বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষ জানে। আপনি যদি বিলাতি ধনে পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত্ন সহকারে পড়তে থাকুন।

বিলাতি-ধনে-পাতার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বিলাতি ধনেপাতা চাষ পদ্ধতি এবং ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেই সাথে আরো জানতে পারবেন বিলাতি ধনে পাতার ব্যবহৃত অংশ ও রূপচর্চায় এর ব্যবহার সম্পর্কে। বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই দিক আছে।

পেজ সূচীপত্রঃ বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

 বিলাতি ধনে পাতার পরিচিতি সম্পর্কে

সাধারণত আমরা সকলেই ধনেপাতা চিনি। কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোক বিলেতি ধনেপাতা চিনে কিন্তু এটি যে বিলিতি ধনেপাতা তার সম্পর্কে অবগত নয়। বিলেতি ধনেপাতার উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চলেই জন্মে থাকে বলে ধারণা করা হয়। কোন কোন বিজ্ঞানীর মতে দক্ষিণ আমেরিকায় বিলেতি ধনেপাতা উৎপত্তি স্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

বিলেতি ধনে গাছ সাধারণত বিরুৎ আকৃতির হয়ে থাকে। বেলেতি ধনেপাতা কে একটি লাভজনক মসলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। সাধারণত এ গাছের পাতা ও কচি পুষ্পদন্ড সবজি, মসলা এবং সালাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ধনেপাতা সাধারণত গ্রীষ্মকালীন সবজি। 

এ পাতা আমাদের পাকস্থলীর এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সাধারণত আমরা সকলে ধনেপাতা খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ফসফরাস ও ক্লোরিন। যার কারণে এটি আমাদের দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে।

বিলাতি ধনিয়া পাতা চাষ পদ্ধতি

আপনি ইচ্ছে করলে সারা বছর ধরে বিলাতি ধনেপাতার চাষ করতে পারবেন। তবে এটি গ্রীষ্মকালীন এর তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ সময় হালকা শীত ভাব থাকে যার কারণে বীজ তাড়াতাড়ি বড় হতে পারে।

বিলাতি-ধনিয়া-পাতা-চাষ-পদ্ধতি

বিলাতি ধনেপাতার চাষ দোআঁশ মাটিতে তুলনামূলকভাবে বেশী করা হয়। পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে পাহাড়ের সমতলে দোআঁশ মাটিতে তারা প্রচুর পরিমাণে বিলাতি ধনে পাতার চাষ করে থাকেন। পাহাড়ের পাদদেশের মাটি দোআস মাটি হওয়ার কারণে বিলাতি ধনেপাতা চাষ করলে রোগবালাই কম হয় সে কারণে এখানে ব্যাপক পরিমাণে ধনেপাতা জন্মে থাকে।

আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ 

এছাড়াও আমরা ইচ্ছে করলে ফুলের টপে সামান্য পরিমাণ গবেষণার মিশ্রিত মাটি নিয়ে ছাদের উপর বিলাতি ধনেপাতার চাষ করতে পারি। তাহলে সারাবছর বিলেতি ধনেপাতার ব্যবহার করতে পারব। বিলাতি ধনে পাতার বীজ রোপন করলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যায়।

জমি ও চারা তৈরি পদ্ধতি

বিলাতি ধনে পাতার গাছ লাগানোর জন্য সাধারণত জৈব সার  সমৃদ্ধ মাটি নিতে হয়। জমির মাটি চার থেকে পাঁচ বার চাষ দিয়ে তারপর মই দিয়ে মাটি ঝুলে করে নিতে হয়। কারণ ঢিল হয়ে থাকলে ধনেপাতার বীজ খুব ছোট আকৃতির বাড়ানোর সম্ভাবনা খুব কম থাকে। সেজন্য মাটিতে মই দিয়ে সমান করে নেয়া ভালো।

