সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। সজনে পাতায় আইসো থায়োসায়ানেট থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী।
পেজসূচী পত্রঃ সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
- সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
- সজনে ডাটা ও ফুল খাওয়ার নিয়ম
- সজনে পাতা গুড়া করার নিয়ম
- সজনে পাতার শাক খাওয়ার নিয়ম
- সজনে পাতার ভর্তা খাওয়ার নিয়ম
- সজনে পাতার জুস খাওয়ার নিয়ম
- শিশুদের সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
- সজনে গাছ লাগানোর নিয়ম
- সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- সজনে পাতা খাওয়ার অপকারিতা
- লেখক এর শেষ কথাঃ সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা সবার জন্য খাওয়ার নিয়ম প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। অনেকে আবার সজনে
পাতা তিতো ভাবে জন্য পছন্দ করেন না। শিশুদের জন্য সজনে পাতার রস খুব গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান। সজনে পাতার। গুড়া করেও জুস হিসাবে আপনি খেতে পারেন। আবার সজনে পাতার
ছড়িয়ে সিদ্ধ করে শাক রান্না করেও খাওয়া যায়।
সজনে পাতা ছিড়ে আপনি ভালোভাবে ধুয়ে আদা সিদ্ধ করে নিন। এরপর পাটা ব্লা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পুনরায় তেলের ওপর দিয়ে নানা নারী করে আপনি খেতে পারেন। আপনি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে সজনে পাতা খেতে পারেন। অনেকে সজনে পাতা শুকিয়ে গুড়া করে বয়মের সংরক্ষণ করে রাখেন। এতে করে পরবর্তীতে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় প্যাড ব্যবহারের নিয়ম
সজনে ডাটা ও ফুল খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম এর পাশাপাশি ডাটা ও কুল খাওয়ার নিয়ম প্রায় একই রকম। সজনে ফুল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম ও কুল খাওয়ার নিয়ম প্রায় একই প্রকার। সজনে গাছের ফুল সাধারণত সকাল বেলা ঝরে পড়ে। আপনি সেগুলো পুড়িয়ে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ভাত দিয়ে।
ভাজি করে খেতে পারেন। ফুলের সাথে দুই একটা আলু দিয়ে আপনি খেতে পারেন। সজনে ফুল
থেকে সদ্য ডাটা তৈরি হয় যেগুলো গ্রাম্য ভাষায় লাল নামে পরিচিত। এগুলো আপনি ছোট
ছোট করে কেটে ভাজি করেও খাওয়া যায়। সজনে ডাটা মুসুরির ডাল বা আলু মাছ দিয়ে
রান্না করেও খাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু উপকারিতাতেও ভরপুর।
অনেকে সজনে ডাটার জুস করে খান। জুস করার নিয়ম হচ্ছে সজনে ডাটা কেটে ছোট ছোট করে
ছিলে সিদ্ধ করে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে ইউজ করা হয়। সজনে দেখা প্রায় সবসময়ই
পাওয়া যায়। তেমনি সজনে পাতাও প্রায় সব সময় পাওয়া যায় হাতের নাগালে। শহর
অঞ্চলেও এখন প্রায় সব জায়গাতে সজনে গাছ দেখতে পাওয়া যায়।
সজনে ডাটার দাম সিজন ভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। সজনের পাতা কাঁচা জুস করেও খাওয়া
খুব উপকারী ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। আমরা অনেকেই পছন্দ করি ছুটি বা সজনে
ডাটার খেতে। আবার অনেকেই অপছন্দ করেন এই সজনে ডাটা এবং এর পাতা খেতে।
সজনে পাতা গুড়া করার নিয়ম
সজনে পাতা গুড়া করার নিয়ম হচ্ছে গাছ থেকে সজনে পাতা ছড়িয়ে নিয়ে। ভালোভাবে
পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রৌদ্রে শুকিয়ে বা রুটি বানানো খোলতে ভেজে নিয়ে
ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড বা পাটাতে বেটে নিতে পারেন। এছাড়া আপনারা ইচ্ছে করলে
