বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২০টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনি জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আপনি যদি কোন আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে আর্টিকেল লিখার প্রথম ধাপ ও নিয়মগুলো জানতে হবে।

বাংলা-আর্টিকেল-লেখার-নিয়ম

আজকের আর্টিকেলটিতে এসইও  ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা কি কারনে গুগলে রেংকিং থেকে পিছিয়ে পড়ছি কেন এ সকল তথ্যের সাথে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করবো।

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - ২০টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা খুব জরুরী। কারণ আর্টিকেলের ভেতর ভুল  থাকার কারণে গুগলে রেংকিংকরা সম্ভব হয় না। সেজন্য আমাদেরকে আর্টিকেল লেখার আগে অবশ্যই নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। যেহেতু আমরা প্রতি মাসে বাংলা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে তিন থেকে 15 হাজার টাকা আয় করতে পারি।

তবে সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখতে পারলে ফিনান্সিং করে আপনি মাসে লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে প্রথমে অবশ্যই প্রথম ধাপ নির্বাচন করতে হবে। প্রথম ধাপ নির্বাচন করা বলতে যে বিষয়ে আপনি আর্টিকেল লিখবেন সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে।

এবং সে সাথে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। রিসার্চ করা হলে আপনাকে আর্টিকেল লেখা শুরু করতে হবে। আপনাকে আপনার মনোভাব দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিকে ফুটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। আর এটাই হচ্ছে আপনার আর্টিকেলের সর্বপ্রথম ধাপ। প্রথম ধাপে আপনাকে এমনভাবে ফুটে তুলতে হবে যেন পাঠক পড়া মাত্র আগ্রহী হয় বাকি অংশ পড়ার জন্য।

আপনি একটি আকর্ষণের কিওয়ার্ড নির্বাচন করবেন এবং লেখার শুরুতেই আর্টিকেলের মধ্যে দুই লাইনে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলবেন লেখাগুলো যেন পাঠক পরবর্তী আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে ইচ্ছুক হয়। এমনভাবে আর্টিকেলের উপস্থাপনা করবেন না যেন গ্রাহক আর্টিকেল পড়ার মনোভাব হারিয়ে ফেলে।

আরও পড়ুনঃ ডেস্কটপ অ্যাপ মেসেঞ্জার রুম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ইন্টিগ্রেশন 

লেখা শুরুতে আপনাকে পাঠককে বোঝাতে হবে যে আপনি পুরো আর্টিকেলটি কি বিষয়ে আলোচনা করতে চান। লেখার ভিতর একটি মাধুর্য আনতে হবে প্যারা বিচ্ছেদ করতে হবে। মাঝে মাঝে আরো পড়ুন সিলেকশন করতে হবে। এতে করে আপনার আর্টিকেলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। অন্যান্য পোষ্টের লিংক সংযুক্ত করুন।

এবং আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন। এমনভাবে আপনাকে লিখতে হবে যেন পাঠক বুঝতে পারে সে বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ। আর সম্ভব হলে প্রমাণ সহকারে উদাহরণ উল্লেখ করবেন। যাতে করে পাঠক বুঝতে পারে আপনি সে বিষয়ে জানেন এবং বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কোনভাবে পাঠকের মন অখুন্ন করা যাবে না।

আপনি যে বিষয়ে লিখবেন সেটি অবশ্যই উপযুক্ত এবং স্পষ্ট ভাষায় লিখতে হবে। লেখার মধ্যে সহজ সরল ভাষা ব্যবহার করবেন। কোন ভাষা ঘুরিয়ে পেচিয়ে ব্যবহার করা চেষ্টা করবেন না। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ভাষা প্রয়োগ। ঘুরিয়ে পেচিয়ে ভাষা ব্যবহার করলে কোন কোন প্রার্থক সম্পূর্ণ আর্টিকেল না পড়েই চলে যান।

