জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। জামের বিচি গুড়া সাধারণত শর্করাযুক্ত খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন গ্রামের বিচি পাকিস্থলী ও যকৃতে কিভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে।
জামের -বিচি -গুড়া -খাওয়ার- নিয়ম

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার রক্ষাকবচ হিসেবে কিভাবে জামের বিচির গুড়া ভূমিকা রাখে, আরো জানতে পারবেন এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

পেজসূচী পত্রঃ জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন রকম হয়। আপনারা অনেকেই অবাক হতে পারেন যে জামের বিচির গুড়া আবার কিভাবে খাওয়া যায়। কারণ এখনো জামের বিচি গুরা খাওয়া সম্পর্কে অনেকের কাছে অজানা। জামের বিচি একটি উপকারী প্রাকৃতিক খাদ্য যা আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনঃ সজনে পাতার মজাদার ৪টি রেসিপি

অনেক চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস রোগীদেরকে জামের বিচির গুড়া খাওয়া জন্য পরামর্শ দেন। জামের বিজি গুড়া করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে জামের বিচি সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর বিচিগুলো পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করে। তারপর জামের বিচি গুলো রোদ্রে শুকিয়ে নিয়ে হালকা আগুনের আছে ভেজে নিতে হবে।

ভাজার পর ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে পাটাই বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। গুড়াগুলো সংরক্ষণ করার জন্য কাছে বইম ব্যবহার করাই উত্তম। কারণ প্লাস্টিকের বইয়ে রাখলে গন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আর কাজের বইমে রাখলে অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় এতে করে কোন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

এরপর প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে একগ্লাস পানিতে দুই চা চামচ জামের বিচি গুঁড়া দিয়ে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। এছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে সকাল সন্ধ্যা দুই বেলা জামের বিচির গুঁড়া খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে দুরারোগ্য দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত এভাবে জামের বিচি গুড়া খেয়ে যান

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বিচি গুড়ার ভূমিকা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বিচির গোড়ার ভূমিকা অপরিসীম। অনেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু কোন ভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না। এমন অবস্থায় আপনাকে আমি পরামর্শ দিব ওষুধের পাশাপাশি আপনি জামের বিচির গুড়া খেতে পারেন।

জামের বিচির গোড়াতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যে এই রোগ থেকে বিভিন্ন রোগকে ডেকে আনে এবং এখন পর্যন্ত এই ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ আবিষ্কার করা যায়নি। আর আমাদের প্রতিটি ঘরে কমবেশি ডায়াবেটিস রোগী আছেন বা এই রোগে নিয়মিত আক্রান্ত হচ্ছেন।

জামের বিচির গুড়াতে জাম্বোলিন  ও জাম্বোসিন নামক উপাদান আছে। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই উপাদান ইনসুলিন এর কাজ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত বারবার ঘন ঘন প্রসাব ও তৃষ্ণা লাগবে থাকে। জামের বিচির গুড়া সকল সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনঃ নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জামের শাঁশের চেয়ে  জামের বিচির গুড়া বেশ উপকারি। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন প্রসাব ও পিপাসা লেগে থাকে এবং পাশাপাশি ইন্সুলিন এর প্রয়োজন হয়। আর এর সব কিছু গুণাগুন জামের বিচিতে  বিদ্যমান। তাই চিকিৎসকেরা  ডায়াবেটিস রোগীকে জামের বিচির গোড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ডায়াবেটিস- নিয়ন্ত্রণে- জামের -বিচি -গুড়ার- ভূমিকা

জামের বিচির গুড়া পেট ভালো রাখে

জামের বিচি গুড়া পেট ভালো রাখতে সাহায্য করে। জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে এর গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। পেটের সমস্যা এখন আমাদের একটা সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। বিভিন্ন কারণে পেট ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো খাবারের সমস্যা হলে গ্যাস থেকে পেট ব্যথা করে।

আর গ্যাস ও বদ হজম এধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আপনি জামের বিচি গুড়া খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালবেলা আপনি খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ জামের বিচি গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।এবং ভালো ফলাফল পেতে কয়েকদিন খাবেন। দেখবেন কিছুটা হলেও আপনি এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন।