মাটিতে জো না আসা পর্যন্ত ধনের বীজ ফেলা যাবে না। আপনি সারা বছর কম বেশি বিলাতি ধনের পাতার চাষ করতে পারেন। তবে এটি সাধারণত গ্রীষ্মকালে ভালো জন্মে থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে শুকনো মৌসুমে ও শীতকালেও কম বেশি বিলাতি ধনে গাছ লাগাতে পারেন।

তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বিলাতি ধনের গাছ কম বাড়ে। জমিতে রস না থাকলে প্রয়োজনে আপনাকে হালকা পানি দিয়ে রসালো করে নিতে হবে। আপনাকে অন্যদিকে নজর রাখতে হবে যে আপনি বিলেতি ধনের বীজ বপনের প্রায় কয়েক মাস পরেও এর গাছ গজাতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য হারা হলে চলবে না।

আরও পড়ুনঃ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

আপনি যদি মনে করেন এই ধরনের উৎপন্ন করবেন সে ক্ষেত্রে ভালোভাবে চারা না হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। কারন আপনি ছিটিয়ে ফেলে দিলে সেগুলো মাটির উপরে থেকে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আর অনেক সময় জমিতে পাখিরা এসে বসে তখন এগুলো উপরে থাকলে খেয়ে ফেলে। তাই এগুলো আলাদাভাবে গাছ গজিয়ে লাগানোই উত্তম।

সার দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

আমাদের জেনে রাখা ভালো যে বিলাতি ধোনে এটা একটি পাতা জাতীয় ফসল হওয়ার কারণে এর চাষবাসের ক্ষেত্রে ইউরিয়া ও পটাশারের প্রয়োজন বেশি পরে। আপনি যদি মনে করেন বীজ লাগানোর পূর্বেই এই বর্ষার ইউরিয়া এসপি জমিতে মিশিয়ে দিবেন তাহলে মিশাতে পারেন।

জৈব সার পরিমাণ 80 কেজি, ইউরিয়া ২০০ গ্রাম, tsp ৮০০ গ্রাম, নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মাটিতে ছিটে আবার পুনরায় মাটির মধ্যে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এতে করে সম্পূর্ণরূপে মাটির সাথে সারগুলো মিশিয়ে যাবে। চারা রোপনের পর আপনাকে প্রায় ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

এরপর যারা ফুটার একমাস পর পুনরায় আপনি জমিতে জৈব সার ও ইউরিয়া মিস করে। হালকাভাবে ওপর দিয়ে দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে চারা দূরত্ব ও সতেজ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। তবে বিলাতি ধনেপাতা উৎপাদনের ক্ষেত্রে  দোআঁশ মাটির সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জমিতে পানি সেচ ও পরিচর্যা

বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদেরকে নিশ্চিত হতে হবে। এই ধনের পাতা আমাদের দেহের নানা রকম ভিটামিন উপাদান উৎপন্ন করে। যার জন্য এই ধনেপাতা চাষ পদ্ধতিতে করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানি সেচ ও পরিচর্যা সঠিকভাবে নিতে হবে।

পরিচর্যার ক্ষেত্রে আপনাকে ধনিয়া খেতে ওপর দিয়ে ছাউনির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কারণ যদি আপনি ছাউনের ব্যবস্থা না করে দেন তাহলে প্রখর রৌদ্রে ধোনে গাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার সাথে গাছের ডালে কাঁটাযুক্ত শাখা প্রশাখা শক্ত হয়ে ওঠে। সেজন্য সূর্যের আলো থেকে এটিকে একটু আড়ালে রাখতে হয়।

আরও পড়ুনঃ ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

সূর্যের আলো ২০-৪০ ভাগ বিক্ষিপ্ত আলো দিলেই হয়। বিলাতি ধনে পাতা গাছ সাধারণত ছায়া জায়গায় ভালো হয়। আর আপনি যদি মনে করেন বিলাতি ধোনে গাছ লাগানোর পর এর ওপর দিয়ে নারকেল গাছের ছাউনি বা কোন নেট দিয়ে ছায়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিবেন সে ক্ষেত্রে করতে পারেন।