আর্টিকেলে শিরোনাম লেখার নিয়ম

আপনাকে শিরোনামের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি শিরো নাম বা টাইটেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। যাতে করে প্রার্থক আপনার শিরোনাম উপরেই যাতে বুঝতে পারে আপনি পুরো আর্টিকেলটিতে আসলেই তাদেরকে কি বুঝাতে চাইছেন।

আর্টিকেলে-শিরোনাম-লেখার-নিয়ম

অনেকেই আছেন যারা শিরোনাম পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন না পড়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যান। সেজন্য আপনাকে পারো তো পক্ষে শিরোনামকে সৌন্দর্য ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যাতে করে প্রতিটি পাঠক আপনার শিরোনাম পছন্দ করে এবং আপনার আর্টিকেলটি পড়তে ইচ্ছুক হয়। টাইটেল বা শিরোনাম গুলো লেখার নিয়ম নিম্নে দেয়া হলোঃ

  1. প্রত্যেক শিরোনাম ৫থেকে ১০শব্দের মধ্যে আপনাকে লিখতে হবে।
  2. আপনি যদি আর্টিকেলের ভেতর দুইটি ফোকাস কি ওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই হাইফেন ব্যবহার করতে হবে।
  3. ( ?, !, | ) এ সকল চিহ্ন আর্টিকেলে পারতোপক্ষে ব্যবহার না করার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে।
  4. শিরোনামের মধ্যে আপনি দুইটি বা একটি ফোকাস কী-ওয়ার্ড বসাতে পারবেন এর বেশি বসানো যাবে না।

কন্টেন্ট এ ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার নিয়ম

কন্টিনে একটি ভূমিকা বাটন অবশ্যই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর মধ্যে ভূমিকা বাটন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভূমিকা বাটন দেয়ার ক্ষেত্রে  অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে কনটেনের ওপর ভূমিকা বাটন দিবেন তার সাথে মিল থাকে। এমন পোস্টের লিংক সংযুক্ত করতে হবে।

সবসময় ৫ থেকে ৬ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি আর একটি জিনিস আপনাকে মনে রাখতে হবে যে ভূমিকা বাটনে যে পোস্টের লিঙ্ক বা পোস্ট এড করবেন। সেটা আরো পড়ুন সেই সেকশনে একই লিংক সংযুক্ত করা যাবে না।

এসইও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

এসইও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ওয়ান পেজ এসিও করতে হবে। আপনার কনটেন্টকে google এ এক নম্বরে র‍্যাংক করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এসিও করতে হবে। এসিও ছাড়া আপনার কনটেন্ট কে google ড্যাংক করাতে পারবেন না। সেজন্য কন্টেনের মধ্যে এসিও করা বাধ্যতামূলক।
চলুন কিভাবে আমরা এস ফেনী বাংলা আর্টিকেল লিখব জেনে নেই।

বাংলা আর্টিকেল লেখার প্রথম ধাপ

বিষয় নির্বাচন করাঃ অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলে লিখার আগে আপনি কি বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন এটি নির্ধারণ করতে হবে। আর লেখার আগে এই নির্ধারণ করা কেই বিষয় নির্ধারণ বা নির্বাচন করা বলে।

ফোকাস কি ওয়ার্ডঃ আপনি যে সকল বিষয় নির্বাচন করে লিখবেন তাকেই ফোকাস কি ওয়ার্ড বলে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড দু ধরনের হয়। একটি আপনি যে বিষয়ের ওপর লিখবেন তা এবং অন্যাটি মেটা ডেসক্রিপশনের মধ্যে প্রকাশ পাবে একবার। 

কিওয়ার্ড নির্বাচনঃ আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চান। সে বিষয়ে গুগলে সার্চ করে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচন করা জানতে হবে। সাধারণত কিওয়ার্ড নির্বাচন করার জন্য কিছু ফ্রী ওয়েবসাইট আছে। সে গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানা লাগবে।  সেখান থেকে খুব সহজে আপনি ভালো মানের কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারেন।