এছাড়াও আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের নিয়মিত পায়খানা হয় না। তারা ইচ্ছে করলে নিয়মিত জামের বিচি গুড়া খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যাঁরা মনে করি জামের বিচি গুড়া খেলে পায়খানা কষা হয়ে যায় এটা তাদের ভুল ধারণা বরং এটা খেলে পায়খানা ক্লিয়ার হয়।

জামের বিচি গুড়া উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে 

জামের বিচি গুড়া উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে  যা আপনাদের  অনেকের অজানা। আমার গ্রামের অনেক মানুষ এই উচ্চরক্তচাপ রোগে আক্রান্ত। আমাদের শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে তৈরি হয়। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখা আমাদের প্রয়োজন। 

আরও পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় প্যাড ব্যবহারের নিয়ম

আপনি নিয়মিত জামের বিচি গুড়া খান তাহলে আপনাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনার উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মধ্যে না থাকে তাহলে আপনি যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। এমনকি আপনি মারা ও যেতে পারেন। আপনি এ ধরনের সম্মুখীন হওয়ার আগে সচেতন হোন। সেজন্য সর্বপ্রথম আপনাকে শরীর সুস্থ রাখতে হবে।

তাই আপনি নিয়মিত জামের বিচি গুড়া খেতে পারেন। সকালবেলা খালি পেটে এক চা চামচ জামের বিচি গুড়া এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। জামের বিচি গুড়া উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে। আপনি নিয়মিত জামের বিচি গুড়া খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আপনার হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করবে।

জামের বিচি গুড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

জামের বিচি গুড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।আমি যদি শরীরে ঠিক মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না বাড়াতে পারি। তাহলে আমার শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধবে।তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখাটা আমাদের জন্য জরুরি। আমাদেরকে প্রতি দিন নানা ধরনের কাজ করা লাগে। যার কারণে আমাদের শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়।

সেজন্য আমাদের শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম,আয়রন ও জিংক জাতীয় উপাদান প্রয়োজন। আর এর সবকিছু জামের বিচি গুড়া খেলে আপনি পাবেন। তাই আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য জামের বিচি গুড়া খেতে পারেন। সকালে বেলা খালি পেটে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেট পরিষ্কার হবে এবং অন্যদিকে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

আপনারা অনেকে জামের বিচি গুড়া খেতে পারেন না। তার কারণ জামের বিচি গুড়া খেতে তিতা জাতীয়,, তাই আপনারা জামের বিচি গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। মধুও আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। মধুতেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই জামের বিচি গুড়া ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার উপকারিতা 

