নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই আপনারা জানতে চেয়েছেন।নখের কুনি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা সংঘটিত হয়। যা হাত বা পায়ের নখে হয়ে থাকে এবং অনেক যন্ত্রণা করে।
অনেকেই এই যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে নখ তুলে ফেলেন। নখের চার পাশে লালচে হয়ে ফুলে ওঠে,পুঁজও হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়লে নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেজসূচীপত্রঃ নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- নখের কুনি দূর করার প্রাথমিক চিকিৎসা
- নখের কুনি দূর করার জন্য নারিকেল তেলের ব্যবহার
- নখের কুনি দূর করার জন্য পেঁয়াজের ভূমিকা
- হলুদ ও রসুন নখের কুনি দূর করতে ব্যবহার
- চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব নখের কুনি দূরকরণে
- নখের কুনি দূর করতে মেহেদীপাতার রস
- বর্ষাকালে নখের কুনি দূর করার নিয়ম
- নখের কুনি দূর করতে সর্তকতা অবলম্বন
- শেষকথাঃ নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। সাধারণত নখের কুনি
হয়ে থাকার কারণগুলো খুব সাধারণ বিষয়। গরমে গরমে শরীরের ক্ষতির পাশাপাশি পায়ের
ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় জুতা পড়ে থাকার ফলে পায়ের পাতা ঘেমে
যায় এবং ঘাম জমা হয়ে থাকে। সেগুলো পরবর্তীতে ইনফেকশন হয়ে নখের কুনি এর সমস্যা
দেখা দেয়।
অনেকের পা ঘেমে গেলে দুর্গন্ধ বের হয় এবং তাতে ইনফেকশন বেড়ে যায়। আপনারা তখন
ভালো ভাবে দেখবেন পায়ের নখের কালার পরিবর্তন হয়ে যায় হালকা হলুদ বা
বাদামি ধরনের হয়ে পড়ে। সেজন্য পায়ের যথাযথাই চিকিৎসার প্রয়োজন বা যত্নের
প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নখের এই ইনফেকশন কে ওনেকোমাইকোসিস বলে।
পা ঘেমে গেলে পানিতে ভালোভাবে পা ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পা মুছে নিতে হবে
এবং হালকা তেল মেসেজ করে নিতে হবে। যাতে করে পায়ে দুর্গন্ধ বা ব্যাকটেরিয়া
আক্রমণ করতে না পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা হালকা কুসুম কুসুম পানিও ব্যবহার করতে
পারি। এতে করে উপকার পাওয়া সম্ভব না বেশি থাকে।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
এছাড়াও আমরা জুতা পড়ার সময় স্যাভলন ক্রিম ব্যবহার করতে পারি। যার ফলে আমরা
ব্যাকটেরিয়ার হাট থেকে রক্ষা পাব এবং অপরদিকে দুর্গন্ধ বের হবে না। আর যাদের
এইরকম সমস্যা আছে তারা সাধারণত ঢিলা ঢালা জুতা ব্যবহার করবেন। যাতে করে আপনার
পায়ে বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
নখের কুনি দূর করার প্রাথমিক চিকিৎসা
নখের কুনি দূর করার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানি। নখের কুনি দূর করার
ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা রয়েছে। যদি আমাদের এইরকম সমস্যার
সম্মুখীন হয়। তাহলে প্রথমে আমরা কুসুম কুসুম পানি গরম করে নেব এবং এর মধ্যে দুই
পা রেখে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর উঠিয়ে নেব।
এরপর পরিষ্কার সুতি কাপড় বা টিস্যু দিয়ে পা পরিষ্কার করে মুছে নিব। পা মুছে
নেয়ার পর বাসাতে যেকোন ধরনের তেল থাকলে পায়ে তেল দিয়ে পরিষ্কার করে নেব।
এরপর নখের চারপাশে ভালোভাবে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নেব যার কারণে
চারিদিকে ধুলাবালি বা ময়লা জমে না থাকে। এবং পা ধোয়ার পর খেয়াল রাখতে হবে
পায়ে যেন কোনরকম পানি না থাকে।
আপনার পায়ের ইনফেকশনের ধরন অনুযায়ী কয়েকদিন পর পর এইরকম ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা
নিতে পারেন। যদি আপনার পায়ের নখের কুনি পচে বা ইনফেকশন হয়ে থাকে। তাহলে আপনি
এভাবে পরিষ্কার করার পর কিছুক্ষণ সুতি কাপড়টা নখের ফাঁকে একটু ঢুকে পরিষ্কার করে
নিবেন। এরপর বাসায় ফাঙ্গাস জাতীয় কোন মলম থাকলে তা ব্যবহার করতে পারি।
নখের কুনি দূর করার জন্য নারিকেল তেলের ব্যবহার
নখের কুনি দূর করার জন্য নারকেল তেলের ব্যবহার অপরিহার্য। নখের কুনি দূর করার
ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে এটি একটি উপায়। নখের কুনিতে আক্রান্ত হলে নখের চারপাশ
ফুলে ও লালচে ভাব ধারন করে। অনেকেরই আবার পুজো হয়ে যায় হলে যন্ত্রণা শুরু করে।
এ সময় আপনারা নখের চারপাশ ভালোভাবে স্যাভলন ও কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে
পরিষ্কার করে।
তোয়ালে দিয়ে বা পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে
নিবেন। এরপর নারিকেল তেল দিয়ে ২০ মিনিটের মতো মেসেজ করুন। তারপর কিছুক্ষণ
বাতাসের সামনে পা টা রাখুন যাতে করে তেলের পরিমাণ আপনার নখের চারপাশে প্রবেশ করতে
