বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক মানুষই সঠিক ভাবে জানেন না। তাই আপনি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন ভারতীয় ভিসা সম্পর্কে।

বাংলাদেশ- থেকে- ভারতীয়- ভিসার -জন্য- আবেদন- পদ্ধতি

কেন ভিসা করবেন, ভিসার গুরুত্ব কি, ভিসার প্রকারভেদ, ভিসার ফরম জমা দেয়ার নিয়ম, ভিসা করতে কি কি লাগে, ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি 

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশ স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে। তার জন্য আপনাকে ভোটার হওয়া বাধ্যতামূলক। আপনারা অনেকেই ভারতীয় ভিসা করা একটি কঠিন এবং জটিল কাজ মনে করেন। আপনারা সকলেই জানেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য একটি ভিসার প্রয়োজন হয়।

বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ হওয়ার কারণে এখন অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা করা যায়। বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বেশিরভাগ ভারতে যাবার জন্য ভিসা করে থাকেন। অনেকেই আবার দ্বারপ্রান্ত হয় অনেকের কাছে তার কারণ তারা সঠিকভাবে জানে না কিভাবে ভারতীয় ভিসা করা লাগে। 

আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

আপনি চিকিৎসা করেন আর ভ্রমণি করেন তার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ভিসা তৈরি করত হবে। প্রত্যেক মানুষই তার ভবনযাত্রাকে সুন্দর সৃষ্টি করার লক্ষ্যে অবশ্যই নিরাপদ একটি ভ্রমণ যাত্রা আশা করেন। যার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি নিয়মের মধ্যে থেকে ভিসা ফরম পূরণ করে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে ভিসার একটি মেয়াদ থাকে মেয়াদ শেষে পুনরায় আপনাকে রেনু করা লাগে। যাতে করে আপনাকে ভবিষ্যতে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবার জন্য নানারকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। তাছাড়া ভিসা তৈরি করার জন্য বর্তমানে খরচ তেমন লাগে না ১০ হাজারের মধ্যেই ভিসা করা যায়।

ভারতীয় ভিসা করে রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে ভারতীয় ভিসা পাওয়া কেন আমাদের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাধারণত বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা নাই বললেই চলে। এছাড়াও বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য আছে যেগুলো আমরা দেশে নিয়ে এসে ব্যবসা করে থাকো

ধরুন আপনি হঠাৎ করে একটি কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেন। যেমন ক্যান্সার, টিউমার, লিভারের সমস্যা, রক্তের সমস্যা ইত্যাদি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শরীরে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলো বাংলাদেশের চিকিৎসা করতে গেলে বিভিন্ন রকম অজুহাত দেয় এসব রোগে চিকিৎসা নাই বললেই চলে।

এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশে এসব রোগের চিকিৎসা মানেই অপারেশন। যেটা ভারতে ওষুধের দ্বারা সমস্যার সমাধান করার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। যার কারনে আপনি সহজে ভারতে প্রবেশ করতে পারেন সেজন্য আপনার অবশ্যই একটি ভিসা করে রাখা লাগবে। এছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেকেই ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের শাল ,কসমেটিক দেশে নিয়ে এসে ব্যবসা করেন।

আরও পড়ুনঃ জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম

সে কারণে আপনাকে ভারতে প্রবেশের জন্য একটি ভিসা গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যটক জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করার জন্য অবশ্যই একটি ভারতীয় ভিসা থাকা প্রয়োজন। ভিসা তৈরির জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা লাগে। যার কারণে আগে থেকে ভিসা তৈরি করে রাখলে সুবিধা হয়।

 বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র সমূহ

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি করার জন্য বাংলাদেশে কয়েকটি ভিসা অফিস রয়েছে। যে সকল অফিস সাধারণত ভিসা কাজে নিয়োজিত থাকেন। এছাড়াও বাংলাদেশের মানুষ সহজে ভিসার প্রাপ্ত হওয়ার জন্য এবং আরো সহজতম করার জন্য ভিসা অফিস গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ বরিশাল এবং রংপুরে তিনটি নতুন ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু করেছিলেন। বরিশালে ভারতের হাইকমিশনারের মহামান্য শিব পঙ্কজ স্মরণ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থাপন করেন। স্থাপনের মাধ্যমে আইভিএসিএস বর্তমানে বাংলাদেশের দশটি স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশে- ভারতীয়- ভিসা- আবেদন -কেন্দ্র -সমূহ

খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকার মধ্যে, মতিঝিল, গুলশান এবং ধানমন্ডিতে, বরিশালে রয়েছে। যারা ভিসা আবেদন করবেন তাদের সুবিধার কারণে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বিভিন্ন ধরনের নিয়ম চালু করেছেন।

ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর ভূমিকা

ভারতীয় ভিসা আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে আরো সহজ করে তুলেছে ভিসা আবেদন কারী কেন্দ্রগুলো। তারা তাদের বিভিন্ন রকম মনোভাবের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে ভিসার প্রতি মানুষের মন মানসিকতা। বিভিন্ন ধরনের নিয়ম প্রদান করেন এবং ভিসা ফরম জমা জমা দেওয়ার সকল নিয়ম সম্পর্কে সহায়তা করেন।

এছাড়াও তারা ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের এপার্টমেন্ট মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে সহযোগিতা করেন। ভারতীয় বিখ্যাত হাসপাতাল অ্যাপোলো হাসপাতালের সাথে যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা জানার জন্য বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। এবং নির্বাচিত এলাকায় ভিসা আবেদনকারীরা কিভাবে চিকিৎসা নিতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন করেন।

  1. ডেডিকেটেড আইভিএসি এর হেল্পলাইন হচ্ছে: শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার আপনার বিভিন্ন প্রশ্নের জন্য টেলিফোন নাম্বার-০৯৬১২৩৩৩৬৬৬  এবং ০৯৬১৪৩৩৩৬৬৬ এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
  2. এসএমএস সতর্কতা সম্পর্কে যারা ভিসা আবেদন করেছেন তাদের পাসপোর্ট এর ডেলিভারির তারিখ সম্পর্কে পরামর্শ এবং সেখানে যে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল নম্বর পাওয়ার জন্য ফোন নাম্বারে এসএমএস প্রদান করেন।
  3. বাংলাদেশের বাংলাদেশের যে কোন নিবন্ধিত ইউ ক্যাশ আউটলেটে বা ইউ ক্যাশ এর মোবাইল মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে পারেন ভিসা আবেদনকারীরা।

ভারতীয় ভিসার প্রকারভেদ

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে ভারতীয় ভিসার প্রকারভেদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। আর আপনি যখন ভিসা আবেদন করবেন ঠিক তখনই আপনাকে উল্লেখ করতে হবে আপনি কি উদ্দেশ্যে ভিসা তৈরি করবেন। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ভিসা সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য সাধারণত তিন প্রকার ভিসা রয়েছে।ভারতীয় ভিসা গুলো-টুরিস্ট ভিসা, ব্যবসায়িক ভিসা, মেডিকেল ভিসা। টুরিস্ট ভিসা হলো সাধারণত আমরা যারা ভ্রমণের জন্য ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে যায় সেগুলো টুরিস্ট বা পর্যটন ভিসায় অন্তর্ভুক্ত করা লাগে।

আর যারা আমরা ব্যবসায়িক ভিসার উদ্দেশ্যে ভারতে যেয়ে থাকি। তাদের অবশ্যই ব্যবসায়িক ভিসায় অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। যেমন আমরা অনেক ধরনের কাশ্মীরি সাল, শাড়ি, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক, কোকারিজের জিনিস, ভারত থেকে বাংলাদেশ নিয়ে আসে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যবসায়িক ভিসা ফর্ম পূরণ করতে হবে।

আর আপনি যদি চিকিৎসার জন্য ভারতীয় প্রবেশ করেন। তাহলে অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল ভিসা বা চিকিৎসা ভিসা ফরম পূরণ করতে হবে। ভারতে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে। যেগুলো পরিদর্শন করলে আপনি অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আমরা সাধারণত চিকিৎসার জন্য সচরাচর ইন্ডিয়া চেয়ে থাকি।

