ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন।ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মন দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে আপনাকে।

ভিটামিন- ডি -ক্যাপসুল- খাওয়ার- নিয়ম

আজকের আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন, ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম, কখন খাবেন,কিভাবে খাবেন,উপকারিতা-অপকারিতা, এর উৎস ইত্যাদি সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম 

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম 

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। আমরা অনেকেই শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খেতে লাগি। আপনারা এটা কখনো করবেন না। আপনি ভিটামিন ডি সূর্যালোকের মাধ্যমে নিতে পারেন।

ভারত নিরক্ষরেখার মধ্যে অবস্থান করার কারণে এখানে সূর্যালোকের আলো প্রায় সারাবছর ধরে থাকে। কিন্তু আমাদের ত্বকে যতটুকু ভিটামিন ডি প্য়োজন তা সূর্যালোক থেকে নিতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। আপনি ভিটামিন ডি সূর্যালোক থেকে নিতে আপনার শরীর সূর্যালোকে খোলা রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ সজনে পাতার মজাদার ৪টি রেসিপি

তবে আপনার শরীরের ওপর নির্ভর করে যে আপনি কি পরিমাণ ভিটামিন ডি খাবেন। যদি আপনি ফর্সা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ১৫ মিনিট রোদে থাকলে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে পারবেন। আর আপনি যদি কালো রঙের হোন তাহলে আপনাকে ভিটামিন ডি নিতে রোদে ৪৫-০১ ঘন্টা থাকতে হবে। খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার শরীর আবার পুড়ে না যায়।

শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে এ কিভাবে বুঝবেন। আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব অপরিসীম। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন।

সাধারণত সূর্যের আলোতে আমাদের শরীরে প্রাকৃতভাবে উৎপন্ন হয়। যদি আপনার শরীরের কোন হাড়ে ক্ষয় হয় এবং হাড় আস্তে আস্তে ভেঙ্গে যাওয়ার রূপান্তর হয়ে পড়ে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পড়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুদের হাড়ের আকৃতি ভিন্ন রূপ এবং অনেক শিশুদের রিকেট নামক রোগ হয় ভিটামিন ডি এর অভাবে।

বিস্তারিত জানতে এখানে চাপ দিন

অনেক সময় আপনার শরীর ঝিমঝিম এবং বমি বমি মাথা ঘুরবে। এ সময় আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি করেছে। আপনার পরিসমের ক্ষমতা দিন দিন বাড়ার সাথে সাথে আপনার ওজন কমতে থাকবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে নিতে হবে ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন আপনার শরীরের জন্য।

ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার শরীরের মাংসপেশীর দুর্বলতা অনুভব হয়। শরীরে এক ধরনের বিষন্নতা কাজ করে সারাক্ষণ মনে হবে আপনি কোন মানসিক চিন্তায় চিন্তিত।। আপনার শরীরে ভিটামিন ডি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে হারে ক্ষয় রোধ শুরু হবে এবং হাড় ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়

ভিটামিন ডি বেশি খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সেজন্য আপনাকে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। যাকে চিকিৎসকের ভাষায় বলা হয় হাইপারগেলসিয়ামিয়া। 

ভিটামিন -ডি- বেশি- খেলে- কি- হয়

আপনার শরীরের সাধারণত ৮.৫-১০.৮ পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকলেই যথেষ্ট। এর চেয়েও যদি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তবে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন হতে পারে বমি বমি ভাব পেট ব্যথা অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং সব সময় নিজেকে দুর্বল অনুভব করবেন।

আরও পড়ুনঃ নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়

তা ছাড়াও ভিটামিন ডি এর পরিমাণ আপনার শরীরে অতিরিক্ত হলে আপনার খিদের লাগা কমে যাবে। ভিটামিন ডি ক্যাপসুল হাড়ের যত্ন নেয় কিন্তু আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে গেলে বিপরীত হতে পারে। আপনার শরীরে হারে যন্ত্রণা বেশি নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল কখন খেতে হয়

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল আমাদের শরীরের নানারকম সমস্যার সমাধান করে থাকে। তবে আমাদের শরীরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রাণ ঝুঁকি হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনাকে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

