ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে অনেকের কাছে অজানা। অনেকেই জানেন
না ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা হয়। আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে
পারবেন কিভাবে রূপচর্চা করা হয়।
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা,উপকারিতা,অপকারিতা, ফলের
ইতিহাস,ফেসপ্যাক তৈরি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা বিভিন্ন ভাবে করা যায়। আমরা সাধারণত ড্রাগন ফল
খেয়ে খোসা ফেলে দিয়ে থাকি।অজানা থাকার কারণে। আমাদের অনেকেই জানে না ড্রাগন
ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা হয়। তাই জানুন ড্রাগন ফল আমাদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতার পাশাপাশি রূপচর্চাতেও কাজে লাগে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের খোসা অনেক উপকারে আসে। ড্রাগন ফলের খোসা
ত্বকে আদ্রতা যোগ করে ত্বক নরম ও নমনীয় করে। ড্রগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন - সি,জিংক এবং নিয়াসিনামাইড যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের
ভিটামিন সি মিলানিন সংশ্লেষণ হ্রাস করে এবং কোলাজিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
ড্রাগন ফলের খোসা ত্বকের লালভাব ও দাগ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। সাদা
ড্রাগন ফলের থেকে লাল রঙের ড্রাগন ফল রূপচর্চার জন্য নিন। ড্রাগন ফলের তৈরিকৃত
ফেসপ্যাকের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে নিলে আরও ভালো কাজ করবে অথবা নারিকেল তেল
ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন।
আপনি ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। ফেসপ্যাক
ব্যবহারের সময় ত্বকে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন নিয়মটা অনুসরণ করার পর দেখবেন আপনার ত্বকে
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেছে। ড্রাগন ফল কিভাবে ব্যাবহার করবেন আশা করি বুঝতে
পেরেছেন।
সাদা ও লাল ড্রাগন ফলের পার্থক্য
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আপনাকে
ড্রাগনের রঙ বিষয়ে পার্থক্য জানতে হবে। ড্রাগন ফল সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে
থাকে। এর মধ্যে তিন রমের বেশি ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। সাদা,লাল ও হলুদ। এর
মধ্যে লাল ও সাদা বেশি জনপ্রিয়তা আছে।তবে সাদা রঙের ড্রাগন ফল থেকে লাল
রঙের ড্রাগন ফলের স্বাদ বেশি।
তবে সাদা ও লাল ড্রাগন ফল একই হলেও অনেক পার্থক্য আছে। লাল ড্রাগন ফল সাধারণত
মানুষকে বেশি আকর্ষণ করে কারন এটি দেখতে অনেক সুন্দর।স্বাদের মধ্যে ও অনেক
ভিন্নতা আছে। সাদা ড্রাগন ফল খেতে কিছুটা টক লাগে। আর লাল ড্রাগন ফল দেখতে যেমন
লোভনীয় খেতে ও তেমন লোভনীয়। লাল ড্রাগন ফল খেতে অনেক মিষ্টি লাগে।
শিশুরাও লাল ড্রাগন ফল পছন্দ করে। লাল ড্রাগন ফল দেখতে ও খেতে ভালো লাগে। সাদা
ড্রাগন ফল সহজে পঁচে যায় কিন্তু লাল ড্রাগন ফল সহজে পঁচে না আবার অনেক দিন
পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়। লাল রঙের ড্রাগন ফলের খোসা সহজে নষ্ট হয় না
কিন্তু সাদা ড্রাগন ফলের কোসা খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
ড্রাগন ফলের দাম কত
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে অনেকের জানা আছে এবং তারা প্রতিনিয়ত
রূপচর্চা করে। ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদ ও পুষ্টিকর খাবার। বর্তমানে এই ফল
সাধারণত সব মানুষই কমবেশি চিনি। তাছাড়া এ ফলে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা আমাদের
শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বর্তমানে ড্রাগন ফল বাংলাদেশেও চাষ
কারা হচ্ছে এবং কৃষক ও লাভবান হচ্ছেন।
তবে এখনো কিছু গ্রাম আছে যেখানে ড্রাগন ফল একনো ভালোভাবে চিনে না। ড্রাগন ফল