পারে। নারিকেল তেল ব্যবহার করার ফলে সহজে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
নারিকেল তেল ব্যবহার করার ফলে আপনার ব্যথার পরিমাণ কমতে পারে। তেলের মধ্যে
এন্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে। যার ফলে এটি সরাসরি আপনি তুলা বা কটন
বার দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেকেরই তেল ব্যবহার ফলে অ্যালার্জি কারণ হতে
পারে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার আশেপাশে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
নখের কুনি দূর করার জন্য পেঁয়াজের ভূমিকা
নখের কুনি দূর করার জন্য পেঁয়াজের ভূমিকা অন্যতম। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান ফাঙ্গাস সংক্রমণ ধ্বংস করতে সহায়তা করে। পেঁয়াজের টুকরো কে আপনি পাতলা করে কেটে আপনার পায়ের নখের আক্রান্ত স্তানের ওপর কিছুক্ষন মেসেজ করতে থাকুন। এরপরে দেখবেন আপনার পায়ের নখের কুনি জ্বালা করছে।
এভাবে ২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানির মধ্যে স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন আগের তুলনায় আপনার ব্যথা বা ফোলা ভাব কমে এসেছে। দুই থেকে তিনবার সপ্তাহে করতে পারেন। এছাড়াও আপনি পেঁয়াজ বেটে রস করে ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান থাকার জন্য আমরা পেঁয়াজ ব্যাকটেরিয়া
সংক্রমণ জাতীয় রোগে ব্যবহার করতে পারি। নখের কুনি দূর করতে পেঁয়াজ আপনি নিয়মিত
ভাবে পরিষ্কার রাখার জন্য ও ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজ আমাদের শরীরের জন্য একটি
শক্তিশালী উপাদান হিসেবে কাজ করে।এতে নানা গুন সমৃদ্ধ উপাদান আছে। এটা অনেকে
রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকেন।
হলুদ ও রসুন নখের কুনি দূর করতে ব্যবহার
হলুদ ও রসুন নখের কুনি দূর করতে ব্যবহার করা হয়।হলুদ সাধারণত অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।এটি রোগের প্রতিকারে এবং রোগটি পুনরায় সংক্রমণ না হতে পারে তার প্রতিরোধে সহায়তা করে।আপনি এক চা চামচ হলুদের গুড়ো নিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিবেন। তারপর আপনার নখের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন।
এভাবে ১০-২০মিনিট লাগিয়ে রাখুন। আরও ভালো ফলাফল পেতে আপনি ১-২ ঘন্টা রাখতে পারেন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ধোয়ার পর ভালো করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন।নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানা প্রয়োজন।
অপরদিকে রসুনেও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি নখের কুনি প্রতিকারে বেশ উপকারি।আপনি কয়েক টুকরো রসুনের কোয়া নিয়ে থেঁতলে নিয়ে পানিতে দিয়ে হালকা জ্বাল করুন। এরপর আপনার আক্রান্ত স্থান এর মধ্যে দেন। যতদিন না ভালো হয় আপনি এভাবে করতে পারেন। আশা করি আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন এবং যন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাবেন।
চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব নখের কুনি দূরকরণে
চিনি ও লেবুর রসের স্ক্রাব নখের কুনি দূরকরণে বেশ উপকারি। চিনি ও লেবুর রস সাধারণত কালচে ভাব দূর করতে সহায়তা করে। এটি পায়ের নখের মরা কোষগুলি কে দূর করে পা কে নরম ও মসৃণ করে তুলে। আপনার নখের কুনি দূর করতে পানি দিয়ে ভালোভাবে পা পরিষ্কার করে নিন।এরপর লেবু ছোট ছোট টুকরো করে তার ওপরে চিনি ছিটিয়ে দেন।
লেবুর ঐ অংশটা আপনি আপনার নখের সাথে ভালোভাবে ঘষে নিন। যাতে আক্রান্ত স্থানে লেবু রস ও চিনি প্রবেশ করতে পারে। এতে করে আপনার পায়ের নখে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। আপনার ব্যথাও কমতে থাকবে।এভাবে ৫-১০মিনট রাখার পরে পা ধুয়ে ফেলুন। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন যাতে করে পা ভিজা না থাকে।
আরও পড়ুনঃ স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পা শুকিয়ে নেবার পর আপনি ফাঙ্গাস জাতীয় কোন মলম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যে কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল পেতে আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার এটা করতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনি নখের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাবেন। যদি আপনার নখের কুনির ব্যথা বা যন্ত্রণা বাড়তে থাকে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নখের কুনি দূর করতে মেহেদীপাতার রস
নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে মেহেদীপাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা অনেকেই ভাববেন কিভাবে মেহেদী পাতার রস দিতে হয়। সেজন্য আর্টিকেলটি আপনি পড়তে থাকুন। পায়ের নখের কুনি দূর করতে আপনি কয়েকটা মেহেদীপাতা ছিড়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পাটায় বেটে নিন। এরপর নখের আক্রান্ত স্থান কোন অ্যান্টি-সেপটিক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
তারপর মেহেদীপাতা বাটা ভালোভাবে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ১-২ ঘন্টা পর মেহেদীপাতা তুলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে ২-৩ বার সপ্তাহে ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার নকের কুনি দূর হবে। মেহেদীপাতার রস এ সব রোগের জন্য খুব উপকারি। আপনি ধৈর্য্য সহকারে এসব নিয়ম মানুন দেখবেন ভালো ফল পাবেন।
আপনারা অনেকেই গাছের মেহেদীপাতার পরিবর্তে কেনা টিউব মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। তবে কেনা মেহেদীতে এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। পরবর্তীতে ক্ষতি বা ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ্গাছের মেহেদীপাতা ব্যবহারে তেমন আপনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি থাকে না। তারপর ও যদি আপনাদের দ্বিমত থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
বর্ষাকালে নখের কুনি দূর করার নিয়ম
বর্ষাকালে নখের কুনি দূর করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চান। আমাদের প্রায় সব মৌসুমীতেই নখের যত্ন নিতে হয়। তবে বর্ষাকালে নখের যত্ন বেশি এবং সর্তক থাকতে হয়। আমাদের সামান্য অসতর্কতার জন্য নখের কুনির মতো নানান রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই আমাদের বৃষ্টির সময় নখের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।
কীভাবে এই নখের যত্ন নিবেন জেনে নিন।আপনারা সাধারণত বর্ষাকালে নখের এই যত্ন নিতে ভুলবেন না,বর্ষায় নখের যত্নের প্রথম ধাপ হলো নখ ছোট করে কাটা।কারণ নখ বড় হলেই বিভিন্ন রোগ-জীবাণু, ব্যাকটেরিয়াকে সহজে আক্রমণ করে।আপনারা অনেকেই ফ্যাশনের জন্য ক্রোমের কোট লাগানো বা নেইল ক্লিপার ব্যবহার করেন। অবশ্যই আপনাকে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
আপনার যদি পায়ের নখে কুনিরোগে আক্রান্ত হয় তবে অবশ্যই পানি থেকে দূরে থাকুন। কারণ আপনি যত পানিতে পা ভিজাবেন সমস্যা তত বাড়বে। প্রয়োজনে আপনি লম্বা জুতাগুলো যেগুলো পায়ের হাটু পর্যন্ত থাকে ওগুলো ব্যবহার করুন। আর সব সময় পা- হাত শুকনো রাখার চেষ্টা করবেন। পায়ে এবং হাতে তেল ব্যবহার করুন। এছাড়াও আপনি রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন।
নখের কুনি দূর করতে সর্তকতা অবলম্বন
নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। তাছাড়া আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।আপনি কখনো নখ গভীর বা কোণা করে কাটবেন না।নখের একটু বারতি অংশ এবং সোজা করে রাখুন।আপনারা অতিরিক্ত আঁটোসাটো জুতা পড়বেন না।
কারণ আঁটোসাটো জুতা আপনার আঙ্গুল চেপে থাকার সম্ভাবনা থাকে। সব সময় কমফেটেবল বা আরামদায়ক জুতা পড়বেন।যাদের নখের কোণা চাপা তারা প্রয়োজনে জুতার ভিতরে প্রটেকটিভ ফুটওয়্যার পড়তে পারেন। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়াবেটিস রোগী নখের কুনি রোগে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ অর্ডিনারি আইটি সম্পর্কে জানুন
তাই সব সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর আপনারা অবশ্যই মাঝে মধ্যে নখ বা আঙ্গুল পরীক্ষা করবেন। পায়ের পাতা বা আঙুল এর রং পরিবর্তন বা ফোলা দেখলে অবহেলা না করে সর্তক হোন। অল্প থেকেই জটিল সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয়।আমরা সবাই জানি নখের কুনি একটি কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক।তাই এটি অবহেলা না করে সর্তকতা অবলম্বন করুন।
শেষকথাঃ নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন আশা করি। নখের কুনি রোগ অবহেলা না করে সর্তক থাকতে হবে। আমি পুরো আর্টিকেলটিতে নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কিভাবে নেওয়া যায়, কি কি উপাদান লাগে,বর্ষাকালে সর্তকতা অবলম্বন করার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমি নিজেই একজন নখের কুনি রোগে আক্রান্ত। আমি নিয়মিত মেহেদীপাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করে আরাম পেয়েছি।বর্তমানে আমার নখের কুনি নেই বললেই চলে। ও হ্যাঁ আপনাদের আবার মনে হতে পারে মেহেদীপাতা পায়ে দেওয়া পাপ,তাহলে আপনি কোন মাওলানার কাছে জেনে নিতে পারেন অসুখে ব্যবহার করা যাবে।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url