ছুটিপাতা বাজনে পাতা তেলে ভেজেও গুড়া করতে পারেন। তবে তেলে ভেজে গুড়া করলে
সেগুলো বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না নষ্ট হয়ে যায়।
আর যদি আপনি সজনে পাতা রোদে বা রুটি বানানো খোলতে ভেজে গুড়া করেন তাহলে সেগুলো বয়মে নিয়ে অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। পরবর্তীতে সহজে ব্যবহার করা যায়। আর আমরা যারা গ্রামে বাস করি তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন রকম কারণ তারা সবসময় হাতের নাগালে সজনে পাতা পান।
সজনে পাতার গুড়া করার জন্য রোদে শুকানো বা রুটি বানানো খোলাতে ভাজায় সবচাইতে
ভালো। এতে করে অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়। সজনে পাতা গুড়া করার ক্ষেত্রে
খেয়াল রাখতে হয় যেন সজনে গাছের ডটার ছোট ছোট ডাটিগুলো না থাকে। আশা করি আপনারা
বুঝতে পেরেছেন সজনে পাতা কিভাবে গুড়া করবেন।
আরও পড়ুনঃড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
সজনে পাতার শাক খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতার শাক খাওয়ার নিয়ম প্রায় সকলেই আমরা জানি। সজনে পাতায় একটা একটা করে
ছাড়িয়ে নিয়ে বা অনেকেই এমনিতেই ছড়িয়ে নেন ডাল থেকে। এরপর পুঁইশাকের পাতা পা
মোলবি কচুর পাতা দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে রান্না করে। অনেকেই আবার সজনে পাতা
ছাড়িয়ে খাবার সোডা দিয়ে রান্না করে খাই।
সজনে পাতার গুরুত্ব আমাদের শরীরের জন্য অপরিসীম। অনেকেই আবার বারো মিশালি শাকের সাথে সজনে পাতা মিস করে রান্না করে খাই। সজনে পাতার স্বাদ একটু তিতা ভাব থাকে। যার জন্য ছোট বাচ্চারা খেতে দ্বিধাবোধ করে। আপনি সজনে পাতা ছাড়িয়ে লবণ মরিচ পেঁয়াজ দিয়ে ভাত দিয়ে নেবেন।
এরপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে তার সাথে রসুন কচি শুকনা মরিচ কুচি জিরা দিয়ে ভেজে
ভাপ দেওয়া সজনে পাতাগুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে নাড়া নাড়ি করুন। ব্যস
হালকা জালে ভেজে নিন। এরপর ইচ্ছামতো সল্ভ করুন। দেখবেন খেতে খুব সুস্বাদু
হয়েছে।
সজনে পাতার ভর্তা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতার ভর্তা খাওয়ার নিয়ম একেক জন একেক রকম করে খাই। সজনে পাতা প্রথমে
ছড়িয়ে নিয়ে পানি দিয়ে সুন্দর ভাবে ধুয়ে নিন। এরপর একটা পাত্রে পাতাগুলো রেখে
কয়েক কোয়া রসুন কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত দিয়ে নিন। এভাবে ভাব দেওয়া হয়ে গেলে
আপনি সজনে পাতা গুলো ঠান্ডার জন্য রেখে দিন।
ঠান্ডা হয়ে গেলে পাতাগুলো ব্লেন্ড করে নিন। পুনরায় কড়াইয়ে শুকনা মরিচ রসুন
কুচি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সেগুলো লাল হয়ে আসলে ব্লেন্ড করা ছুটি পাতাগুলো তার
মধ্যে ঢেলে দিন। এরপর নাড়তে থাকুন। এক সময় দেখবেন এগুলো এক প্রকার রস মরে আটালো
বা শক্ত হয়ে আসছে। তখন নাম নিয়ে বাটিতে নিয়ে আপনি খাবার জন্য সলভ করতে
পারেন।
আবার অনেকেই সজনে পাতা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেয়। এবং সেগুলো ভালোভাবে হালকা
তেলে ভেজে নেয় এরপর হাত দিয়ে বা পাটায় সেগুলো গুড়া করে নেয়। পিয়াজকুচি রসুন
কুচি কাঁচামরিচ কুচি কুচি করে কেটে এগুলো সরিষা তেল ও লবণ দিয়ে একসঙ্গে মেখে
নিয়ে ভর্তা তৈরি করে। আবার অনেকেই হালকা তেলে ভেজে নিয়ে ভর্তা তৈরি করে।
সজনে পাতার জুস খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি সজনে পাতার গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের
জানতে হবে। সজনে পাতার জুস খাওয়ার জন্য। সজনে পাতা ছড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে
ব্লেন্ড করে পাটায় বেটে জুস বানানো যায়। এছাড়াও আপনি সজনে পাতা একটা পাতিলে
নিয়ে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে যে রস বের হয় সেগুলো খেতে পারে।
কাঁচা সজনে পাতা জুস আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কাঁচা সজনে পাতা ব্লেন্ডারে
ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে আপনি খেতে পারেন। আপনার পাশাপাশি আপনার সন্তান কেউ
খাওয়াতে পারেনি। করে তারাও উপকারিতা হবে। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক
গ্লাস পানি খাওয়ার পরে। আপনি সজনে পাতার রস করে সেগুলো জুস হিসাবে খেতে
পারেন।
আরও পড়ুনঃ মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীরের ব্যথা দূর হবে।
এছাড়াও সজনে পাতা গুড়া করে বোয়ামে রেখে প্রতিদিন সকাল বেলায় এক চা-চামচ পানির
সাথে নিয়ে মিট করে আপনি জুস হিসেবে খেতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে কাঁচা সবজি
নিয়ে পাতার রস করে বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
শিশুদের সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি শিশুদের জন্য সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
জানা প্রয়োজন। শিশুদের জন্য শরীরে পাতা খাওয়া খুব উপকারী। সজনে পাতাতে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম, দস্তা, জিঙ্ক, ফসফরাস, তামা, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,
এবং দস্তা জাতীয় উপাদান থাকে।
যা শিশুদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। সজনে পাতার জুস বা সজনেপাতা শিশুদেরকে খাওয়াতে পারলে তাদের শরীরে কৃমি থাকলে তা থেকে রক্ষা পায়। তাছাড়া সজনে পাতা হজমেও বেশ উপকারী। বাচ্চাদের জন্য সজনে পাতা খাওয়া বেশ উপকারী।
সজনে পাতায় ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকার কারণে শিশুদের দাঁতের এর জন্য সজনে পাতা
খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক। তবে অনেক শিশুই সজনে পাতা খেতে চায় না। তার জন্য
আপনারা সজনে পাতা বেঁচে ছোট ছোট বড়ি করে তাদেরকে এ পানির সাথে খাওয়াতে
পারেন।
সজনে গাছ লাগানোর নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম এর পাশাপাশি জানতে হবে সজনে গাছ কিভাবে লাগানো যায় বা
চারা কিভাবে পাওয়া যায়। আমরা সকলে কমবেশি জানি যে সজনে গাছের ডাল থেকেই সজনে
গাছ জন্ম নেয়। বর্ষার সিজনে সজনে গাছের ডাল প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাত লম্বা করে
কেটে মাটিতে পুঁতে দিলেই সজনে গাছ বা পাতা জন্ম নেয়।
সজনে গাছ লাগানোর জন্য এই বাড়তি কোন জমি প্রয়োজন হয় না। পুকুরের ধার ঘিরে সজনে
গাছ লাগানো যায়। এছাড়াও সজনের পাতাতে তেমন একটা ক্ষতি হয় না। তাই জমি বাঁশ বা
ধার ঘেঁসেও সজনে গাছ লাগানো যায়। শহর অঞ্চলে প্রায় ঘরে ধার ঘিসে বা ছাদের ওপর
মাটি ভর্তি করে ছুটি গাছ লাগাতে দেখা যায়।
এছাড়াও সজনে গাছ লাগাতে কোন সার পানি বা বিষ প্রয়োগ করা লাগে না। সজনে গাছের
ফুল এলেও সজনে ধরার জন্য কোন কীটনাশক প্রয়োগ করা লাগে না। যার ফলে এটি মানসম্মত
একটি খাদ্য তালিকায় রাখা যায়। সজনে গাছ দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি গাছে সারা বছর
প্রায় সজনে ধরে আর একটি গাছে একবার ধরে।
সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা
সজনে পাতার উপকারিতা প্রায় অনেকেই জানেন। সজনেপাতা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে
থাকে। অন্যান্য সাগের তুলনায় এরশাদের 25 গুণ বেশি আয়রন আছে।আমাদের শরীরে
বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সজনে পাতা অনেক উপকারী। আমাদের শরীরে কোলেস্টের
এর পরিমাণ বেড়ে গেলে কি রোগের সমস্যা হতে পারে।
এই সজনে পাতায় কলেজ তরল কমানোর উপকার রয়েছে। সজনে পাতার সরকার আর পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণ রাখে। যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম করতে
পারে। তাহলে তারা সহজে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে পারবেন। সজনে পাতাগুলো রক্তের
সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
সজনে পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যত ওকে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এছাড়াও ঘুম ও পুষ্টি উভয়ই একে অপরকে প্রবাহিত করে। আপনি যদি পরীক্ষামূলকভাবে
কয়েকজনকে নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ সজনেপাতা এবং সজনে পাতার ফুল ও ডাটা খাইয়ে থাকেন
তাহলে পরীক্ষা করে দেখতে পাবেন তাদের পরিবর্তন ঘটেছে।
সজনে পাতা খাওয়ার অপকারিতা
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি সজনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও উপকারিতা
সম্পর্কে আমাদেরকে নিশ্চিত হতে হবে। আমরা সকলেই জানি কোন খাবারই মাত্রার অধিক
খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক তেমনি সজনে পাতা অত্যাধিক পরিমাণে খেলে আপনার
শরীরে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সাধারণত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সজনে পাতা খাওয়ার আগে আপনারা চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে পারেন। তাছাড়া আপনাদের অতিরিক্ত বদ হজম থাকলে বা গ্যাসের সমস্যা
হলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সমস্যা হতে পারে। সমস্যার জন্য বমি হতে পারে।
আবার যাদের আমাশয় আছে তাদের ক্ষেত্রে সজনা পাতা খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন। সজনে পাতার
মূলের রস মানুষ খেলে সাধারণত মারা যায়। যেটি আমরা অনেকেই জানিনা। সজনে পাতা
ছড়ানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে কোন টাটি না থাকে। রান্না করার সময়
সামান্য পরিমাণ খাবার সোডা দিলে পেট কামড়ানোর পরিমাণ কমে যায়।
লেখক এর শেষ কথাঃ সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আমি তুলে ধরেছি।
কিভাবে আপনি খাবেন, ভর্তা কিভাবে করবেন, সংরক্ষণ কিভাবে করবেন, কিভাবে জুস করে
খাবেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা সজনে পাতা
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন।
আমি নিজেই সজনে পাতার শাক এবং ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করি। আমার নিজের চাচি
ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। তিনি কোনভাবে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে পারেন না।
এমন অবস্থায় আমি তাকে একটি পরামর্শ দিয়ে থাকি। যে আপনি নিয়মিত সজনে পাতার
গুড়া করে প্রতিদিন সকালবেলা এক গ্লাস পানির সাথে দুইটা চামচ গুড়া মিশিয়ে খেতে
পারেন।
আল্লাহর রহমতে তিনি এখন ভালো আছে। এবং তিনি এখনো নিয়মিত সজনে পাতার গুড়া খেয়ে
যাচ্ছেন। আমাকে তিনি মাঝে মধ্যেই বলেন তুমি আমাকে একটি ভালো পরামর্শ দিয়েছো। আমি
এখন আগের চেয়ে ভালো আছি এবং ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আছে। তিনি সাধারণত সজনে পাতা
রুটি বানানোর খোলায় ভেজে গুড়া করে বয়মে সংরক্ষণ করে নিয়মিত খান।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url