কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই সঠিক তথ্য জানেন না। কফি স্বরূপ
টা কেমন একটা মিষ্টি আর পোড়া পোড়া ভাব থাকে। আর এই সুরভী ঘ্রাণ শরীরে
প্রবেশ মাত্রই অন্যরকম প্রক্রিয়া হয়।
আজকেরে আজকের যে পড়ার মাধ্যমে আপনারা ব্লাক কপি উপকারিতা অপকারিতা কি কি এছাড়াও
বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব তাই মনোযোগ
সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন।
কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের সঠিক ধারণা বা তথ্য জানা
নেই। কফির বিভিন্ন রকম ভেদ রয়েছে তার মধ্যে ব্ল্যাক কফি কে স্বাস্থ্যকর পানীয়
হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে
ক্লান্তি কাটিয়ে উঠানোর জন্য কফি অনেকটাই আমাদের সাহায্য করে।
তাই হয়তো আমাদের মধ্যে অনেকেই শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য চা বা কফি খেয়ে
থাকেন। তবে দুধ ক্রিম চিনি মিশ্রিত কফিতে হয়তো অনেক স্বাদ থাকতে পারে কিন্তু এর
উপকারিতা অনেকটাই কম থাকে। আগে আমাদের দেশে মানুষ এরকম কফির প্রতি আগ্রহী ছিলেন
না তবে বর্তমানে দিন দিন মানুষ কফির প্রতি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
ব্ল্যাক কফিকে পুষ্টিকর পাওয়ার হাউজও বলা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
-বি ভিটামিন বি থ্রি এছাড়াও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
সহায়তা করে এই ব্লাক কফি। বর্তমানে রূপচর্চার ক্ষেত্রেও কফির গুরুত্ব পুণ্য
ভূমিকা রাখছে।
বর্তমানে কফি একটি পুষ্টিকর পাওয়ার হাউজ হিসেবে মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে
আসছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম ,এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যালোরি একেবারে থাকে না বললেই চলে। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ
এবং শরীরে বিপাকীয় হার বাড়াতে সাহায্য করে কফি। চলুন জেনে নেয়া যাক কফির
উপকারিতা।
ব্লাক কফি খাওয়ার অপকারিতা
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কোন
পুষ্টিকর বা এমনি খাদ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে
পারে। প্রত্যেক খাবারেরই ভালো দিক খারাপ দিক আছে। তেমনি কফি পুষ্টিকর ও
ম্যাগনেসিয়াম সোডিয়াম যুক্ত খাবার হলেও কফির খারাপ দিক রয়েছে।
তবে কফি খাওয়ার নেশায় পরিণত হলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক কফি খাওয়ার অপকারিতা
বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি কি হতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের অতিরিক্ত চা
বা কফি খাওয়ানো ঠিক না। যদিও কফিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে তবুও ছোট
বাচ্চাকে এটি খাওয়ানো উচিত হবে না।
-
সকালে খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের অসুখ সারাতে সহায়তা করে।
পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে এসিডের প্রয়োজন হয় খাদ্য হজমের জন্য।
-
কফির ভিতর বিভিন্ন অম্লীয় উপাদান থাকে যা পাকিস্তানির ভিতরে খাদ্য হজমে সহায়তা করে
-
অতিরিক্ত কফি খাওয়ার ফলে কিডনি স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহিত হতে পারে।
-
কফি শরিলে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও এটির সাইনু তন্ত্রের উপর ক্ষতিকর
প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে একটানা কফির পদ্ধতি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করলে
আমাদের স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে থাকে।
-
ওজন নিয়ন্ত্রণের কফি খেতে চাইলে দুধ চিনি না মিশ করে ব্লাক কফি পরিমাণ মত