ভারতীয় ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় নথিপত্র

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি জানার সাথে সাথে অবশ্যই আপনাকে ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় ও নথিপত্র সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আইবিএসিতে যাওয়ার আগে আপনি কি ধরনের ভিসা তৈরি করবেন সে সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবতীয় কাগজপত্র সঠিক করে নিতে হবে।প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। আর আপনি যে সকল কাগজপত্র সঙ্গে নিবেন সেগুলো হল।
  1. অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে যার মেয়াদ কম ওকে ৬ মাস হবে।
  2. মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকা প্রয়োজন
  3. জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে
  4. জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
  5. ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  6. পুলিশের তদন্ত করা সার্টিফিকেট
  7. আপনি যে ভিসা আবেদন করেছেন
  8. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  9. আপনি যে উদ্দেশ্যে ভিসা করবেন তার প্রমাণ পত্র
তবে আপনি যে কারণে ভিসা করবেন সে অনুযায়ী আপনাকে কাগজ পাতি জমা দেয়া লাগবে। এবং পরবর্তীতে আপনি যদি অন্যভাবে ভিসা তৈরি করার প্রস্তুতি নিন সে অনুযায়ী পুনরায় আপনাকে কাগজ পাতি জমা দিতে হবে। আর সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে স্কুল কলেজের সনদপত্র এবং সেই স্কুলে একটি আবেদনকৃত প্রিন্সিপালের স্বাক্ষর যুক্ত দরখাস্ত জমা দিতে হবে।

ভারতীয় ভিসা কিভাবে করতে হয়

ভিসা করার নিয়ম কি সাধারণ তো আপনার ওপর নির্ভর করে। আপনি কোন দেশে ভ্রমণ করবেন এবং আপনি কোন দেশের নাগরিক তার ওপর সম্পূর্ণ ভিসা তৈরি নিয়ম অন্তর্ভুক্ত। ভিসা তৈরি করতে প্রথমে আপনাকে স্থির করতে হবে যে আসলে আপনি কোন দেশে ভ্রমণ করবেন বা চিকিৎসা নিবেন। এরপর আপনাকে সামনের দিক এগিয়ে যেতে হবে।

ভিসা করার প্রক্রিয়াটি সাধারণত কোন ধরনের হবে এবং দেশের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে। এরপরে যদি আপনার দেশ নির্ধারণ করা হয় এরপরে আপনার লেভেল নির্বাচন করতে হবে। আসলে আপনি কোন বিষয়ের উপর ভ্রমণ করতে চান সেটা নির্বাচন করতে হবে। ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষায় ইত্যাদি সম্পর্কে সাধারণত স্থায়ী ভিসা তৈরি করা লাগে।
তারপরে আপনাকে আপনার উদ্দেশ্য এর উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ভিসা প্রমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। তবে অনেক কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না। আপনি ভিসা আবেদন করার জন্য অফলাইন বা অনলাইন উভয় ক্ষেত্র ব্যবহার করতে পারেন।

তবে ভিসা তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু কিছু দেশ ভিসা তৈরীর আগে সাক্ষাৎ গ্রহণ করে থাকে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সুন্দর এবং বাঞ্ছনীয় ভাষায় তাদের সাথে সাক্ষাৎকার করতে হবে। তারা যদি আপনার সাক্ষাৎকারে সন্তুষ্ট হয় তাহলে আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এবং এটি অনুমোদন দিতে প্রায় এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

ভারতীয় ভিসা আবেদন ফরম পূরণ ও ট্যাকিং পদ্ধতি

ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পূরণ করতে হবে। এখানে যদি আপনি ভুলবশত কোন ভুল তথ্য পেশ করেন তাহলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সেজন্য ভিসা আবেদন ফ্রম পূরণের ক্ষেত্রে সর্বদা জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে পূরণ করার চেষ্টা করবেন।ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
 সঠিকভাবে ফরম পূরণের জন্য নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
  1. সেজন্য প্রথমে আপনাকে ভিসার ধরনটি নির্বাচন করতে হবে।
  2. খুব ভালোভাবে তথ্য দিয়ে অনলাইন আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে।
  3. আপনার যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট করতে হবে।
  4. অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে যে নিয়মে আপনাকে ফি প্রদান করতে বলবে ঠিক সে অনুযায়ী আপনাকে ফি প্রদান করতে হবে।
  5. আইভিএসি এই ওয়েব সাইটটি আপনি ফলো করতে পারেন।
ভারতীয়- ভিসা- আবেদন -ফরম- পূরণ- ও- ট্যাকিং- পদ্ধতি

