তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আসলে সে তালমাখনা কাতিলা গাম কি সে সম্পর্কে আপনি কি জানেন। যদি না জানেন তাহলে আজকের ব্লগটির মাধ্যমে জানতে পারবেন।
তালমাখনা কাতিলাগাম কিভাবে খেতে হয়, কখন খেতে হয়, উপকারিতা, খেলে কি হয়
ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে ব্লগটি মনোযোগ
দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে তালমাখনা কাতিলাগাম সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
পেজ সূচীপত্রঃ তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
- তালমাখনা ও কাতিলাগাম কোথায় পাওয়া যায়
- তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর দাম
- তালমাখনা ও কাতিলাগাম কখন খেতে হয়
- তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর কাজ
- কাতিলাগাম এর পুষ্টি উপাদান
- তালমাখনা ও কাতিলাগাম ভেষজ গুণবলি
- কাতিলাগাম এর উপকারিতা
- তালমাখনা খাওয়ার উপকারিতা
- লেখকের মন্তব্যঃ তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা অনেক। তালমাখনা সাধারণ তো উদ্ভিদের
বীজ থেকে তৈরি করা হয়। তালমাখানাতে প্রচুর পরিমাণে এলকোয়েড, লুকিয়লল,
তেল ও নানা ধরনের এনজাইম বিদ্যমান থাকে। এটা আমাদের অনেক উপকারে লাগে। এই
উদ্ভিদটি সাধারণত ৫০সেন্টিমিটার থেকে এক মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। এর সাধারণত
ফুল ও ফল অগ্রহায়ণ ও পুরুষ মাগের মাঝামাঝিতে হয়ে থাকে।
অপরদিকে কাতিল আগাম হচ্ছে উদ্ভিদের শিকড়। সাধারণত যে উদ্ভিদ থেকে কাতিলাগাম তৈরি
করা হয় সেটি সর্বপ্রথম সংগ্রহ করে। ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে নেয়া
হয়। কাতিলা গাম নিজস্ব কোন গন্ধ বা স্বাদ নেই। এগুলো খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য
বেশ উপকারী।
তালমাখনা খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন রাতে একগ্লাস পানিতে ২ চা-চামচ তালমাখনা
বীজ বা টালমাখনার গুড়া ভিজিয়ে রাখুন। এবং সকালবেলা উঠে খালি পেটে এগুলো খেয়ে
নিন। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে তালমাখানা খাওয়ার পরে প্রায় 40 থেকে এক ঘন্টার
মধ্যে কোন কিছু খাওয়া যাবে না। কোন কিছু খেয়ে নিলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
তবে যত বেশি পারবেন পানি খাবেন তার সাথে হাটাহাটি করবেন। এতে করে তালমাখনা হজম
হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আপনি তালমাখনা খাওয়ার জন্য দুধ ব্যবহার করতে
পারেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা 1 গ্লাস দুধে দুই থেকে তিন চাচা চামচ তালমাখনা আর
গুড়া দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে মধুর সাথে মিস করে খেয়ে
ফেলুন।
কাতিলাগাম হলো উদ্ভিদের শিকড় থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এটি কিছুটা জেলির মতো
দেখতে। এটাও ঠিক একই নিয়মে সন্ধ্যাবেলা এক গ্লাস পানিতে চাঁদ থেকে ৫ চাচা চামচ
দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন। সে একই নিয়মে পরিমাণ পানি
খেতে থাকুন এবং হাটাহাটি করুন।
তালমাখনা কাতিলাগাম একসাথে খাওয়ার নিয়মঃ তালমাখনা কাতিলাগাম একসাথে খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে তালমাখনা আলাদা করে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।কাতিলাগামও আলাদা গ্লাসে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দেখবেন তালমাখনা ভিজে ফুলে ওঠবে আর কাতিলা গাম ভিজে আঠালো জেলির আকৃতি ধারণ করবে।এবার দুটো একসাথে পানি বা মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন।
অবশ্যই খালি পেটে খাবেন। খাওয়ার পরে বেশি বেশি পানি খেতে থাকুন। যদি পারেন তাহলে হাটাহাটি করবেন।এতে করে হজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে ৪০ থেকে ১ ঘন্টা মতো কোন খাবার খাবেন না। শুধু পানি খাবেন। এতে করে তালমাখনা কাতিলাগাম এর প্রভাব পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
তালমাখনা ও কাতিলাগাম কোথায় পাওয়া যায়
