বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক। বাচ্চাদের ভিটামিন এর
চাহিদা পূরণের ড্রাগন ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ থাকে। যার ফলে বাচ্চাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ড্রাগন ফল সহায়তা
করে।
আমরা এ ব্লক টির মাধ্যমে জানব কিভাবে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়াতে হয়, এর
পুষ্টিগুণ, খাওয়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন, বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্লগটি পড়তে থাকুন।
পেজ সূচীপত্রঃ বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অপরিসীম। দিন দিন ড্রাগন ফলের
জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আপনাকে জানতে হবে কিভাবে বাচ্চাকে ড্রাগন ফল খাওয়ালে
উপকারিতা পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক খেতেও তেমন সুস্বাদু।
ড্রাগন ফলের বাইরের রং লাল এবং ভিতরের রং গোলাপি অথবা সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে।
ড্রাগন ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন ইত্যাদি তে
পরিপূর্ণ ড্রাগন ফল। যার ফলে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ালে তাদের শরীরে বিভিন্ন
ধরনের পুষ্টি উপাদান যোগান পায়। তবে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানোর জন্য আপনাকে
অবশ্যই এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। এক বছরের আগে বাচ্চাকে ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত
না।
অনেক বাবা-মায় আছে যাদের বাচ্চার বয়স ৬ থেকে ৭ মাস হয়েছে। তাদের ড্রাগন ফল
খাইয়ে থাকেন। এতে করে বাচ্চার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ড্রাগন ফলে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরের হাড়ের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূর্ণ
করে। শিশুদের ত্বক ও চোখের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুনঃ ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনে ড্রাগন ফল
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ও
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ থাকে। যার ফলে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে
ড্রাগন ফলে ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চাদেরকে ড্রাগন ফল খাওয়ানো পূর্বে সাবধানতা অবলম্বন
আপনার বাচ্চাকে ড্রাগন ফল খাওয়ানোর আগে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অপরিসীম তবে এর পাশাপাশি ক্ষতিও
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন আপনার বাচ্চার কোন খাবারে এলার্জি আছে কিনা সে বিষয়ে
আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
সেজন্য ড্রাগন ফলে সামান্য কিছু অংশ কেটে প্রথমে বাচ্চাকে খাইয়ে দেখেন তার
ড্রাগন ফলে এলার্জি আছে কিনা। যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে ড্রাগন ফল খাওয়ানো থেকে
বিরত রাখুন। অন্যদিকে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য কিরকম সেদিকে আপনাকে নজর রাখতে
হবে। অনেক সময় ড্রাগন ফল স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।
আপনার বাচ্চার হজম শক্তি কি ধরনের সে সম্পর্কে আপনাকে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। কারণ
অনেক সময় দেখা যায় ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ড্রাগন
ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যেহেতু ডাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি থাকে। সেজন্য এখানে এসিডের পরিমাণ অত্যাধিক পরিমাণে থাকে।
বাচ্চার খাবারের ড্রাগন ফল যুক্ত করার নিয়ম
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অপরিসীম থাকলেও অনেক সময় অনেক
বাচ্চা ড্রাগন ফল খেতে অনীহা প্রকাশ করে। এক ধরনের আঠালো গন্ধ বের হয় ড্রাগন
ফলে। আর বাচ্চারা যদি খুব সহজে ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করে। তাহলে আপনার কোন সমস্যা
হবে না। আপনি ড্রাগন ফলকে ছোট ছোট করে কেটে বাচ্চাদেরকে পরিবেশন করুন।
এছাড়াও আপনি সালাত বানিয়ে দিতে পারেন। তবুও যদি বাচ্চারা ড্রাগন ফল খেতে অনীহা
প্রকাশ করে। সেক্ষেত্রে আপনি লাল ড্রাগন ফল চিহ্নিত করতে পারেন। যেহেতু লাল
ড্রাগন ফল দেখতে সুন্দর এবং লোভনীয়। হয়তো বাচ্চারা দেখে খাওয়ার আগ্রহ জাগতে
পারে। তবুও যদি না খায় সে ক্ষেত্রে আপনি ছোট ছোট পিস করে জুস বানিয়ে তাদেরকে
খাওয়াতে পারেন।
এভাবেও যদি বাচ্চারা খেতে না চায় সেক্ষেত্রে আপনি অন্য ফলের সাথে সামান্য পরিমাণ
ড্রাগন ফলের জুস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। প্রথমে খেতে অভ্যস্ত না থাকলেও আস্তে
আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। সেজন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য ধরে খাওয়াতে হবে। এছাড়াও
ড্রাগন ফলকে ছোট ছোট পিচ করে বাচ্চাকে লবণ দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফল অনেক সুস্বাদু ও রসালো একটি ফল। যার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার বিশ্বব্যাপী
সকলের জানা বিষয়। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ও নানা ধরনের
প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ড্রাগন ফলের
ভূমিকা অপরিসীম। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফাইবার পাওয়া যায়।
এছাড়াও অন্যান্য ফলের তুলনায় ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে।
বাচ্চাদের খাদদের তালিকায় আপনি প্রতিদিন ফল রাখতে পারেন। তার পাশাপাশি ড্রাগন ফল
প্রথম শাড়িতে রাখতে পারেন। কারণ ড্রাগন ফলে যে সকল উপাদান বিদ্যমান থাকে তা
আপনার অন্যান্য ফলে পাওয়া যায় না।
তাই আপনার বাচ্চাকে ড্রাগন ফল নিয়মিত খাওয়াতে পারেন। ড্রাগন ফল প্রায় সব সময়ই
পাওয়া যায় কম বেশি। তবে ড্রাগন ফল গ্রীষ্মকালীন ফল। ড্রাগন ফল বিদেশি ফল নামে