খেতে পারেন। ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত কফি
খাওয়ার ফলে আপনার মেদ ভুড়ি বেড়ে যেতে পারে এবং হাড়ের সমস্যা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকতে পারে।
কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
কফি খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে। আর আপনারা যদি সেই নিয়মের বাইরে গিয়ে কফি খান
তাহলে স্বাস্থ্যকর কপি হয়ে উঠবে আপনার জন্য ক্ষতিকর। কফি খাওয়ার সময় কোন কোন
বিষয়গুলো অবশ্যই আপনারা খেয়াল রাখবেন চলুন তা জানা যাক।কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানা দরকার।
কফি শরীরের অনেক উপকারী করে। বরং শরীরে ক্ষতিকরপ্রভাব ফেলতে পারে। সকালে ঘুম
থেকে উঠে আপনি এক কাপ কফি খেতে পারেন। তবে আপনি কখনো ভুল করে দুধ কপি সকালে
বাঁশি ফেটে খাবেন না। এতে করে আপনার হার্টের সমস্যা হতে পারে। কপি পারো তোপক্ষ
দুধ ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
শরীরে ক্লান্তি দূর করার জন্য আমরা কফি বা চা পান করে থাকি। অনেকেই দুপুরে
বা যখন তখন কফি খেয়ে থাকেন কিন্তু আপনারা ভুলে এভাবে অনিয়ম করে কফি খাবেন না।
কারণ এতে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কফি খাওয়ার নিয়ম সকালে এক কাপ এবং
সন্ধ্যেবেলায় এক কাপ। পারো তো পক্ষে এভাবে খেলে আপনি উপকার পেতে পারেন।
শরীরের প্রয়োজনের বাইরে কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। আর যদি আপনি
আপনার ইচ্ছেমতো কফি খাওয়ার অভ্যাস করলে ফলে আপনার খাবারের প্রতি চাহিদা কমে
যাবে। এর ফলে আপনার পাকস্থলীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই নিয়মিত
সকালে ও সন্ধ্যায় এক কাপ করে কফি খাবেন।
সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে কফি খেলে কি হয় তা বিস্তারিত জানতে কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে হবে। ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি
না খেলে অনেকের সকালটা ঠিকভাবে শুরু হয় না। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে দেখবেন যে
তাদের অভ্যাস ঘুম থেকে উঠে কফি বা চা খাওয়ার। খালি পেটে কফি খেলে হজম
শক্তি সমস্যা হতে পারে।
শুধু তাই নয় প্রয়োজন কিয়া এবং পেট পরিষ্কার হওয়ার গোটা কাঠামোটটাই
এলোমেলো হয়ে যেতে
পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেই দুধ চিনি দিয়ে কফি খেতে পছন্দ
করেন। এ অভ্যাস আরো খারাপ। ঘুম থেকে উঠলে আমাদের সল হরমোন উৎপাদনের হার বৃদ্ধি
পায়। আমাদের অনেকের কাছেই এ তথ্য অজানা।
পেটে একটু বেশি মাত্রায় কফি খেলে কটিসোল হরমোনের ক্ষরণ আরো বেড়ে যায় এতেই
ঘটে বিভক্তি মানসিক চাপ বা স্ট্রেস এর কারণ এই হরমোনটি ফলে সকালে উঠেই দুই তিন
কাপ কফি খেয়ে ফেললে মন ভালো হওয়ার বদলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। ফলে সকালে
উঠেই আমাদের পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত কফির পরিবর্তে।
শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় করটিসোল ক্ষরণ বিভাগ হার রক্তচাপ আর রক্তে সরকার
আর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।কফি মাত্রা বেশি ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে উচ্চ
রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় গ্রীষ্মের দিনে এই অভ্যাস মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব
সৃষ্টি করতে পারে এর ফলে মাথা ঘুরতে পারে এছাড়া বেশি শক্তি হয়ে যেতে পারে এবং
অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে।
কফির দাম সম্পর্কে বিস্তারিত
কফি এখন কমবেশি সকল ধরনের ছোটখাট দোকানে পাওয়া যায়।বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলের মানুষও কফি খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।এবং আলোচনা হয়ে থাকে তা আর কখনোই ছিল না বললেই