তালমাখনা ও কাতিলাগাম আপনি সাধারণত আপনার নিকটস্থ কোন বাজারে গিয়ে মোদি দোকান থেকে কিনতে পারবেন। এটি বর্তমানে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। তাই খুব সহজে আপনি মোদি দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আপনি যখন তালমাখনা ও কাতিলাগাম কিনবেন দেখে কিনবেন যাতে ভালো মানের হয়। যদি আপনি মোদি দোকানে তালমাখনা ও কাতিলাগাম না পান।
তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। এখন বর্তমানে অনলাইনে তালমাখনা ও কাতিলাগাম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যেকোন প্রডাক্ট বিক্রি করে এমন ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে তালমাখনা ও কাতিলাগাম অর্ডার করতে পারেন।এছাড়াও হকারের কাছে খোঁজ করলে পাবেন। তারা হকারি করে এগুলো বিক্রি করেন।
আপনি যদি মনে করেন যাঁরা নিয়মিত তালমাখনা ও কাতিলাগাম খাই তাদের সাথে যোগাযোগ করে খোঁজ পেতে পারেন। এবং পাশাপাশি তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জানতে পারেন। প্রায় সব মানুষ এখন তালমাখনা ও কাতিলাগাম সম্পর্কে সচেতন ও বিস্তারিত জানেন।
তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর দাম
তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর দাম খুব বেশি না। তবে এর মানের দিক বিবেচনা করে দাম কমবেশি হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর দাম থাকে না।তবে কখনো স্তান অনুযায়ী আপনার কাছে দাম কম বেশি করতে পারে।সাধারণত ১০০ গ্রাম তালমাখনা আপনি ১৩০ থেকে ১৬০ এর মধ্যে পেতে পারেন। বর্তমানে তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর উপকারিতা সম্পর্কে মানুষ জানতে পেরেছে।
অপর দিকে কাতিলাগাম ১০০ গ্রাম আপনি ২০০ থেকে ৩০০ বা তারও বেশি হতে পারে। দিন দিন দামের কম বেশি হচ্ছে।যার কারণে সঠিক দাম বলা কঠিন হয়ে পড়েছে।আর আপনি যদি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নিতে চান। তাহলে ডেলিভারি চার্জ দিয়ে হয়তো আর একটু বেশি দাম হতে পারে। গ্রামের মানুষ খুব সহজে তালমাখনা ও কাতিলাগাম সংগ্রহ করতে পারেন।
এমনি তারা এটি তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন। অনেক সময় তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর পাউডার আপনি পেয়ে যেতে পারেন। তবে কেনার সময় অবশ্যই আপনাকে গুণাগুণ মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। কারণ খারাপ বা নষ্ট হলে সেগুলো খাওয়ার পরে আপনার শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। আর আপনি যদি দারাজ,আমার বাজার ও রকমি ডট কম এগুলো থেকে সংগ্রহ করেন তাহলে ভালো মানের পাবেন।
তালমাখনা ও কাতিলাগাম কখন খেতে হয়
তালমাখনা কাতিলাগাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে তালমাখনা ও কাতিলাগাম কখন খেতে হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কারণ ভুল নিয়মে খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় বা রাতে গ্লাসে ভিজিয়ে রেখে দিন।তারপর সে গুলো একসাথে মিশিয়ে নিন এবং তার সাথে মধু দিয়ে আপনি খেতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খুব সকালবেলা খালি পেটে তালমাখনা ও কাতিলাগাম আপনাকে খেতে হবে। কোন ভাবে ভরা পেটে খাবেন না এতে করে আপনার শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা মিষ্টি ছাড়া খাবেন। আপনি শুধু সকালবেলা তালমাখনা ও কাতিলাগাম খাবেন। তবে গ্রীষ্মকালে যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয় তাই সে সময় আপনি দুবার করে খেতে পারেন।
সকাল ও রাতে এই দুই বার খেলেই হবে। আর শীতকালে মূলত একবার খেলেই হবে।অন্য দিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার স্বাস্থ্য কেমন তার ওপরও তালমাখনা ও কাতিলাগাম খাওয়া নির্ভর করে। আপনার শরীরের যতটুকু তালমাখনা ও কাতিলাগাম প্রয়োজন ঠিক ততটুকু খেতে হবে। তার বেশি খেলে আপনার শরীরে পাশ্বপ্রতিক্রয়া দেখা দিতে পারে। আর সময় আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে পানি খেতে হবে তার সাথে হাটাহাটি করলে অনেক ভালো উপকার পাবেন।
তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর কাজ
তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর মূলত কাজ হচ্ছে শারিরীক শক্তি বৃদ্ধি করা।গর্ভবতী মায়েদের শরীরের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করেন। আপনার যদি হাত- পা জ্বালা পোড়া ভাব থাকে তাহলে তা দূর করতে সাহায্য করে তালমাখনা ও কাতিলাগাম। আপনার ওজন কমিয়ে আপানকে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তালমাখনা ও কাতিলাগাম।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং করার উপায়
এছাড়াও পুরুষের লিপিডো উন্নত করতে সহায়তা করে তালমাখনা ও কাতিলাগাম। তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর উপকারিতা অনেক যা আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীরে দূর্বলতা ভাব দূর হবে। মোট কথা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আমরা খাওয়ার পাশাপাশি আপনাদের বাচ্চাদেরও খাওয়াতে পারি।
গরম পড়লে আমাদের শরীর থেকে ঘাম ঝরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। পাশাপাশি স্টোক এর পরিমাণ বেড়ে যায়। আপনি যদি প্রতিদিন তালমাখনা ও কাতিলাগাম নিয়মিত খান। তাহলে স্টোক ও পানির ঘাটতি উভয়ই দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও অনেক পরিশ্রম করার জন্য শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তালমাখনা ও কাতিলাগাম আপনি প্রতিদিন সকাল বেলা খাবেন দেখবেন শরীরে সব ক্লান্তি দূর হবে।
কাতিলাগাম এর পুষ্টি উপাদান
কাতিলাগাম অনেক উপকারি। যার মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজনীয় উপাদান মধ্যে একটি। আপনার শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। যার জন্য বর্তমান সময়ে এগুলোর দাম তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সকলের কাছে একটি জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত।
পুষ্টি উপাদান সমূহঃ
- প্রোটিন
- ফাইবার
- ক্যালরি
- সোডিয়াম
- হাইড্রেটস
- কার্বোহাইড্রেট
তালমাখনা ও কাতিলাগাম ভেষজ গুণবলি
তালমাখনা ও কাতিলাগাম ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ একটি উপাদান। যা আমরা নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। অনেক সময় যারা হারবাল ব্যবহার করে তারা তালমাখনা ও কাতিলাগাম এর ভেষজ গুণ হিসেবে বিক্রয় করে থাকেন। আপনার অনেক রোগ আছে যে গুলো সাধারণত ভেষজ ওষুধের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
যেমন- শুক্রমেহ,লিউকোরিয়া,পুষ্টিকারক,যৌনদুর্বলতা ইত্যাদি দূর করার জন্য ভেষজ ওষুধের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে তালমাখনা ও কাতিলাগাম ভেষজ ওষুধের প্রয়োজন মিটাই। আবার অন্য দিকে অনেক বায়ু নিঃসারক,পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে তালমাখনা ও কাতিলাগাম ভূমিকা রাখে।
সেজন্য বলা হয়ে থাকে তালমাখনা ও কাতিলাগামের মধ্যে ভেষজ গুণাবলী রয়েছে। পেটের সমস্যা হলে আপনি সামান্য পরিমাণে তালমাখনা ও কাতিলাগাম খেয়ে নিন এবং হাটাহাটি করুন দেখবেন আস্তে আস্তে পেট ব্যথা দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া ভেষজ গুণাবলী রয়েছে বলে এগুলো বেশি হারবাল দোকানে বেশি পাওয়া যায়। তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সকলের জন্য প্রয়োজন।
কাতিলাগাম এর উপকারিতা
কাতিলাগামে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। তালমাখনা কাতিলাগাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা আমাদের জন্য অপরিসীম। যে গুলো খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যায়।নিম্নে উপকারিতা গুলো দেওয়া হলোঃ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ আপনি যদি নিয়মিত কাতিলাগাম খান তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। কাতিলাগামে ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান বিদ্যমান আছে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে সহজে পেটের সমস্যা দূর হয়।
ত্বক ও চুলের যত্নঃ কাতিলাগাম আমাদের ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সহায়তা করে এবং ত্বক নরম ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এর কারণ হচ্ছে কাতিলাগামে আন্টিইনফ্লামেটরি ও এন্টি এজিং উপাদান আছে। কাতিলা গাম খাওয়ার ফলে চুলে ক্যালসিয়াম পাই ফলে চুল পড়া কমে যায়।
শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখেঃ আপনি প্রতিদিন রাতে কাতিলাগাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খান তাহলে আপনার শরীর ও পেট ঠান্ডা থাকবে। আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর হবে। অতিরিক্ত গরমে স্টোকের সম্ভাবনা কম থাকবে।
হাত- পায়ের জ্বালা কমাতেঃ কাতিলাগামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। আর আমাদের হাত পা সাধারণত ক্যালসিয়ামের অভাবে জ্বালা- পোড়া করে। তাই আপনি নিয়মিত কাতিলাগাম খেলে হাত- পা জ্বালা পোড়া কমবে।
যৌনসক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিয়মিত কাতিলাগাম খেলে নারী ও পুরুষ উভয়ই যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাই। বীর্যে শুক্রাণু বৃদ্ধি ও উর্বর হয়।
টক্সিন দূর করতেঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। আপনি কাতিলাগাম কেলে শরীরে এসব বিষাক্ত দূর হবে এবং শক্তি বৃদ্ধি পাই। যার কারণে বিষাক্ত ও টক্সিন শরীর থেকে বের হয়।
হাঁটু ব্যাথা কমেঃ কাতিলাগাম খেলে হাঁটু ও পেশির ব্যথা কমে কারণ কাতিলাগামে ক্যালসিয়াম থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ কাতিলাগামে এক প্রকার এনজাইম আছে। যা আমাদের হজম করতে শক্তি বৃদ্ধি করে। আর তাই যাদের পায়খানার সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কাতিলাগাম খেতে পারেন তাহলে উপকৃত হবেন।
ক্লান্তিদূর করতেঃ প্রতিদিন অনেক পরিশ্রম করার ফলে শরীরে অনেক অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর শরীরের এই ক্লান্ত দূর করতে আপনি কাতিলাগাম খেতে পারেন।
তালমাখনা খাওয়ার উপকারিতা
তালমাখনা খাওয়ার অনেক উপকারিতা।চলুন জেনে নিই তালমাখনার উপকারিতা গুলোঃ
কিডনি সমস্যাঃ তালমাখনা খেলে কিডনি ভালো থাকে এবং এর কার্যকরিতা বেড়ে যায়। নানা ধরনের কিডনি সমস্যা দূর হয়।
শারীরিক শক্তিঃ তালমাখনা খাওয়ার জন্য শরীরের ক্লান্তি দূর হবে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাই।
বদহজমঃ অনেক সময় খাওয়ার সমস্যার কারণে পেটে বদহজম এর সমস্যা হয়। সে সময় তালমাখনা খেলে সমসধান পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ প্রতিদিন সকাল বিকেল তালমাখনা কেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
হরমোন সমস্যাঃ নিয়মিত তালমাখনা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
প্রসাবের সমস্যাঃ আপনার যদি প্রসাবের সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে আখের রস বা গুড় ও তালমাখনা একসাথে খেলে উপকার পাবেন। প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমবে।
ওজন কমায়ঃ তালমাখনা আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন হ্রাস করে। তালমাখনা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। যার ফলে ওজন কমে।
যৌন শক্তিঃ যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তালমাখনা আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। এতে করে ভালো ফলাফল পাবেন।
ক্যান্সার ঝুঁকি কমেঃ তালমাখনা নিয়মিত কেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কারণ তালমাখনা ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ তালমাখনা শরীরের শর্করার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
লেখকের মন্তব্যঃ তালমাখনা কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
তালমাখনা কাতিলাগাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা জানতে ও বুঝতে পেরেছেন তালমাখনা কাতিলাগাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে।কিভাবে খাবেন,দাম সম্পর্কে, কোথায় পাওয়া যায়, কি কাজে লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনারা নিয়মিত তালমাখনা ওকাতিলাগাম খাওয়ার নিয়ম করতে পারলে আপনার শরীরের যাবতীয় ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যাবে। এগুলো সাধারণত ঔষধের কাজ করে। ব্লগটি পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এ ধরনের পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url