আগে বিদেশি ফল নামে পরিচিত ছিল কিন্তু এখন বাংলাদেশও পাওয়া যায়।ড্রাগন ফলে অনেক
পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে অনেকে খেতে পছন্দ করেন এবং চাহিদা ও অনেক। আমাদের
মধ্যে অনেকে আছে যারা ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে কোন ধারণা করতে পারেন না।
আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারবেন।চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক। ড্রাগন ফলের দাম সাধারণত
মানের ওপর নির্ভর করে। ড্রাগন ফল যত ভালো কোয়ালিটির হবে তার দামও বেশি হবে।
ড্রাগন ফল বাংলাদেশে কম উৎপাদন হওয়ার কারণে বাইরে থেকে আমদানি করা হয়।
তার জন্য দাম তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি থাকে। বর্তমানে বাজারে এই ড্রাগন ফলের
কেজি ৩২০ থেকে ৩৭০ টাকা। আর আপনি যদি আরও ভালো কোয়ালিটির নিতে চান তাহলে ৪৭০
থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। তবে ড্রাগন ফলের দাম একেক সময় একেক রকম হয়ে থাকে। গ্রামের
বাজার বা হাটেও বর্তমানে ড্রাগন ফল সহজে পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার জন্য ড্রাগন ফলের খোসা খুব ভালো একটি
উপাদান হিসেবে কাজ করে। ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা খুব সহজে
এবার জানতে পারবেন। আমরা সাধারণত ড্রাগন ফল খেয়ে খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। অনেকেই
এর খোসার গুনাগুন সম্পর্কে জানি না। এই খোসা আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারি
উপাদান।
প্রথমে কয়েকটি ড্রাগন ফলের খোসা নিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিবেন। খেয়াল রাখবেন
কোন ভাবে যেন ময়লা না লেগে থাকে। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিবেন আর শক্ত
অংশ টুকু ফেলে দিবেন। সাধারণত খোসার মাঝে নরম অংশটুকু নিতে হয়। আর বাকি অংশগুলো
ফেলে দিতে হয়। কাটার পর এগুলো বেটে নিতে হবে এবং ফেসপ্যাক তৈরি করে নিবেন।
যাদের মুখে বেশি সমস্যা আছে তারা প্রতিনিয়ত এই ফেসপ্যাকটা ব্যবহার করতে পারেন।
এতে করে আেনার মুখে থাকা সমস্যা সহজে দূর হবে। সেই সাথে আপনার ত্বক ফর্সা ও
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। ঘরোয়া উপায়ে সহজে হাতের নাগালে ফর্সা হওয়ার উপায়
সম্পর্কে আপনারা খুব সহজে বিস্তারিত জানতে পারলেন। ছোট বড় সবাই এটি ব্যবহার
করতে পারেন।এটার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই
ফেসপ্যাকটি আপনি যেভাব তৈরি করবেন
প্রথমে কোসা গুলো কেটে ছোট ছোট করে নিবেন। তারপর এগুলো বেটে নিবেন। বাটার জন্য
আপনারা ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। আপনাদের ব্লেন্ডার না থাকলে শিলপাটা
ব্যবহার করতে পারেন।বাটার পর আপনাকে ওটার মধ্যে কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর পুনরায় মিশ্রণ করা ঐগুলো আবারও ব্লেন্ড করে নিতে হবে যাতে করে দুধ মিশে
যায়।
ব্লেড করার ফলে দুধ গুলো মিশ্রণের সাথে ভালোভাবে মিশে যাবে। এরপর একটি কৌটায়
রেখে আপনি কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন তাহলে ক্রিম ভাবটা চলে আসবে। তারপর ক্রিমভাব
এলে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। যদি আপনার কাছে বা হাতের নাগালে গোলাপজল না থাকে তাহলে
না দিলেও চলবে। গোলাপজল মিক্সড করার জন্য পুনরায় মিশ্রণটি নারতে থাকুন।
আরও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। আর যদি আপনার কাছে ভিটামিন
এ ক্যাপসুল থাকে তাহলে মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে আপনাদের যাদের ড্রাই স্কিন তারা
অবশ্যই নারিকেল তেল মিশিয়ে নিবেন।এরপর সব কিছু মিশানো হয়ে গেলে যেকোন পটে ভরে
ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করুন।প্রতিদিন বের করে ব্যবহার করুন।
আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে ড্রাগন ফল ব্রণের জন্য খুব ভালো কাজ করে। আপনাদের
