লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য। লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে লেবু ও চিনি প্রলোভ তৈরি, ব্যবহার,উপযুক্ত সময়,কতদিন সময় লাগে ফর্সা হতে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ ভালো ভাবে জানার জন্য আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচীপত্রঃ লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- পাতিলেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে
- লেবুর খোসা ও চিনি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি
- লেবু ও চিনির প্রলোভ দিয়ে রোদ্রে শুকানো
- লেবুর রস ও চিনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে
- লেবুর রস ও চিনি ত্বকের জন্য এলার্জির কারন
- চিনি যে ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে
- লেবুর রস ও চিনি আগুনে জ্বাল দিয়ে
- শিশুদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর
- মেছতা দূর করতে লেবুর রস ও চিনি
- শেষকথাঃ লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা খুব কম মানুষ জানেন। লেবু ও চিনি দিয়ে ত্বক সাদা করতে, লেবুর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। এরপর মিশ্রণ লাগানোর জন্য ব্রাশ বা পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। তারপর ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসেজ করুন। এরপর হালকা শুকালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। অনেকের ত্বকে দাগ বা লোম থাকে অনেক। মুখের কালো দাগ ও লোম দূর করতে লেবুর রসের জুরি নেই। চিনি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হতে সহায়তা করে। এই মিশ্রণটি তৈরি করতে ৩চা চামচ চিনি,১ চা চামচ লেবু রস ও ১চা চামচ পানি।প্রথমে সকল উপাদান এক সাথে মিশিয়ে নিতে হয়।
খেয়াল রাখবেন মিশ্রণে সকাল উপাদান ভালোভাবে যাতে করে মিশিয়ে যায়। না মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকবেন।মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগাবেন। লাগানোর ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।ধোয়ার সময় খেয়াল রাখবেন মুখে কোন মিশ্রণ না লেগে থাকে। আপনি পরে দেখবেন লোম ও শুকনো ব্রণের দাগ দূর হবে।সপ্তাহে ৩বার এভাবে ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুনঃ মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে
পাতিলেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে
পাতিলেবুুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে লেবুর রস সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। এর প্রভাবে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া ও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনি লেবুর সরাসরি ব্যাবহার না করে তার সাথে অন্য কিছু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
১চা চামচ লেবুর রসের সাথে ১চা চামচ চিনি দিয়ে মিশিয়ে আপনি ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসেজ করতে পারেন। চিনি গলে গেলে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আপনি লেবুর রস ব্যবহার করার পর অবশ্যই ভালো অন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। পাতিলেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
লেবুর খোসা ও চিনি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি
লেবুর খোসা ও চিনি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে খুব সহজে আপনি একটি ফ্রেশপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। সাধারণত অনেকের মুখে তৈলাক্তভাব থাকার জন্য কালচে দাগ পরে ত্বকে তাদের জন্য এই প্যাকটি। গ্রডারের সাহায্যে লেবুর খোসার সবুজ অংশটি কুচি করে নিতে পারেন। কুচি করা খোসা আপনি বেটে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে নিন।
১চা চামচ লেবুর খোসার পেস্ট, ৩-৪ টি পুদিনাপাতা,৬-৭ টি তুলসীপাতা,২ চা চামচ চিনি ও ২ চা চামচ মুলদানি মাটি একসাথে পেস্ট করুন পানি ছাড়া। এটি ত্বকে লাগানোর পরে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে এভাবে ২- ৩ বার ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য মিশ্রণএর সাথে ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন।
লেবু ও চিনির প্রলোভ দিয়ে রোদ্রে শুকানো
লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়ের জন্য অনেক সচেনতা অবলম্বন করতে হবে। এই ফ্রেশপ্যাকটি মুখে দিয়ে কখনো রোদ্রে শুকানো যাবে না কারন,লেবুর রসে এসিড থাকে। তাই আপনি কখনো লেবুর রস ও চিনি ত্বকে লাগিয়ে কখনো রোদ্রে শুকাতে যাবেন না। সেক্ষেত্রে ত্বক ফর্সা না হয়ে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আপনি যতটা সম্ভব ছায়ায় ঘরের ভিতর থাকার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুনঃ খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
লেবুর রস ও চিনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে
লেবুর রস ও চিনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ভুমিকা রাখে। ত্বক ফর্সা করতে আপনি চিনি ব্যবহার করতে পারেন।স্ক্রাবের জন্য চিনির কোন বিকল্প নেই। লেবুর রস, চিনি,কফি, চালের গুড়া,কাঁচা দুধ,বেসন এবং কাঁচা হলুদ একসাথে মিশিয়ে মিহি স্ক্রাব তৈরি করুন।এরপর আপনি হাত,পা,মুখ ও পুরো শরীরে ভালো ভাবে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট এভাবে রাখুন।এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