সে জন্য আপনাকে গুগলে সার্চ করতে হবে। নিম্নে ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি ফ্রী কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারেন।
  • Google keyword planner
  • Keyword generator
  • Ahrefs
এ সকল ওয়েবসাইট থেকে আপনি খুব সহজে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারবেন।

মেটা ডেসক্রিপশনঃ আপনি আর্টিকেলের শুরুতে যে তিন লাইন লিখে কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন তাকেই মেটাডিসক্রিপশন বলে। এখানে প্রথম কিওয়ার্ড থাকতে হবে একবার এবং দ্বিতীয় কিওয়ার্ড একবার।

ফোকাস কিওয়ার্ডঃ আপনার আর্টিকেলে পুরো এরিয়া ধরে ফোকাস কিওয়ার্ড ১০ বার ব্যবহার করতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে গুগলে ১ থেকে ১০ তালিকায় আসার জন্য অবশ্যই ১০ বারের বেশি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১০ বারের কম সর্বনিম্ন ৪ বার রাখতে পারেন। বেশি হলে সমস্যা হবে।


টাইটেল নির্বাচনঃ আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে আপনি যেটা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করেছেন। লিখার সময় আপনি টাইটেল হিসেবে ওটাকেই রাখবেন। এবং খেয়াল রাখবেন টাইটেলটা যেন ৫ থেকে ১০ শব্দের মধ্যে হয়। টাইটেল ও ফোকাস কিওয়ার্ড কিন্তু একই বিষয়।

মেটা ডেসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড ও সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ডঃ আপনি আপনার আর্টিকেলের শুরুতে মেটা ডেসক্রিপশনে নির্বাচন বিষয় বা ফোকাস কিওয়ার্ড একবার ও সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড একবার রাখবেন। আর মনে রাখবেন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে একবার করে রাখা বাধ্যতামূলক।

সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ডঃ আপনার নির্বাচন করা ফোকাস কিওয়ার্ড পুরো আর্টিকেলে দুবার ব্যবহার করবেন। এর বেশিও করা যাবে না আবার কমও করা যাবে না।

সূচীপত্রঃ আপনি যে বিষয়ের ওপর আর্টিকেল লিখছেন। তার ওপর নির্ভর করে সূচীপত্র তৈরি করবেন। যাতে করে সৌন্দর্য ও পাঠক এসে পড়ে আরও পড়তে ইচ্ছুক হয়।

ফিউচার ইমেজ যুক্ত করার নিয়ম

আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন তার ওপর মিল রেখে অবশ্যই ইমেজ বসাতে হবে। কারণ পাঠক শুধু আর্টিকেল পড়তে পছন্দ করবেন না তাই ইমেজ মিল রেখে ইমেজ যুক্ত করুন। তবে হ্যাঁ আর্টিকেলে ইমেজ বসানোর নিয়ম আছে সে সম্পর্কে ও আপনাকে জানতে হবে।
  • ফিউচার ইমেজের মধ্যে টাইটেল ও টেক্সট ভিন্ন রাখতে হবে। 
  • কোর্স চলাকালীন সময়ে আপনাকে যে ভাবে ফিউচার ইমেজ বানাতে বলা হয়েছে সে ভাবে করার চেষ্টা করবেন। 
  • ফিউচার ইমেজ গুলো অবশ্যই আপনাকে সেন্টার এলাইমেন্ট ব্যবহার করতে হবে।

পেজ সূচীপত্র লিখার নিয়ম

পেজ সূচীপত্র লিখার নিয়ম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি আর্টিকেলের শুরুতে পেজ সূচীপত্র দেন তাহলে পাটক আপনার আর্টিকেলের ভিতরে কি আছে প্রথমে জেনে যাবে। এমন আপনাকে এমন ভাবে লিংক করতে হবে যেটা পাঠক পড়তে চাই ক্লিক করে সেটা পড়তে পারে। পেজ সূচীপত্র লিখার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে দেয়া হলোঃ
  • সব ধরনের ফোকাস কিওয়ার্ড পেজ সূচীপত্রের ভিতর থাকবে।
  • ফোকাস কিওয়ার্ড গুলোকে পেজ সূচীপত্রে লিস্টিং করতে হবে।
  • আপনাকে পেজ সূচীপত্র তৈরি করতে ক্লাস ব্যবহার করতে হবে।
  • ফোকাস কিওয়ার্ড গুলোকে আইডি দিয়ে নাম্বার করে লিংক করতে হবে।