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম এর পাশাপাশি জামের বিচি গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। জামের বিচি গুড়া একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন যার কারণে এতে হাজারো গুনাগুন উপাদান রয়েছে। সেই সাথে হাজারো উপকারিতা আছে।নিম্নে জামের বিচি গুড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • শক্তি বৃদ্ধিতে জামের বিচি গুড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। জামের বিচি গুড়ায় প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে। আপনি নিয়মিত জামের বিচি গুড়া খেলে আপনার দেহে আমিষের চাহিদা পূরণ হবে।অন্য দিকে শক্তি অক্ষুণ থাকবে। 
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও জামের বিচি গুড়া ভূমিকা রাখে। অনেক গবেষণায় জানা যায় জামের বিচি গুড়া মস্তিষ্ক এর ভেতরের শক্তি উন্নত রাখে ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে।
  • ত্বক সুস্থ রাখতে জামের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি এর প্রয়োজন যা জামের বিচিতে রয়েছে। জামের বিচি ব্যবহার করলে যেমন উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় সে সাথে ত্বকের তেলাক্ত ভাব দূর হয়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে জামের বিচির ভূমিকা অত্যাধিক পরিমাণে রয়েছে। প্রচুর মানে ভিটামিন ফাইবার ভিটামিন সি ও সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান যার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। জামের বিচিতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে ক্ষুধা লাগে কম যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।
  • হার্ট সুস্থ রাখার জন্যও জামের বিচির গুঁড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। জামের ভিত্তিতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে আর পটাশিয়াম আমাদের হাটকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • আর যারা ডায়াবেটিস রোগী আছে তাদের জন্য উপাদান। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি জামের বিচির গুঁড়া খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন এর কাজ করে জামের বিচির গোড়া।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন পেশাব ও পিপাসা লাগা জামের বিচির গুড়া খেলে দূর হয়
  • শরীরের মধ্যে নানা ধরনের রোগকে প্রতিরোধ করার জন্য যে ক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে তা জামির বিচির গোড়াতে রয়েছে। কথা জামের বিচির গোড়া খেলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
  • , জামের বিচিতে এক ধরনের পলিফেনালস উপাদান রয়েছে যেটা আমাদের ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • জামের বিচির গুড়া খাওয়াতে পেট পরিষ্কার হয় বদহজম বমি বমি ভাব দূর হয়
  • আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকার রয়েছে জামের বিচির গোড়া। আপনি নিয়মিত গ্রামের বিচির গোড়া খেলে আপনার চুল মজবুত ও নতুন ভাবে চুল গজাতে সহায়তা করে।
  • জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি জেনে ফেলুন আমাদের হাড় মজবুত করার জন্য ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মতো বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানের প্রয়োজন হয়। যা আমরা জামের বিচির গুড়া থেকে পেয়ে থাকি।
  • ডায়রিয়া বা আমাশা হলে পেট কামড়ায় সে ক্ষেত্রে সাধারণত কয়েকটা জামের বিচির গুড়া করে এক গ্লাস পানির সাথে খেয়ে নিলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার অপকারিতা

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদের জামের বিচির গুড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। জামের বিচিতে যেমন আমাদের উপকারিতা রয়েছে অন্যদিকে আমাদের কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে জামের বিচিতে তেমন কোন অপকারিতা নেই।

জামের- বিচি -গুড়া -খাওয়ার -উপকারিতা

তবে আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিত যে যে কোন খাবার যতই পুষ্টিগুণ উপাদানে পরিপূর্ণ হোক না কেন সেটা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেটা গ্রামের বিচির গোড়া খাওয়ার ক্ষেত্রেও হতে পারে। আপনি যদি জামের বিচির উপকারিতা জানার পরেও অত্যাধিক মাত্রায় জামের বিচি ঘোড়া খাওয়ার আর নিয়ম করে ফেলেন তাহলে আপনার সাথে উন্নতির ফলে অবনতি ঘটবে।


সে ক্ষেত্রে আপনি কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম করতে পারেন। জামের বীচে হাজারো গুন সম্পূর্ণ একটি উপাদান যাতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। আপনি মাত্র অতিরিক্ত যদি জামের বিচির গোড়া খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার পেটের সমস্যা হতে পারে। এমনকি পায়খানা না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

জামের বিচির গুনাগুন সম্পর্কে

জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম ও জামের বিচির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন জামের বিচি কি ঘোড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। জামের বিচি যেহেতু ঔষধি গুন সম্পূর্ণ তাই জামের বিচির গুনাগুন আসলে ব্যথা বা বলে বা লিখে শেষ করার মতো নয়।

তবুও বলব জামের বিচি গুড়া খাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আপনারা সহজে জামের বেটি সংরক্ষণ করে গুড়া করে খেতে পারেন। এতে করে আপনারা নানা ধরনের গুণাগুণ পেতে পারেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা তারা ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আনার জন্য বিভিন্ন রকম ছোটাছুটি করে থাকেন হাঁটাহাঁটি ও বিভিন্ন ধরনের ডায়েট কন্ট্রোল করেন।
বিস্তারিত জানুন
সে ক্ষেত্রে আমি তাদের বলবো যে তারা যেন জাম এর বিজি সংগ্রহ করে গুড়া করে বয়েম সংরক্ষণ করে প্রয়োজন মতো ওষুধের পাশাপাশি খেতে পারেন। অনেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঘরোয়া নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান জামের বিচির গোড়া খাও তার মধ্যে একটি উপাদান।