পরিচিত ছিল কিন্তু বর্তমানে এখন আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগন ফল চাষ করা
হয়। যেহেতু ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি
ড্রাগন ফল আপনার বাচ্চার খাদ্যের তালিকায় প্রতিদিন রাখতে পারেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
যদিও ড্রাগন ফল খাওয়ার কোন সঠিক নিয়ম নাই তবুও বলি ড্রাগন ফল খাওয়াতে সতর্কতা
অবলম্বন করুন। আপনি সাধারণত যে সব ফল খান ঠিক একই নিয়মে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
ড্রাগন ফলের খোসা একটু কেটে হাত দিয়ে ছড়িয়ে নেয়া যায় খুব সহজে। এছাড়াও আপনি
আপেলের মত ড্রাগন ফল চার ভাগ করে খেতে পারেন।
কেউ পুরোটা খেতে চাইলে খোসা ছড়িয়ে নিয়ে খেতে পারেন। আপনি ইচ্ছে করলে শুধু
ড্রাগন ফল ব্লেন্ডার করে জুস করে খেতে পারেন। তবে কখনো আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রাগন
ফল আগুনে জ্বাল করে খাবেন না। কারণ এতে করে ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান গুলো নষ্ট
হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
যেকোনো ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা রাত্রে খাওয়াটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
যেহেতু ড্রাগন ফলে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। তাই আপনি রাত্রে ঘুমানোর আগে
দুইটা ড্রাগন ফল হাত দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে। খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন। এতে
করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বেও ঘুমও হবে ভালো হবে।
ড্রাগন ফল বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অপরিসীম। যদি আপনার শিশু
কষ্টকাঠিন্যর রোগে আক্রান্ত হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন আপনার বাচ্চাকে একটি
করে ড্রাগন ফল খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার থাকে।
যেটি আমাদের দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করনে ভূমিকা রাখে। আমরা অনেকেই শিশুদের এ
ধরনের সমস্যা হলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। শিশুরাও অনেক কষ্ট পায়। তাই আপনার
বাচ্চাকে এসব ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখতে
পারেন। ড্রাগন ফল আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করনের সাহায্য করবে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এর পাশাপাশি ড্রাগন ফলের খোসার
উপকারিতা ও রয়েছে। ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে আপনি রূপচর্চার কাজ করতে পারেন।
সাধারণত আমরা ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশ খাই এবং উপরের অংশ ফেলে দিন। এটি ফেলে না
দিয়ে সংগ্রহ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
এবং একটি পেস্ট তৈরি করুন এই পেজটি আপনার ত্বকে বাচ্চাদের ত্বকে ব্যবহার করুন।
তাহলে দেখবেন ত্বক নরম ও মসৃণ হয়ে গেছে। এছাড়াও আপনি চুলের যত্নে ড্রাগন ফল
ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাগন ফায়ার ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিয়ে তেলের সাথে
মিক্সড করে ব্যবহার করুন। তাহলে দেখবেন আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরে হজমের কাজে শক্তি যোগায়। ডায়াবেটিস
রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়তা করে। এছাড়াও
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করনের ড্রাগন ফলের ভূমিকা অপরিসীম।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় আমাদের চোখে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির
জন্য ড্রাগন ফল প্রতিদিন খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের গর্ভে
নবজাতক বাচ্চাদের হাড় মজবুত হতে দাবন ফলের ভূমিকা অন্যান্য। ফলে প্রচুর পরিমাণে
ক্যালসিয়াম থাকাই বাচ্চাদের তা তাড়াতাড়ি উঠতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণের পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে।
আপনার বাচ্চাকে অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়ালে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন
হওয়া সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের হজম শক্তিতে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি
হলে সে ক্ষেত্রে। তাদের ডায়রিয়া হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
শরীর ফুলে যায়, বমি বমি ভাব হয়, পেট ব্যথা করে ও উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। সে ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা
কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ড্রাগন খাওয়ার নিয়ম তান্ত্রিক খাওয়া
গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ কথাঃ বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক সে সম্পর্কে
আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন
ফলের উপকারিতা. অপকারিতা. কিভাবে খাবেন. বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে. শিশুদের
হার মজবুত করতে সহায়তা করে, ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে ব্যাখ্যা
করা হয়েছে।
আপনার বাচ্চার ড্রাগন ফল না খেতে চাইলে জুস করে খাওয়াতে পারেন। ড্রাগন ফলে
উপকারিতা চেয়ে উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ও
ফাইবার পরিপূর্ণ থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
আজ এ পর্যন্তই। যদি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করুন। তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ দিন এবং এ ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত
ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আবার উপস্থিত হব অন্য কোন পোস্টে। আসসালামু আলাইকুম।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url