এরপর যদি আপনার আবেদন ফরমটি পূরণ করা হয়ে যায় তবে জমা প্রদান করুন। এরপর আপনার আবেদন ফরমটি টেকিং করতে চাইবেন। আর এটি আপনি কিভাবে করবেন তা নিম্নে জেনে নিন।
  1. সর্বপ্রথমে আপনি আইভিএসি ওয়েবসাইটটি পর্যবেক্ষণ করবেন।
  2. এরপর আপনি ভিসা স্ট্যাটাস টেকিং নামে একটি বিভাগ আছে। সেটিতে আপনি নেভিগেট করবেন।
  3. এরপর আপনার আবেদন ফরমে যে রেফারেন্স নাম্বার ছিল। সে নাম্বারটি প্রবেশ এবং পাসপোর্ট নাম্বারটি লিখে টেকিং করতে পারেন।
  4. এছাড়াও আপনি টেকিং অ্যাপ্লিকেশন এই অপশনটি ক্লিক করতে পারেন।

ভারতীয় ভিসার অনুমোদন এবং প্রত্যাখ্যান সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই ভিসা অনুমোদন এবং প্রত্যাখ্যান সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি সুন্দরভাবে ভিসার ফর্ম পূরণ করে অনবদন পেয়ে যান তবে সত্যি সেটি আপনার জন্য খুব খুশির কারণ হবে। কিন্তু ভুল হলে  সমস্যার  সম্মুখীন হতে হবে। অনুমোদনের পর আপনাকে যা করতে হবে।
  1. আপনার ভিসাটি যাতে করে কোন ভুল না হয় সেজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
  2. আপনি যে উদ্দেশ্য ভিসা করছেন খেয়াল রাখতে হবে যেন তার সাথে ভিসাটি মিল থাকে।
  3. এবং আপনার ভিসাটি নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনে ফটোকপি করে সংরক্ষণ করুন।
প্রত্যাখান করার কারণ
কোন কারণ বশত যদি আপনার ভিসা প্রত্যাখান হয় তবে দূর্বল হবেন না। ঠান্ডা মাথায় সমসধান করার চেষ্টা করবেন।
  1. কর্তৃপক্ষ আপনাকে যে প্রত্যাখান পত্র দিবে সেটা ভালোভাবে পড়বেন।
  2. আপনাকে চিঠিতে যে কারণে প্রত্যাখাত করেছে উল্লেখ আছে সেটা ভালোভাবে সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
  3. আইভিএসি থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। প্রয়োজনে আইনি ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসা করার পদ্ধতি সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ভিসা কেন্দ্র কয়টি ও কোথায়? 
উত্তরঃ বাংলাদেশে ভিসা কেন্দ্র ১৫ টি কেন্দ্র আছে। এগুলো হলো-- ঢাকা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, যশোর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ।
আপনি ভারতীয় ভিসা ফি কি কি উপায়ে প্রদান করবেন? 
উত্তরঃ ভিসার ফি পেইড করার জন্য এই https:// payment.ivacbd.com/ লিংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ডেবিট,ক্রেডিট,কিউ ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিং রকেট, বিকাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ, ইসলামি ব্যংক বাংলাদেশ, ব্যাংক এশিয়া,ফাস্ট ক্যাশ, সিটি টাচ,এবি ইত্যাদি থেকে ভিসার ফি করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ভারতীয় ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয়? 
উত্তরঃ ভারতীয় ভিসা করতে সাধারণত ৮০০ টাকা খরচ হয়।
প্রশ্নঃ ভারতীয় ভিসা করতে কত দিন সময় লাগবে?
উত্তরঃ ভারতী ভিসা করতে কমপক্ষে ০৩ থেকে  ০৭ দিন সময় লাগবে।

শেষ মন্তব্যঃ বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি 

বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ভিসা করার পদ্ধতি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা জানতে ও বুঝতে সক্ষম হবেন। কিভাবে ভিসা করবেন,কি কি কাগজপত্র লাগবে, ফরমপূরণ, টাকা পে করার নিয়ম, ভুল হলে সংশোধন করার নিয়ম,কেন ভিসা করে রাখবেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আমাদের প্রায় সকলের ভওসা করে রাখা ভালো। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবো। তাছাড়া আমাদের কম বেশি সকলেই চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন থাকে।আপনারা ব্লগটি পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এ ধরনের পোস্ট পেতে waymaxit.com ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আজ এ পর্যন্ত আবারও উপস্থিত হবো অন্য কোন পোস্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url