জামের ভিত্তিতে রয়েছে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,টামিন সি, ক্যালসিয়াম, জেলি এলার্জিক লোহ বিটাসাইডোস্টরোল আইরন জিংক ্স ইত্যাদি বিভিন্ন খনিজ ভিটামিন সমৃদ্ধ জামের বিচি। তাই আমি বলি আপনারা জামের বিচি খাওয়ার অভ্যস্ত গড়ে তুলতে পারেন।

জামের বিচির পাউডার তৈরির নিয়ম

আমরা জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা অপকারিতা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো জামের বিচির পাউডার কিভাবে তৈরি করতে হয়। আপনি সাধারণত জামের সিজিনের জামের বিচি সংগ্রহ করে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বা পাঠানোর আইটে গুড়া করে নিতে পারেন।

গুহা করার আগে অবশ্যই আপনাকে রুটি বানানো খোলায় হালকা তাপ দিয়ে নিতে হবে।এতে করে সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। জামের বিচি ঘোড়া গুড়া করা হয়ে গেলে তারপরে চালুনি দিয়ে চেলে নিবেন। যাতে করে ছেবরা-চাবরা এগুলো আলাদা হয়ে যায়। এরপর সেগুলো পুনরায় আর একটু রোদে শুকিয়ে নিবেন।

তারপর কাজের মেয়ে আপনি সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। জামের বিচি আসলে সচরাচর সব সময় পাওয়া যায় না। জাম একটি মৌসুমী ফল। জুন জুলাই মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় তাই সংরক্ষণ করে রাখা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা জামের বিচির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন তারা অবশ্যই জামের বেটি সংরক্ষণ করে সেগুলো গুড়া করে এ বয়মে বহুদিন পর্যন্ত রাখতে পারেন।

জামের বিচির দাম সম্পর্কে

জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম এর পাশাপাশি জামের বিচির দাম সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদেরকে জানতে হবে। আমরা যারা সাধারণত গ্রামে থাকি তাদের ক্ষেত্রে জামের বিচি সংগ্রহ করা সহজ। কিন্তু আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা সহজে গ্রামের বিচি সংগ্রহ করতে পারবেন না বা সংগ্রহ করতে হলো তাদেরকে কেনে সংগ্রহ করতে হয়।

আমরা সাধারণত গ্রামের মানুষ জাম কিনে খায় না। গ্রামে আশেপাশে সচরাচর জমির কাজ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু শহরের মানুষেরা যখন জাম খেতে যায় তাদেরকে অবশ্যই কিনে সেটি খেতে হয়। আপনারা যখন জামের জাম কিনে খাবেন তখন জামের বিচি গুলো সুন্দর করে সংরক্ষণ করে রাখুন।

অনেকে অল্প ভেবে ফেলে দিবেন না কারণ ১০০ গ্রাম জামের বিচি কিনতে গেলেন নিম্নে আপনার কাছে আশি টাকা নিবে। আর ১০০ গ্রাম বিচির পরিমাণ বেশি না। সব জায়গাতেই জামের বিচি পাওয়া যায়। অনেক সময় জামে এর বিচির পরিবর্তে আপনি গ্রামের বিচির পাউডার কিনতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্যঃ জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম

জামের বিচি ঘোড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে এ পোস্টটির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এছাড়াও আপনাদেরকে জামের বিচির দাম গুনাগুন উপকারিতা অপকারিতা পাউডার কিভাবে তৈরি করতে হয় সব কিছু ও সম্পর্কে বলা হয়েছে। আমি আপনাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণে জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।


সত্যি বলতে আমি নিজেও জামের বিচির গোড়া খাওয়ার সম্পর্কে এতটা জানতাম না। আমার বোনের স্বামী ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত এবং তিনি কোনোভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারছিলেন না। এমন অবস্থায় ওনার পরিচিত একজন ওনাকে জামের বিচির গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বলেন। এবং তিনি এখন জামের বিচির পাউডার নিয়মিত খান ওষুধের পাশাপাশি।

আল্লাহর রহমতে তিনি অনেক এখন সুস্থ। সে থেকে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। তাই আমি বলব যে আপনারাও ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জামের বিচি গুলা খাওয়াতে অভ্যস্ত হতে পারেন। এতে করে আপনারা উপকৃত হবেন এবং পাশাপাশি আপনাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url