চলে। বর্তমানে সময়ে মানুষ চায়ের চেয়ে কফির মূল্যায়ন বেশি করে। চা খাওয়ার
চেয়ে কফি খাওয়া ঝামেলা কম যার ফলে মানুষ চায়ের পরিবর্তে কফি বেছে
নিয়েছে।
বর্তমানে খুব সহজে এখন কফি খাওয়া যায়। ইচ্ছে করলে খুব সহজে দুধ কপিও খাওয়া যায় কারণ এখন কফির সাথে দুধ মিশিয়ে বিক্রয় করা হয়। এ বছর শেষ সংখ্যা দিয়ে দাঁড়াবে
প্রায় ১৬ কোটিতে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি ইন্দোনেশিয়াতে পাওয়া যায়।
সবচেয়ে দামি কফি হিসেবে পরিচিত কফিলুয়াক।
তবে আমাদের দেশে ভালো মানের ব্ল্যাক কফির দাম এক কেজির প্যাকেটের ৪৫০০ থেকে
৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।সচরাচর সকলে কফি খাওয়ায় অভ্যস্ত হওয়ার কারণে
কফির তুলনামূলকভাবে দাম বেড়ে গিয়েছে। অপর দিকে কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কফি খেলে কি ওজন কমে
কফি খেলে কি ওজন কমে তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আপনারা। কফিতে কোন
ক্যালোরি থাকে না। তাই এটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন
কমায়। শরীরে ওজনের পরিমাণ বেশি বা মেদ ভুঁড়ি বেড়ে গেলে আমাদের নানা রকম
সমস্যা হতে পারে। যেমন চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া কাজকর্ম করা। অল্পতে শরীর ক্লান্ত
হয়ে পড়ে।
কফি খেলে ওজন কমাতে বেশ সাহায্য করে। আমরা অনেকেই নিয়মিত খেয়ে থাকি এবং
অনলাইনে মেদ ভুড়ি ও ওজন কমানোর জন্য কফি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের এড দেখতে পাওয়া
যায়। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কফি খাওয়ার সময় কোনভাবে দুধ বা চিনি
মেশানো সুস্বাদু কফি খাওয়া যাবেনা। এভাবে কফি খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা
বেশি থাকে।
কিন্তু অতিরিক্ত কোন খাবারে খাওয়া ভালো নয় সে কারণে কফি খাওয়ার সময়ও আমাদের
খেয়াল রাখতে হবে এটা যেন আমরা অত্যাধিক পরিমাণে না খাই। কারণ কফিতেও বিভিন্ন
ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে জব
দিতে সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে কফি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
কফিতে ক্লোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য
করে রাতের খাবার আর খাওয়ার পরে একা কফি খেলে শরীরে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড
গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোষও তৈরি হয় না। চলুন আরো জেনে
নেয়া যাক কফির উপাদান সম্পর্কে।
বায়ো একটিভ উপাদান উপস্থিত কফির মধ্যে। এগুলো হলো ফ্লোরজেনিক এসিড ক্যাফেইন
টাইক্লো নেেলিক ও ম্যাগনেসিয়াম। কফি শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা অধিক পরিমাণে
কমাতে সহায়তা করে এটি বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। শরীরে খুব বেশি মেদ ভুঁড়ি
না থাকা সত্বেও অনেকের ওজন বেশি থাকে।
কফির গুড়া দিয়ে রূপচর্চা
কফি দিয়ে রূপচর্চা বিভিন্নভাবে করা যায়। বর্তমানে কফির চাহিদা দিন দিন বেড়ে
চলেছে। অনেকেই কপি পেস্ট লেবু একসঙ্গে মিক্স করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার
করেন। মুখে ছোট ছোট দাগ ও ত্বক ফর্সার জন্য কফি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আবার অনেকেই কফি শ্যাম্পু একসঙ্গে দিয়ে চুলে ব্যবহার করেন।
কফি লেবু চিনি একসাথে পুরো শরিলে ব্যবহার করলে ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কপি
বর্তমানে খাওয়ার চেয়ে রূপচর্চার কাছে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। অনেকের