প্যারাগ্রাফ শিরোনাম লেখার নিয়ম

আপনি আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে ছোট ছোট প্যারা করে লিখার চেষ্টা করবেন। তার সাথে কি বিষয়ে লিখছেন তার শিরোনাম দিবেন। এতে করে পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারে কোন প্যারায় কি বিষয়ে লিখছেন। আপনি লিখার সময় অবশ্যই ৫ লাইনের মধ্যে থাকবেন। আর বোঝানোর জন্য যদি আপনার ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয় তাহলে কয়কটি প্যারা করবেন এবং ৩ টির বেশি না।

আরও পড়ুন যুক্ত করার পদ্ধতি 

আপনি যে আর্টিকেল লিখছেন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে তার সাথে মিল রেখে অন্য পোস্টের লিংক যুক্ত করতে হবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য পোস্ট সম্পর্কে পাঠক জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবে। আরও পড়ুন দেওয়া নিয়ম।
  • দুই প্যারার মাঝে আরও পড়ুন যুক্ত করবেন।
  • আপনার আর্টিকেলের নিচের দিকে আরও পড়ুন যুক্ত করবেন।
  • আপনার আর্টিকেলের মধ্যে আরও পরুন ৩ বার ব্যবহার করবেন।
  • অন্য আর্টিকেলের পোস্ট মিল রেখে দিতে হবে এবং ভূমিকাবাটন লিংকের সাথে যেন না মিলে।

আর্টিকেলে সাধারণ প্রশ্ন লিখার নিয়ম 

আপনার আর্টিকেলটি পড়ে পাঠকের মনে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার প্রয়োজন হতে পারে। আর তাদের সুবিধার কারণে আপনার আর্টিকেল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর লিখা আপনার উচিত এবং প্রয়োজন। সাধারণ প্রশ্ন লিখার নিয়ম নিম্নে দেয়া হলোঃ 
  • আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই টপিকে কিছু প্রশ্ন এড করুন।
  • প্রশ্ন কথাটা লিখে বোল্ট করে প্রশ্ন লিখতে হবে।
  • এরপর নিচে এন্টার দিয়ে উত্তর কথাটা পুনরায় বোল্ট করে উত্তর দিবেন লিখে।
  • সর্বনিম্ন ৫ টি প্রশ্ন দেবার চেষ্টা করবেন

আর্টিকেলে আমি, আপনি ব্যবহার

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনাকে ভাবতে হবে আপনি সামনা- সামনি কারো সাথে গল্প করছেন। এবং আপনার মনের ভাব তাকে বোঝাতে চাইছেন। সেজন্য আপনি আর্টিকেল লিখার সময় বেশি আমি, আপনি শব্দ ব্যবহার বেশি করবেন। পাঠক আপনার আর্টিকেল পড়ে মনে করেন যেন আপনি তাকে উদ্দেশ্য করেই নিখেছেন।আর্টিকেল লিখার একটি ভালো টিপস এটা সব নিয়মের মধ্যে।