যাের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ আছে তাঁরা প্রতিদিন এই ফেসপ্যাকটা ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহারের ফলে আপনারা খুব সুন্দর একটা ফলাফল পাবেন যা কখনো কল্পনা করতে পারবেন
না।গরমের সময় যেহেতু এই ফলটা পাওয়া যায় সেহেতু সংরক্ষণ করে রাখুন।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। পাশাপাশি ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিকও
আছে। ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। অনন্য খাবারের মতো ড্রাগন ফলের ও
কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
-
এলার্জির সমস্যাঃযাদের এলার্জি আছে তাঁরাই ভালো জানে কোন ফলে তাদের
এলার্জি। তবে যাদের এলার্জি আছে তাঁরা ড্রাগন ফল কম খাবেন। খেলেও ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে খাবেন
-
পেটের সমস্যাঃ কিছু লোক আছে যাদের ড্রাগন ফল খেলে পেটফাপা,গ্যাসও বমিভাম
অনুভব করেন। তবে সেটা খুব কম সময়ের জন্য। এমন হলে ড্রাগন ফল খাওয়া বন্ধ করে
ডক্টরের কাছে যান।
-
ডায়রিয়ার সমস্যাঃ আপনি যদি অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খান তাহলে আপনার ডায়রিয়া
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
অরুচি ভাবঃ অনেকের কাছে ড্রাগন ফলের গন্ধ টা ভালো লাগে না আবার অরুচি মনে
হয় এমন অবস্থায় খেলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
চিনির পরিমানঃ ড্রাগন ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের
কম খাওয়া উচিত। নইলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
কীটনাশকের উপস্থিতঃ এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যাবহার করা হয়ে
থাকে।ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে খান নইলে
কীটনাশক শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল বিভিন্ন ভাবে আপনারা খেতে পারেন। ড্রাগন ফল আপনারা যেভাবে ইচ্ছে
খেতে পারেন। অনেক ছোট বাচ্চা আছে যারা ড্রাগন ফল সহজে খেতে চাইনা তাদের
ক্ষেত্রে আপনি জুস তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। আবার বিট লবণের সাথে মাখিয়ে দিও
খাওয়াতে পারেন।ড্রাগন ফলের কালার যেহেতু খুব লভনীয় তাই কেক বানিয়েও ড্রাগন ফল
সহজে খাওয়াতে পারেন।
আপনি ড্রাগন ফলের পায়েস করেও খেতে পারেন। আপনারা ইচ্ছে করলে অনেকদিন পর্যন্ত
সংরক্ষণ করে রাখার জন্য জেলি তৈরি করে নিতে পারেন। ছোট বাচ্চারা সাধারণত জেলি
খেতে পছন্দ করে সেক্ষেত্রে তাদের জন্য জেলি পারফেক্ট হবে।সকালে নাস্তা করার
আগে যদি আপনি ড্রাগন ফল খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
আপনারা ইচ্ছে করলে সালাদ করে ও ড্রাগন ফল খেতে পারেন। আবার কখনো একসাথে
কয়েকজন বসে কেটে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।শরবত করেও আপনি ড্রাগন ফল খেতে
পারেন।আপনারা যেভাবে ইচ্ছে খেতে পারেন। তবে ছোট বাচ্চাদের জন্য জুস বা জেলি
তৈরি করে ড্রাগন খাওয়ানো খুব সহজ প্রক্রিয়া।এতে করে খাওয়ানোর কোন ঝামেলা হয়
না।
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে চুলের যত্ন
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার পাশাপাশি চুলের যত্নও করা হয়। ড্রাগন
ফলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে একধরনের কস থাকে যেটা চুলকে কালো ও লম্বা করতে
সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের খোসা পানিতে ১০থেকে ১৫মিনিট জ্বাল করে নিতে হয়।
পানি ফুটে এলে একধরনের কালো কস বের হয়। সেই কোসগুলো তেলের মত করে ব্যবহার করা
যায়।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
আপনি ইচ্ছে করলে ব্লেন্ড করেও চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুলে দেওয়ার