কাছে কফি দিয়ে রূপচর্চার বিষয়টি অজানা থাকলেও বর্তমানে সকলের কাছে কফির
গুরুত্ব অনেক।
আবার অনেকের মুখে মেছতা পড়ে সেজন্য অনেক টাকা খরচ করে ভালো করার জন্য। লেবু ও
কফির গোঁড়া একসাথে মিস করে ব্যবহার করলে মুখের মেছতা ও দাগ দূর হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে সবাই এই কফি ও লেবুর মিশ্রণটি ব্যবহার করেন।
কফির গোড়া নারিকেল তেল লেবুর রস চিনি একসাথে মিক্স করে। যদি আপনি নিয়মিত
ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বয়সের ছাপ বোঝা যাবে না। চুলের ক্ষেত্রে কফি ও
শ্যাম্পু একসাথে মিস্ট করলে ব্যবহার করলে চুল কালো ও ঘন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
সেই সাথে চুল ওঠার সমস্যা দূর হয়।
চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা
তিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি হলো একটি
অধিক শক্তি সম্পন্ন মেটাবলিজম কে উদ্দীপিত করে। যার ফলে শরীরে শক্তির
মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রোডোজেনিক এসিড সমৃদ্ধ হয় কফি খেলে। যা গ্লুকোজ এর
উৎপাদন কমিয়ে অতিরিক্ত ফ্যাট উৎপাদনকে প্রতিরোধ করে।
চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা হলো মন ও শরীর তরুণ থাকে। কফি শরীরের
ডোপামিনের মাত্রা বাড়িয়ে পার্কিনসন রোগে প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের
মতে, দিনে অন্তত দুবার তিনি ছাড়া কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ
উপকারী। সকালে ব্রেকফাস্টের পরে এক কাপ এবং সন্ধ্যেবেলায় এক কাপ কফি খাওয়া
যেতে পারে।
এক কাপ কফিতে ৬০% পুষ্টি ২০% ভিটামিন, এবং ১০% খনিজ ও ক্যালরি আছে। যা
আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কফি খেলে আমাদের হার্ড সুস্থ
থাকে এছাড়া বিভিন্ন দেহের অংশের উপকার করে থাকে। তবে তা অবশ্যই চিনি ছাড়া কফি
হতে হবে।
চিনি ছাড়া দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা
চিনি ছাড়া দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই ধারণা নেই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কফির মগে চমক না দিলে অনেকের দিন শুরু হয় না বা ভালো লাগে
না। এমনকি সারাদিনেও বেশ কয়েকবার কফি পান করেন কফির প্রেমীরা। কেউ ব্ল্যাক কফি
খান আবার কেউ দুধ মিশিয়ে তো কফি খান বা পছন্দ করেন।
তবে অনেকেই শুধু কফি খাওয়ার চেয়ে দুশ কফি খেতে পছন্দ করে কিন্তু তারাঅনেকেই জানেন না দুধ তো ঠিক হওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দুধ কফিতে প্রোটিন ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সংমিশ্রন অনেক বেশি থাকে যার কারণে আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে করতে পারে। অপরদিকে দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা আছে।
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকার নয় ভালো দিক দুধ কফি খাওয়া। স্বাস্থ্য
চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের মতে, কফি বিনে থাকা পলিফেনল অন্যদিকে দুধ
প্রোটিন সমৃদ্ধ। একসঙ্গে হলে শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এ দুইটি
উপাদান।
চুলের যত্নে কফির ভূমিকা
চুলের যত্নে কফির ভূমিকা অনেক। চুলে কফি পাউডার ব্যবহার করলে চুল সুন্দর ও মুসলিম হয়। কফি পাউডার ও একা কাপ পানি নিন। এবার এক কাপ কফি
তৈরি করে তা ঠান্ডা করে নিন। এরপর মাথায় ভালো করে শ্যাম্পু করে মাথা মুছে ফেলুন এবং
চুল থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে ফেলুন।
এরপর কফি মিশ্রণটি সমস্ত তুলে ভালোভাবে মেসেজ করুন। কিছু সময় ধরে চুলগুলোকে রোদ্রের শুকিয়ে নিন। তারপর হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে চুলগুলোকে শ্যাম্পু করে নিন এবং