পার্মালিংক করার নিয়ম

আর্টিকেলের জন্য পার্মালিংক করা গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে পাঠক সহজে তারা যেটা বিষয়ে পড়তে চান তা সহজে পায়। এছাড়াও পার্মালিংক করলে নিজের ওয়েবসাইটের পোস্ট নিজেও সহজে খোঁজে পাওয়া যায়।এছাড়াও নিজের ওয়েবসাইটের জন্য পার্মালিংক করা গুরুত্বপূর্ণ। পার্মালিংক করার নিয়মঃ
  • পার্মালিঙ্ক করতে ইংরেজি অক্ষর ছোট হাতের দুই বা পাঁচ ভিতরে লিখতে হয়।
  • আপনি যদি এক বেশি দুইবা তিন হয় সেক্ষেত্রে ড্যাশ চিহ্ন ব্যবহার করবেন।
  • পার্মালিঙ্ক করতে এগুলো (a,  an, the,of,and, o) ব্যবহার  করা যাবে না।
  • আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেটা দিয়ে পার্মালিঙ্ক করবেন।

লেখকের শেষ কথা লিখার নিয়ম

আপনি আর্টিকেল সম্পূর্ণ লিখা শেষে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। যে আপনি পুরো আর্টিকেলটিতে আসলে কি বোঝাতে চাইছেন। প্রথম প্যারাতে আর্টিকেল সম্পর্কে বলবেন। দ্বিতীয় প্যারতে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য উল্লেখ করবেন। এতে করে আপনার প্রতি লিখকের আস্তা বাড়বে।
নিচে কিছু নিয়ম দেওয়া হলোঃ
  • আপনি লেখকের মন্তব্যে ২০০ শব্দ রাখতে পারেন।
  • প্রথম তিন লিখার পর আরেকটা প্যারা করবেন।

পোস্ট ফরম্যাটিং এবং বক্তার বক্তব্য উপস্থাপন 

আর্টিকেল লিখার পর যখন পুরো লিখাগুলোকে জাস্টিফাই করবেন। তখন ঠিক বইয়ের মতো লিখা দেখাবে। এতে করে আপনার আর্টিকেলের লিখা পাঠক পছন্দ করবে এবং পড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন। সেজন্য আপনাকে পোস্ট ফরম্যাটিং করতে হবে। পোস্ট ফরম্যাটিং করার নিয়মঃ
  • আপনি আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট জাস্টিফাই অ্যালাইমেন্টে রাখবেন।
  • পোস্ট ফিউচার ইমেজ গুলো অবশ্যই সেন্টার অ্যালাইমেন্ট করে রাখবেন।
  • পুরো আর্টিকেল জাস্টিফাই করবেন।

সার্চ ডিসক্রিপশন লিখার নিয়ম 

সার্চ ডেসক্রিপশন পুরো আর্টিকেলের সারমর্ম। যা ১৫০ শব্দের মধ্যে লিখতে হয়। আপনার আর্টিকেলের পুরো বিষয়গুলোকে একসাথে লিখে রাখাকে আর্টিকেলের সারমর্ম বলে। গুগলে রেংক করার জন্য  সার্চ ডেসক্রিপশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • আপনি সার্চ ডেসক্রিপশন লিখার জন্য ডান পাশে অপশন আছে।
  • আপনি যদি মোবাইল দিয়ে করেন সে ক্ষেত্রে সেটিং গিয়ে ক্লিক করে নিচে স্ক্রল করলে সার্চ ডেসক্রিপশন দেখতে পাবেন।

আর্টিকেলে অ্যাট্রাক্টিভ ডাউনলোড লিংক যুক্ত করা

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম এর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে পাঠক আকৃষ্ট হয়ে আপনার পোস্ট মনযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি এক বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সে বিষয়ে পাঠক কোন দিবস সম্পর্কে জানতে চাইছে। সেক্ষেত্রে আপনি অন্য পোস্টের আরও পরুন সেকশন যুক্ত  করতে পারেন।

লাইন গ্যাপ বা এন্টার দেয়ার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে সর্তক থাকতে হবে। দেখা যায় অনেকে এক প্যারা লিখার পর একসাথে অনেক গুলো গ্যাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া একটা শব্দ লিখে অনেক স্পেস দিয়ে দেন। আপনি আর্টিকেলে এগুলো করলে গুগলে রেংক করা যাবে না। তাই এগুলো করা যাবে না। তাছাড়া বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম হলো একটা শব্দের মাঝে একটা স্পেস দিতে হবে।