সাধারণত আপনারা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে তিনটার মধ্যে সূর্যালোকে থেকে ভালো পরিমা ন ণে ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারেন। আপনি যখন বাইরে বের হবেন তখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার থেকে ছোট হয়ে গেছে তাহলে বুঝতে হবে সে সময় আপনার শরীরে উৎপন্ন করতে পারবেন।

তবে আপনার গায়ের রং ভিটামিন ডি তৈরিতে ভূমিকা রাখ। সাধারণত আমাদের দেশে কম বেশি গায়ের রং শ্যাম বর্ণ ধরনের হয়ে থাকে। আপনি ভিটামিন ডি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপনার গায়ের বর্ণ এক ধরনের সমস্যা হতে পারে। কারণ গায়ের রং ফর্সা হলে ভিটামিন ডি তাড়াতাড়ি শরীরে শোষণ ক্ষমতা রাখে। কালো রংয়ের ক্ষমতা কম।

তবে চিকিৎসকেরা ধারণা করে ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি সূর্যালোকের থেকে পাওয়া যায়। এটা বলে থাকেন যে সকালে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়া সবচাইতে ভালো সময়। তাহলে আপনি সবচাইতে ভালো পুষ্টি পেতে পারেন। এছাড়াও আপনি ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চের পরে ভিটামিন ডি খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছে সকাল বেলা ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়া ভালো।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

ভিটামিন যুক্ত খাবারের তালিকার পাশাপাশি অবশ্য ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে। আপনার মৃত্যু দিনের বিভিন্ন ধরনের কাজে শক্তি হিসেবে ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন থাকে। অনেকের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখলে চিকিৎসুকে পরামর্শের জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন।

সে ক্ষেত্রে আপনারা ওষুধের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেয়ে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। কিছু মাছ যেমন তেমন ও টোনা মাছ ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। আপনাকে হারে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। সেটা যে ধরনের মাছ হোক- নদীর ছোট মাছ,মংলা,ভেটকি, রুই ইত্যাদি মাছে ভিটামিন ডি আছে।

আরও পড়ুনঃ ১৪৩২ সালের বাংলা ক্যালেন্ডার ২০২৫

এছাড়াও আমরা সবাই জানি দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। পাশাপাশি ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস। তাই আপনারা দুধ নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হবে। এছাড়াও সয়াবিন তেল,মাশরুম,সূর্যমুখীর বীজ ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস। এগুলো আপনাকে খেয়ে খুব সহজে প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে পারেন।

মেয়েদের জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা

মেয়েদের জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা অনেক যা বলে ব্যখ্যা করা সম্ভব না।মেয়েরা বরাবর একটু নিজেদের নিয়ে অবহেলা করেন। আমরা মেয়েরা সময় মতো খাওয়া দাওয়া করতে চাই না। আমি বলবো মা বোনদের আপনারা নিজেদের শরীরের যত্ন নিন। না নিলে আপনার বয়স ৩০ এর পর থেকে শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

নারীরা মায়ের জাত তাই তাদের প্রজনন ক্ষমতা ভালো রাখার জন্য ভিটামিন ডি খাওয়ার প্রয়োজন আছে। ভিটামিন ডি এর অভাবে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও আপনার শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে সেই অবস্থায় আপনার সন্তান হলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে এমনি প্রাণ ঝুঁকি থাকে। মেয়েদের শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে, স্তন,জরায়ু, যোনিতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মেয়েদের- জন্য -ভিটামিন- ডি- এর -প্রয়োজনীয়তা

মেয়েদের শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, বন্ধত্ব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। এর ফলে শরীরে হরমোনের সমস্যা দেখা যায়। মেয়েরা সারাদিন হাড় ভাংগা পরিশ্রম করেন। তাই দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা অনেক।এছাড়াও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূর্ণ করার জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ভিটামিন ডি 

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ভিটামিন ডি খাওয়ার নিয়ম জানা খুব প্রয়োজন। সেই সাথে আগে আপনাকে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। অনেক চিকিৎসক বলেছেন, গর্ভাবস্থায় নারীদের ৪০০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন ৪০০ আই ইউ খেতে হবে ভিটামিন ডি। 

তবে আপনাদের মধ্যে যে সকল নারীদের ভিটামিন ডি এর অভাব আছে তাঁরা  কিছুটা বেশি মাত্রায় ভিটামিন ডি খেতে পারেন। সাধারণত গর্ভাবস্থায় আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। সেই সাথে এই অবস্থায় অনেক সচেতন ও নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাই এসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা ভালো।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