সময় মিশ্রণের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর ২০মিনিট শুকিয়ে শ্যাম্পু
করে ফেলুন।এভাবে মাসে দুবার ব্যবহার করুন। কিছু দিন পর দেখবেন আপনার চুল কালো
ও লম্বা হয়ে গেছে। আরও ভালো ফলাফল পেতে মিশ্রণের সাথে শ্যাম্পু ও এ্যালোভেরা
মিশিয়ে নিন।
আরও ভালো ফলাফল পেতে ড্রাগন ফলের খোসার সাথে কয়েকটা জবা ফুল ও কালোকেশির মিশ্রণ
তৈরি করে নিতে পারেন। আমাদের মধ্যে যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যায় তাদের চুল
কালো হয়ে যাবে। পরে সাদা চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকেনা। থাকলেও খুবই কম। মাথা
ঠান্ডা রাখার জন্য ও আপনি ড্রাগন ফলের খোসা বেটে দিতে পারেন ফলে আপনার মাথা
ঠান্ডা থাকবে।
ড্রাগন ফলের খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ ড্রাগন ফল মানব দেহের জন্য
খুব উপকারি। আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন চুল ও ত্বকের জন্য ড্রাগন ফলের
গুরুত্ব অপরিসীম।এছাড়াও ড্রাগন ফলের অনেক উপকারি দিক আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
-
ড্রাগন ফলে কোন প্রকার ফ্যাট নেই। সম্পূর্ণ ফাইবার সমৃদ্ধ।সেকারনে যে কোন
বয়সের মানুষই ড্রাগন ফল খেতে পারে।
-
ত্বক ও চুলের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ড্রাগন ফল গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
-
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়।
-
বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল। ফলে আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তিকে আরও
উন্নত করে।
-
ড্রাগন ফলের বীজে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি এসিড বিদ্যমান থাকে যা
আমাদের হার্টকে সুস্থ্য রাখে।
- রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে ফলে ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমে।
- আমাদের দেহের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ড্রাগন ফল সহায়তা করে।
-
রক্ত শূন্যতার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ড্রাগন ফলের জুড়ি নেই। উচ্চরক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখে ড্রাগন ফল।
এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে ড্রাগন ফল। ছোট বাচ্চাদের কৃমি দূর করতে
সাহায্য করে ড্রাগন ফল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও উপকারী ফল ড্রাগন। ড্রাগন ফল
খেলে ক্ষুধার প্রবণতা কম থাকে। ফলে ছোট বাচ্চাকে ড্রাগন খাওয়ালে সহজে খিদে লাগে
না। একদিকে খিদে থেকে রক্ষা পাই ওপর দিকে দেহে পুষ্টি উপাদান পাই।
শেষ কথাঃ ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা পাশাপাশি আমরা,চুলের যত্নও করতে
পারি। পুরো আর্টিকেলটিতে ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে আমরা কিভাবে রূপচর্চা করবো তা
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ড্রাগন ফল একটি পুষ্টিসম্পূর্ণ ফল যা আমাদের জন্য
খুবই ুউপকারি। ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কেও বিস্তারিত বলা হয়েছে।
ড্রাগন ফলের খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ও যথেষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আপনার
রুচিসম্মত ড্রাগন ফল খেতে পারেন। এমনি কেটেও ড্রাগন ফল খাওয়া যায়। আশা করি
আপনারা আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং ড্রাগন ফল সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে সক্ষম হয়েছেন। ড্রাগন ফল সম্পর্কে যতটুকু অজানা ছিল তা
ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
আপনাদের আর্টিকেল টি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এরকম
পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আজ এপর্যন্ত আবারও দেখা হবে অন্য কোন
পোস্টে। ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url