থাকতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার মস্তিষ্কের ধমনী গুলোর নানা ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তার পাশাপাশি আপনার চিন্তাভাবনা ও স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। সেজন্য সকলকে বলব অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। তার পাশাপাশি ভাজাপোড়া ফাস্টফুড এ ধরনের খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে নিজেকে অভ্যাস করে তুলুন।

11. অতিরিক্ত চিনি খাওয়াঃ অতিরিক্ত চিনি খাওয়া আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। এছাড়াও আমরা বাইরে যেগুলো খাবার বার্গার পিজ্জা ভাজাভুজি আলুর চিপ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ও খেয়ে থাকি এগুলো সাধারণত আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে। অন্যদিকে গ্রামের ভাষায় বলা যায় যে বারো মিশালি সবুজ ও বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়াতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

12.বেশি বেশি স্কিন টাইমঃ অতিরিক্ত পরিমাণে আপনি যদি স্কিন টাইম করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার মস্তিষ্ক নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন আপনি সর্বদা অফিসে গিয়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে একভাবে কাজ করতে থাকেন। আবার পুনরায় বাড়ি ফিরে একইভাবে মোবাইল হাতে নিয়ে টিপাটিপি করেন।

সব মিলিয়ে মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার এগুলোর মাধ্যমে আপনার সারাটা দিন চলে যায়। এতে করে আপনার মস্তিষ্কের পাশাপাশি চোখেরও দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়। এছাড়া আপনি যত বেশি বেশি স্কিন টাইম করবেন তত আপনি অন্য মানুষের সাথে কথা বলার কম সময় পাবেন। এমন কি আপনি আপনার পরিবারকেও সময় দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ১২টি অভ্যাস সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা

আজকের পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমি ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার 12টি অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে আমাদের ব্রেন নষ্ট হয় এবং ব্রেন ক্যান্সারের লক্ষণ। পাশাপাশি ব্রেন ভালো রাখার জন্য কি কি খাবার খাবেন এবং কি কি খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন সবকিছু মিলিয়ে আপনাদেরকে ব্যাখ্যা করে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

আশা করি আপনারা এ পর্যন্ত পড়ে ব্রেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার 12টি অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আপনারা সেইসাথে উপকৃত হবেন। আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। পাশাপাশি এরকম পোস্ট পাওয়ার জন্য নিয়মিত আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

আর আমাকে যদি আপনাদের বিশেষ কিছু বলার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন। আর্টিকেল লেখার সময় কোন ধরনের ভুল বা ভুল শব্দ প্রয়োগ করে থাকলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে ক্ষমা করবেন। আবারো ভিন্ন কোন পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব সে পর্যন্ত সকলেই ভাল থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url