পরপর কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে কমপক্ষে আপনাকে ৩বার করতে হবে। এক মাসের মধ্যে দেখবেন আপনার চেহারা পাল্টে গেছে। ত্বকে আসবে নতুন ছোঁয়া।আপনি ইচ্ছে করলে পাকা কলার সাথে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। চিনিতে আছে আলফা হাইড্রক্সাইড এসিড। যা চামড়াকে কুঁচকে যাওয়ার হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে আপনি গ্রিন টিয়ের সাথে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন টিয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যার ফলে আপনার ত্বকের মরা কোষ ওঠে আসবে এবং আপনার ত্বককে করবে ফর্সা ঝলমলে। চিনি ও লেবুর রসের কোন জুরি নেই রূপ চর্চায়। অনাসে আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে ঘরোয়া ভাবে এটা ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রস ও চিনি ত্বকের জন্য এলার্জির কারন
লেবুর রস ও চিনি ত্বকের জন্য এলার্জির কারন হতে পারে। অনেকেই স্কিনকেয়ার রুটিন নিয়মিতভাবে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করে থাকেন। হাতের নাগালে থাকে এমন কিছু উপকরণ ক্লিনজার,স্ক্রাব,টোনার কিংবা ফেসমাস্ক হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন কেউ কেউ। আমাদের মধ্যে প্রায় সকলের ধারণা থাকে প্রাকৃতিক উপকরণ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর না।
এই ধারনাটি আপনার আমার ভুল ধারনা,,আপনারা জানেন কি রান্নাঘরে এমন কিছু উপকরণ রয়েছে ্ যা আমাদের ত্বকের জন্য এলার্জি বা ক্ষতিকর হতে পারে। দীর্ঘদিন এগুলো ব্যবহারের ফলে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার আমাদের মধ্যে অনেকে আছে ত্বকের কালো ছোপ দাগ দূর করতে লেবুর রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করেন।
এটা করা মোটেও ঠিক না। লেবু কিন্তু অত্যন্ত অ্যাসিডিক। এ কারনে এটি ত্বকের এলার্জির কারন হতে পারে। এবং ত্বকের পিএইচডি ভারসাম্যকে নষ্ট করে। ফলে ত্বকে মারাত্মক এলার্জির প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত শুষ্কতা, লালভাব ও ত্বকে চামড়া ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনারা ফেসপ্যাকের মধ্যে লেবু ও চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
ডিআইওয়াই ফেস স্ক্রাবে চিনি ব্যবহার করবেন না। কারণ সংবেদনশীল ত্বকে চিনি ব্যবহারের কারণে মুখের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ব্রণের সমস্যা যুক্ত ব্যক্তিদের সাদা লবণ বা চিনি কখনো ব্যবহার করা উচিত না। এতে করে ত্বকে নানা রকম সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন।ত্বকে এমন সমস্যা বা এলার্জি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিনি যে ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে
লেবুর রস ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনাকে জানতে হবে চিনি আমাদের মানব দেহের কি ক্ষতি করে। চিনির সাথে মানব দেহের সম্পর্ক বেশ জটিল বললেই চলে। আমাদের দেহে চিনির উপকারিতা থাকলেও শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাঝে মাঝে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি অনুভূত হয়। এটা মন্দ নয় বটে। তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার শরীরের বারোটা বাজাতে পারে।চিনি চেহেরা এবং পুরো ত্বকের জন্য বিভিন্ন উদ্বেগের কারণ হতে পারে। চলুন তাহলে এ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।
- জ্বালা পোড়াঃ আপনারা হয়তো জানেন না চিনি আমাদের শরীরে জ্বালা পোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। এতে লালচে ভাব ও অস্বস্তিভাব দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় ফলমূল, শাকসবজি খাওয়া ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- গ্লাইকেশনঃ আপনারা হয়তো জানেন না এটা এমন এক প্রক্রিয়া যা আপনার শরীরে সহজে বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। ত্বকের কোলাজেন এবং িিলাস্টিন ফাইবার শক্ত হতে পারে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।
- বলিরেখাঃ চিনি কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবার নষ্ট করে ত্বকে বলিরেখা ফেলে। এই বলিরেখা প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।বিশেষ করে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এক্সিডেন্টকে প্রতিরোধ করে।
- কোলাজেনঃ চিনি সাধারণত আমাদের দেহে কোলাজেন তৈরি করতে বাধা দেয়। সাধারণত কোলাজেন ত্বকের নমনীয়তা রক্ষা করে।ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার কোলাজেন সংশ্লেষণ করে।
- নিষ্প্রভতাঃ চিনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ত্বককে নিষ্প্রভ করে। ত্বককে সতেজ রাখতে সব সময় ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- ভারসাম্যহীনতাঃচিনি ত্বকের ভারসাম্য নষ্ট করে।ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে বাধা দেয়।
ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url