ভিটামিন ডি খাওয়ার জন্য বুকের দুধের মধ্যে উপাদান গুলো নিঃসৃত হয়। তাই আপনি যখন আপনার শিশুকে বুকের দুধ পান করান তখন ভিটামিন ডি তাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাও যদি আপনার শিশুকে ভিটামিন ডি খাওয়াতে চান তাহলে আপনার ভিটামিন ডি খাওয়ার দিকেও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি বেশি হয় তাহলে শিশুকে ভিটামিন ডি না খাওয়ালেও হবে।

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা 

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা অনেক যা সম্পর্কে খুব কম মানুষের জানা। ভিটামিন ডি এর কারণে আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের কাজ করতে এনার্জি পাই।শরীরের প্রতিটি কাজের সাথে সম্পৃক্ত ভিটামিন ডি। আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আমরা ঠিক মতো চলাচল ও করতে পারতাম না। তাই ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা অনেক।

  • পেশির জন্য ভিটামিন ডিঃ পেশিতে শক্তিবৃদ্ধি, কার্যক্ষমতার উন্নতির জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। আপনার পেশিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন ডি দরকার। তা নাহলে আপনার পেশি অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ওজন কমাতে ভিটামিন ডি -র সহায়তাঃ  আপনি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার খিদে প্রবণতা কম হবে। এতে করে ওজন বৃদ্ধি কমবে। আপনি যদি ডায়েট কন্ট্রোল করতে চান তাহলে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খান, এতে আপনার শরীরে শক্তি বাড়বে এবং ব্যায়াম করতে অসুবিধা হবে না।
  • দাঁতের জন্য ভিটামিন ডিঃ আমাদের দাঁত একটি মূল্যবান অঙ্গ। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারে ক্যালসিয়াম,আয়রন, ফসফরাস, জিংক থাকে তাই ভিটামিন ডি খেলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয়।
  • মহিলাদের জন্য ভিটামিন ডিঃ মহিলাদের মাসিক এর জন্য ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের হাড়ের ক্ষয়রোধ হতে থাকে। যে কারণে মহিলাদের মাসিক এর সমস্যা হয়। তাই মহিলাদের জন্য ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
  • শিশুদের জন্য ভিটামিন ডিঃ শিশুদের হাড়ের গঠনের জন্য ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিশোর -কিশোরীদের মধ্যে হাড়ের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শিশুদের প্রায় ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ানো যাতে করে তাদের হাড় শক্তিশালী হয় এবং রিকেট নামক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • ক্যান্সারের জন্য ভিটামিন ডিঃ ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। আপনার এলাকায় সূর্যের আলো প্রকট থাকলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। শরীরে কম ভিটামিন ডি থাকলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন ডি এর অপকারিতা 

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন ডি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। সব ধরনের খাবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে শরীরের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরের জন্য সমস্যা করতে পারে।
  • ভিটামিন ডি আপনার শরীরে বেশি হলে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। কোন কাজ ঠিকভাবে করতে ইচ্ছে করবে না।
  • ভিটামিন ডি বেশি হলে মাথা ব্যাথা হবে এবং চোখ দিয়ে পানি ঝরবে।
  • আপনার খিদে লাগবে না আর খিদে লাগলেও খেতে ইচ্ছে করবে না এতে করে আপনার শরীর দূর্বল হয়ে পড়বে।
  • বমি বমি ভাব হবে কিন্তু বমি হবে না এবং আপনি ভিতরে কষ্ট পাবেন।
  • আপনার মুখ বার বার শুকিয়ে যাবে এবং ঘন ঘন পিপাসা পাবে। 
  • আপনি খাবারে কোন স্বাদ পাবেন না। আপনার মুখ পানসা হয়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

শেষ মন্তব্যঃ ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমি পুরো আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিভাবে খাবেন,কখন খাবেন, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার,উপকারিতা ও অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা ভিটামিন ডি খাওয়ার সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

আমাদের গ্রামে এখনো মানুষ বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে রোদে নিয়ে যায়। এছাড়াও চিকিৎসকরাও শিশুদের সকালের রোদ শরীরে লাগানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।আপনাদেরকে আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এরকম পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url