বাংলা আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। কিছু নিয়ম নিম্নে দেয়া হলোঃ
  • লাইন গ্যাপ দিয়ে কখনো কন্টেন্ট লিখবেন না।
  • দুই প্যারার মাঝে সর্বোচ্চ দুটি এন্টার ব্যবহার করবেন
  • যদিও ভুল করে একটা শব্দের মাঝে দুটি স্পেস দিয়ে দেন তাহলে রিমুভ করে নিবেন।
  • পোস্টের শেষে এন্টার বা স্পেস থাকা যাবে না।
  • দাড়ি কমার পর আপনি একটা স্পেস দিতে পারেন

আর্টিকেলের বডি বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

আপনি একটি সুন্দর বা পারফেক্ট আর্টিকেলের জন্য সর্বনিম্ন ১০ হেডিং রাখতে পারেন এবং প্যারা ১৫ টি করতে পারেন। আপনি আর্টিকেলে ২২০০ বা এর বেশি শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি আর্টিকেলের ভিতরে কোন কিছুর সুবিধা-অসুবিধা  বা বৈশিষ্ট্য লিখতে চান। 

আর্টিকেলের-বডি-বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম

তাহলে অবশ্যই নাম্বারিং বা লিস্ট করে লিখবেন। একটি আর্টিকেল প্রাসংগিক কয়েকটা লিংক যুক্ত করবেন। এতে করে পাঠকের পড়ার আগ্রহ জাগবে। বাংলা আর্টিকেল লিখার সময় অবশ্যই এগুলো অনুসরণ করতে হবে।

পাঠকের কাছে সেরা আর্টিকেল 

আপনি ধরুন অন্য কারো পোস্ট পড়ছেন। কিন্তু পোস্টটি সাজানো- গোছানো নেই। তাহলে কি আপনার পোস্টটি পরতে ভালো লাগবে। না মোটেও ভালো লাগবে না কারণ পাঠকেরা সব সময় সাজানো- গোছানো আর্টিকেল পছন্দ করেন। আর চেষ্টা করবেন আর্টিকেলে জটিল শব্দ ব্যবহার না করার।

সব সময় সোজা ভাষায় আর্টিকেল লিখবেন। ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে কোন শব্দ লিখবেন না। সব সময় অন্য ওয়েবসাইটের থেকে ভালো তথ্য দেবার চেষ্টা করবেন। কারণ আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন এমন হাজার টা আপনার আগে গুগলে আছে। অন্য ওয়েবসাইট থেকে পড়ে ধারণা নিয়ে উন্নত ভাবে লিখবেন।

ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আর্টিকেল লিখা

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম এর মধ্যে এটাও জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি। যারা মূল ওয়েবসাইটে পোস্ট না লিখে বিভিন্ন জায়গায় লিখে কপি করে এনে পেস্ট করে। অনেকে মোবালের নোটপ্যাডে লিখে বা কম্পিউটারের নোটপ্যাডে লিখে। কপি করে পরে পাবলিস্ট করেন।


এভাবে কপি করে পোস্ট পাবলিশ করার সময় লিখার ফন্টা বা লিখার মধ্যে পরিবর্তন আসে। যার ফলে আর্টিকেলটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে পাঠকেও পড়তে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই আপনি এভাবে কখনো অন্য জায়গায় লিকে কপি করে পাবলিশ করবেন না।

আর্টিকেল লিখার সময় তথ্য পাবো কোথায়

অনেকে আর্টিকেল লিখার সময় চিন্তা করেন কোথায় থেকে তথ্য নিয়ে লিখবেন। হয়তো আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন যার প্রতি কোন ধারণা নেই। এটা আসলেই একটা সমস্যা। না আপনি সমস্যা মনে করলেই সমস্যা না করলে না। গুগলে আপনার টপিকের ওপর হাজারটা আর্টিকেল লিখা আছে। 