ধনেপাতার ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে

বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আপনারা এখন কম বেশি বুঝতে পেরেছেন। বিলাতি ধনেপাতার অনেক ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। আপনার সাধারণত জ্বর, হাইফা, টেনশন, পাকস্থলী জ্বালাপোড়া,  কৃমি, ডায়রিয়া, কামড়ানো ইত্যাদি এ ধরনের চিকিৎসার জন্য বিলেতি ধনিয়া পাতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক সময় আমরা হালকা জ্বরে নার্ভাস হয়ে পড়ি। এমন সময় আপনি বিলাতি ধনিয়া পাতা নিয়ে এসে রস করে। খেয়ে নিন। দেখবেন অনেক উপকার পাবেন। আবার আপনার বাসায় বা আপনার আশেপাশে পরিচিত কাউকে যদি সাপে কামড়িয়ে থাকে ।এমন সময় আশেপাশে কোথাও বিলাতি ধনিয়া পাতা গাছ পেয়ে থাকলে এর পাতা নিয়ে এসে বেটে সাপে কামড়ানোর রোগীকে খাইয়ে দিন।

এতে করে সাপের বিষ ওপরে উঠিয়ে যাওয়া বা ছড়িয়ে যাওয়া সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। সেজন্য বলা হয় সাপের সেজন্য বলা হয়ে থাকে সাপের বিষের জন্য ধনের পাতা একটি জম। এছাড়াও আপনার সাধারণত সচরাচর ডায়রি ও মেলেরা হলে হাতের কাছে ওষুধ না পেলে বিলাতি ধনিয়া পাতা রস করে খেয়ে নেন কিছুটা হলেও আরাম অনুভব করতে পারবেন।

বিলাতি ধনেপাতা দিয়ে রূপচর্চা

বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক বিদ্যমান রয়েছে।, সাধারণত আমরা রূপচর্চা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছরা ব্যবহার করে থাকি। তার মধ্যে বিলাতি ধনেপাতা ও রূপচর্চার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আমাদের ত্বক ও চুলের ক্ষয় রোধ করতে বিলাতি ধনেপাতার গুরুত্ব অপরিসীম।

কারণ বিলাতি ধনেপাতাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ অভিটামিন সেই সমৃদ্ধ রয়েছে। আবার আপনাদের মধ্যে যাদের ঠোঁট কালো রয়েছে। তারা নিয়মিত বিলাতি ধোনের পাতা বেটে ছুটে রাত্রে লাগালে কালো দাগ দূর হয়। ভালো ফলাফল পেতে বিলাতি ধনিয়া পাতা বাটার পর এর রসগুলো নিয়ে।

বিলাতি-ধনেপাতা-দিয়ে-রূপচর্চা

তার সাথে কিছু সামান্য পরিমাণ দুধ মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন এবং সকালবেলা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন ঠোট নরম ও সুন্দর হয়ে উঠেছে। এছাড়াও আপনি যদি ইউরিন ইনফেকশন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বিলাতি ধনেপাতা রস খুবই কার্যকরী উপকারিতা।

আরও পড়ুনঃ সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

ধনেপাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইনাল আয়রন ক্যালসিয়াম সহ নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শীতের সময় সাধারণ ফেটে যাওয়া ঠান্ডা লাগা হালকা তে জ্বর জ্বর ভাব হয় এসব থেকে রক্ষা পেতে বন্ধুর মত কাজ করে বিলাতি ধনেপাতার রস।

বিলাতি ধনেপাতার উপকারিতা

বিলতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপকারিতায় রয়েছে অপকারিতার চেয়ে। প্রত্যেক জিনিসেরই কম বেশি উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি বিলাতি ধনেপাতার ক্ষেত্রেও তাই। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ধনেপাতা আর উপকারিতা সম্পর্কে।