শুকিয়ে নিন। দ্রুত ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এটি ব্যবহার করতে
পারেন।
চুলে পুষ্টি যোগায় নারিকেল তেল। কেটে চুলকে শক্তিশালী করতে চুলের থলি কলগুলোকে
পুষ্প করে। আর ধয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসি যা মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
প্রথমে দুই টেবিল চামচ কফি পাউডার দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও তিন টেবিল
চামচ দই নিন।
এরপর একটি পাত্রে কফি পাউডার ও নারকেল তেল ও দই নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন
পেস্ট তৈরি করুন। হাতে পরিমাণ মতো মিশ্রণটি নিয়ে তা মাথার ত্বকে এবং চুলে
ভালোভাবে লাগান। এরপর এক ঘন্টা চুল ঢেকে রাখুন। এক ঘন্টা পর হালকা শ্যাম্পু
দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার চুল কালো ও ঝলমলে ঝলমলে হয়ে
উঠেছে। কফির সঙ্গে কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলে তেল মিশিয়ে নিয়েও আপনি চুলের
গোড়ায় গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগাতে পারেন। এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে তা ধুয়ে
ফেলুন এতেও দেখবেন চুল সিল্কি ও মজবুত হয়।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে প্রায় সকলেই বর্তমানে কমবেশি জানেন।
কফিতে বিদ্যমান রয়েছে ক্যাফেইন। যা টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীর ঝুঁকি কমায় এবং
কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। নিয়মিত কফি খেলে বারে মানসিক শক্তি বিষন্নতা কাটাতে
কফির গুরুত্ব অন্যতম।
ত্বকের মৃত কোষ এবং ক্লান্ত-শ্রান্তভাব দূর করে ত্বককেে উজ্জল করতে কাজ করে
কফি। এটি প্রকৃতিক উপাদান বলে ত্বকের কোন ক্ষতি করে না।আপনাদের সবার ঘরে কফি
থাকে ব্যবহার করে এর গুনাগুন দেখতে পারেন। ত্বক ফর্সা করতে কফির দুই ধরনের
ব্যবহার---
-
কফি ও লেবুর ব্যবহারঃ এই পদ্ধতিতে সাধারণত অনেকের রূপচর্চা করে থাকেন।প্রথমে কফি ও চিনি চিনি দিয়ে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস ও দুধ মিশন করলে ভাল হয়। সব গুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিয়ে ভালোভাবে নারতে হবে খেয়াল রাখতে
হবে মিশ্রণটি পাতলা না হয়। পাতলা হয়ে গেলে কফি মিশ করে নিতে হবে। এরপর আপনি
এটি ত্বকে আলতোভাবে ৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এ ধরনের রূপচর্চা করার জন্য
রাতের সময়টায় সেরা। মুখ ধুয়ে উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
-
ত্বকের রুক্ষতা দূর করতেঃ আমাদের রুক্ষ ত্বকের জন্য মাঝে মাঝেই অস্বস্তিতে
পড়তে হয়।সামান্য মেকাপ নিলেও তা ভেসে ওঠে ত্বকে। এ সমস্যা দূর করতে আপনি ১
চা চামচ কফি পাউডার ও আধা চা চামচ পানি বা দুধ নিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ত্বকে
ব্যাবহার করুন। দেখবেন ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। ভালো ফলাফলের জন্য
সপ্তাহে ১বার ব্যবহার করুন।
লেখকের শেষ কথাঃ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে করে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,
কফির দাম, চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা, কফি খেলে আমাদের ওজন কমে, চিনি
ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছি।
আর্টিকেলটি যদি আপনারা করেও উপকৃত হন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
এবং নিয়মিত এই ধরনের পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আজ আর নয় আবার
দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সকলে ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url