তাদের গুলো পড়ে আপনাকে ধারণা নিতে হবে। তাদের চাইতেও ভালো আর্টিকেল লিখতে হবে। তাই বলে তাদের টা কপি করা যাবে না। চলুন তাহলে সে ব্যপারে জানা যাক--
  • আপনি কয়েকটা সাইটে গিয়ে তাদের থেকে ধারণা নিন এবং তাদের চেয়ে বেস্ট কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখুন।
  • আপনি  আর্টিকেল লিখার সময় কখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবেন না।
  • অন্য ওয়েবসাইট থেকে পোস্ট নিয়ে এনে আপনার ওয়েবসাইটে এ দিক ও দিক করে কখনো লিখবেন না।
  • অন্যের পোস্ট পড়ে ধারণা নিয়ে নিজের মতো করে লিখবেন।
  • আপনি কখনো গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করবেন না তাহলে পোস্ট রেংক হবে না।
  • আপনি সব সময় মৌলিক শব্দটা ঠিক রেখে নিজের মতো করে লিখবেন।
  • অন্যের ওয়েবসাইটের প্যাটান নিয়ে এনে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করবেন না।
  • ইংরেজি পোস্ট বাংলায় অনুবাদ করে কখনো লিখবেন না 

স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

আপনি যদি কন্টেন্ট বা বাংলা আর্টিকেল লিখার চাকরি করতে চান। তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে স্ক্রিনশট নেয়ার নিয়ম জানতে হবে। কন্টেন্টে ইমেজ দেয়ার সময় অপ্রয়োজনীয় অংশ রাখলে ইমেজ দেখতে ভালো লাগে না।তাই সেগুলো কেটে সাইজ করে নিতে হয়।

আমি আপনাদের এই পোস্টে দুটি স্ক্রিনশট দেখাবো। এবং প্রফেশনাল স্ক্রিনশট দেখতে কেমন সচোখে দেখুন। আর আপনি স্ক্রিনশটে পাঠককে কোন বিষয়ে বোঝাতে চাইছেন তা লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে দিবেন।এখন ইমেজটা ভালো করে দেখলে বোঝতে পারবেন পুরো স্ক্রিনশট ইমেজ। 

যেটা দেখতে মোটেও ভালো লাগছে না এবং প্রফেশনাল ও দেখাচ্ছে না।এবার এইটা দেখুন একদম প্রফেশনাল স্ক্রিনশট। এভাবে স্ক্রিনশট নেয়ার প্রফেশনাল স্ক্রিনশট এর ভালো উদাহরণ।

 ইমেজ সোর্স লিংক করে ছবি যুক্ত করা যাবে না

আমরা সাধারণত বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম মেনে অনলাইন থেকে ছবি ডাউনলোড করে
কাস্টমাইজ করার পর ব্লগে ছবি আপলোড করি। কিন্তু অনেকে আছে যারা ঝামেলা ছাড়া কপি ইমেজ লিংক করে ছবি আপলোড করে।কিন্তু সরাসরি এভাবে ছবি ডাউনলোড করা যাবে না। 

সেজন্য আপনাকে ছবি ডাউনলোড করে কাস্টমাইজ করে।Upload from computer থেকে ব্লগে নিতে হবে। কখনো আপনি By URL এর মাধ্যমে কপি সোর্স ইমেজ লিংক করে ব্লগে ছবি নিবেন না।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্যঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম - ২০টি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম বা এসই ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে এসই করতে হবে। আমি যতটুকু জানি বা শিখেছি তা আপনাদেরকে শিখানোর চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি আপনারা শিখতে পারলে বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে ভালো ধারনা নিতে পারবেন।
এভাবে আর্টিকেল লিখলে গুগলে রেংক করবেই। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা ভালো ভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে এবং কোনো আর্টিকেল লিখার প্রথম অংশ কোনটি এ সকল বিষয়ে আপনারা জানতে পেরেছেন।এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে একটি কমেন্ট করবেন। সেই সাথে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url