  • বিলাতি ধনেপাতা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ রয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে।
  • ধনিয়া পাতা সাধারণত রক্তের শর্করার পরিমাণকে রাস করতে সহায়তা করে ফলে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য ধনিয়া পাতা খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বা তারা নিয়মিত দুনিয়া পাতার রস করে খেতে পারেন।
  • বিলাতি এই ধনেপাতা তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সাইড এর বিদ্যমান রয়েছে যা ফিরে কুয়েশ্চেন ক্ষতিকর প্রভাব হয়ে বাধা সৃষ্টি করে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কলেজের গুলোকে ধ্বংস করে আমাদের এর হাটকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে তুলে।
  • সাধারণত যদি আপনি খিচুনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং পাশাপাশি স্নায়ু কোষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান এই বিলাতি ধনে পাতার রসের মাধ্যমে পেয়ে থাকবেন। তাই বলা বাহুল্য যে বিলাতে ধোনের পাতা আমাদের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে।
  • প্রচুর থাকার কারণে এটি আমাদের হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি আমাদের শরীর ফোলা ব্যথা ও পেটে নানা ধরনের সমস্যার কারণ গুলো সহজেই সমাধান করে এই বিলতি ধনেপাতা।
  • বিলাতে ধনেপাতা মধ্যে আইডি অক্সাইড প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ থাকায় এরা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে।
  • আপনি যদি লিভারের সমস্যায় ভুগেন সেক্ষেত্রে নিয়মিত বিলাতি ধনের পাতার রস খান তাহলে খুব সহজেই লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ একটি শক্তিশালী উপাদান।
আশা করি আপনারা বিলাতি ধনে পাতার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। বিলাতি ধনেপাতা অসংখ্য পুষ্টি সম্পূর্ণ একটি উপাদান।

বিলাতি ধনে পাতার অপকারিতা

বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে এটি আমি আগে বলেছি। কারণ প্রতিটি জিনিসেরই কিছু না কিছু অপকারিতা থাকে। সেজন্য এখন আমি আপনাদেরকে ধনেপাতা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
  • যদি আপনার এলার্জির কোন প্রভাব থাকে তাহলে আমি বলব সে ক্ষেত্রে ধনেপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ধনেপাতাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সাইড থাকার কারণে এটি এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও কার কোন খাবারে অ্যালার্জি আছে সেটি সে সেভাবেই নিশ্চিত।। আর আপনি যদি খেতে চান তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে বিলাতি ধনেপাতা খেতে পারেন
  • বিলাতি ধনে পাতাতে নানা ধরনের এসিড বিদ্যমান থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মহিলাদের সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে যারা গর্ভবতী বা শিশুদের বুকের দুধ পানরত অবস্থায় থাকেন। এমন অবস্থায় বিলাতি ধনে পাতা খাওয়ার ফলে ভ্রমনের ও শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আপনি যদি শ্বাস প্রশ্বাস আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে বিলাতি ধনে পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ ধনে পাতা অতিরিক্ত খেলে গলা শুকিয়ে, বুকে ব্যথা ও শ্বাস প্রশ্বাস এর সমস্যা করে।
  • অনেকের ধনে পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে যেমন ফুসকুড়ি্, চুলকানি এবং ত্বক জ্বালাপোড়া করে। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • আপনার লিভার ও কিডনির সমস্যা থাকলে ধনে পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আশা করি বিলাতি ধনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বিলাতি ধনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। বিলাতি ধনে পাতা চিনা এবং এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।পাশাপাশি বিলাতি ধনে পাতার ভেষজগুন ও রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।আমি নিজে বিলাতি ধনে পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকি। কারণ বিলাতি ধনে পাতা খেলে আমার প্রচুর গ্যাস্টিক হয়। কিন্তু এর ভর্তা আমার কাছে খুবই মজার একটা খাবার। যদি আর্টিকেলটির মধ্যে কোন বানান বা শব্দ বুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো বা উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এ ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।সকলে ভালো থাকুন। আসসালামু আলাইকুম,,, 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url